ঈদের আগেই বেতন-বোনাস দিতে হবে শ্রমিকদের: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাকসহ সকল শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা কোনোভাবেই যেন রাস্তায় না নামে, এ জন্য ঈদের আগেই তৈরি পোশাকসহ সকল শ্রমিকের উৎসব ভাতা, বেতন পরিশোধ করা হবে। মালিকপক্ষ সকল শ্রমিকের পাওনা মিটিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিতে হবে এবং সেটা সরকারি ছুটির চেয়ে কম যেন না হয়। ইদের আগে শ্রমিকদের কোনোপ্রকার ছাটাই ও ‘লে অফ’ করা চলবে না।

এর আগে, গত ২০ মার্চ ঈদের ছুটির আগেই পোশাক শ্রমিকদের চলতি মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।




অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ। বাঙালির জীবনে নানান কারণে মার্চ মাস অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস। এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

১৯৭১ এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসর্কোস ময়দানে ঐতহাসিক ভাষণের সময় মুহূর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লক্ষ কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারতি হতে থাকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পত পত করে উড়ছিল সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের পতাকা।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয়দফা এবং উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বারতা।

এ বছরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে ২৫ মার্চ রাত একটার অল্প পরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে।

২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে অপারেশন সার্চলাইট নামে বাঙালি নিধনে নামে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।

এবার এ মাসেই জাতি পালন করবে মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানান আয়োজনে মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।




বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলেছিলেন, তাদের ধারনা ভুল: মুশফিকুর রহমান

তামিম ইকবাল (৩৪ বছর ৩৪৫ দিন), মুশফিকুর রহিম (৩৬ বছর ২৯৫ দিন) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৮ বছর ২৪ দিন)- ফরচুন বরিশালের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের গড় বয়স ৩৬‘র বেশি।

কেউ কেউ এই মধ্য তিরিশ পেরিয়ে যাওয়া তিনজনার গড়া ফরচুন বরিশালকে ‘বুড়োদের দল’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। আজ রংপুর রাইডার্সকে হারানোর পর তাদের রীতিমতো একহাত নিয়ে ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম।

৩৮ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে বরিশালকে ফাইনালে তোলার নায়ক মুশফিক রাতে খেলা শেষে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলে দিলেন, ফরচুন বরিশালকে যারা বুড়োদের দল বলে বিদ্রুপ করেছিলেন, তারা ভুল বলেছিলেন।

মুশফিক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা কার্যকর নন বলে যারা ভাবেন ও বলেন, তারা ভুল করেন।

মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরং বয়স্করা অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞতার দরকার অনেক বেশি।’

বয়স হয়ে গেছে, এমন কথা শুনে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত মুশফিক। এক পর্যায়ে নিজের ফিটনেসকে মানদণ্ড ধরে উদাহরণ টানেন মুশফিক। চোয়াল শক্ত করে বলে ওঠেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এখনো অনেক তরুণের চেয়ে আমার ফিটনেস লেভেল অনেক ভালো। আমি তাদের অনেকের চেয়ে বেশি কার্যকর।’

মুশফিক যোগ করেন, ‘বয়স আসলে সংখ্যা মাত্র। ফিটনেস, ভালো খেলার দৃঢ় সংকল্প ও আত্মনিবেদনটাই বড়।’




ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সারি সারি মরদেহ, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী পুরো এলাকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সারি সারি পড়ে আছে বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে নিহতদের মরদেহ। আপনজনদের মরদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ নিহত স্বজনের স্মৃতি মনে করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে কোনো মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী বলেন, এখনো মর্গ থেকে কোনো মরদেহ বের করা হয়নি। নিহতের স্বজনরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে।

>>কপিরাইট জাগো নিউজ>>




ফিলিস্তিনে লাইভ গণহত্যা করা হচ্ছে …

পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে ‘হামাসকে সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার, যে কারণে ফিলিস্তিনিরা আক্রমণ চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নীরব। ফিলিস্তিনে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, গাজার চলমান গণহত্যা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নিধন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজা ভূখণ্ডে তারা খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ছয় মাস ধরে একদিকে চলছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার মহোৎসব, অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের অভাব যা বাকিদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সবশেষ হিসাব মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৮ সালে প্রথমবারের বারের মতো ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। কারণ ইহুদি জনগোষ্ঠির ঘরবাড়ির বানানোর জায়গা দিতে হবে।

সে সময়ের যুদ্ধে নতুন করে ৪১ হাজার ৩শ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েল এবং পিএলও বা ফিলিস্তিনের পক্ষে নিহত হয় হাজার মানুষ। এরপর প্রথম দফায় নিহত হয় হাজারো ফিলিস্তিনি এবং বেশ কিছু ইসরাইলি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যা এখনো চলছে। যুদ্ধে প্রথমদিকে হামাস বা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। বেশ কিছু ইসরাইলি লোকজন হামাসের হাতে বন্দি হয়। পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে হামাসকে আক্রমণকারী বা সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে এত মিছিল হচ্ছে কিন্তু সেটা যুক্তরাষ্ট্র কানেই তুলছে না। আজকে যদি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াতো তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যেতো। পৃথিবীতে কিছু আছে রাষ্ট্র, কিছু আছে টেরিটরি। সেই হিসেবে ফিলিস্তিন কোনো রাষ্ট্র নয়। ফিলিস্তিন হচ্ছে একটা টেরিটরি। আর ইসরাইল হচ্ছে একটা রাষ্ট্র। এই ইসরাইল রাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা বাইডেনের অবস্থান দেখেই বোঝা যায়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্বে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে, যেটা হচ্ছে ফিলিস্তিনে।

ইহুদিরা কিন্তু কখনো মুসলিমদের থেকে মার খায়নি, তবুও তাদের সংঘাত চলছে। ইহুদিরা মার খেয়েছে ইউরোপে, খ্রিষ্টানদের দ্বারা। ইসরায়েলকে বলা হয় আমেরিকার ৫১তম রাষ্ট্র, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন না থাকলে ইসরাইল কখনো এত শক্তিশালী হতো না।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ও সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ।




ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ২০২৬ সাল থেকে……

দেশের ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। কারণ ওই সময় উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। এজন্য এখনই সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ। যার বাজার মূল্য প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সমিতির নেতারা বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দামের বিষয়ে ওষুধ শিল্প সমিতি জানায়, ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি, তবে বেশ কিছু ওষুধের দামে সমন্বয় করা হয়েছে।

ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির জানান, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ২০২৬ সাল থেকে দেশের ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে- এ বিষয়টি তার কাছে অজানা ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে ওষুধের দাম সহজলভ্য করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।




উত্তর গাজায় ৬ শিশুর মৃত্যু, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান ও আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

জাতিসংঘের হিউম্যানেটারিয়ান এজেন্সি জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি।

মূলত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।




সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৮১ জনের নিয়োগ, আবেদন করতে ফি লাগবে ২২৩ টাকা

বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং এর অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানসমূহে ০৭টি পদে ১৮১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

 

প্রতিষ্ঠানের নাম: সিভিল সার্জনের কার্যালয়, বাগেরহাট

চাকরির ধরন: অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। তবে বাগেরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
কর্মস্থল: বাগেরহাট

বয়স: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এই লিঙ্ক এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ বিকেল ০৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: জনকণ্ঠ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪




ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আবারও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি চালান কিনেছে বাংলাদেশ। যা টানা আট মাস বন্ধ ছিল। বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়ার পর গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে দাম কমায় আবারও আমদানি শুরু করছে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

দাম কমায় উন্নয়নশীল দেশগুলো আবারও নিজেদের চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কিনতে সক্ষম হচ্ছে— বাংলাদেশের গ্যাস কেনার বিষয়টি এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য গত সপ্তাহে ‘স্পট মার্কেট’ থেকে বাংলাদেশ এ গ্যাস কিনেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত গ্যাসের দাম প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই বাংলাদেশ গ্যাস কিনল।

যদিও এশিয়ান এলএনজি স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম গত ১০ বছরের মধ্যে চড়া। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের মূল্যহ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি আশীর্বাদই।

কারণ জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা ও জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে সারা দেশে ভাগে ভাগে স্বল্পসময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন (ব্ল্যাকআউট) রাখতে হয়েছে সরকারকে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর গত বছরের জুনে বাংলাদেশ অধিক তরলীকৃত গ্যাস কেনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে কঠোরতার ঘোষণা দেয়।

মূল্য বাড়ার কারণে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যেসব উন্নয়নশীল দেশ আছে সেগুলোও তরলীকৃত গ্যাস কেনা প্রায় বন্ধ করে দেয়। এর বদলে কয়লার মতো কমদামী জ্বালানির দিকে ঝুঁকে দেশগুলো। এছাড়া গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে গ্যাস সরবরাহে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে কিছু দেশ।

ব্লমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আর এ ঋণ পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে ঢাকার সক্ষমতা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্লুমবার্গ।




দুর্গাপুর পৌরসভা উপ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, এবার হিসাব কষার পালা

image-here

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, এবার হিসাব কষার পালা, ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহন ৩ প্রার্থীর মধ্যে যিনি ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন তিনিই হবেন আগামী ৩ বছরের জন্য পৌরপিতা।
ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন,কাকে বাছাই করে নিবেন তারা। যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা মো. আবদুস ছালাম (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রক্তন মেয়র শুভেন্দু সরকার পিন্টু (নারিকেল গাছ) ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (হাতপাখা)।
এদিকে অভিজ্ঞ মহল এবং সাধারন ভোটাররা বলছেন ভোটের লড়াই হবে ত্রি-মুখি । এবার মেয়র নির্বাচিত হবেন খুব কমভোটে।
পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০,৭৮১ জন পুরুষ ভোটার ১০,০৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ১০,৭১৫ জন। এবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ। উল্লেখ্য: গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিন আলাল মৃত্যবরণ করায় শুন্য পদে আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২৩ উপণ্ডনির্বাচন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার উপণ্ডনির্বাচনের ভোট গ্রহন।