বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ ২০ ট্রলারসহ দুই শতাধিক জেলে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘মিধিলি’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবি ও আরও ২০টি ট্রলারসহ দুই শতাধিক জেলে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।

ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগর মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটার জনৈক ছালাম মিয়ার এফবি নিশাত নামের ওই মাছ ধরা ট্রলারটি প্রবল ধমকা হাওয়ার ঝাপ্টায় উল্টে যায়। এ সময় পাশে অবস্থানরত অন্যান্য একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসে। এছাড়া, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২০০ জেলের কোনো খোঁজ মিলছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে গেছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনকে জানানো হয়েছে।




তফসিল ঘোষণা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জন আকাঙ্খার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা জনগনের সাথে তামাশার শামিল। একতরফা তফসিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল।

তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দলীয় সরকারের বাইরে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা দেশের জনগণ কোনভাবেই মেনে নিবে না।

প্রতিক্রিয়ায় চরমোনাই পীর বলেন, আজকের নির্বাচনী তফসিলে দেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আরো একটি প্রহসনের নির্বাচনের পথে হাটার যে ঘোষণা দিয়েছে তা জনগণ সফল হতে দিবে না।

চরমোনাই পীর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ (১৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার এই ইসিকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চেয়েছে। বিরোধী আন্দোলনকে সহিংস আখ্যা দিয়ে দমন করতে চেয়েছে। সরকার একতরফা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতার বৈতরণি পার হতে চায়। জনগণ এবার তা গ্রহণ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আগেও হয়নি, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, এটি প্রমাণ হয়েছে।




নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হওয়ার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা, প্রতিটি মহানগরে ইসলামী আন্দোলন মিছিল করবে। সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না।

এর আগে, তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে ইসি অভিমুখে গণমিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন। মিছিলটি পল্টন-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে আসলে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে দলটি।

এ সময় মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল ঘিরে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমা।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের আগামী বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শূরাপন্থী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। তিন দিনের প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন।

এর আগে, ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যান তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিরা। এদের মধ্যে আলমী শূরাপন্থী মুরব্বিদের মধ্যে রয়েছেন মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা উমর ফারুক ও ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ আহমেদ। এছাড়া মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের পক্ষে রয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামসহ তিন জন।

প্রসঙ্গত, সাধারণত জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এবছর জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচন শেষে ফেব্রুয়ারিতে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আয়োজন।




সামনে নির্বাচন, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। তাই এখন সংলাপের আর সময় নেই। বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটি চিঠি দেন। পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু একটি চিঠি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমার কাছে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। চিঠি পেয়েছি। এখন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারব। ‌এক পৃষ্ঠার একটি চিঠি আমি পড়েছি। তাতে লেখা আছে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কারো পক্ষে নয়।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের কোন রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তারা সংলাপকে অ্যাভোয়েড করতে পারে না। যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে এখন আর বিএনপির সঙ্গে সংঘাতের কোনো সুযোগ নেই। সেই সময় নেই। আমরা যখন তাদেরকে বলেছিলাম শর্ত ছাড়া সংলাপে জন্য। তারা তখন সেটিতে রাজি হয়নি।




গাজ্জার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণের প্রথম চালান রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজ্জার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠানো মানবিক সহায়তার চালানটি মিশরের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রামি এল নাজেরের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল ৩২ কার্টন শুকনো খাদ্যসামগ্রী। গত ২২ অক্টোবর মানবিক সহায়তার চালানটি ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিশরীয় সরকারের অনুমতি এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর থেকে চালানটি সংগ্রহ করে দূতাবাসে আনা হয়।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় মানবিক সহায়তা (ওষুধ সামগ্রী) কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যা দূতাবাসের সব ধরনের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়াসে নিয়োজিত আছে। খুব শিগগিরই সহায়তা সামগ্রী গাজ্জায় পাঠানো হবে।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানবিক সহায়তার চাপের কারণে কায়রো বিমানবন্দরে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সব দেশ ও সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিসর থেকে রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট। ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে মিশর সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনসাফ




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।




তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বরে) সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সব প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।

ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এতে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।




দুর্গাপুরে হিমু পাঠাগার পদক পেলেন গীতিকবি সুজন হাজং

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা কথাসাহিত্যের কিংবদন্তি লেখক ও কালজয়ী অসংখ্য চরিত্রের স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ এর ৭৫তম জন্মদিন ও হিমু পাঠাগার এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান।

বিরিশিরির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু সাহিত্যিক কবি আসলাম সানী। এ আয়োজনে হিমু পাঠাগার পদক প্রদান করা হয় বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজংকে। প্রধান অতিথির হাত থেকে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন।

এর আগে কবি মামুন রণবীর এর সঞ্চালনা ও হিমু পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিরা।

এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বর্ণালী আক্তার। হিমু পাঠাগারের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন পলাশ সাহা এবং নূর আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কবি আব্দুল্লাহ হক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, লেখক-উপস্থাপক এডভোকেট শিমুল পারভীন,শিশু সাহিত্যিক মামুন সারোয়ার,ডক্টর আব্দুর রাশিদ, লেখক ও গবেষক স্বপন হাজং,কাউন্সিলর ইব্রাহীম খলিল টিপু, দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, গীতিকার সঞ্জীবন চক্রবর্তী,কবি অনিন্দ্য জসীম,রফিকুল ইসলাম মিরাজী,স্বপন হাজং,কবি জীবন চক্রবর্তী,কবি দুনিয়া মামুন,এম নূর আলম,কবি আবুল কালাম আজাদ,ফাদার পাওয়েল,কবি জন ক্রসওয়েল খকসী,কবি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।




আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু’এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

তিনি আজ সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪ টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।

অথচ বিএনপি’র আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়।

অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন হিসেবে তাঁর ’৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ’৯৬ সালে তিনি সরকারের এসে দেশকে খাদ্য ঘাটতির একটি দেশ হিসেবে পেয়েছিলেন, ৪০ লাখ মেট্রিক টন ছিল খাদ্য ঘাটতি। উৎপাদন হতো ৬৯ বা ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সে সময় তাঁর সরকার গবেষণা ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। সে সময় চালের দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। যখন তাঁর মেয়াদ শেষে দেশে প্রথমবারের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য দেশে উবৃত্ত রেখে যান। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।

দেশের গ্যাস বিক্রির দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে রাজি না হওয়ায় ভোট বেশি পেলেও পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এরপর বাংলাদেশে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-বাংলাভাই-বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, একইসাথে ৫শ’ জায়গায় বোমা হামলা-এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করতে হয়। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর থেকে ’৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ন্যয় বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীও এরকম নির্যাতনের শিকার হয়। আইনজীবী হত্যা, জেলা জজকে বোমা মেরে হত্যা এমনকি ছয় বছরের ছোট্ট রজুফাও গ্যাং রেপ থেকে রেহাই পায়নি। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ভিটিমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এই অবস্থার জন্যই দেশে জরুরি অবস্থা আসে।

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে যেখানে বিএনপি ৩০ আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় যখন নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। এরপর ২০১৮’র নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটায় তারা।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করে নাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ’ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জে¦লেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ’৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আজকে বিশে^ একটি মর্যাদাশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই মর্যাদাটা আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি যেটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করে যাবার আহবান জানান।

সূত্র: বাসস