একাত্তরের প্রশ্নের সমাধান করতে চাই: নাহিদকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সাথে রোববার সচিবালয়ে তার দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা ১৯৭১-এর প্রশ্নটিকে সমাধান করতে চাই। কিন্তু বিগত সরকার আমাদেরকে আলোচনার কোনো সুযোগ দেয়নি এবং ইচ্ছে করেই ৭১ ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখত। চাইলে বহু আগেই এটির সমাধান করা যেত। আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী।’

এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭১ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আওয়ামী লীগের আদর্শে ১৯৭১ ছিল ‘ইতিহাসের শেষ অধ্যায়’। কিন্তু আমরা মনে করি এটি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। ১৯৪৭ বা পাকিস্তান আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হতো না। আমরা পাকিস্তানের সাথে ৭১-এর প্রশ্নটিকে সমাধান করতে চাই। একটি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আমাদের পরস্পরের সাথে সম্পর্ক মজবুত করা প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে যেকোনো দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।’

তিনি বলেন, উপনিবেশবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে পাকিস্তান আন্দোলন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের জনগণের দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।

ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও পাকিস্তানের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের গভীর বন্ধন রয়েছে। যদিও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বাংলাদেশকে বিশেষত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি চ্যানেল দেখা যায় না সে বিষয়ে হাইকমিশনার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পাকিস্তান হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং অন্তর্র্বতী সরকারকে সমর্থন করে।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দু’দেশই খুব ভালো করছে। তাই এক্ষেত্রে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।

পাকিস্তান হাইকমিশনার বন্যা দুর্গতদের জন্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিলে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপাতত সাহায্যের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে তখন জানানো হবে।

হাইকমিশনার বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে গত ১৫ বছর তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে বিশেষ করে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে এবং এয়ারপোর্টে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় স্বার্থে আমরা একাত্তরের বিষয়গুলো সমাধান করে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।

বৈঠকে মিডিয়া, ক্রীড়া, যুব ও সংস্কৃতি এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

হাইকমিশনার পাকস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অভিনন্দন জানান এবং সিরিজ হেরে যাবেন বলেও আশঙ্কা করেন।

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগে এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের উদ্যোগে কাওয়ালী গানের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান হাইকমিশনার।

পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আলোচনা শেষ হয়।

সাক্ষাৎকালে কাউন্সিলর কামরান দাঙ্গাল, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জায়িন আজিজ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস




আল-খলিলের কাছে পাল্টা গুলিতে তিন ইসরাইলি পুলিশ নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের আল-খলিল শহরের কাছে পাল্টা হামলায় অন্তত তিন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হয়েছে।

আজ (রোববার) সকালে তারকুমিয়া শহরের চেকপয়েন্টের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দুই কর্মকর্তা নিহত হয় এবং তৃতীয়জন পরে হাসপাতালে মারা যায়।

ইসরাইলের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ৩৫ নং রুটে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং দখলদার বাহিনী বন্দুকধারীদের তাড়া করে।

ইসরাইলি মিডিয়ার তথ্য মতে, বন্দুকধারীরা পুলিশের গাড়ি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় ওই গাড়িতে গুলি চালায় এবং তারা পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

অধিকৃত ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে পশ্চিম তীরে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখন এই তিন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।

গত বুধবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে “গ্রীষ্মকালীন অভিযান” নামে ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। চারদিনের টানা আগ্রাসনে অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং অনেকে আহত হয়েছেন।#

পার্সটুডে




গাজায় আরো দুই ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো দুই সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরাইলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (শনিবার) মধ্য গাজার একটি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এই দুই রিজার্ভ সেনা নিহত হয়। নিহতদের একজন হচ্ছে লজিস্টিক অফিসার ইয়োতাম ইজ্জাক পেলেত এবং অন্যজন ট্রাক চালক মোরদেশাই ইয়োসেফ বেন শোয়াম।

ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, পেলেত গাজা শহরের দক্ষিণে জেইতুন এলাকার আশপাশে সৈন্যদের সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য একটি বহুরের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আর বেন শোয়াম ছিল সরবরাহ বহরের অন্যতম ট্রাক চালক। মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরে অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে তারা নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়।  ইসরাইল সরকার বলছে, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই দুই সেনার মৃত্যুতে তাদের সামরিক প্রাণহানির সংখ্যা ৩৩৪-এ পৌঁছেছে।#

সূত্র : পার্সটুডে




ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত; কিয়েভকে বেলারুশের হুঁশিয়ারি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে, রাশিয়ার হাতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত, ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠা, কিয়েভে বড় ধরনের কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে কিয়েভের প্রতি বেলারুশের হুঁশিয়ারি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটি ইউক্রেনের বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনিবার রাতে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনের ৩২টি ড্রোন ও চারটি ট্যাকটিক্যাল ‘তুচকা-ইউ’ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সেনা কমান্ডার অ্যালেক্সি স্মিরনোভ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সাদা আল-বালাদ জানিয়েছে, কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে যাচ্ছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়ার কিছুক্ষণ পর দেশটির রাজধানীতে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এ সম্পর্কে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ড তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা করেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ঘোষণা করেছে, রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ করা যায়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে এক নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর রাশিয়া পাল্টা হামলা শুরু করছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্কে ইউক্রেনের হামলাকে ‘বড় ধরনের উস্কানিমূলক হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

আরেকটি খবর হচ্ছে, বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, কিয়েভ যদি মিনস্কের বিরুদ্ধে বেপরোয়া নীতি চালিয়ে যায় তাহলে বেলারুশ মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।

ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন বেলারুশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর ওই হুঁশিয়ারি দিল মিনস্ক। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।

বেলারুশের আকাশসীমায় ইউক্রেনের অন্তত ১২টি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো খবর দেয়ার পর ইউক্রেনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত থাকলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কেবল বাড়িয়েই তুলবে।

এদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালানোর পর বেলারুশ তার ইউক্রেন সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে। #

পার্সটুডে




যুদ্ধ শুরু হলে দখলদার সেনারা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে: হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে তাহলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা মারাত্মক ধ্বংসাত্মক জবাব দেবে এবং দখলদার সেনারা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

হাসান নাসরুল্লাহ গতকাল (বুধবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শোকাবহ আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন। তিনি বলেন, “যদি আপনাদের ট্যাংক লেবাননে কিংবা দক্ষিণ লেবাননে আসে তাহলে কোনো ট্যাংক আস্ত ফেরত যাবে না।”
গত অক্টোবর মাস থেকে ইসরাইল এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যখন স্থল আগ্রাসন শুরু করে তারপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অভিযানে কিভাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার একটি বিবরণ তুলে ধরেন হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি জানান, হিজবুল্লাহর অভিযানে এ পর্যন্ত ইসরাইলের ৯,২৫৪ জন হতাহত হয়েছে যার মধ্যে অনেক কর্মকর্তা এবং সাধারণ সৈনিক রয়েছে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর অভিযানে ৩,০০০ পঙ্গু হয়েছে, ৬৫০ জন প্যারালাইজড হয়েছে, ১৮৫ জন সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার সেনা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত লেবাননে আমাদের ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে।”
এর পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের নতুন নতুন অবৈধ ইহুদি বসতিতে হামলা হতে পারে যেসব অবৈধ বসতি এর আগে হামলার বাইরে ছিল।#
পার্সটুডে




ইসরাইলি জাহাজে ইয়েমেনের নতুন হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী নতুন করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বাণিজ্যিক জাহাজ এবং সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-মাউয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনারা সম্প্রতি যে গণহত্যা চালিয়েছে তার জবাবে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি জাহাজ ও সামরিক অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

জেনারেল সারি বলেন, এডেন উপসাগরে ‘এমএসসি ইউনিফিক’ নামে ইসরাইলের একটি জাহাজে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী যৌথভাবে ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। দ্বিতীয় অভিযানে ইসরাইলের ভেতরে কয়েকটি সামরিক অবস্থানে সেনারা ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের দক্ষিণে উম্মুল রাশরাশ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয় বলে তিনি জানান এবং সফলভাবে হামলার লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার দাবি করেন।

জেনারেল সারি সতর্ক করে বলেন, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে ইসরাইলি অবরোধ প্রত্যাহার এবং সেখানে বর্বর আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকবে। একই সাথে জেনারেল সারি ফিলিস্তিনিদের জন্য সমস্ত আরব এবং মুসলিম দেশের সামরিক বাহিনীকে তাদের ধর্মীয়, নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।#

পার্সটুডে




গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্টই দায়ী।

শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।

আব্বাস বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েলি সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও। কারণ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে মিত্র রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেখানেই এই নৃশৃংশ হামলা করা হলো।

তবে দখলদার ইসরায়েলের দাবি, বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

 সূত্র: জিও নিউজ




স্ত্রীসহ ইমরান খানকে খালাস দিল পাকিস্তানের আদালত; তবে মুক্তি মেলেনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বেআইনিভাবে বিয়ে করার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ইসলামাবাদের একটি আদালত খালাস দিয়েছে। তবে তারা দুজনই এখনো কারাগারে রয়েছেন।

ইসলামী শরীয়া আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন -এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাকিস্তানের আদালত তাদেরকে সাত বছর করে জেল দিয়েছিল। সেই মামলায় গতকাল তারা দুজনই খালাস পেয়েছেন।

ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফজাল মাজোকা গতকাল (শনিবার) মামলা থেকে খালাস দেয়ার জন্য ইমরান খান দম্পতির আবেদন গ্রহণ করেন।

এর আগে গত তিন ফেব্রুয়ারি ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে কারাদণ্ড দিয়েছিল পাক আদালত। তবে তারা দুজনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ইমরান খান বরাবরই বলছেন, তার বিরুদ্ধে যত মামলা দায়ের করা হয়েছে তার সবই মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য সামরিক নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করেছে।

গতকাল মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল- ইমরান খান ও তার স্ত্রীর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই কিন্তু পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বা পিটিআই দলের মুখপাত্র আহমেদ জানজুয়া বলছেন, তারা দুজন এখনো কারাগারে থাকবেন।

জানজুয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “পূর্ব লাহোরের আরেকটি আদালত ২০২৩ সালের মে মাসে দাঙ্গা উসকে দেয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন দিয়েছে। এটি মূলত “অবৈধ কারাবাস দীর্ঘায়িত করার একটি কৌশল।”#

পার্সটুডে




গুলিতে আহত ট্রাম্প, মারা গেছেন বন্দুকধারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গিয়ে গুলিতে আহত রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে বলে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তার কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।

এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছে।’

গুলিতে নিহত তার সমর্থকের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে গুলিতে যিনি নিহত হয়েছেন তার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাই। গুরুতর আহত আরেকজনের পরিবারের প্রতিও আমি সমবেদনা জানাই।’




৭ অক্টোবরের ঘটনায় বেশিরভাগ ইসরাইলি নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলে বসবাসকারী লোকজনের বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ইরাইল-বিরোধী অভিযানের ঘটনায় নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। নতুন এক জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জনমত জরিপের এই ফলাফল গতকাল (শুক্রবার) ইসরাইলের চ্যানেল টুয়েলভ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেয়া লোকজনের শতকরা ৭২ ভাগ মানুষ বলেছে- প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। এরমধ্যে ৪৪ ভাগ বলেছে নেতানিয়াহুর দ্রুত ক্ষমতা ছাড়া উচিত; আর শতকরা ২৮ ভাগ বলেছে- গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নেতানিয়াহর পদত্যাগ করা উচিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে অভিযান চালানোর পর বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে নিয়ে যায় হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ওইদিন থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হলেও প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ, যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে।

৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতাকে ইসরাইলের গণমাধ্যম ভয়াবহ গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলা মোকাবেলার ব্যর্থতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। তবে নেতানিয়াহু এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন তদন্তের সময় নয় বরং যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর এটি করা যাবে।

ইসরাইলের ভেতরের এবং বাইরের বহু বিশ্লেষক বলছেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখা ও বিচার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি চাইছেন না; এ ব্যাপো কোনো তদন্তও করতে দিচ্ছেন না।#

পার্সটুডে