খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি সৈন্য নিহত; গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদকারী ইসরাইলি ডাক্তারদের তলব

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলকে হতাহত করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: গত বুধবার, এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা খান ইউনুস শহরের দক্ষিণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তিনটি D9 সাঁজোয়া বুলডোজারকে অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, একই এলাকায় একটি পৃথক অভিযানে, কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা একটি শত্রু সামরিক ইউনিটকে একটি ফাঁদে আটকে থাকা সুড়ঙ্গ খোলার জন্য প্রলুব্ধ করতে সফল হয়েছিল। বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্য সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার সাথে সাথে একের পর এক বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে তাদের বেশ কয়েকজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবারও, কায়জান আল-নাজ্জার এলাকায় আরও তিনটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বুলডোজারকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে একটি “ইয়াসিন ১০৫” ক্ষেপণাস্ত্র, একটি “শাওয়াজ” বোমা এবং একটি ব্যারেল বোমা।

অন্য খবরে, ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ইসরাইলের সেনাবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করে একটি আবেদনে স্বাক্ষরকারী সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন রিজার্ভ ডাক্তারকে সামরিক কমান্ডারদের সাথে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠায়।

ইসরাইলে প্রকাশিত দৈনিক “হারেৎজ”, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে সামরিক কমান্ডাররা এই বৈঠকে স্বাক্ষরকারীদেরকে তাদের স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন এবং তাদের যুদ্ধ না করার এ পদক্ষেপকে “অবৈধ” বলে বর্ণনা করেছেন।

বিমান বাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তার হারেৎজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: “আমি চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয় পাই না।” যা ঘটছে তা হলো কিছু রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন।

গত মঙ্গলবার আরেকটি দৈনিক “ইসরায়েল হায়োম” লিখেছে যে ৩,০০০ ইসরাইলি শিক্ষা কর্মী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া, ইসরাইলের ২০০ বন্দী পরিবার এবং মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধবন্দীরা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছে।

এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দুটি আবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেগুলোতে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন।

একটি আবেদনপত্র তৈরি এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন সাইবার ইউনিটের যোদ্ধারা এবং অন্যটি করেছেন ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা “আমান”-এর বিশেষ অপারেশন ইউনিটের অভিজ্ঞ সদস্যরা।

অন্যদিকে, ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে যে সরকারের নৌবাহিনীর ৪৫০ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা অবিলম্বে যুদ্ধ অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এই পদক্ষেপ এমন এক পরিস্থিতিতে নেওয়া হয়েছে যেখানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া এবং এর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা বিশেষ করে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইলের ভেতরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।সূত্র: পার্সটুডে




গাজায় ৪১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে অন্তত ৪১২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। দখলদার সেনাবাহিনী শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঘোষণা করেছে, উত্তর গাজায় যুদ্ধের সময় একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সৈন্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১২ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার নিহত সৈনিকের নাম গালেব স্লিমান আল-নাসাসরা। তিনি সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। গত ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েল পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর উপত্যকায় এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন।

নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় শনিবার গাজাজুড়ে আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন বহুসংখ্যক মানুষ।

আল জাজিরা বলছে, শনিবারও দিনজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য চুক্তির দাবি জানানোর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




কলকাতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশে মমতার বার্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইমামদের একটা ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি কিন্তু খুঁজে বার করব সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে এবং কিছু বাচ্চা ছেলেকে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ইঁট ছুঁড়িয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশের কথা একাধিকবার টেনে এনেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? আপনি ইউনূসের সঙ্গে গোপন মিটিং করুন, চুক্তি করুন। দেশের ভালো হলে খুশি হবো। কিন্তু আপনাদের প্ল্যানিংটা কী? কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা?

মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ভাষণের যে লাইভ দেখানো হয়েছে, সেখানেই এই প্রসঙ্গগুলো আছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলের একটি পোস্টের প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, কাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি, হোম মিনিস্ট্রির সোর্স কোট করে বলেছে যে- ইসমে বাংলাদেশ কা হাথ হ্যায়।
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যের শেষ অংশটি হিন্দিতে, যার অর্থ হলো- ‘এতে বাংলাদেশের হাত আছে’।

এর পরেই তিনি বলেন, যদি এই সহিংসতায় বাংলাদেশের হাত থাকে, তাহলে তার দায় তো কেন্দ্র সরকারের। সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। রাজ্যের হাত নেই এতে।

মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা এবং বিএসএফের দায় নিয়ে এই একই কথা ভাষণের শেষ দিকে আরও একবার বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের সংশোধনি নিয়ে প্রথম দফায় গত মঙ্গল ও বুধবার এবং দ্বিতীয় দফায় শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী সুতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়েছিল। ওই সহিংসতার জেরে শনিবার তিনজনের মৃ্ত্যু হয়েছিল – যাদের দুজন হিন্দু ও একজন মুসলমান বলে রাজ্য পুলিশ জানায়।




ইয়েমেন পিছু হটবে না: ওয়াশিংটনের ভুল স্বীকার করে নিউজউইকের প্রতিবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

একটি মার্কিন সংবাদপত্র এক নিবন্ধে ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে।

পার্সটুডের মতে,আমেরিকার সংবাদপত্রটি একটি প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে যে,প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান আক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ওয়াশিংটনের আক্রমণ বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে অমান্য করে চলেছে এবং ইসরাইল এবং লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।”

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক মাস আগে ১৫ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আক্রমণ শুরু করে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার কর্তৃক সংগৃহীত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) থেকে প্রাপ্ত তথ্য উদ্ধৃত করে নিউজউইক লিখেছে যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং সেইসঙ্গে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন যেটি ১০ এপ্রিল হ্যারি এস. ট্রুম্যানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল সেখান থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন অবকাঠামোগুলোতে প্রতিদিন কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে, এসব হামলায় ইয়েমেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে  পিছু হটার খুব কম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।” নিউজউইক আরও লিখেছে,  ‘গত রোববারসহ  সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইয়েমেনিরা তেল আবিব এবং ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চলে অসংখ্য সফল ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছে’। #

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতের উত্তরাখণ্ডে বন্ধ করে দেয়া হল আরও ৭ মাদ্রাসা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল অভিযোগে রোববার (১৩ এপ্রিল) হলদোয়ানির কর্মকর্তারা কমপক্ষে সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

যদিও দ্য সিয়াসাত ডেইলি ও মুসলিম মিরর বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তরাখণ্ডজুড়ে কমপক্ষে ১৭০টি মাদ্রাসা সিল করে দেয়া হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলও।

প্রতিবেদন মতে, জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে।

এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। দাবি করা হচ্ছে, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিলগালা করা হয়েছে।

হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদরাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।

গত ২৬ মার্চ উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদরাসা রয়েছে, যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদরাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।




মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ৮৫ বছর বয়সে দেশের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সংবাদটি তার জামাতার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জামাতা আল্লাহর কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তাকে সৎকর্মশীলদের মধ্যে স্থান দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ১৯৯৩ সালে পেনাংয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের পর এই পদে আসীন হন। তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করে।

তার মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আব্দুল্লাহ আল বাদাবীর অবদান ও নেতৃত্বের জন্য তাকে স্মরণ করা হবে।




যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে বন্দী মুক্তি দিতে রাজি দেবে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সমস্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মিশর এবং কাতারের সঙ্গে কায়রোতে আলোচনা চলছে হামাসের।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেন, ‘একটি গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা বাধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়। বরং সমস্যাটি হলো দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদার ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবের অধীনে, হামাস ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে এবং মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনায় প্রবেশ করবে।

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে একাধিক ধাপে বন্দী বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পর ইসরায়েল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন আক্রমণ শুরু করে।

ইসরায়েলি বিরোধী রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং বন্দীদের পরিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ  আন্ত: ডেস্ক:

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




পরোক্ষ আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল: আরব বিশ্লেষক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আরব বিশ্বের একজন সিনিয়র বিশ্লেষক ওমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পরোক্ষ আলোচনার জন্য তেহরানের অনড় অবস্থানকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল বলে মনে করছেন।

আরব বিশ্বের সিনিয়র বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতওয়ান শনিবার রাই আল-ইয়াওম ওয়েবসাইটে লেখা এক নিবন্ধে ওই মন্তব্য করেন। ওমানে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত নিবন্ধে তিনি আরও লিখেছেন: ওমানের রাজধানী মাস্কাটে শনিবার শুরু হওয়া ‘ইচ্ছার যুদ্ধ’ খেলায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি বড় গোল করতে সফল হয়েছে।

পার্সটুডে আরও জানায় আতওয়ান আরও বলেছেন: আলোচনার ‘পরোক্ষ’ প্রকৃতির ওপর জোর দিয়েই ওই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পরোক্ষ আলোচনার বিষয়টি আমেরিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে, তারা ‘সরাসরি’ আলোচনা করতে চেয়েছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এটা এমন একটি বিবৃতি ছিল যা নেতানিয়াহুকে অবাক করেছে এমনকি হতবাকও করেছে।

আরব এই বিশ্লেষক বলেছেন: ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে আমেরিকার প্রতিনিধিদল দুর্বল এবং ভঙ্গুর এক অবস্থানে থেকে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে বিশ্বের ২০০ টিরও বেশি দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ওপর শুল্ক আরোপে মার্কিন নীতির ব্যর্থতার পর-যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এমনকি বিশেষ করে ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান) তাদের মিত্ররাও নতুন শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ইরানিরা অভিজ্ঞ কূটনীতিক আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বে ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আরাকচি, যিনি ২০১৫ সালেও ৫+১ গ্রুপের সাথে পরমাণু চুক্তির আলোচনায় অভিজ্ঞতা এবং আলোচনার কৌশলে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের নীতির কাছে নতি স্বীকার করেন নি তারা। উল্টো বরং তাদের সমস্ত শর্ত আমেরিকার ওপর চাপিয়ে দিতে সফল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ড্রোন, কিংবা গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সাথে সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো উত্থাপন না করা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ইরানের শর্তগুলো মেনে নিয়েই আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হয়েছে।

আরব বিশ্বের এই অভিজ্ঞ বিশ্লেষক সর্বাত্মক সামরিক হামলার হুমকি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার কারণ হিসেবে আমেরিকার সাথে লড়াইয়ে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানের দৃঢ় অবস্থানকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন: ইরানিরা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না। কারণ তিনি ২০১৮ সালে একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ইরানিরা খুব ভালো করেই জানে যে ট্রাম্প ইসরা‌ইল সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বের প্রথম মাসগুলোতে আমেরিকা বিশ্ব মঞ্চে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছিল। বলা বাহুল্য যে ইরান এবং তার মিত্ররা এখন ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পেরে খুশি এবং আনন্দিত। প্রবাদে যেমনটি বলা হয়েছে: শেষ হাসি হাসে যে, সে সবচেয়ে ভালো হাসে…। ভবিষ্যৎই বলে দেবে এই যুদ্ধে আসল বিজয়ী কে।# পার্সটুডে