আইসিজেতে গণহত্যা মামলায় ইসরাইলের বিপক্ষে যোগ দিচ্ছে তুরস্ক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে’র দ্বারস্থ হবে তুরস্ক।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গতকাল (মঙ্গলবার) জানিয়েছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় যে গণহত্যা চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আংকারা। চলতি মাসের প্রথম দিকেও ফিদান বলেছিলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের মামলার পক্ষে তার দেশ যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

রাজধানী আঙ্কারায় গতকাল অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ৭ অক্টোবর বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই কিন্তু ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একটি সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে দেয়া মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যার চেষ্টা এবং গণহত্যার বহিঃপ্রকাশ।”

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার পক্ষে তুরস্কের এই অবস্থান ঘোষণার আগে মিশর, লিবিয়া এবং কলম্বিয়া একই ঘোষণা দিয়েছে।#

পার্সটুডে




এ পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে ১৫০০ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ১৫০০ দখলদার সেনা নিহত হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত দখলদার সেনাদের সংখ্যা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিনা তা পরিষ্কার করেননি হিজবুল্লাহ মহাসচিব।

গতকাল (সোমবার) হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোস্তফা বদরুদ্দিনের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেন হাসান নাসরুল্লাহ। ২০১৬ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলায় শহীদ হন মোস্তফা বদরুদ্দীন।

গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধা এবং হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলায় হতাহত ইসরাইলি সেনাদের কথা গোপন রাখে বর্ণবাদী সরকার।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব তার বক্তৃতায় আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলেও ইহুদিবাদী ইসরাইল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।#

পার্সটুডে/




ইসরাইলের নিরাপদ জোনের দাবি মিথ্যা, গাজার কোথাও নিরাপদ স্থান নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরাপদ জোন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দাবি করছে তা মিথ্যা। সংস্থাটি বলছে, প্রকৃত সত্য হলো এই যে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার কোথাও কোনো নিরাপদ এলাকা নেই।

আনরোয়া পরিষ্কার করে বলেছে, গাজার উদ্বাস্তু মানুষের জন্য নিরাপদ জোনের ব্যাপারে ইসরাইল যে দাবি করছে তা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

গতকাল (রোববার) সামাজিক মাধ্যম এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লজ্জারিনি এসব কথা বলেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল আগ্রাসনের মধ্যদিয়ে দখলার ইসরাইল নির্বিচারে গাজার সাধারণ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে সমস্ত গাজা থাকে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি যখন ছোট্ট শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছে তখন সেখানে আগ্রাসন শুরু করেছে বর্ণবাদী ইসরাইল। জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন যে, রাফায় আগ্রাসন শুরুর কারণে প্রকৃতপক্ষে গাজা উপত্যকায় এখন কোথাও কোনো নিরাপদ অঞ্চল আর অবশিষ্ট নেই।#

পার্সটুডে




হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হজ যাত্রীদের সবাই যাতে পবিত্র হজ পালন করতে পারেন সেজন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার সকালে গণভবনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন, সৌদি আরবের উচিত হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো যাতে, তারা পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, যে সব হজ যাত্রী এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পান নি তাদের ভিসা প্রদানের উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

ফিলিস্তিন ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য আরেকটি চালান প্রস্তুত করছে এবং ইতোমধ্যে তার দেশ দুইবার সহায়তা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনের সাথে রয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ছিলেন।




৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচশত ফিলিস্তিনি ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মী শহীদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫০০ ডাক্তার এবং চিকিৎসাকর্মী শহীদ হয়েছেন। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল (রোববার) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে ৫০০ ডাক্তার  ও চিকিৎসাকর্মী ইসরাইল বর্বরতায় শহীদ হয়েছেন তার মধ্যে ১৩৮ জন নার্স রয়েছেন। বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেখানকার ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মী এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল এ পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সেখানকার হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে চলেছে। বর্বর ইসরাইলি সেনারা শুধুমাত্র ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদেরকেই হত্যা করছে না বরং তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী এবং আশ্রয় নিয়া ব্যক্তিদেরকেও হত্যা করছে।

চলতি মাসের ২ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল এ পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর অন্তত ৪৪৩টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।#

পার্সটুডে




ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ২৮ জনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘এখানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আমরা এখনো নিখোঁজ আরো চারজনকে খুঁজছি।’

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বন্যা তানাহ দাতার অঞ্চলে কাদা নিয়ে এসেছে। বন্যার প্রভাব পাঁচটি উপজেলায় পড়েছে। ৮৪টি আবাসন ইউনিট এবং ১৬টি সেতু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের একটি দল হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে। ট্যুর গ্রুপ বিডি নামে ওই দলের সদস্যরা নেপালের থুরং-লা গিরিপথে ওঠার পর ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান দেন।

সুউচ্চ থুরং-লা গিরিপথের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪১৬ মিটার। সেখানে পৌঁছাতে ১০ দিনের কঠিন পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়।গিরিপথে প্রথম প্রথম ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ান মো. সোলাইমান ও তামিম মুনতাসির। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলনেতা রাহি রাফসান।  মুনতাসির বলেন, তারা ফিলিস্তিনের পতাকা সঙ্গে নিয়ে যান। তারা গিরিপথটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ‘অন্নপূর্ণা’ সার্কিট ট্র্যাকের শেষ দিনে পতাকাটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা ইসরায়েলের বড় একটি পর্বতারোহী দলের সামনেই পতাকাটি ওড়াতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের পতাকা ওড়ানো এবং স্লোগান আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

সোলাইমান উল্লেখ করেন, পতাকা ওড়ানোর সঙ্গে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দেখে ইসরায়েলি দলটিকে খুব রাগান্বিত এবং হতাশ মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, এমনকি ইসরায়েলি পর্বতারোহী দলের একজন রেগে আমাদের দিকে আসেন। তবে তাদের দলের আরেকজন তাকে থামিয়ে দেন।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলি ভ্রমণকারী ও পর্যটকরা ক্রমবর্ধমানভাবে বাজে পরিস্থিতি এবং কখনো কখনো বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

স্টিভেন সোচোচেটের নামে ইসরায়েলের এক পর্বতারোহী নেপালের কিছু স্থানে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। থুরং-লা ওঠার পথে তাকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আরেক ইসরায়েলি সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছিল।

সোচোচেট দৃঢ়ভাবে বলছিলেন যে এটিকে আর যুদ্ধ বলা যাবে না, কারণ ইসরায়েল মূলত পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তার দলের অন্য সঙ্গী বলছিলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষা এবং হামাসের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আছে।

ট্যুর গ্রুপ বিডির দলনেতা রাফসান ইসরায়েলি সোচোচেটের সঙ্গেই পর্বতারোহণে ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি এ পর্বতারোহীর অবস্থান দেখে বিস্মিত হন।

রাফসান বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ইসরায়েলি এক নাগরিক এমনটি বলছেন। তখন আমি বুঝতে পারি, যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানাবেন। অবশ্যই ইসরায়েলে বিবেকবান মানুষ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জানি না, আমি জানি না, সংহতি প্রকাশ কিংবা ইসরায়েলি জনগণকে লজ্জা দেওয়া এ গণহত্যা বন্ধ করবে কি না। কিন্তু এটি অন্তত আমরা করতে পারি।

সূত্র: আনাদোলুর




ইসরাইলি হামলায় আহত এক পণবন্দির মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে আটক একজন ইহুদিবাদী পণবন্দি ইসরাইলি বিমান হামলায় আহত হয়ে পরে মারা গেছে। হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড শনিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ৫১ বছর বয়সি পণবন্দি নাদাভ পপেলওয়েল প্রায় এক মাস আগে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আহত হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দখলদার সেনারা গাজার হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে সেগুলো অকেজো করে দেয়ার কারণে আহত নাদাভকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি; যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালায় এবং প্রায় ২৫০ ইহুদিবাদীকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে।

এরপর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইসরাইলের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তিতে ১০৫ পণবন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস।  গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি চুক্তিতে সম্মত হয় যার ভিত্তিতে গাজা যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রস্তাবিত ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।

নাদাভের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর হামাসের আটক পণবন্দিদের পরিবারবর্গের সদস্যরা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  তারা বলেছেন, “আমাদের নষ্ট করার মতো একটি মুহূর্তও হাতে নেই! তাদের মুক্ত করে আনার জন্য অবিলম্বে আপনাকে চুক্তি করতে হবে।” এছাড়া, শনিবার রাতে তেল আবিব ও অধিকৃত আল-কুদস জেরুজালেম শহরে পণবন্দিদের শত শত আত্মীয় বিক্ষোভ করেছেন। #

পার্সটুডে




ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সমর্থন করেছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টি অনুকূলভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশ করেছে।

শুক্রবার (১০ মে) ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোট হয়।

ফিলিস্তিনের সদস্যপদ পাওয়ার প্রস্তাবে ১৪৩টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশও ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সাধারণ পরিষদের এ ভোট অবশ্য জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয় না, তবে দেশটি যোগদানের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে স্বীকৃতি দেয়।
ভোটের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে বলেন, প্রস্তাবে হ্যাঁ বলা-ই হবে সঠিক কাজ। আমি আশ্বস্ত করছি, এ অন্ধকার সময়ে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও শান্তির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আগামীতে আপনি ও আপনার দেশ গর্ব বোধ করবেন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, প্রস্তাব পাস হওয়ায় এটি দেখা গেছে যে, বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে, ইসরায়েলের দখলদারত্বের বিপক্ষে।

আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, আমি মনে করি, কৌশলগতভাবে বলতে গেলে এটি (ভোট) গাজায় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছে না। এটি অনেকটাই প্রতীকী। বিশ্ব পরিমণ্ডলে মর্যাদা অর্জনের জন্য এটি ফিলিস্তিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ভোটের নিন্দা জানান এবং বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাচ্ছে।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদনে প্রথমে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে। এরপর সেই আবেদন আবার সাধারণ পরিষদে পাস হতে হবে।




যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজডেস্ক :

যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম এবং অন্য কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে সেখানকার ক্ষুব্ধ জনগণ। হামাসের দেয়া শর্ত মেনে নিয়ে গাজা থেকে বন্দী আত্মীয়স্বজনকে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তারা।

ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তারা বলেছে, বন্দীদেরকে নেতানিয়াহু সরকার ত্যাগ করেছে এবং এজন্য তারা কাতার ও মিশরের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়নি। অথচ হামাস ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরুদ্ধ করার পর অন্তত দুই দফায় পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ড্রাম বাজিয়ে, সিংগা ফুকিয়ে এবং মশাল জেলে পুলিশকে উপেক্ষা করে। এ সময় তাদের হাতে নেতানিয়াহুর রক্তমাখা মুখমণ্ডল সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়ার সময় হয়েছে, এখন যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেই হবে। গাজায় হামাসের হাতে প্রায় ১৬০ জন বন্দী রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রবেশপথও অবরুদ্ধ করে। তারা রাফাহ শহরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লোকজন আটকের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি তবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

গতকাল হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিয়েছে কিন্তু ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনেকটা একগুঁয়েমির বশে সে চুক্তি গ্রহণ করতে রাজি হননি।#

পার্সটুডে