আইনের শাসন কাকে বলে এই নির্বাচনে দেখাতে চাই: সিইসি

ডিএনবি নিউজ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আসুন, একটা উদাহরণ সৃষ্টি করি এই দেশে যে আইনের শাসন কাকে বলে আমরা এই ইলেকশনে (ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এটা দেখাতে চাই। তাতে যা হওয়ার হবে।’

আজ (শনিবার ১১ অক্টোবার) সকালে চট্টগ্রাম নগরে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় নগরের আসকার দিঘি এলাকার আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্র মিলনায়তনে। কর্মশালার আয়োজন করে সিবিটিইপি প্রকল্প (নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি)।

কর্মশালায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘যেদিন নির্বাচন হবে, সেদিন মনে রাখবেন, আপনি হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আইনগতভাবে সর্বময় ক্ষমতা আপনাকে দেওয়া আছে। যদি গোলমাল করে, তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনটা করলে তিনটা। দরকার হলে পুরো সংসদীয় আসন বাতিল করে দেবেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই। সহজে ছাড়ব না। আপনাদের পেছনে আমরা আছি। ইলেকশন কমিশন ফুল সাপোর্ট দিয়ে যাবে আপনাদের।’

নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সবাই মিলে একটা সুন্দর নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়িত করা হচ্ছে। সব ক্ষমতা দেওয়া হবে তাঁদের। ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। যদি ক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে অপরাধ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে এবং যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে তা ভালোভাবে নেওয়া হবে না। ক্ষমতা থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ক্ষমতা ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করবেন, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে।’

নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘দেশে যখন নির্বাচন হয়, তখন বড় কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। যেমন প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ, নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ, আইনগত চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। তবে ভোট গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি বিশাল আকারে দেখা দিয়েছে এবং এটা নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। এটি মোকাবিলাটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়াবে।’

জাতীয় নির্বাচন করা শুধু একা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন জাতীয়ভাবেই করতে হবে। এটি নির্বাচন কমিশনের একার কাজ নয়। এটি জাতীয়, দায়িত্ব সবার। প্রশাসন, পুলিশসহ সবাই মিলে করতে হবে। সবার সহযোগিতা ও সমন্বয় দরকার। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য সমন্বয় দরকার। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপজেলা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সেল থাকবে।’

কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘বেশির ভাগ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হচ্ছেন শিক্ষক। তাঁদের অনেকেই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে পরিচিত নন। তাই এ রকম মুহূর্ত তৈরি হলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তবে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট মোকাবিলায় নিয়োজিত করা হয়নি। বিশেষ বিশেষ বাহিনী দিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজ করা হতো। সুতরাং পুলিশের মধ্যেও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যা রয়েছে।’#

সূত্র: পার্সটুডে




ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) এ ধানের শীষের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

স্থানীয়ভাবে একজন বরেণ্য আলেম ও ইসলামি স্কলার হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসনটি তাকে দিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। তবে তার প্রার্থীতা এখনো নির্ভর করছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে পুনরায় যুক্ত হওয়া-না-হওয়ার সিদ্ধান্তের ওপর।

উল্লেখ্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (উবায়দুল্লাহ ফারুক–আফেন্দি) ২০২১ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আসে। তবে সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্ব আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত এক বছরে জমিয়ত ও বিএনপির লিয়াজো কমিটির মধ্যে জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সম্প্রতি সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘১৯৮১ সালে হাফেজ্জী হুজুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই আমি রাজনীতির ময়দানে আছি। পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনে মুফতি আমিনীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছি। এই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোভাবে চেনে, আমি প্রতিটি গ্রামে গিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, জাতীয় নির্বাচনে আমি ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারব।’

তবে এই আসনে ধানের শীষের প্রতীকে লড়তে চান বিএনপি’র আরও নয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন—ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য শেখ মো. শামীম, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএন তরুণ দে, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, সরাইল উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. আনিসুল ইসলাম ঠাকুর ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন সীমানা পুনর্র্নিধারণ নিয়ে চলমান বিতর্ক ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে বিএনপির একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকায় মনোনয়ন সংকট ও অভ্যন্তরীণ জটিলতাও তৈরি হয়েছে।

যদি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে বিএনপি জোট থেকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হয়, তাহলে তা জোটের ঐক্য ও পারস্পরিক আপসের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী ধানের শীষ প্রতিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আলেম–ওলামা ও ইসলামি জনতা অধ্যুষিত সরাইল–আশুগঞ্জ আসনে একজন আলেম প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি ধর্মীয় ভোটব্যাংকে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে।




পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননাকারির ফাঁসির দাবীতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ  মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার  যুবসমাজের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বক্তারা বলেন, আমরা ৯০ শতাংশ মুসলমানদের দেশে বসবাস করি। এর পরও এই দেশে সম্প্রীতি নস্ট করার জন্য, বারবার অন্য ধর্মের লোকেরাই আল কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা কুরআন অবমাননাকারী অপুর্ব পালের ফাঁসি চাই। এই দেশে আর কেউ পবিত্র কুরআন অবমাননা করুক আমরা তা চাই না, কুরআনকে নিয়ে কটুক্তি করুক আমরা আর শুনতে চাইনা।

সমাবেশে মুফতি নুরে আলমের সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীন কারিমী‘র সঞ্চালনায়, অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মুফতি সাব্বির আহমেদ, যুবনেতা সম্রাট গণি, মুফতি রেজাউল করীম, মুফতি বরকত উল্লাহ্, মাওলানা ইমরান। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মনজুরুল হক।




ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জনগণ প্রস্তুত: রুহুল কবির রিজভী

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি ধর্মভিত্তিক দলের অনুগতদের বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, দল অনুগত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জনগণ প্রস্তুত; তারা পূর্বের মতো ডামি নির্বাচন চায় না।

শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভ্রান্ত কথা বলে মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। গত ১৫ বছর কারা আপোষহীন লড়াই করেছে তা সাধারণ মানুষ জানে।




ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না: ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ অভিযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গুতেরেস বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় তার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতির অঙ্গীকার করেছেন।

রাজনৈতিক সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায় নিরূপণ, সংরক্ষণবাদী শুল্কনীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর (আজ) অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনসহ নানা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতের অঙ্গীকার জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান। তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের ধারাবাহিক ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




খাগড়াছড়ির ঘটনায় ‘ভারতের ইন্ধন’ দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা




আগামী মাসে সপরিবারে ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন তারেক রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী মাসে সপরিবারে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। ওমরাহ পালন শেষে নভেম্বরে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে বলে লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বিএনপির একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ২০ অক্টোবর সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ওমরাহ পালন শেষে লন্ডনে ফিরে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি (তারেক রহমান) দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এদিকে, ব্রিটেনে অবস্থানরত বিএনপির একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে ওমরাহ করতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরিবারের সদস্যদের বাইরে একই ফ্লাইটে আর কারা যাচ্ছেন, সেই তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

এর আগে, তারেক রহমান সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। সে সময় খালেদা জিয়া তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। তার পূর্বে ২০১৪ সালেও তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওমরাহ পালন করেছিলেন।




নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে পিআর ব্যবস্থা নাকি বর্তমান পদ্ধতি—এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোই নেবে। এ বিষয়ে সরকারের অতিরিক্ত মন্তব্য না করাই ভালো।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গবেষণা সংস্থা ইনোভেশনের জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রেসসচিব বলেন, জরিপের পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। জরিপে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে যে আসন্ন নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। “বাংলাদেশে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সবাই ভোট দিতে আসলে ভালো নির্বাচন হওয়া স্বাভাবিক।

ইনোভেশনের জরিপে দেখা যায়, দেশের ৬৯.৯ শতাংশ মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হবে।




খুলনা মহানগরীর এক ইমামকে রাজকীয় বিদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে পাগড়ি পরিয়ে ও ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। দীর্ঘ ৩৭ বছর ৮ মাস ইমামের দায়িত্ব পালন শেষে ৮৫ বছর বয়সে অবসরে গেলেন তিনি।

তার বিদায়ের দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদে তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। দীর্ঘদিনের ইমামকে হারানোর বেদনায় চোখ ভিজে ওঠে বহু মুসল্লির।

জানা যায়, মাওলানা আব্দুস সালাম ১৯৮৭ সালে পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে একনিষ্ঠভাবে ইসলামের দাওয়াত ও নামাজের ইমামতি করে গেছেন তিনি। এর আগে খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেও মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন আজ অবধি। কিন্তু বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতা এবং দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম হয়ে পড়ায় এবার দায়িত্ব থেকে অবসর নিলেন তিনি।

টুটপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আবুল খায়েরের উপস্থাপনায় মাওলানা আব্দুস সালামের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মোসতাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতি জিয়াউর রহমান। মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খান আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি এস এম শামছুল আরিফ ও ইসলামিয়া জামে মসজিদের সভাপতি কামরুল ইসলাম।

নামাজ শেষে মাওলানা আব্দুস সালাম বিষাদ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সবার দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারছি না। তাই দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাকে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার তৌফিক দেন। সবার কাছে সেই দোয়া চাই।

পরে তাকে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে পুরো টুটপাড়া এলাকায় শোভাযাত্রা করে ঘোরানো হয়। মোটরসাইকেল বহরসহ মুসল্লিরা তাকে নগরীর ছোট খালপারের বাসায় পৌঁছে দেন। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে এলাকাবাসী এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।




একমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতায় ইসলামকে চাই, কোনো খুনিকে নয়: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ শুরুর আগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন— “ইসলামকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চাই, কোনো খুনিকে নয়।”

দুপুরে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জোহরের নামাজের পর কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ-মিছিল পূর্ব সমাবেশ।

বক্তারা বলেন, সংস্কারের নামে দেশে তামাশা চলছে। শিশুদের গান শেখানোর পরিবর্তে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তারা আরও বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে এবং জুলাই সনদের আইনের ভিত্তিতে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, জনগণ তাদের পরবর্তী নির্বাচনে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন বক্তারা।

ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা চলাকালেই জামায়াতসহ একাধিক ইসলামী দল রাজপথে কর্মসূচি পালন করছে। বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ সাতটি ইসলামী দল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

জোহরের পর ইসলামী আন্দোলন উত্তর গেটে এবং আসরের পর জামায়াত দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে। অন্যান্য পাঁচ দলও পৃথক সময়ে একই কর্মসূচি পালন করে।

এই ইসলামী দলগুলোর অভিন্ন দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে নির্বাচন, পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যকর করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো।