ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে নিহত ৫ আহত অর্ধশতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ পুলিশ-বিজিবির হামলায় বিক্ষোভকারীদের ৫ জন নিহত হন। এতে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার খবরে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার ছাত্ররা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি আখাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা মিছিল করে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করেছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দুর্গাপুরে দুইদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু

ডেস্করিপোর্ট:

‘‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’’ এ প্রতিপাদ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নানা আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুইদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সর্বস্তরের অংশগ্রহনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ে আলোচনা করেন, ডাঃ তানজিরুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ওসি শাহনুর এ আলম, প্রমূখ। দুইদিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের ২৯টি স্টল স্থান পেয়েছে।

 




দুর্গাপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও সুবর্ণ জয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
সুর্য্যদয়ের সাথে সাথে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পুলিশ বাহিনীর কুচকাওয়াজ সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেণ সিনিয়র এএসপি (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)শাহ নুর-এ আলম, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সাবেক মোঃ সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপস্থিত পৌর মেয়র আলা উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আলা উদ্দীন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, ভাইসচেয়ারম্যান নাজমুল আকঞ্জি নীরা, পারভীন আক্তার প্রমুখ।

এছাড়া ওই দিন দুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সিপিবি‘র আয়োজনে আলোচনা সভা এবং স্থানীয় উপাসনালয় গুলোতে দেশ ও জাতীর কল্যানে বিশেষ প্রার্থনা ও বিকেলে প্রতিযোগিতামুলক খেলাধুলা শেষে সন্ধায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা, আলোকসজ্জা প্রদর্শন, পুরস্কার বিতরণসহ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমমি‘র পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের সমাপ্তি ঘটে।

আলোচনায় বক্তারা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।




হাটহাজারী হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বিকালে

ডেস্ক রিপোর্টঃ ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ গুলি করে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে আজ ২৭ মার্চ শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রমূখ।

মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্রসহ ৬জনকে শহীদ করে সরকার একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যে কোন বিষয়ে যে কোন মানুষ প্রতিবাদ করতে পারা নাগরিক অধিকার। বর্তমান সরকার জনগণের এ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।




স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ স্মরণ

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা।

বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। তবে বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে।

সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুরোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই আয়োজনে। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




জাতীয় দিবস উদযাপনে অপেক্ষায় আছি: মোদি

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি এ প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’

ওই বিবৃতিতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।

সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেয়া হবে।




দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসীরা বর্ডার হাট চান

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সীমান্তবর্তী হাট চান পাহাড়ি আদিবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম, ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপ-শহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো বর্ডার হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে।

এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, মাছ, মুরগী, বুট, কাঁচা সুপারি, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, লবন, কসমেটিক ও জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী নারীরা।

আদিবাসী নারী প্রেমলা হাজং বলেন, ‘মলা তো গুরিব মানুষ, উন্য বিবুসা কুরিবো ট্যাংকা কুবায় পায়’ (আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য অন্য ব্যবসা করতে টাকা কোথায় পাবো) মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানিরা সুযোগ বুঝে আমাদের মালগুলো বাকিতে রাখতে চায়।

আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেচাকেনা শেষে কোন দিন ৫০০, কোন দিন ৪০০ টাকা লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার।

মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এ ব্যবসা করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে টুকরি প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টাকা দিতে হতো, এখন ওদের চোক ফাঁকি দিয়েই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে, তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় দেই না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, বর্ডার হাট ও এই এলাকা দিয়ে এলসি খোলাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে দু‘দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জেনেছি।

আশাকরি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হবে। এতে সীমান্তবর্তী খেটে খাওয়া আদিবাসী শ্রমিদের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




ছাত্রলীগের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

ছাত্রলীগের হামলায় প্রথম আলো ও বাংলা ট্রিবিউনের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুই জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ হিমাদ্রী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘জেয়াফত’ নামে একটি কর্মসূচি দেয়। কিন্তু কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের মারধর করে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে য়ায়।

এসময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেল এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে তাকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এবং তার আইডি কার্ড ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ হামলার নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি উৎপল দাস। হামলা থেকে বাঁচতে রাসেল টিএসসির ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টিএসসির গেট বন্ধ থাকায় সেখানে গিয়ে তাকে পেটায় হামলাকারীরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আহত আবিদ হাসান রাসেল বলেন, টিএসসিতে একটি সংগঠনের কর্মসূচি ছিল। সেখানে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাদেরকে মারধরে করে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। সেখানে আমি ছবি তুলতে গেলে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা তা না শুনে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমি আমার প্রেস কার্ড বের করে দেখালে তারা আমার থেকে তা ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার মুঠোফোনটিও নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, সন্ধ্যায় মোদি বিরোধী মশাল মিছিল করে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হলের সামনে সমাবেশ করে। পরে তারা ভিসি চত্বর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করে।

এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রথম আলোর সাংবাদিক আসিফ হিমাদ্রীকেও মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠনের চার নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিক, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা শাকিল হোসেন, আজাদ, ছাত্র ফন্টের নেতা সজিব চৌহান।




অতিথি

ফারুক আহমেদ

 

মেঘালয়ের কোলে জন্মেই শুনেছি

বুনো পাখির ডাক

সুমেশ্বরীর চঞ্চল ধারায়

বুঝে উঠার আগেই কেটে গেছে

শৈশব!

ভাগ্যচক্রে মগ্রার আলো বাতাস

গায়ে মেখেছি,

গুর” বলেছিল মানুষের ভিতর

আর এক মানুষ

তার দর্শন মাত্রই দেখি পরে ইষ্টিশন।