ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।




আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করা হবে।

দীর্ঘ সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালে উদিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য। সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে শুক্রবার।

আর যার হাত ধরে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন চলছে গতবছরের মার্চ থেকে। এবারের মার্চে তা মিলছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের সঙ্গে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক শেখ মুজিব। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে দশ দিনের বড় আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও এ আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছেন। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




বিনা ভুলে পুরো কুরআন শরীফ শুনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলো হাফেজ যাকারিয়া

এক বৈঠকে বিনা ভুলে পবিত্র কুরআনুল কারিমের পুরো ৩০ পারা তার উস্তাদকে শুনিয়েছেন মৌলভীবাজার নুরুল কুরআন মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র হাফেজ শরীফ আহমদ যাকারিয়া।

প্রিয় ছাত্রের এ অনন্য দক্ষতায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাফেজ যাকারিয়ার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা লোকমান আল মাহমুদ বলেন, ‘নামাজের সময়টুকু আর খাবারের সংক্ষিপ্ত বিরতি ছাড়া ফজরের পর থেকে টানা ১৭ ঘন্টায় পূর্ণ কুরআনুল কারিম শুনালো শরীফ আহমদ যাকারিয়া। হদর শুনেছি। গড়ে প্রতি পারায় ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, খতম শুরু করলে শেষ হবার আগ পর্যন্ত কুরআন শরীফ আর দেখতে পারবে না। আর আমি মনে মনে নিজেকে শর্ত দিয়েছিলাম, নিজের হিফজ বা মুখস্তের উপর ভিত্তি নয়; বরং হারফান হারফান দেখে দেখে তার পূর্ণ কুরআন শরিফ শুনবো। আলহামদুলিল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।




দুর্গাপুরে ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করলেন ইউএনও

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিনিয়র সিটিজেন ও তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির মানুষকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষে দুর্গাপুর পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে পথ পাঠাগার এর ১৫তম শাখা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান শনিবার দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করেন।

পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় অলম্যান জেন্স সেলুনে এ শাখা উদ্বোধনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব আহবায়ক সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, সহসভাপতি মো. তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগারের সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, নতুন প্রজন্ম সহ সর্ব শ্রেণির মানুষকে বই পড়া ও সাহিত্য আড্ডায় মনোনিবেশ করতে এই পাঠাগারের সূচনা।

আমরা পথ পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের কাছে বই পৌঁছানোসহ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে এই পাঠাগারের কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাহিত্যপ্রেমীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান ইউএনও।




কলমাকান্দায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দা বাজারকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহযোগীতায় কলমাকান্দা নারী উন্নয়ন ফোরাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ১১ টায় উপজেলার নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে এ উপলক্ষে মধ্যবাজার এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আফরোজা বেগম।
এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কাজল দে সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহবাজ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদসহ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দও নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সড়কের দু পাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কাজে অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।



উড়োজাহাজ আকাশতরী ও শ্বেতবলাকা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নতুন ক্রয়কৃত বিমানগুলোর সুন্দর সুরক্ষা ও মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজ আকাশতরী ও শ্বেতবলাকা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা এর আগেও দুটি বিমান ক্রয় করেছি। এখন আবার দুটো বিমান আজ উদ্বোধন হচ্ছে। যেগুলোর নাম দিয়েছি- উড়োজাহাজ আকাশতরী ও শ্বেতবলাকা। এগুলো যেন সুন্দরভাবে সুরক্ষিত থাকে, যাত্রীসেবা যেন মানসম্মত হয়, এদিকে সবাই খেয়োল রাখবেন।

বিমান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের দেশ। লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ পেয়েছি। এ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সকলের দায়িত্ব। আমাদের যাত্রীসেবা যত উন্নত করতে পারব, দেশের লাভ হবে। সেটাই আমরা চাই।

এ সময় তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তির। যারা চিন্তা করেন তাদের জন্য এটা নিরাপদ হবে। চিন্তার বিষয় কিছু থাকবে না।




মিশরে পোশাক কারখানায় আগুনে নিহত ২০

dnb news:

মিসরের রাজধানী কায়রোর পূর্ব শহরতলী এলাকায় পোশাক কারখানায় আগুন লেগে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ২৪ জন। তবে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি গাড়ি কাজ করছে। গোটা এলাকায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।

মেডিকেল সূত্রের বরাতে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রসিকিউটর আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিসরে বেশ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে নিরাপত্তা মান বজায় না রেখে নিম্নমানের ভবন তৈরি করা।

গত মাসে রাজধানী কায়রোর যমজ শহর গিজায় একটি ১৩ তলা ভবনের ভাণ্ডারে আগুন লাগে। সেখান অবস্থানকারীদের সরিয়ে ফেলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।




পেশাগত দায়িত্ব পালনে লাশ হলো সাংবাদিক বিজন

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সদস্য, দৈনিক আমাদের সময় এর উপজেলা প্রতিনিধি বিজন কৃষ্ণ রায় চন্দন (৫৪) তার পেশাগত কাজ শেষে ময়মনসিংহ থেকে বাড়ী ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে ট্রাক ও সিএনজি‘র মুখোমুখি সংঘর্ষ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায় দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার স্বর্গীয় বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব মিটিং শেষে বাড়ী ফেরার পথে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলার গাছতলা এলাকায় সিএনজিটি পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাংবাদিক চন্দন। শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নয়ন দাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তর কে বলেন, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হলেও ট্রাক ও সিএনজি চালকদ্বয় পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের সুরতহাল শেষে সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রাত ৯টায় বিজন কৃষ্ণ রায় এর মরদেহ দুর্গাপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আনা হলে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ শ্রেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সাথে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব-উল-আহসান এর পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্চন কর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন পলাশ, ওসি দুর্গাপুর থানা শাহ নুর-এ আলম, দুর্গাপুর বণিক সমিতি, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ শ্রেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ৩ দিনের শোক ঘোষনা করেছেন,এতে শোকসভা,কালো ব্যজধারণ ও কালোপতাকা উত্তোলিত রাখা। তার লাশ রাত ২টার দিকে গ্রামের বাড়ী কেরণখলা শ^শানে দাহ করা হয়। সে স্ত্রী ১কন্যা ১পুত্র সহ অনেক গুনগ্রাহী রেখেগেছেন।

(এস.এম রফিকুল ইসলাম; দুর্গাপুর, নেত্রকোনা) :




শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করবে ভলভো

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, এই সময়ের মধ্যে হাইব্রিডসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ইঞ্জিনের সব মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইন বিক্রি এবং পণ্য সরল করতেও প্রচুর বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ভলভোর।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাড়তি চাহিদায় ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে চীনেও নজর রয়েছে তাদের। এখনও প্রতিষ্ঠানের বড় বাজারগুলোর একটি চীন।

বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকল্পনায় জোর দিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারও। এতে সাড়া দিচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

পুরোপুরি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত কোনো গাড়ি বা ভ্যান ২০৩০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বিক্রি হবে না বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ভলভো প্রধান হাকান স্যামুয়েলসন বলেছেন, “সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের লাভজনক বৃদ্ধি দরকার। তাই, ছোট হয়ে আসা ব্যবসায় বিনিয়োগের বদলে আমরা ভবিষ্যতের দিকে বিনিয়োগকে বেছে নিয়েছি, বৈদ্যুতিক এবং অনলাইনের দিকে।”

হাইড্রোজেন চালিত গাড়িতেও বিনিয়োগ করবে না ভলভো। এই খাতে গ্রাহকের যথেষ্ট চাহিদা থাকবে বলে মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বিক্রির তালিকায় থাকা অর্ধেক মডেলের গাড়ি হবে পুরোপুরি বৈদ্যুতিক এবং বাকি অর্ধেক হবে হাইব্রিড।




বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পুরুষরা লাল পাঞ্জাবি আর নারীরা লাল-সাদা শাড়ি বা অন্য পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য।

বছরজুড়ে ভালোবাসা চললেও দিনটি যেন একটু বেশি করেই ভালোবাসার। এদিনে নিজের ভ্যালেন্টাইনকে প্রপোজ করা, বিভিন্ন উপহারের পাশাপাশি লাল গোলাপ দেওয়া, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন তরুণ-তরুণীরা।

বিশ্বজুড়ে কেনো এই ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয়-এর পুরো ইতিহাস সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নেই। আবার অনেকেরই হয়তো মনে প্রশ্ন জাগে, ভ্যালেন্টাইন ডের জন্ম বা উৎপত্তি কখন, কবে আর কোথায় হয়েছিল? বাংলাদেশেই বা এ দিবসটি কবে থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে। পাঠক, চলুন ভালোবাসা দিবসের অদ্যোপান্ত জেনে নিই।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রবর্তন করেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ১৯৯৩ সালে শফিক রেহমান তার সম্পাদিত মাসিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ১৪ ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে ‘ভালোবাসা সংখ্যা’ নামে একটা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেন। সে সংখ্যার পুরোটাজুড়ে ছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাঠানো লেখকের ভালোবাসার গল্প। তখনও বা কে জানতো, একদিন বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস রীতিমত উৎসবে রূপ নেবে!

রোমানরা খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে প্যাগান (পৌত্তলিক) ধর্মের অনুসারী ছিলেন।প্যাগান ধর্মের লোকজন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ফেব্রুয়ালিয়া পূজা পালন করতেন। এই ফেব্রুয়ালিয়া অনুষ্ঠানের নামানুসারে পরবর্তীতে ইংরেজি মাসের নামকরণ করা হয় ফেব্রুয়ারি।তখন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই পূজা হতো।পূজার উদ্দেশ্য ছিল দেবতার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পুণ্যতা, উর্বরতা ও সমৃদ্ধি লাভ করা। অনুষ্ঠানের মাঝের দিনটি ছিল খুবই আকর্ষণীয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেবীরাণী জুনোর সম্মানে পবিত্রতার জন্য কুকুর আর উর্বরতার জন্য ছাগল উৎসর্গ করা হতো।উৎসর্গীকৃত কুকুর ও ছাগলের রক্তে রঞ্জিত হয়ে যুবকেরা চামড়ার তৈরি সামান্য পোশাক পরতো।তারপর চামড়ার বেত দিয়ে দেবীর নামে তরুণীদের শরীরে আঘাত করতো।

সে সময়ের মানুষ বিশ্বাস করতো, এই আঘাতের কারণে দেবী ওই তরুণীদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবেন।দিনটির আরও একটি বিশেষত্ব হলো, এ দিনেই পরবর্তী এক বছর আনন্দ দেওয়ার জন্য দেবীর ইচ্ছায় লটারির মাধ্যমে তরুণরা তাদের তরুণী সঙ্গীকে বেছে নিতেন। প্রথানুযায়ী বড় একটি বাক্সে তরুণীদের নাম লিখে রাখা হতো। সেখান থেকে তরুণরা একেকটি নাম তুলে পরবর্তী বছর লটারি হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত যুগল একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেতেন।

এরই মাঝে ২৬৯ সালে ঘটে যায় একটি বিরল ঘটনা।সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন ক্লাডিউয়াস।খ্রিস্টান ধর্মযাজক, সমাজসেবক ও চিকিৎসক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন নামের এক যুবক ধর্ম প্রচারকালে রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস এর নানা আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার  হন। এই আদেশের অন্যতম একটি ছিল, রোমান সম্রাট ক্লাডিউয়াস কর্তৃক যুবক সেনাদের বিয়ে করা নিষেধ করে দেওয়া।

স্টিভ ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের এই আদেশের বিপরীতে গিয়ে যুবক সেনাদের বিয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন ও গোপনে বিয়ে দিয়ে দিতেন। এছাড়া জনগণকে ধর্মদ্রোহী করা, সম্রাটের বিপক্ষের যুদ্ধাহত খ্রিস্টান সৈন্যদের চিকিৎসা করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের জন্য সম্রাটের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হন বিদ্রোহী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন।

ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে পাঠানোর পর জনগণের কাছে তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।এই সাহসী এবং জনপ্রিয় যুবককে দেখার জন্য প্রতিদিন অগণিত মানুষ কারাগারে যেতেন। এর মধ্যে এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ে ‘জুলিয়া’ ও ছিলেন। ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে তিনি প্রায়ই কারাগারে দেখা করতেন এবং দীর্ঘসময় তারা এক সঙ্গে কাটাতেন।

এর মধ্যে ঘটে যায় আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।স্টিভ ভ্যালেন্টাইন তার আধ্যাত্মিক চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধ জুলিয়াকে সুস্থ করে তোলেন এবং তাকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। এক সময় ভ্যালেন্টাইন ও জুলিয়া একে অন্যের প্রতি গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। এই সংবাদ শোনার পর সম্রাট ক্লাডিউয়াস আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দিনের কোনো এক সময়ে, হাজারো মানুষের সামনে স্টিভ ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। নির্বিকার, সাহসী যুবক স্টিভ ভ্যালেন্টাইন ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার আগে, তার ভালোবাসার মানুষ জুলিয়াকে একটি চিঠি লিখে যান। যে চিঠির শেষে লেখা ছিল ‘তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে’।

এরপর কেটে যায় ২২৬ বছর। এক সময় লিওপারসালিয়া বা ফেব্রুয়ালিয়া পুজার নাম ও পদ্ধতি পরিবর্তন করে নিজ ধর্মের যাজক স্টিভ ভ্যালেন্টাইনের নামে অনুষ্ঠানের নামকরণ করেন তারা। সেই সময় মানে ৪৯৬ সাল থেকেই ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ এর সূচনা। কিন্তু মধ্যযুগে এসে সমস্ত ইউরোপে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ইংরেজি সাহিত্যের জনক জিওফ্রে চসার’ ১৩৮২ সালে তার ‘পার্লামেন্ট অব ফাউলস’ এর মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে লেখেন। এরপর উইলিয়াম শেকসপিয়রসহ অনেক খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা তাদের সাহিত্যে এ বিষয়টিকে তুলে আনেন।অবশেষে ১৬৬০ সালে রাজা চার্লস-টু পুনরায় দিবসটি পালনের প্রথা চালু করেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালে সৌদি আরবের পুলিশ ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের দায়ে সে দেশে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। আর ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কেবল মুসলিম দেশ নয়, ভারত সরকারও তাদের নিজস্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করায় দিবসটি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়।

এই হচ্ছে মোটামুটি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস। আজকের এই বিশেষ দিনের প্রত্যাশা, কেবল নর-নারীর মধ্যে নয়, বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক। যুদ্ধ কিংবা হানাহানি নয়, ভালোবাসা দিয়েই মানুষ জয় করুক সবার হৃদয়।

আলো/সাগর