ফিলিস্তিনি শিশুদের ১০ লাখ ডলার অনুদান দুই মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ। সম্পর্কে তারা দুই বোন। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব তারা। ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছে এই দুই বোন। এ জন্য ক্যারিয়ারে তাদেরকে পড়তে হয়েছে নানান বিপত্তিতে। এ ছাড়া তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়ে গেছে ইসরায়েল।

কিন্তু কোনো হুমকি-ধামকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১০ লাখ ডলারের অনুদান পাঠিয়েছেন এই সহদোর মডেল।

দ্য হলিউড রিপোর্টের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য দুই বোন এই অনুদান পাঠিয়েছেন। যা পাঠানো হবে চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।

দাতব্য ওই সংস্থাগুলো হলো হিল প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড (পিসিআরএফ), ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এবং ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিওএ)। সামগ্রিকভাবে এই সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুত পরিবারের সহায়তায় খাদ্য, চিকিৎসা কার্যক্রমের মতো মানবিক কর্মকাণ্ডে কাজ করে।

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে দ্যুতি ছড়ান তিনি। তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি। আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’

উল্লেখ্য, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদের সন্তান তারা। জিজি-বেলার বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। এদিকেমডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।




অনাহার ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে গাজায় ঈদ পালন

অনাহার ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে গাজায় বিবর্ণ ঈদ গাজাবাসী আজ রোববার উদযাপন করেছে। আজ সকালে বিধ্বস্ত এলাকার মধ্যেই ঈদের জামাত হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি হামলার আজ ২৫৪তম দিন। এত দিনের ইসরাইলি তাণ্ডবে গাজার সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের জীবন, জীবিকা কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের বাসভবন, মসজিদ- সবাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে ঈদের আনন্দ বলতে আর কিছু নেই।

গাজার দোকানপাট আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। যে দুই-একটি আছে, সেগুলোও বন্ধ রয়েছে। ঈদুল আজহার অন্যতম বিষয় কোরবানি দেয়া। বেশ ধুমধাম করে কোরবানির আয়োজন করে থাকে গাজাবাসী। কিন্তু এবার কোরবানির পশু কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই।

তবে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা কিছু পশু কোরবানি করে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছে।

এবারের ঈদুল আজহার ওইসব পরিবারের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়েছে যাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছে বা আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।

এছাড়া ইসরাইল আট হাজারের বেশি লোককে ধরে নিয়ে গেছে। তারা কোথায়, কিভাবে আছে, কেউ জানে না।

জাবালিয়া মসজিদের ইমাম ঈদের জামাতের খুতবায় বলেন, দখলদার বাহিনী গাজার মানুষের মনোভাব ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে। তারা দখলদারদের কঠোর আঘাত হানা অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলি দখলদারিত্বের কারণে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনও পালন করতে পারছি না।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। গাজার তিন-চতুর্থাংশের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা 




গাজা নিয়ে আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কেন পাশ হল?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি এর আগে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে অনেক যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজায় ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলা জিইয়ে রেখেছিল সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪টি হ্যা ভোটে এটি অনুমোদন লাভ করে এবং রাশিয়া এতে ভোট দানে বিরত ছিল।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উত্থাপিত প্রস্তাব সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কোনো বিরোধিতা বা ভেটো ছাড়াই অনুমোদিত হয়। ৭ দফা প্রস্তাবে তিনটি পর্যায়সহ ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্রস্তাবে জোর দেওয়া হয়েছে যে যদি প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ৬ সপ্তাহের বেশি সময় লাগে তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে পারে বলে জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদিত প্রস্তাবের বিষয়ে চুক্তির পরে এই প্রস্তাবের শর্তাবলী মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে এবং সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে এর বাস্তবায়নে সমর্থন করতে বলা হয়েছে।

আমেরিকা যেটি ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থনে অনেক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল এই সংকটময় মুহূর্তে এই শাসক গোষ্ঠীর প্রধান সমর্থক হিসাবে পরিচিত দেশটি বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিল।

প্রথম কারণ হল ইহুদিবাদী শাসন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে। বেনি গ্যান্টজ এবং গাডি আইজেনকোট যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। হ্যালি ট্রুপার গ্যান্টজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর জোট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই অধিকৃত অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক ভাঙন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব পাস করা  হলে অধিকৃত অঞ্চলে এই ভাঙন ঢেকে রাখার একটি সুযোগ হতে পারে।

এরপর কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রাক্কালে অভ্যন্তরীণ জনমতকে প্ররোচিত করা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর প্রতি মার্কিন নীতির নিন্দায় ব্যাপক পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে  যার মধ্যে ছাত্র বিক্ষোভ এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগীতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেনের মন্ত্রিসভা বিক্ষোভকারীদের চাপে পড়েছিল। যদিও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নাম শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের কালো তালিকায় রেখেছেন। ইহুদিবাদী শাসক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদন করে আমেরিকা এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনা কমানোর চেষ্টা করছে।

আরেকটি কারণ হল গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধ বিরতিতে তাদের শর্তে অটল থাকা। তাদের অটল মনোবল এবং কার্যকর প্রতিরোধ শক্তি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলেছিল এবং এই শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। যাইহোক ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইতিহাসের দিকে তাকালে এটা বলা যায় যে  এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে না।

পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত ৮ মাসে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আচরণ থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্পর্কে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ইসরাইল জাতিসংঘে পাশ হওয়ার কোনো প্রস্তাবের উপর কাজ করেনি এবং বেশিরভাগ প্রস্তাব একটি প্রদর্শনী এবং প্রচারণামূলক শো ছাড়া আর কিছুই নয়।#

পার্সটুডে




গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা হতাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কয়েকজন ইহুদিবাদী সেনা নিহত কিংবা আহত হয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, গোলান মালভূমির আপার গ্যালিলিতে কয়েক ডজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরমধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রামিম ক্লিফ, আল মানারা এবং আরো কয়েকটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে আঘাত হানে।

গতকালের এই হামলার মধ্য দিয়ে আরো স্পষ্ট হলো যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অস্থিরতা বাড়ছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন ইহুদিবাদী অবস্থানে হামলা চালাতে শুরু করে। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

গতকালের হামলা সম্পর্কে ইসরাইলের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর ইসরাইলের কাৎজ্‌রিন এলাকায় আঘাত আনা হয়েছে।

উত্তর ইসরাইলের যেসব ইহুদি বসতি এখনো খালি করা হয়নি সেসব জায়গায় সাইরেন বাজানো হয়। ইসরাইলের কোনো কোনো গণমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলান মালভূমি লক্ষ্য করে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।#

পার্সটুডে




ভারতে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতে ইতিহাস গড়া কে এই মুসলিম প্রার্থী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তিন শ আসন ছুঁতে পারেনি। দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

ভোটের লড়াইয়ে ব্যক্তিগত চমক দেখিয়েছেন অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন রাকিবুল হুসেইন। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন আসামের ধুবুরি আসন থেকে। কংগ্রেসের এই প্রার্থী এবার জিতেছেন ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল রাকিবুল যাকে হারিয়েছেন তিনিও একজন একজন মুসলিম তবে কোনও সাদামাটা প্রার্থী নন, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। তার দলকে আসামের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি জিতেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে একটি রাকিবুলের ধুবুরি।

রাকিবুল যে ধুবরিতে এত বড় ব্যবধানে জিতলেন সেটা তার নিজের এলাকা নয়। সেখান থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে সামাগুড়ি থেকে তিনি বারবার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই জিতে আসছেন রাকিবুল। ২০১১ সালে প্রফুল্ল মহন্তাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি সেবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে যখন বিজেপির জোয়ার চলছিল তখনও সামাগুরিতে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি।

রাকিবুল জয়ী হওয়ার কিছুক্ষণ পরে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাকে‌ ‘হিরো অব দ্যা ডে’ (দিনের নায়ক) বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তার আলোচনা সামনে আসা উচিত।

অথচ এই হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে রকিবুলের সম্পর্ক খুবই উত্তেজনাকর! এমনকি নির্বাচনের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন রাকিবুল।

৪ জুনের ফলাফল শুধু ধুবরিতে নির্বাচনী ইতিহাসই রচনা করেনি, রাকিবুলের মেধার প্রমাণ যেমন হয়েছে তেমনি যারা তার প্রার্থিতা নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন তাদেরও চুপ করিয়ে দিয়েছে।

ভূমিধস বিজয়ের পর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে যান রাকিবুল। যে কাগজটি হয়তো শোভা পাবে তার ড্রয়িং রুম কিংবা রিডিং রুমের দেয়ালে। যাতে রাকিবুলের নামের পাশে ভোটের সংখ্যাটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫। যখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমলের নামে পাশে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ ভোট। বিজয়ের ব্যবধান বিস্ময়কর, ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট।

জানা যায়, রাকিবুল হুসেইনের জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৬৪। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি সামাগুড়ি থেকে বিধায়ক এবং ২০২১ সাল থেকে আসাম বিধানসভায় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার ধুবরি থেকে ইতিহাস গড়া জয় পেয়ে লোকসভায় যাবার অপেক্ষায় আছেন।

তার বাবা নুরুল হোসেনও বিধায়ক ছিলেন। রাকিবুল ২০০১ সাল থেকে আসাম বিধানসভার সামাগুড়ি নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তরুণ গগৈ সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিত্বও করেছেন। আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কংগ্রেস সরকারেও মন্ত্রীত্ব করেছেন। হেমন্তর মতো তুখোড় নেতাও একবার নির্বাচনে হেরেছেন কিন্তু রাকিবুল কখনও হারেননি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া




জাবালিয়া থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার: ১২০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়া থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা সরে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আরো ৫০ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করার পর জাবালিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ফিলিস্তিনিদের লাশের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গেল।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অনুসন্ধানী দলগুলো ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করে। ইসরাইলি সেনাদের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে নিহত হন এসব হতভাগ্য ফিলিস্তিনি যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

এর আগে শনিবার জাবালিয়া থেকে ২০ শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আরো মরদেহ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করছেন উদ্ধারকারী দলগুলোর সদস্যরা।

গত শুক্রবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ২০ দিনব্যাপী গণহত্যা ও তাণ্ডবের অবসান ঘোষণা করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই ২০ দিনে জাবালিয়ায় অন্তত ২০০টি বিমান হামলা চালায় দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ দিনে জাবালিয়ার ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্তত এক লাখ ফিলিস্তিনিকে পথে বসিয়ে দেয় ইহুদিবাদীরা।

দখলদার সেনারা চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া গাজাবাসী তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন যদিও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এত বেশি যে, বেশিরভাগ মানুষই তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারছেন না।#

পার্সটুডে




আরো ২ ইহুদিবাদী সেনা নিহত; এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৯৪ জন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আরো দুই সেনা নিহত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় এই দুই সেনা নিহত হয়।

নিহত সেনাদের নাম সার্জেন্ট আদার গ্যাভরিয়েল এবং সার্জেন্ট ইয়েহোনাথান ইলিয়াস। তাদের বয়স ২৪ ও ২০ বছর। এরমধ্যে আদার গ্যাভরিয়েল রিজার্ভ সেনা হিসেবে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল।

বর্বর ইহুদিবাদী বাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে প্রচণ্ড সংঘর্ষের সময় গ্যাভরিয়েল নিহত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোঁড়া ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে পরে মারা গেছে ইলিয়াস। ওই হামলায় একজন সেনা অফিসার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

ইসরাইলের এই দুই সেনা নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে মোট নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৪-এ। তবে ইসরাইলের এই হিসাবের বিষয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আপত্তি জানিয়ে বলছে, ইসরাইলি নিহত সেনার সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে অনেক বেশি।#

পার্সটুডে




আর আলোচনা নয়, গাজায় শান্তি স্থাপনে যে শর্ত দিলো হামাস

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আর কোনো আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তারা; তবে ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে— তাহলে সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণ, পরিবার-পরিজনদের ওপর গণহত্যা চলছে। যারা বেঁচে আছে, তারা প্রতিদিন আগ্রাসন-দুর্ভিক্ষ-দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে। হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী মনে করে, এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অংশগ্রহণ সার্বিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে না।’

‘তবে আজ ( ৩০ মে ) আমরা আমাদের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছি যে যদি দখলদার বাহিনী গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে গাজা ইস্যুতে একটি সম্পূর্ণ ( শান্তি )চুক্তির জন্য আমরা প্রস্তুত। এই চুক্তিতে ( সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত ) একটি বিস্তৃত সমঝোতাও অন্তর্ভুক্ত হবে।’

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহরটিতে অবস্থান করছেন। গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত প্রায় ৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে রাফায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন এই ফিলিস্তিনিরা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধের আদেশ দিয়ে রায় দিয়েছে; কিন্তু সেই রায় উপেক্ষা করে সেখানে সেনাঅভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিছুদিন আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবাই সাধারণ বেসামরিক।

ওই ঘটনার পর থেকে বিশ্বজুড়ে যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা চলছে, সে সময়ই এই বিবৃতি দিলো হামাস।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গত প্রায় আটমাস ধরে চলমান এই ভয়াবহ অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, পুরো উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এক অস্থায়ী বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র : রয়টার্স




গাজা উপত্যকার সংঘর্ষে ইসরাইলি সেনাকে আটক করার দাবি করল হামাস

জাবালিয়ায় একটি টানেলের মুখে ভয়াবহ সংঘর্ষ

গাজা উপত্যকার উত্তরে শনিবার এক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে হতাহত করার পাশাপাশি অন্তত একজন দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত বছরের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিল হামাস।

হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা আজ (রোববার) ভোররাতে এই বাহিনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচারিত এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাস যোদ্ধারা একটি ‘জটিল অভিযান’ চালান। তারা ইহুদিবাদী সেনাদেরকে ফাঁদে ফেলে একটি টানেলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানো হয় যাতে বেশ কয়েকজন দখলদার সেনা হতাহত হয়।

আবু উবায়দা বলেন, আল-কাসসাম যোদ্ধারা অত্যন্ত কাছে থেকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দখলদার সেনাদের সাহায্যে  ইসরাইলের আরেকটি সেনাদল এগিয়ে এলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদেরকেও ঘায়েল করা হয়।

হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র জানান, ভয়াবহ ওই সংঘর্ষের পর হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টানেলটির মুখ বন্ধ করে দেন এবং অন্তত একজন ইসরাইলি সেনাকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান।

হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনা আটক করার খবর প্রচার হলে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও উল্লাস প্রকাশ করেন। ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় হামাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অবশ্য ইহুদিবাদী ইসরাইল তাদের কোনো সেনার আটক হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে আবারও ২০ রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসরায়েলে আবারও রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। উত্তর ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া এই রকেটে ইসরায়েলের ডোভেভ ও মানারা এলাকায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ সব রকেট যে লেবানন থেকে ছোড়া হয়েছে তাও নিশ্চিত করেছে দখলদার বাহিনী।
তবে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এই সংগঠনটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে ইরান। তবে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলাও চালাচ্ছে ইসরায়েল।

তবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, জঘন্য ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। তাছাড়া দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে তাও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৯৩।

সূত্র: আল-জাজিরা