মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে মারধর : আসামি নাসিম গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মানিক কম্পিউটার দোকানের মালিক আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

আজ ( ২৭ জুন শুক্রবার ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাসিম ভূঁইয়া ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু ভূঁইয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগী মানিকের কম্পিউটার দোকানে ডুকে আসামি নাসিম তার দাড়ি ধরে টানা হেচড়া ও মারধর করে। এরপর থেকে অভিযুক্ত নাসিম পলাতক ছিলেন।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব বলেন, ঘিওরের দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়ার ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলার একমাত্র আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।




দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় ৭০ বোতল মদ জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরে ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মালিকবিহীন জব্দকৃত এসব মদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

এ অভিযানে ওই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৫০/২-এস হতে আনুমানিক তিনশত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।




এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০, আহত ১১৮২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৩৭৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ১১৮২ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ১২ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ০৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৪১৫ টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত ও ১১৯৪ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ ১৬ জুন সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরে বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সবার আগে আমাদের গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে সরাতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, ফিটনেস বিহীন যানবাহন, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কের বৃষ্টির কারনে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বেপরোয়া যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। ঈদের পরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালাতে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে। ফলে এসব  দুর্ঘটনায় সিংহভাগ খাদে পড়ে ও দাঁিড়য়ে থাকা ট্রাকের পেছনের লেগে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে।

প্রতিবেদনে অভিযোগ করে বলা হয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি এবারের ঈদেও চরমে ছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারনে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যাতায়াত করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৩৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত, ১৪৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫.৩৫ শতাংশ। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, ড্রাইভারস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ বাদল আহমেদ, জিএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশসমূহ :

  • মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা আমদানী ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা ।
  • জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।
  • দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।
  • গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা।
  • সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
  • মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।
  • সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা।
  • সারাদেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
  • মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।
  • মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।
  • ঈদের আগে ঈদের ছুটি ৪ দিন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
  • ড্রাইভিং প্রশিক্ষন গ্রহনকারী চালকের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে।



লন্ডনে বৈঠকের বিষয় ও সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কিছু সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই বৈঠক রাজনীতিতে এক ধরণের অস্বস্তিও তৈরি করেছে।

বিশেষত দুই পক্ষের প্রতিনিধিসহ বৈঠকের পরে দুই নেতার একান্ত বৈঠক রাজনীতিতে কিছু প্রশ্ন তৈরি করেছে। আগামী রাজনীতির স্বাচ্ছন্দের জন্য এবং দলগুলোর অস্বস্তি দুর করতে একান্ত বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিৎ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

রোববার (১৫ জুন) পুরানা পল্টনের অফিসে দলের সিনিয়র দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বহুদলীয় রাজনীতি। বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই দেশের বহুসংখ্যক রাজনৈতিক সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা প্রদান করা নৈতিক কর্তব্য। লন্ডন বৈঠকের চরিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবমূল্যায়নের ধারণা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা রকম দাবী থাকা সত্যেও সব উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টা ঈদের আগের দিন জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে একটা সংক্ষিপ্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে যে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে তা একটি একান্ত বৈঠকের পরে পুনর্বিবেচনা করার যৌথ ঘোষণা দেয়া রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণের স্বার্থেই এই অস্বস্তি দুর করা উচিত।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবী পুনর্ব্যক্ত করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনের ডামাঢোলে সংস্কার ও বিচার যাতে আড়াল না হয় সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পীর সাহেব বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এখন দেশকে ভবিতব্য সকল স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে সাংবিধানিক সংস্কারে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সাথে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, এনসিসি গঠন, সংসদীয় কমিটির প্রধান বিরোধীদল থেকে দেয়াসহ স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধে যেসব সতর্কতামূলক আইনী প্রতিবন্ধকতা প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে বিএনপি সমর্থন করবে বলে আশা করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।




এবার পবিত্র ঈদুল আযহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঈদুল আজহা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারের ঈদুল আজহায় সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক পশু কোরবানি করা হয়েছে। এরই ধারাবহিকতায় এ বছর বাংলাদেশে ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়। এর মধ্যে গরু ও ছাগলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

১০ জুন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মামুন হাসান।

সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু/ মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি; ছাগল / ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮ টি; অন্যান্য ৯৬০ টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩ টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩ টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ গাজার ১৬২ টি। আর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১ টি গবাদি পশু। এর পর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০ টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২ টি গবাদিপশু। খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টি গবাদিপশু।

বরিশাল বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৭৮৩ টি গবাদিপশু। রংপুর বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টি গবাদিপশু।




এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ভাষণের শুরুতেই তিনি পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ, বয়স্ক ও বৃদ্ধ—সবাইকে জানাই আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে—তা জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর আগ্রহ রয়েছে। এর আগেও বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সময়সীমার মধ্যেই আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা দেখেছি, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ছিল জাতীয় সংকটের মূল কারণ। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা, অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে একসময় ক্ষমতা দখলদার একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদী রূপ নেয়। এমন নির্বাচনের আয়োজকরা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, আর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সরকারের অন্যতম বড় দায়িত্ব একটি পরিচ্ছন্ন, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। যাতে করে জাতি আর কোনো সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে জরুরি হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পূর্ববর্তী আত্মত্যাগ ও গণআন্দোলনের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেট নিয়েই আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আগামী রমজানের ঈদের মধ্যেই বিচার ও সংস্কার বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারব। বিশেষ করে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।”

তিনি বলেন, “এই ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছি। সেই আলোকে আমি আজ ঘোষণা করছি—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।”

ভবিষ্যতের নির্বাচনী চিত্র তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে। এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে থাকবে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি, সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল। এই নির্বাচন যেন ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ হয়ে থাকে।”




রোহিঙ্গা ইস্যুতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকের বিষয়ে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা অর্থনীতি, উন্নয়ন সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হন।

তারা উভয়েই মতামত ব্যক্ত করেন যে, উভয় দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের জাপান সফরে সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন তৌহিদ হোসেন। সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা এখন ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন।




দুর্গাপুরে সেনাঅভিযানে অবৈধ কয়লা আটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ কয়লাসহ একটি ট্রাক আটক করেছে দুর্গাপুর সেনাবাহিনী। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে পৌরশহরের উৎরাইল বাজার থেকে এই কয়লা আটক করা হয়। ট্রাক ড্রাইভারের নাম কামাল হোসেন (৪৫), তিনি ময়মনসিংহের শিকারী কান্দা এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, অবৈধ কয়লাসহ একটি ট্রাক দুর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহে যাবে এমন গোপন সংবাদ পায় দুর্গাপুর সেনাক্যাম্প। পরবর্তিতে ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আসিফ-ঊল-হাসান ইমন এর নির্দেশে টহল টিম উৎরাইল বাজারে সকাল থেকে টহল শুরু করে। পরবর্তিতে ঢাকা মেট্রো ট ২২-১৭৪৩ নামক একটি ট্রাক প্রায় ১০ টন অবৈধ কয়লা নিয়ে উৎরাইল বাজার অতিক্রম করার সময় চালকসহ ট্রাকটি আটক করে সেনাবাহিনী। ট্রাক ড্রাইভার জানায়, ময়মনসিংহে নেয়ার জন্য দুর্গাপুর শশ্মানঘাট এলাকা হতে কয়লা লোড করে। পরবর্তিতে আটককৃত ট্রাকটি দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, অবৈধ কয়লা সহ একটি ট্রাক উৎরাইল বাজার থেকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরবর্তিতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শেষে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




দুর্গাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ দেবনাথ এর বিষপানে মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বিষপানে সন্তোষ দেবনাথ (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার তেলুঞ্জিয়া গ্রামের মৃত হৃদয় দেবনাথের ছেলে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ দেবনাথের দুই ছেলে সন্তানই সরকারি চাকুরিজীবি এবং তিনি অনেক দিন ধরে শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সোমবার (১৯ মে) সকালের দিকে থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসানের কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে বিষপানের পরে গত রবিবার (১৮ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থার তিনি মারা যান।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বসত ঘরে সকলে অগোচরে বিষপানে ছটপট করিতে থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ দেবনাথ। টের পেয়ে তার স্ত্রী পুস্প দেবনাথ (৫৫) ডাক-চিৎকার করতে থাকেন। পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ দেবনাথ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

দুর্গাপুর থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। মৃতের মরদেহ আজ (সোমবার) ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।




নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘অন্তর্বর্তী সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে সেটি দুর্ভাগ্যজনক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।

আজ(রোববার) রাজধানীর বনানীতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

আমির খসরু বলেন, সরকার এমনভাবে কাজ করছে যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

এসময় সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়?’

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়েও অসন্তোষ জানান তিনি।

আমির খসরু বলেন, যখন আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না, তখন আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে, সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলে সংস্কার হবে, ঐক্যমত্যে হবে। কিন্তু সেই ঐক্যমত্য কোথায় তৈরি হচ্ছে? কাদের সঙ্গে এই মতৈক্য?’

দলের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি বলেন, নতুন সদস্য সংগ্রহ করব, তবে তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, এই মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নতুন সদস্য নেব। বাংলাদেশে আমরা একটা স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।

তিনি বলেন, আগামীতে যতগুলো নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটা রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। দুই মাস আগে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি, যা লিখিত দিয়েছি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেনো করলো, মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।#

সূত্র:  পার্সটুডে