আপনাদের দুঃখ-কষ্টে আমরা সমব্যথী: লেবাননবাসীকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইহুদিবাদী ইসরাইলি পাশবিক হামলায় বিপর্যস্ত লেবাননের জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের উদ্দেশ করে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি লেবাননের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন।

বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের থেকে আলাদা নই। আমরা আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি। আমরা একই দেহের অংশ। আমরা আপনাদের বেদনা, কষ্ট এবং ক্লেশের অংশীদার। আপনাদের ব্যথা মানে আমাদের ব্যথা, আপনাদের ভোগান্তি মানে আমাদের ভোগান্তি।”

সর্বোচ্চ নেতার বার্তাটি ইরানের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মেইসাম মুতিয়ি লেবাননবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। গাজা ও লেবাননের অসহায় জনগণের জন্য সম্প্রতি ইরানের পক্ষ থেকে একটি সাহায্যের কাফেলা নিয়ে লেবানন সফর করেন মুতিয়ি।

গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ইরান জুড়ে জনসাধারণের অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সাহায্যের চালান হস্তান্তর করার ক্যাম্পেইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ইরান-ই-হামদেল’ যার আক্ষরিক অর্থে সহানুভূতিশীল ইরান। মেইসাম মুতিয়ি ‘ইরান-ই-হামদেল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্জিত সর্বশেষ সাহায্যের চালান নিয়ে লেবানন সফর করেছেন।

# পার্সটুডে




ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর হলেন চরমোনাই পীরের ভাই অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস পুনর্গঠন করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংস্থাটির বোর্ড অব গভর্নরস নিযুক্ত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য, বরিশালের চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের বড় ভাই মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুনর্গঠিত বোর্ড অব গভর্নরসে পদাধিকার বলে ধর্ম উপদেষ্টা চেয়ারম্যান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পদাধিকার বলে অন্য গভর্নররা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান, ধর্ম সচিব, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এদিকে মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি ছাড়াও দেশের প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ ও প্রাজ্ঞ আলেম ওলামাদের মধ্য থেকে সরকার মনোনীত অন্য গভর্নররা হলেন- চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবেরী, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, পটুয়াখালীর ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পদাধিকার বলে নিযুক্ত গভর্নরসরা ছাড়া অন্য গভর্নরদের মেয়াদকাল এ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে ৩ বছর হবে। তবে ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার বা তাদের স্থলে সরকার নতুন গভর্নর মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি বা তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সরকার প্রয়োজনবোধে যেকোনো সময় পদাধিকার বলে নিযুক্ত গভর্নর ছাড়া অন্যান্য গভর্নর বা গভর্নরদের পরিবর্তন বা তার/তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারবে।




রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ইউক্রেনকে বাইডেনের অনুমতি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।

আমেরিকার দুইজন সরকারি কর্মকর্তা এবং এই সিদ্ধান্তের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম বা এটিএসিএম সরবরাহ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর অনেকটা তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত দিলেন। নির্বাচনে বিজয়ের আগে ও পরে বহুবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ অবসানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থন অব্যাহত নাও রাখতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সূত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেন খুব শিগগিরই দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে পারে।

এদিকে, গতকাল (রোববার) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র তাদের সাথে কথা বলবে’। বহুদিন আগে থেকেই জেলেনস্কি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য আমেরিকাকে চাপ দিয়ে আসছেন।

# সূত্র: পার্সটুডে




না ফেরার দেশে শেরপুরের সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল

মোহনা টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার রাত ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক বকুলের মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম বকুল। শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর দৈনিক মাতৃভূমি ও দৈনিক আমার দেশ-এর শ্রীবরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেলে যোগদান করেন কালের কণ্ঠে।

পাশাপাশি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মোহনা টেলিভিশনে। এছাড়াও তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শ্রীবরদী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) শ্রীবরদী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন নিরহংকার, সহজ-সরল ও একজন চারণ সাংবাদিক। দায়িত্বশীল সংবাদ ও ফিচারের খোঁজে তিনি চষে বেড়াতেন পথে-প্রান্তরে।

শনিবার রাত আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ নেয়ার পথে নকলা এলাকায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




গাজায় একদিনের ইসরাইলি পাশবিকতায় আরো ৪৯ অসহায় ফিলিস্তিনির শাহাদাত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাস্তুহারা অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা থামছেই না। গতকাল (শনিবার) এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার সেনাদের বোমাবর্ষণে অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

কাতারের আল-জাযিরা টিভি জানিয়েছে, মূলত উত্তর গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শনিবার হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে আশ্রয় গ্রহণকারী অসহায় মানুষদের ওপর হামলার ফলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে চালানো ওই হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও অপর ২০ জনেরও বেশি আহত হয়।

এছাড়া, মধ্য গাজার দুই শরণার্থী শিবির আর-বুরেইজ ও আন-নুসেইরাতের কয়েকটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। পাশাপাশি এই উপত্যকায় খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে না দিয়ে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে সংকটময় করে তুলেছে তেল আবিব।

কিন্তু তারপরও ইহুদিবাদী সরকার একথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়েও তারা তাদের গাজা যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারেনি। হামাসকে ধ্বংস করে গাজা থেকে নিজেদের পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ছিল এই উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর পেছনে ইহুদিবাদী সরকারের ঘোষিত দু’টি প্রধান লক্ষ্য।

# পার্সটুডে




দুর্গাপুরে মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করলেন : ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ ও মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, ভাদুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ময়মনসিংহ থেকে হৃদরোগ, চক্ষু সেবা, গাইনী, অর্থোপেডিক্স, ডায়াবেটিস, শিশু রোগ, নাক কান গলা, চর্ম ও মেডিসিন সহ প্রায় ১৫টি রোগের ২৯জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এই মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। পরবর্তিতে প্রায় ২ হাজার গরীব ও দুঃস্থ্য রোগীদের মাঝে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।

এ সময় অন্যদের মাঝে, জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি আলহাজ্ব ঈমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ্, উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া, যুগ্ন-আহবায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল, পৌর বিএনপি‘র আহবায়ক ফরিদ আলী, সদস্য সচিব হারেজ গণি, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাজারুল ইসলাম রিপন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব সম্রাট গনি সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি মাটি ও মানুষের দল। বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের পাশে থেকে রাজনীতি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বাংলার মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, তারই প্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন কর্মসুচী এই বাংলায় আর প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশের স্বার্থে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার, এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলা ও শহরের আনাচে-কানাচে প্রতিটি মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে। বিএনপি সেই রাজনীতির আমুল পরিবর্তন করে, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বিএনপি‘র পক্ষ থেকে জনগণের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারে বিএনপি মানে জনকল্যাণমূলক রাজনীতি, বিএনপি মানে দেশমাতৃকা ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে। বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায়, মানবতার কল্যানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে আসছি।

উল্লেখ্য : গত অক্টোবরে আকস্মিক বন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ, বাড়িতে থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা ও বিনামুল্যে ঔষধ পেয়ে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দুর্গাপুর-কলমাকান্দা এলাকার মানুষের আস্থার প্রতিক, কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।




গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণসাহায্য পৌঁছানোর সুযোগ দিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রধানের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে, বেসামরিক নাগরিকরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত।

স্টিফান ডুজারিক বলেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর অনুরোধ অস্বীকার করে চলেছে। তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের বলে যে, ইসরাইল কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান এবং আল-আওদা হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর অনুরোধ নাকচ করেছে।”

ডুজারিকের মতে, গত সপ্তাহে হাসপাতালে একটি আন্তর্জাতিক জরুরি মেডিকেল টিম মোতায়েনের তিন দফা প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে ইসরাইল।

উত্তর গাজা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে রয়েছে এবং সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। সেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু ইসরাইলি স্নাইপাররা এবং ড্রোন তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।

# সুত্র: পার্সটুডে




ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম ও আরব লীগ-নেতৃবৃন্দ যা বললেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব লীগ ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার জরুরি শীর্ষ বৈঠকে গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি গণহত্যা অভিযান তথা জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের ধ্বংসাত্মক ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।

চলতি সপ্তায় গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের চারশত দিন অতিবাহিত হল। প্রায় অর্ধ লক্ষ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এ আগ্রাসনে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অনুরোধে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ৫৮টি মুসলিম দেশের নেতৃবৃন্দ। এতে অংশ নিয়েছেন ইসলামী ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ রেজা আরেফ, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদসহ আরও অনেক খ্যাতনামা মুসলিম নেতৃবৃন্দ। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ছিলেন এই সম্মেলনের মিজবান।

এই সম্মেলনের সমাপনী বৈঠকের ইশতেহারে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেয়া হয়। এ অঞ্চলের ওপর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে মৌলিক ও রেড-লাইন বা লাল সীমানা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসের ইহুদিকরণ ও সেখানে দখলদারিত্বের ইসরাইলি পদক্ষেপও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ওই ইশতেহারে। ওই ইশতেহারে এটাও বলা হয়েছে যে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব জোরদারের বিষয়ে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য ও অবৈধ এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের নানা ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী।

মুসলিম দেশগুলো গাজায় ও লেবাননে ইসরাইলি সহিংস আচরণ জোরদারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একে নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছে এবং ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এ ছাড়াও হাজার হাজার ফিলিস্তিনির নিখোঁজ হওয়া এবং ইসরাইলি কারাগারগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও তাদের সঙ্গে ইসরাইলের অবমাননাকর আচরণেরও নিন্দা জানানো হয়। আরব ও মুসলিম দেশগুলো এই সম্মেলনে লেবাননের প্রতি পরিপূর্ণ বা সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে এবং দেশটির নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও নাগরিকদের কল্যাণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার কথা ঘোষণা করেছে।

একই ইশতিহার বা বিবৃতিতে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ-বিরতি প্রতিষ্ঠা না হওয়ার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করার পাশাপাশি এ দুই অঞ্চলে যুদ্ধ-বিরতি কার্যকর করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই ইশতেহারে ইসরাইলের সহযোগী সরকারগুলোর দ্বিমুখী নীতির নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে মনে করে ও ইসরাইলকে সহায়তা দিয়ে তারা নিজ নিজ পদক্ষেপগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে অত্যন্ত দুর্বল করেছে ও মানবীয় মূল্যবোধের ব্যাপারেও তাদের বিশেষ বাছাইকৃত নীতি বা পক্ষপাতমূলক অবস্থানকেও স্পষ্ট করেছে।

সম্মিলিত দায়িত্ববোধ

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ রেজা আরেফ এই সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ফিলিস্তিনি ও লেবাননিদের ওপর ইসরাইলের জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধে জাতিসংঘের ও বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং এই ব্যর্থতার জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা কোনো কোনো সরকারের জোরালো সমর্থনকে দায়ী করেছেন।

আরেফ এ বৈঠকে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম ও আরব দেশগুলোকে জোরালো ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাবে এক্ষেত্রে এই দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী –র. বলেছিলেন, মুসলমানরা যদি এক বালতি করে পানি ঢালত তাহলে ইসরাইল ভেসে যেত। তিনি এ ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বিশ্ব-কুদস দিবস প্রবর্তন করেছিলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীও মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরাইলের পরিচালিত ও মার্কিন মদদপুষ্ট গণহত্যাসহ নানা অপরাধ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে এসেছেন। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ না হলে খোদায়ি রহমত, সম্মান ও শত্রুর ওপর বিজয় সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই সম্মেলনে। তিনি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ও অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় মানবীয় সহায়তা পাঠানো নিশ্চিত করারও আহবান জানান।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও এই সম্মেলনে বলেছেন, তার দেশ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন ও দেশটির টিকে থাকা এখন হুমকির মুখে রয়েছে, কারণ ইসরাইল লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেছেন, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত তিন হাজার লেবাননি শহীদ ও ১৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন ও শরণার্থী হয়েছেন ১২ লাখেরও বেশি এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৫০ কোটি ডলার যার মধ্যে রয়েছে এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়া ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কৃষি খাতের মত জীবন ধারণের মৌলিক বা প্রধান খাতগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

গণহত্যায় সহযোগিতা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তা বন্ধের নানা মাধ্যম বা উপকরণ রয়েছে, কিন্তু এসব ব্যবহার না করা হলে তা হবে গণহত্যা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করে যাওয়া। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যদি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বানে সাড়া না দেয় তাহলে আগ্রাসন বন্ধের উপকরণগুলো ব্যবহার করা উচিত। তিনি ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীকে অবৈধ সরকার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন এই অবৈধ সরকার গড়ে উঠেছে একদল নরঘাতক ও অপরাধীকে নিয়ে।

এই সম্মেলনে ইয়েমেনের প্রতিনিধি ও দেশটির রাজনৈতিক উচ্চ পরিষদের প্রধান মাহদি আলমাশাত্ব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সহায়তার পাশাপাশি ইসরাইলের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইসরাইলি নৃশংসতা উপেক্ষা করা হয় ও এমন ও এমন কারো কাছ থেকে এ সংকটের সুরাহার আশা করা হয় যারা ইসরাইলের প্রধান সহযোগী তাহলে সবার জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে।

এই সম্মেলনের মিজবান সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিনি ও লেবাননি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনি সরকারকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান ও আরও বেশি আগ্রাসী পদক্ষেপ না নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।

আরব লীগের মহাসচিব আহমাদ আবুল গ্বাইতও সৌদি যুবরাজের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, শব্দগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা তুলে ধরতে সক্ষম নয়। ইসরাইল গাজার পর লেবাননেও যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়ায় এর নিন্দা জানান জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের ট্র্যাজেডি অসহনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ফিলিস্তিনে মানবীয় সহায়তা পাঠানোর ওপর জোর দেন।

আন্তর্জাতিক আরবিয় ও ইসলামী জোট গড়ার আহ্বান

এ সম্মেলন উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আরবিয় ও ইসলামী জোট গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।

# পার্সটুডে




ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার ও বাকস্বাধীনতার : প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তরুণরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণদের উদ্যোগেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।

শনিবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সভ্যতা আমাদের ব্যর্থতার মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যা শুধু পরিবেশের ক্ষতিই করেনি, মুনাফার পেছনে মানুষের অন্ধ দৌড়ও এর জন্য দায়ী। আসুন, আমরা একটি নতুন সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরো মডেলের ভিত্তিতে, যেখানে সম্পদ কুক্ষিগত থাকবে না এবং সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।

বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট ঘুরে দেখুন। তরুণদের অন্তরের ভাষা বুঝতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই- নতুন একটি বিশ্ব গড়ার চিন্তা করুন, যেমনভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের শিখিয়েছেন একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে।

দেশের লাখ লাখ মানুষ আজ পরিবর্তন চায় দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাই এ বছরের সংলাপের থিম ‘এক বিভক্ত পৃথিবী’। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি সমস্যার সমাধান রয়েছে, যদি আমরা ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাই।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন।




‘ইসরাইলের সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তুরস্ক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দাবি করেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে তার দেশ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবং লেবাননে ইসরাইল যে গণহত্যা ও রক্তক্ষয়ী বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে তুরস্ক এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

সৌদি আরব এবং আজারবাইজান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বসেন তুর্কি নেতা। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন তুর্কি প্রশাসন ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে না। তুরস্কের ক্ষমতাসীন জোট এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এই অবস্থান ভবিষ্যতেও ধরে রাখবে।

এরদোগানের উদ্ধৃতি দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের শক্ত জবাব দিয়েছে তুরস্ক। পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রীকে গণহত্যার বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য এরদোগান তার ক্ষমতার ভেতরে থেকে সবকিছু করবেন বলেও জানান।

ইসরাইলে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ যে সমস্ত অস্ত্রের চালান পাঠাচ্ছে সে ব্যাপারেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলে অস্ত্রের চালান পাঠানো অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ ইসরাইল আরও বেশি আগ্রাসী হবে এবং ফিলিস্তিন ও লেবাননের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর থেকে তেল আবিবের সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তুরস্কের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানামুখী সমালোচনা রয়েছে। ইসরাইলের সাথে তুরস্ক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করেনি। গত মে মাসে গাজা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া, ইসরাইলে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয় কিন্তু তেল আবিবে তুরস্কের দূতাবাস এখনো চালু রয়েছে।

# পার্সটুডে