দুর্গাপুরে পত্রিকা হকারকে দু’টি বাইসাইকেল দিলেন রিক্সাচালক তারা মিয়া
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুজিত সাহা নামে এক পত্রিকার হকার ও তার ছেলে নিরব সাহা (দুজনকে,দু’টি) বা্ইসাইকেল দিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত রিক্সাচালক তারা মিয়া।
রবিবার সকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব চত্বরে হকার সুজিত সাহার কাছে বাইসাইকেলটি তুলে দেন রিক্সাচালক তারা মিয়া।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুর্গাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন ,সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার,সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ মোহন মিয়া, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক আল নোমান শান্ত প্রমুখ।
সুজিত সাহা দীর্ঘ দিন যাবৎ দুর্গাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাইসাইকেলে করে বিভিন্ন পত্রিকা বিক্রি করছেন। উপজেলার ছোট-বড় সবাই তাকে এক নামে চিনে পত্রিকা বিক্রেতা সুজিত দাদা। নতুন বাইসাইকেল হাতে পেয়ে সুজিত সাহা ও ছেলে নিরব খুশী হয়েছেন খুবই।
এছাড়াও রিক্সাচালক তারা মিয়া দীর্ঘ ৭ বছর যাবত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সামগ্রী,খেলাধুলার জিনিস পত্র ও অসহায় মানুষ কে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
বাংলোদেশীসহ ৮১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়া
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
৮১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃতরা একটি সবে সমুদ্র উপযোগী জাহাজে করে লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন।
শনিবার (১৪ মে) তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাটি তিউনিসিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার (৪ মাইল) দূরে ছিল।
এতে ৩৮ জন মিশরীয়, ৩২ জন বাংলাদেশি, ১০ জন সুদানী এবং একজন মরোক্কান রয়েছে। তিউনিসিয়ার সাথে লিবিয়ার সীমান্তের কাছে আবু কামাশের উপকূলীয় গ্রাম থেকে রওনা হওয়া উদ্ধারকৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে ছিল।
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী জানায়, ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে উদ্ধারকৃতদের।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে, লিবিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৪২ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে যারা জাহাজে করে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
সংবাদ সংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, এসব অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই মূলত বাংলাদেশের।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলেছে, ২০২১ সালে প্রায় ২,০০০ অভিবাসী ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে, যা আগের বছরের সংখ্যা ছিল ১,৪০১।
সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে উদার হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আগামীতে বাংলাদেশে সম্প্রীতির চর্চা ও বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে উদার হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৫ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে সব ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে সবার সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমাদের সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলো অত্যন্ত আনন্দ ও প্রীতির মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে।
‘আগামীতে বাংলাদেশের সম্প্রীতির চর্চা ও বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে আমাদের সবাইকে উদার হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সম্প্রীতির বাতাবরণে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চাই। ’
বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, বুদ্ধ সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবজগতকে আলোকিত করতে কাজ করে গেছেন। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর জীবনাদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি ও মঙ্গল বয়ে আনুক, এ কামনা করেন শেখ হাসিনা।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ১০ হাজার লিটার তেল উদ্ধার
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
মানিকগঞ্জে সিংগাইরে ধল্লা বাজারে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ১০ হাজার লিটার সয়াবিন উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতর। এই বাজারের আলতাফ স্টোরের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা বাজারের শনিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আলতাফ স্টোরে বিপুল পরিমাণ তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়। অবৈধভাবে ঈদের আগে মজুদ করা বিভিন্ন ব্যান্ডের ১,২ ও ৫ লিটারের বোতলজাত তিন হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল গুদামে পাওয়া যায়। এছাড়াও পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল খুলে ড্রামে ভরে সংরক্ষণ করা অবস্থায় প্রায় ছয় হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল পাওয়া যায়।
তিনি জানান, দুই লিটারের বোতলজাত তেলের ৩৩৪ টাকা মূল্য থাকা সত্ত্বেও ৩৮০ টাকায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত তেল উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সূত্র : ইউএনবি
আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুর একদিন পরই দেশটি নতুন প্রেসিডেন্ট পেল। শনিবার আরব আমিরাতের দীর্ঘদিনের ডি-ফ্যাক্টো শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
আমিরাতের ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০০৪ সালের নভেম্বর থেকে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডারের দায়িত্বও পালন করেন ২০০৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি কৌশলগত পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, সাংগঠনিক কাঠামো ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৬১ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী নেতা দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ১৯৭১ সালে তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত তেলসমৃদ্ধ দেশটির শাসক হলেন তিনি।
শেখ মোহাম্মদই নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আগে থেকেই তা ধারণা করা হচ্ছিল। শেখ খলিফার অসুস্থতার কারণে এক কোটি মানুষের মরুভূমির দেশটি কয়েক বছর ধরে কার্যত তিনিই শাসন করছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শাসক হিসেবে শেখ মোহাম্মদ দায়িত্ব নিলেন।
আরব আমিরাত তাঁর দিকনির্দেশনায় মহাশূন্যে মানুষ পাঠিয়েছে, মঙ্গলে মিশন পরিচালনা করেছে এবং দেশটির প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে দেশটির তেলসমৃদ্ধ অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
ঐতিহ্যবাহী শক্তিগুলো পিছু হটায় এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নেওয়ায় বদলে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ মোহাম্মদ। তিনি ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেন।
শেখ মোহাম্মদের সৎ ভাই শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার ৭৩ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তিনি আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ খলিফা। ২০১৪ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তেমন জনসমক্ষে আসতেন না তিনি।
পশ্চিমা দুনিয়ায় ‘এমবিজেড’ নামে ব্যাপক পরিচিত শেখ মোহাম্মদকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হয়। ব্রিটেনের রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টের স্নাতক এই ক্রাউন প্রিন্স উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সেরা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৭ স্থানে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০টি এবং উত্তর সিটিতে সাতটি হাট বসবে।
ঢাকা উত্তরে সিটির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই এফ জি এইচ এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা সাইদ নগর, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল, যমুনা হাউজিং কোম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটও চালু থাকবে।
এসব এলাকায় হাটের পাশাপাশি চালু থাকবে ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল পশুর হাট চালু রাখা হবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অস্থায়ী হাটের ইজারার শিডিউল ঘোষণা করেছে গত ১৩ এপ্রিল। দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ৮ মে এবং জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৯ মে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নগর ভবন ও উত্তর সিটির ১০টি আঞ্চলিক অফিস থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়ে দরপত্র জমা না নেওয়ায় অনেকেই গুলশানে নগর ভবনে গিয়ে সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
দরপত্র জমা না দিতে পারা কয়েকজন জানান, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গার জন্য হাটের সিডিউল জমা দিতে উত্তরায় সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস-১-এ গেলে তারা শিডিউল জমা নেননি। সেখান থেকে গুলশান নগর ভবনে জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। উত্তরা থেকে নগর ভবনে রওনা হয়েও যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় তারা শিডিউল জমা দিতে পারেননি বলে জানান। তাই, পুনরায় সিডিউল জমার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তারা।
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কারো কাছ থেকে এখনও কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার হাতে, তাই তাঁকে জানালে হয়তো একটা সমাধান হতে পারে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি, আবুধাবির শাসক, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে পাঠানো আলাদা চিঠিতে শোক প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে পাঠানো শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং আমিরাতের ভাইদের শোক ও দুঃখের এ সংকটময় মুহূর্তে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক, আবুধাবির একজন মহান শাসক ও মুসলিম উম্মাহর একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন। তার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষণ্নতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় উন্নয়নে ত্যাগ তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের একজন অভিভাবক ছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মরহুমের রুহের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমরা তার চির শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন। শোকাহত রাজপরিবারের সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ অপূরণীয় ক্ষতি বহন করার সাহস ও সহনশীলতা দান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে পাঠানো আরেকটি শোক বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের কাছে আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আন্তরিক সহানুভূতি জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন গতিশীল এবং দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য এবং একে একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে তার অবদানকে স্বীকার করছি। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রয়াত শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের চির শান্তির এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করার জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে এ অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার সাহস ও শক্তি দান করুন। -বাসস।
এবার ঈদযাত্রায় ১৪ দিনে সড়কে নিহত ৩৭৬ জন
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে) দেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১৪ দিনে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাসযাত্রী ৩২ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, জিপ যাত্রী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৭৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ২৩টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
দেখা গেছে, ঈদ উদযাপনের সময় ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪১.৪৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৫.২২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়- অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ১৬.১৯ শতাংশ; মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১.৯৫ শতাংশ; অন্য যানবাহনের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯.০৪ শতাংশ; অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২.৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।
২০২১ সালে ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময় ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৬.৪১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সরকারের কাছে কয়েক দফা সুপারিশ জানিয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে
বাস্তবায়ন করতে হবে।
বেসরকারিভাবে হজে যেতে খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
এবার বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
হাবের সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবে। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য থেকে কম হবে না। হজযাত্রীদের প্যাকেজের পুরো টাকা আগামী ১৮ মে’র মধ্যে নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করার অনুরোধ জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সৌদি আরব প্রান্তের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি জানিয়ে তসলিম বলেন, প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৮১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, বাড়ি ভাড়া, সৌদি আরবের সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট, মুদ্রার রেট অব এক্সচেঞ্জ এবং বিমান ভাড়া বাড়ানোর জন্য হজের খরচ বেড়ে গেছে। ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পরিবহনের জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা না গেলে ঢাকায় হজযাত্রীদের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা সম্ভব নয়। প্যাকেজের মূল্য পরিশোধের পর হজযাত্রীদের নিবন্ধন, আন্তঃএজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্ধারণ, ভিসা- এসব কাজ এখনো বাকি আছে। ৩১ মে হজ ফ্লাইট দিলে ঝুঁকি হয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আগামী ১০ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন। সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি। সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্যাকেজ-৩ এর খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।