দুর্গাপুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা‘র দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ এর আয়োজনে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। ‘‘সমবায়ে গড়ছি দেশ-স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যে শনিবার (৪ নভেম্বর) নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পতাকা উত্তোলন ও র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. আব্দুর রাশিদ, আরডিও দীনা আক্তার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভিন আক্তার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল তালুকদার, সহকারী প্রোগ্রামার শামিউল ইসলাম সহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে পিপুলনারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: কে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।




দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাবের ঘর পেলেন ১০ পরিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রোটারী ক্লাব অব গুলশান সেন্ট্রাল এর পক্ষ থেকে ‘‘রোটারী আলয়’’ শীর্ষক পরিবেশ বান্ধব ঘর পেলেন ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে এ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

ঘর হস্তান্তরের পুর্বে স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নেত্রকোনা – ১ আসনের নানা মুখি উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আখির এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান মিয়া মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, এস এম এমদাদ হোসোইন, মহসীনা আহমেদ দীনা, মনজুরুল হক সোহেল, মহিউদ্দিন আলম, দীলিপ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, রোটারি ক্লাব অব গুলশান, দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে মানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি নানামুখি উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে রোটারি ক্লাব। নেত্রকোনা ১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় রোটারিয়ান আখির এর দিক-নির্দেশনায় যুব সমাজ তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষে নানামুখি কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। এ কাজে সহায়তা করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।




ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে চারদিকের রাস্তায় সারি সারি বাস পার্কিং করা। বাস থেকে নেমে স্লোগান উঠছে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।’ তারপর মিছিল নিয়ে বাসের লোকজন প্রবেশ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া যারা ঢাকার আশপাশ থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন তারা সরাসরি মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন উদ্যানে। মূলত এরা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমাবেশের আয়োজন করেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উদ্যান ঘুরে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর সকাল থেকে যেসব কর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বা ঢাকা শহর থেকে এই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন তারা মনোযোগ দিয়ে সেই বক্তব্য শুনছেন।

এছাড়া আরও দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাছ তলায় শুয়ে বসে বিশ্রাম করছেন। অনেকে উদ্যানের উত্তর দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ ছবির হাট টিএসসি গেট অংশের ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ সেলফি তোলাও ব্যস্ত।

সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, জুমা নামাজের পর মূল সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের ২০ শর্তে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।




আজ জেলহত্যা দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শহীদ চার নেতা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন জাতির সেরা সন্তান এ চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্ররোচনায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যমসারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং জাতির পিতার দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করে। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ এ দিনটি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন জানান, আজ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থেকে ৫ নভেম্বর অবধি চলবে।




সাংবাদিকদের আবাসন-কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাংবাদিকদের আবাসন, দশম ওয়েজবোর্ড গঠন ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজ) সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের এদেশে কোনো অধিকার নাই। তারা মানুষের কল্যাণ বা এদেশের কল্যাণ চায় না।
তিনি বলেন, আন্দোলন আমরাও করেছি। আন্দোলনের নামে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়, সেটি দুঃখজনক। বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবে কথা দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সেখানে যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, এটা অমানবিক। আমার মনে হয়, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর দেখা যায়নি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের মোটরসাইকেল ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছে, পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো। তবে, চাই তারা সুচিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক।

শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে তো আমাদের কেউ ছিল না। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা শুধু শান্তিরক্ষা বা শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলেছি। তারাও হামলার শিকার হয়েছে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা ২০১৩-১৪ তেও এরকম অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারা হত্যা-খুন-গুম এগুলো ভালো পারে। এত অমানবিক আচরণ একটা রাজনৈতিক দলের হয় না। বিএনপির আমলে প্রেস ক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে পিটিয়ে ছিল।

এসময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো কোনো পত্রিকা এটা (২৮ অক্টোবরের ঘটনা) কভার দেওয়ারও চেষ্টা করে, তাদের ধিক্কার জানাই। দেখা গেলো, যুবদলের একজন নেতা প্রেস লেখা জ্যাকেট পরে আগুন দিচ্ছে, পুলিশ পেটাচ্ছে। তারা ভেবেছিল, রেহাই পেয়ে যাবে। ধরা তো পরে গেছে। এর শাস্তি হবে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সামান্য কিছু হলেই বিবৃতি দেয়। এখন তারা কোথায়? আমাদের দেশের সুশীল বাবুরা কোথায়? শুধু আওয়ামী লীগে কিছু হলেই বড় করে দেখায়? মানবাধিকার সংগঠনগুলো চুপ কেন? এদের বিবেক বলে কিছু নেই? আওয়ামী লীগের পান থেকে চুন খসলেই তাদের কণ্ঠে অনেক জোর দেখা যায়। এখন বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলেও তো দেখতাম। তাও তো দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে হাসপাতালে হামলা হয়েছে, এখানেও। জানি না তারা এই শিক্ষাটা ইহুদিদের থেকে পেয়েছে কি না।

এসময় সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, একটা জমির আবেদন দিয়েছেন আমি দেখবো। জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্প তৈরি করে দেবো। সেখান থেকে আপনারা আবাসন যাতে পান, সে ব্যবস্থা করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা উচ্চমানের। এ পেশা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে। আমি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেবো। মালিকরাও কিছু কিছু দিয়েন। কারা দিলেন আমরা কিন্তু দেখবো।

তিনি বলেন, মালিকরা কেন কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দেয় না? না দিলে বন্ধ করে দিতে পারি। করতে চাই না। কিন্তু ব্যবস্থা আছে। কল্যাণ ট্রাস্টে ফান্ড দেবে, তারপর চলবে। এখানে অনেক মালিক আছে তো তাই বললাম। দেখি ভয়ে পেয়ে কিছু দেয় নাকি!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন মালিকদের দায়িত্ব। সেটা বাস্তবায়ন না করে মামলা করলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। দশম ওয়েজবোর্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেটা আমরা দেবো। টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও আমরা ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনবো। অনেক সময় আপনাদের মধ্যে নানামতের কারণে অনেক কিছু সময়মতো করা যায় না, এটায় আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডে নিয়ে আসতে হবে। সামনে ওয়েজবোর্ড গঠনে মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা দিয়ে থাকি। আজ এখানে আসার আগেও কিছু ফাইল দেখে এসেছি, সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্র তার চেয়েও বেশি। উন্নত দেশেও এত সংবাদপত্র নেই। এর বাইরেও দেশে বর্তমানে ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরও ১৫টা সম্প্রচারের অপেক্ষায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা নিজেও সাংবাদিক ছিলেন। যার কারণে আপনাদের মাঝে এলে আমি দাবি করি, আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন। সাংবাদিক কলাকুশলীদের যাতে কর্মসংস্থান হয়, সমস্ত কিছু বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ করেছি।

তিনি বলেন, আমি ফিরে এসেছিলাম এমন একটি দেশে, যেখানে আমি আমার বাবা-মার হত্যার বিচার চাইতে পারবো না। ইনডেমনিটি দিয়ে সেটির পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। যে আদর্শ নিয়ে এদেশের মানুষ জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনেছে, সেটি বৃথা যেতে পারে না। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমি এসেছি। আমাদের প্রচেষ্টা দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।

সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সমেলনে এখন বক্তব্য রাখছেন বিভিন্ন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিরা। দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় একই স্থানে দেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।




দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

আজ রবিবার দুপুরে ইউএনওর কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল,সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার,সিনিয়র সাংবাদিক মোহন মিয়া,সিনিয়র সাংবাদিক এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক,তোবারক হোসেন খোকন, এইচ.এম সাইদুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, ধনেশ পত্রনবীশ, মাইকেল প্রদীপ বাউল, ধ্রুব সরকার, আ ফ ম সফিউল্লাহ, রাখী দ্রং, ডা.কামরুল ইসলাম, আবিদ হাসান বাপ্পি, রিফাত আহমেদ রাসেল, আল নোমান শান্ত, নাজমুল হুদা সারোয়ার, কালীদাস সাহা বাবু প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায়, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি ও নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা শেষে সকল সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন ইউএনও।




আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না : শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে ২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা শুরু করি। ১৫ আগস্টের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতোবার শোনা হয়েছে কি না। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে; যা বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক সবাই আমাদের এই যে অর্জনগুলো ধরে রাখেন। এর মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করে গেছেন, সেটি আমাদের ভুললে চলবে না। কারণ তার ভাষা আন্দোলন, তার ইতিহাস আপনারা জানেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলদ্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিমিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর এই ডিগ্রি তুলে দেন।




বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত স্বপ্নের টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের যোগাযোগ খাতে আরেকটি নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে নদীর তলদেশে টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। আজ সকালে টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। আজ টানেল উদ্বোধন হলেও আগামীকাল তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এ টানেলের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন, পর্যটন, অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। টানেল চালু হওয়ার ফলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া ফিন্যানশিয়াল এবং ইকোনমিক্যাল ‘বেনিফিট কস্ট রেশিও (বিসিআর)’-এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১ দশমিক ০৫ এবং ১ দশমিক ৫০।

অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু টানেলকে অত্যন্ত দূরদর্শী একটি প্রকল্প বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, টানেলের কারণে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। যদিও এ টানেলের সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এ টানেলের কারণে শিল্পায়ন, পর্যটন এবং অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এই টানেলের মাধ্যমে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে রূপ নেবে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলকে দেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জার হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ টানেল চালুর মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন, অর্থনীতি, পর্যটনসহ অন্যান্য খাতে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। টানেলকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় আনোয়ারা উপজেলায় গড়ে উঠছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। নদীর অপর প্রান্তে শিল্পায়নের ফলে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হবে। পূর্ব প্রান্তে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর এবং দেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে। নদীর পূর্বাঞ্চলে নতুন করে গড়ে উঠবে জাহাজশিল্প, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নেস ও সিমেন্ট শিল্প- কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। টানেলের মাধ্যমে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর ও মহেশখালীর আগামীর বাণিজ্যিক হাবের সঙ্গে যুক্ত হবে পুরো দেশ। এ ছাড়া নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনাল, অয়েল টার্মিনাল, গ্যাস ট্রান্সমিশন, অয়েল রিফাইনারি, এনার্জি ও ফুড স্টোরেজ, ট্যুরিজম, এমব্যাঙ্কমেন্ট ও ওয়াটারফ্রন্ট ইকোনমিক জোন। এসব মেগা প্রকল্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য প্রতিদিন চলাচল করবে শত শত গাড়ি। বঙ্গবন্ধু টানেলকে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ টানেলে শুধু দেশের যোগাযোগব্যবস্থা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগব্যবস্থায়ও প্রভাব ফেলবে। এ টানেলের মাধ্যমে দেশ যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- টানেল পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলাচল করবে। বছরে সে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৬৩ লাখ। ২০২৫ সালে টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী যানবাহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। টোলের পরিমাণ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ভিতর দিয়ে ১২ ধরনের যানের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে টানেলের ভিতর দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা তিন চাকার কোনো যান চলাচল করতে পারবে না। গত জুলাই মাসে সেতু কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো আবুল হাসান স্বাক্ষরিত গেজেট অনুযায়ী পিকআপ, কার ও জিপকে দিতে হবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসকে পরিশোধ করতে হবে ৩০০ টাকা, ৫ টন ট্রাক, ৩২ আসন কিংবা বেশি বাসগুলোকে পরিশোধ করতে হবে ৪০০ টাকা। বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা। ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকের ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাক ৬০০ টাকা, ৩ এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলার ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলার ১০০০ টাকা, ৪ এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা করে টোল দিতে হবে।

চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে এক সূত্রে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দিয়ে টানেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।




আনসারকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, হবেও না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আনসার সদস্যদের পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। আমি শুনতে পাচ্ছি আনসার পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভুল তথ্য, প্রোপাগান্ডা। আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, দেওয়া হবেও না।

বুধবার (২৪অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আনসার ব্যাটালিয়নকে গ্রেপ্তার বা আটকের ক্ষমতা দিয়ে আইন করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এটি একটি প্রোপাগান্ডা। আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।

আলাপকালে বিএনপির মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না। তবে বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে এ বিষয়ে মন্ত্রী মন্তব্য করেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপির সমাবেশস্থল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ডিএমপির কমিশনার সাহেবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’

বিএনপির মহাসমাবেশের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সামনে রেখে জনগণের জান-মাল রক্ষায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে র‌্যাব। ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হবে। এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে। ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে।

জামায়াতের সমাবেশ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা (জামায়াত নেতারা) যদি সমাবেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলেন তাহলে সমাবেশ করতে পারবেন। এখন তারা যদি জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি হাতে নেয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না।




বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরু

dnb news :

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় শুরু হলো কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল। ইতিমধ্যে সারাদেশের মজলিসে উমুমির সাড়ে চার হাজার সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান। পরিচালনায় আছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হক।

আল্লামা মাহমুদুল হাসানের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে কাউন্সিল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনপূর্ব বক্তব্য রেখেছেন কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান। সভায় বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনাচ্ছেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি।

কাউন্সিলে উপস্থিত হয়েছেন, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মনীরুজ্জামানসহ দেশের শীর্ষ আলেম ও মাদরাসার মুহতামিমগণ প্রমুখ।

জানা গেছে- সবার কাছে সরাসরি আমন্ত্রণপত্র, ভয়েস রেকর্ড ও মোবাইল এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হকের বরাতে এই দাওয়াত করা হয়েছে। দায়িত্বশীলরা মনে করছেন-উৎসবমুখর পরিবেশে, মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বজায় রেখেই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশ থেকেই বৈরি আবহাওয়া সত্বেও ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়েছে। অনেকেই মাঝ রাতে বা ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য ইস্তেকবাল ও আপ্যায়নের সুব্যবস্থা ছিলো। যথেষ্ঠ সৃঙ্খলার সঙ্গে সভার কাজ চলছে। মেহমানদের জন্য সব রকম আয়োজন রয়েছে।