পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পরিবেশ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ খান ওরফে ইমরুল কায়েস ওরফে জুম্মান খান এবং মো. আরাফাত ওরফে লিটন।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিম কার্ড ও টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর লেখা সম্বলিত ডায়েরী ২টি। গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইমতিয়াজ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন বলে জানান ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার সুবর্ণ ভূমি রিসোর্টের ম্যানেজার মো. এনামুল কবির। ওই রিসোর্টের হেড অফিস ঢাকার বিজয়নগরে। গত ১৩ আগস্ট এনামুল হেড অফিসে অবস্থানের সময় প্রতারক ইমতিয়াজ ফোন দিয়ে নিজেকে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। ইমতিয়াজ ফোনে বলেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জন তার রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যাবেন। তবে দুপুরের খাবার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলে তারা যাবেন না। পরবর্তীতে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রতারক ইমতিয়াজকে ২৫ হাজার টাকা দেয়। গত ১৪ আগস্ট রিসোর্টের পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য ২৭ হাজার টাকা নেন ইমতিয়াজ। পরবর্তীতে পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য যোগাযোগ করা হলে ইমতিয়াজের মোবাইল নম্বর বন্ধ পায় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে সুবর্ণ ভূমি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রথমে ফেসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর তাদের সংগ্রহে থাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ও নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা সিম দ্বারা টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের ফোন দিতেন। নিজেকে পরিবেশ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত চালানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দিতেন।

ডিবির সাইবার কর্মকর্তা তারেক এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি যে কোন পরিচয়ে ফোন করুন না কেন তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। প্রয়োজনে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান বা দফতরের ওয়েবসাইট থেকে পরিচয় বা মোবাইল নম্বর নিশ্চিত হওয়া। সকল ধরণের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠান করা। প্রতারিত হলে দ্রুত পুলিশের সহায়তা নেওয়া এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।




পাকিস্তানের কেপিতে বন্যা, পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ৮ মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারি বৃষ্টিতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় দেখা দেওয়া বন্যায় ও পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ছয় স্কুলগামী শিশুসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার এসব ঘটনার পাশাপাশি দেশটির বহু অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে ডন অনলাইন জানিয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবিরাম মুষলধারায় বৃষ্টি হতে থাকায় আপার দির ও সোয়াত জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, অন্তত ছয় শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে আর বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় আরও নয় জন আহত হয়েছে।

আপার দিরের কাসাই শাহিকোতে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ছড়ায় পাঁচ স্কুলগামী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় বাড়তে থাকা পানির তোড়ে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে দুই জোড়া ভাই-বোন ও অপর একটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

পানি নেমে যাওয়ার পর চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেলেও অপরজনের লাশ পাওয়া যায়নি, তবে সন্ধান অব্যাহত আছে।

এর আগে সামারবাগ জেলার একটি গ্রামে আরেকটি জলধারায় আরেক শিশু ডুবে মারা যায়। স্থানীয়দের চেষ্টায় সেখান থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মিনগোরাতে হড়কা বানে কয়েকশ স্কুল শিক্ষার্থী আটকা পড়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে সামরিক বাহিনীর টিম ও উদ্ধারকারী দলগুলো।

পাঞ্জাব প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, পাহাড় থেকে নেমে ঢলে ডেরা গাজি খানে একজন ও রাজনপুরে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের নিয়ে গত দুই সপ্তাহে পাঞ্জাবে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হল।

ডন জানিয়েছে, প্রদেশটিতে পাহাড়ি ঢলে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সেচ প্রকল্পের খালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা দুর্গত কয়েক হাজার মানুষ সিন্ধু নদের তীরে ও সিন্ধু মহাসড়কে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আশপাশের লোকালয়গুলো কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে।

পাকিস্তানজুড়ে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যায় জুলাই থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৩০ জনের মৃত্যু, অন্তত এক হাজার ৩৪৮ জন আহত ও কয়েক হাজার লোক গৃহহীন হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।




সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে অনুমতি লাগবে না

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে এখন থেকে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে আর অনুমতি লাগবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

২০১৯ সালের ২১ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।




ময়মনসিংহে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের প্রতিটি ইউনিয়নে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

গত তিনদিন ধরে প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন ইউনিয়নে গফরগাঁও উলামা সমিতির উদ্যোগে মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বর্ষাকাল শেষে ভাদ্র মাসেও অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ। সর্বত্র টানা খরা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে চারদিকে। রোপা আমনের ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গতকাল রোববার সকালে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে গফরগাঁও উলামা সমিতি।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে মাঠঘাট কৃষিজমি শুকিয়ে গেছে। এতে ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ।

নামাজ শেষে আমাটিয়া গ্রামের গরিব কৃষকরা বলেন, চাষবাস করে আমাদের পেট চলে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ার ক্ষেত শুকিয়ে গেছে।

মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী বলেন, ‘রাসুল সা. উনার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই নামাজ আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।




আজ থেকে নতুন সূচিতে ব্যাংক লেনদেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব ব্যাংকে লেনদেনে নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন সূচি অনুযায়ী আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। আর বিকেল ৫টার মধ্যে লেনদেন-পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যাংক বন্ধ করতে হবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪ আগস্ট হতে দেশের সব ব্যাংক-কোম্পানির লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিকেল ৫ টার মধ্যে সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে অফিস ত্যাগ করতে হবে।

তবে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথগুলো, সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সারাদেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে সোমবার (২২ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার আগামী ২৪ আগস্ট (বুধবার) থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারণ করল- রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

এতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে।




২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না বরং তারা এনার্জি নিয়ে পড়ালেখা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী বছর থেকে সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা ছিল আমাদের। এখন বৈশ্বিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে। এই সময়ে আমরা যেন সাশ্রয় করতে পারি, এ কারণেই এখন থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এতে আমদের সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস হবে। পাঁচ দিনেই আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা ক্লাস করাব। এ কারণে আমরা মনে করি না যে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে। বরং অন্যান্য কর্মজীবী সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, তাদের মতো আমাদের শিক্ষকরাও ছুটি পাবেন। কারণ শিক্ষকরা অন্যান্যদের তুলনায় বছরে ৫১ দিন বেশি কাজ করেন। সেই শিক্ষকেরা যদি সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজের একটু কাজ করতে পারবেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে বাকি পাঁচ দিন তারা আরও উদ্যোমী হবেন। আরও অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করবেন বলে আমরা মনে করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য এ কে এম মাহাবুব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল প্রমুখ।




গাজীপুর সিটির বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের আগাম জামিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে করা ৭ মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে গত ৪ আগস্ট ৬ সপ্তাহের জামিন দেন। আজ (২২ আগস্ট) জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নভেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এদিকে এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটের করেন জাহাঙ্গীর আলম।




দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য : জিএম কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না। এমন বক্তব্যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বতিত্বে ফেলেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।

এ সময় জিএম কাদের আরো বলেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কিন্তু এখন দেশে চলছে, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন।

তিনি বলেন, এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্যদেশে যাচ্ছেন সবাই। দেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামীতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ আর ন্যায়পরায়ণতা।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। জাতীয় পাটি আইনের খসড়া পেলে বিবেচনা করে সংসদে তুলতে পারবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পাশাপাশি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার কারণে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে গালাগাল দেয়। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রেখে বর্তমান সরকার সংবিধানে এটি অপরিবর্তনযোগ্য করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো-কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে, সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে হাস্যকর হিসেবে উড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে সারাবিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যেবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। আবার প্রতিনিধি পছন্দ না হলে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন করার অধিকার চায়। প্রজাতন্ত্র মানে দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের। দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের না থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কখনোই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এবছর সরকারকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণের সুদ দিতে হচ্ছে। ২/১ বছরে আসলসহ সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে দেশ। বিশেষজ্ঞদের আশংকা, তখন শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া হতে পারে দেশ।

তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ১২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স আর মুনাফার ৪২ হাজার কোটি টাকা সমন্বয় করলেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হতো না। দেশের মানুষের কষ্ট হতো না, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সকল পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প তৈরি করছে, কিন্তু মানুষ বাঁচাতে কোন উদ্যোগ নেই। মানুষ যদি খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকতে না পারে তাহলে মেগা প্রকল্পের সুবিধা কে ভোগ করবে? তিনি হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পার্টি সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে। ভোটের রাজনীতির জন্য কিছু রাজনৈতিক দল উস্কানী দেয়, আবার ধর্মীয় গোড়ামী আর ব্যাক্তি স্বার্থেও কখনো কখনো বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা হবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদে ছিল। জাতীয় পার্টি সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে। এদেশ সবার, আমরা সবাই ভাই ও বন্ধুর মতো চলছি। কোন অপশক্তি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারবে না।




এক কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

এক কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে সরাসরি ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৩ দশমিক ৯৫ টাকায় কেনা হবে।

মো. আবদুল বারিক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রস্তাবে ৮৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই লটে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭১ টাকায় কেনা হবে। এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড থেকে ৩৫ লাখ লিটার এবং সিনো এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার।

তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় কমিটিতে ১৬টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাতটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবনা ছিল।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ এবং দেশীয় ব্যাংক, এডিবি ও বিশ্বব্যাংক ঋণ ১ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ পাওয়া যাবে।




বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ আগস্ট) ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।

এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অনার গার্ড প্রদান করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।