২ দিন পর ফ্লাইট শুরু, এখনো অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজযাত্রী!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২ দিন পর (বৃহস্পতিবার ৯ মে) শুরু হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। আগামী বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশিরভাগ হজ এজেন্সি।

সর্বশেষ তথ্য বলছে, ভিসা আবেদনের বর্ধিত সময়ও শেষ হচ্ছে কাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসা আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত করা হয়। ৮ দিন বাড়ানো হলেও এখনও ৭৫ শতাংশের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। বাকি একদিনের মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এই সংকটে করণীয় ঠিক করতে হজ এজেন্সিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দিতে এজেন্সিগুলো মন্ত্রণালয়কে চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার ২০৯ জন নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। বাকি ৪ হাজার ৩১৪ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সাত শতাধিক হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের নিবন্ধন করেছে। ২৫৯টি লিড এজেন্সি হজযাত্রীদের মূল ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি এজেন্সির আংশিক ভিসা আবেদন হয়েছে। বাকি ২০৪টি এজেন্সি ভিসা প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এই এজেন্সিগুলোর অধীনে মোট ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিনে বিশাল সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা সম্ভব নয়। ফলে ফের ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এজেন্সিগুলো। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় সেটাতে রাজি হয়নি।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ধর্মমন্ত্রীর অনুরোধে সেই সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, বাড়তি ৮ দিনে বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন করা সম্ভব হবে। কিন্তু মোনাজ্জেমের (পবিত্র হজের সময় নিবন্ধিত হজ এজেন্সির মালিকের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী) ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় এবং সৌদিতে কাঙ্ক্ষিত ভাড়া বাড়ি ভাড়া করতে না পারায় সেই প্রক্রিয়া হোঁচট খায়। ফলে শেষ সময়ে এসেও এখনো অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসার জন্য আবেদন করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হজ এজেন্সিগুলো বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য প্রতিবার শেষ সময়ে এসে বাড়ি ভাড়া করেন তারা। এবারও তাই করেছেন। এবার এটা করতে গিয়ে নতুন আইনের ফাঁকে পড়ে যায় হজ এজেন্সিগুলো। বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত এজেন্সি প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। ফলে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি তারা। এ জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ করছে এজেন্সিগুলো।

এপ্রিলের শেষের দিকে বিকল্প পদ্ধতিতে মোনাজ্জেমদের ভিসা করার জন্য জিও (সরকারি পত্র) দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এজেন্সির প্রতিনিধিরা এখন সৌদি আরবে গিয়ে বাড়ি ভাড়া করতে হিমশিম খাচ্ছে। হেরেম শরিফের কাছে বাড়ি না পেয়ে অনেক দূরে বাড়ি খুঁজছেন তারা। সেখানেও ভাড়া বেড়ে গেছে। ফলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছে।

বেসরকারি হজ এজেন্সি এম জি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন বলেন, মোনাজ্জেমরা সঠিক সময়ে ভিসা না পাওয়ায় সৌদিতে বাড়ি ভাড়া করা যায়নি। ফলে হজযাত্রীদের এখন সদুত্তর দিতে পারছি না। ভিসা না পাওয়ায় বিমানের টিকিটও বুকিং দিতে পারছি না। আরও বেশ কিছু কাজ আটকে আছে ভিসা জটিলতায়।

তবে এ সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, সংকট সমাধানে আমরা কাজ করছি।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এখনো বেশিরভাগ এজেন্সির মোনাজ্জেমদের ভিসা নিশ্চিত করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে সংকট উত্তরণ সম্ভব, আমরা চেষ্টা করছি।




স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে।

ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশের ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।




অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ‌্য মন্ত্রণা‌লের এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।
২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।
৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।
৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।
৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। ৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং
১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে পদযাত্রা-সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো এবং গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। এ দিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসেঙ্গ একইসময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন তা অতুলনীয় ও অভাবনীয়।

এ ছাড়া এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞাপ্তিতে।




জামিন পেলেন ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ ‘‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ – স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শ্রমিক লীগ, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন, সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের উদ্দ্যোগে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উওোলন শেষে উপজেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তিতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়াল) বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন।

অপর দিকে উপজেলা পরিষদের সোমেশ^রী মিলনায়তনে ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্গাপুর সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. আক্কাস আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে নিহত শ্রমিকদের জন্য দোয়া, আলোচনা সভা ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।




মহান মে দিবসে সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে যে কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা দিতে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এ শিল্পের কর্মহীন এবং দুস্থ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ তিন মাসের নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তর করেছি। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। মে দিবসের চেতনায় দেশের শ্রমিক-মালিক ঐক্য জোরদার করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এটাই হোক আমাদের মে দিবসের অঙ্গীকার।




থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে, ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।

প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়েছে, থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর সেখানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

ছয়দিনের এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন শেখ হাসিনা, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

নথিগুলোর মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়-সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন।

এর আগে ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতার প্রতি যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রাণী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।




কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশুদের নিয়ে ভিজলেন ডিএনসিসি মেয়র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের  ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে।’




দুর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন কারী ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগের কপি দায়ের করেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে অভিযোগ পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দ্ল্লুাহ্ হক। অভিযোগে তারা বলেন, আমরা আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমরা মনে করি, দুর্গাপুর থানার ওসি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ শুরু করে বিভিন্ন উস্কানীমুলক কথা বলে নির্বাচনের পরিবেশ অবনতি ঘটাতে চাচ্ছেন। আমরা তার এরকম কার্যক্রমে শঙ্কিত। থানার ওসির এরকম আচরণের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ থাকবে না বলে আমরা মনে করছি। এমন ঘটতে থাকলে আমরা আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। ওসির এরকম কর্মকান্ডের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। ওসি উত্তম চন্দ্র দেব কে দুর্গাপুর থেকে অবসারণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর নিকট দাবী জানাই।

এসময়, চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভীন আক্তার, কামাল পাশা, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, ফারুক আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিতের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করছি বলে আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ই মে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।