পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছে ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র হজ পালন শেষে এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি। এবার হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে ৬৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।

আজ বুধবার হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, হজ পালন শেষে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১৬০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৭৫ জন হাজি। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৫৭টি ফ্লাইটে ২১ হাজার ৩৮৭ জন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৭৫টি ফ্লাইটে ২৬ হাজার ৪৭৭ জন, এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২৮টি ফ্লাইটে ১০ হাজার ৩৪৭ জন দেশে ফিরেছেন। তাছাড়া অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইটে ২ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে।

গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওই দিন ৪১৭ হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী এ ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।




গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে, গুলশান-বনানীতে লোডশেডিং দিন: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ বিত্তশালীদের এলাকায় লোডশেডিং দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বলে দিয়েছি, আমার গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এখন এয়ারকন্ডিশন গাড়ি-বাড়িতে, লিফট ইত্যাদি আরাম-আয়েশটা আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং ওইসব বিত্তশালীদের এলাকায় দিতে হবে। এ ব্যবস্থাটাই করব আমরা।




ট্রেনে ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে প্রবেশের দ্বার খুলছে বাংলাদেশিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট চুক্তির মধ্যে দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে দেশের রেলওয়ে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত নিজেদের ভূখণ্ডে যেতে পারবে। তেমনি বাংলাদেশিরাও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যেতে পারবে নেপাল-ভুটানে।

প্রস্তাবিত চুক্তিতে ১২টি রুটের কথা বলা হয়েছে, যেসব রুট ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাত রাজ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) ধোঁয়াশা দূর করেছেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুজনে জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে ভারতীয় রেলপথ দিয়ে নেপাল-ভুটান প্রবেশের দ্বার।

নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। কিন্তু ভারতের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে না পারায় সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণে নতুন করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

ভারত-বাংলাদেশ রেল করিডোর নিয়ে নতুন চুক্তি
চলতি মাসের ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩টি ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার এক নম্বর রয়েছে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, ভারতীয় রেল করিডোর নিয়ে নয়া চুক্তি।

এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন।

এছাড়া এই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের কলকাতা থেকে ‘সেভেন সিস্টার্স’-খ্যাত সাত রাজ্যের ১২টি রুটে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সুবিধা।

এ বিষয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে ভারতীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় মোট এক হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি সেকশন থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। আর নেপালে ২০২ কিলোমিটার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকবে ২১২ কিলোমিটার পথ।

পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে ভারতকে রেলপথ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়াদিল্লির পরিকল্পনা সহজ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট ৮৬১ কিলোমিটার, নেপালে ২০২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জরিপ চালানো হবে।

ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালেও পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

প্রস্তাব অনুসারে, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য অনুমোদিত রুট বিরাটনগর–নিউ মাল জং সেকশনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে৷ আর গালগালিয়া-ভদ্রপুর-কাজলী বাজার সেকশনে সাড়ে ১২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।




গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, জামিন পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর জামিন পেলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে একই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে পূর্ব নির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন মাওলানা মামুনুল হক। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গতকাল পূর্ব নির্ধারিত শুনানি দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করে উপস্থিত হননি। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমন ফারুক নয়ন জানান, মাওলানা মামুনুল হক অসুস্থ। তার অসুস্থতার কাগজপত্রসহ আমরা গতকাল আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। এ অসুস্থতার জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ চলতি বছরের ৩ মে কারামুক্ত হন তিনি।




দেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা ‘হাকিমপুরী জর্দা’র হাজী কাউছ মিয়া মারা গেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা, প্রবীণ ব্যবসায়ী ও দানশীল হিসাবে খ্যাত হাকিমপুরী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক, চাঁদপুরের সন্তান হাজী মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে হাজী মো. কাউছ  মিয়ার  বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ জোহর  আরমানিটোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে পারিবারিক সূত্র।

কাউছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা কাউছ বিউটি ও ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, তাদের আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে দেশে আনা হয়েছিলো। এরপর পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন।

তারা বলেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি, আল্লাহ তাকে যেনো জান্নাতবাসী করেন।

হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে এবং সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা চালু করেন। হাকিমপুরীর জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। তিনি ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন।




দুর্গাপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ করে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে নানা আয়োজনে তাদের বরণ করে নেয়া হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী নেতা সায়মন তজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ তালুকদার, শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারি, ওসি (তদন্ত) মাহফুজ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শারমীন আক্তার কাকলী, গোলাম ফাহমী ভুইয়া, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুস ছালাম, নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধান, সুধী সমাজ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা বলেন, দুর্গাপুরবাসী আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি উপজেলা বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সকলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে চাই। দুর্গাপুর উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত একটি মডেল উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোদ জানান।




কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন: ইসলামী ঐক্যজোটে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোট।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরিব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্যবিমোচন প্রক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়াশিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির মৌসুমে কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের দর কষাকষি করার তেমন সুযোগ থাকে না। তারা যেটুকু মূল্য পান, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেন।

এই জিম্মি দশা থেকে কওমি মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বছর যদি ঈদুল আজহার আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তির অন্যতম এ শিল্প ধ্বংস হবে।




দুর্গাপুরে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘স্মার্ট ভূমি সেবা- স্মার্ট নাগরিক’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকালে নানা আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

ভুমি সেবা আরো সহজতর করার লক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তেন উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায়, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, ইউএনও এম রাকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, আব্দুল জব্বার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহীম খলিল টিপু প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, সেবাগ্রহীতা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




মাটি খুঁড়লেই স্বর্ণ পাওয়ার খবরে ছুটছেন মানুষ, ১৪৪ ধারা জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে স্থানীয়রাসহ আশেপাশের লোকজন দলে দলে আসছেন। স্বর্ণ পাবার আশায় স্থানীয়রা লোকজন ঝগড়া, কলহ দ্বন্দে লিপ্ত হচ্ছেন। তাতে যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও ভাটার আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আদেশ জারি করেন। এ সময় ভাটায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় জনসাধারণের অবগতির জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় বেশ কিছুদিন ধরেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আরবিবি ইট ভাটায় মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করছিলেন হাজার হাজার মানুষ।




প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল : পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাতের দিকে মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) – খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সেই সঙ্গে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪( নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেতদেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।