গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্টই দায়ী।

শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।

আব্বাস বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েলি সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও। কারণ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে মিত্র রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেখানেই এই নৃশৃংশ হামলা করা হলো।

তবে দখলদার ইসরায়েলের দাবি, বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

 সূত্র: জিও নিউজ




স্ত্রীসহ ইমরান খানকে খালাস দিল পাকিস্তানের আদালত; তবে মুক্তি মেলেনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বেআইনিভাবে বিয়ে করার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ইসলামাবাদের একটি আদালত খালাস দিয়েছে। তবে তারা দুজনই এখনো কারাগারে রয়েছেন।

ইসলামী শরীয়া আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন -এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাকিস্তানের আদালত তাদেরকে সাত বছর করে জেল দিয়েছিল। সেই মামলায় গতকাল তারা দুজনই খালাস পেয়েছেন।

ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফজাল মাজোকা গতকাল (শনিবার) মামলা থেকে খালাস দেয়ার জন্য ইমরান খান দম্পতির আবেদন গ্রহণ করেন।

এর আগে গত তিন ফেব্রুয়ারি ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে কারাদণ্ড দিয়েছিল পাক আদালত। তবে তারা দুজনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ইমরান খান বরাবরই বলছেন, তার বিরুদ্ধে যত মামলা দায়ের করা হয়েছে তার সবই মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য সামরিক নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করেছে।

গতকাল মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল- ইমরান খান ও তার স্ত্রীর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই কিন্তু পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বা পিটিআই দলের মুখপাত্র আহমেদ জানজুয়া বলছেন, তারা দুজন এখনো কারাগারে থাকবেন।

জানজুয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “পূর্ব লাহোরের আরেকটি আদালত ২০২৩ সালের মে মাসে দাঙ্গা উসকে দেয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন দিয়েছে। এটি মূলত “অবৈধ কারাবাস দীর্ঘায়িত করার একটি কৌশল।”#

পার্সটুডে




গুলিতে আহত ট্রাম্প, মারা গেছেন বন্দুকধারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গিয়ে গুলিতে আহত রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে বলে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তার কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।

এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছে।’

গুলিতে নিহত তার সমর্থকের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে গুলিতে যিনি নিহত হয়েছেন তার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাই। গুরুতর আহত আরেকজনের পরিবারের প্রতিও আমি সমবেদনা জানাই।’




৭ অক্টোবরের ঘটনায় বেশিরভাগ ইসরাইলি নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলে বসবাসকারী লোকজনের বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ইরাইল-বিরোধী অভিযানের ঘটনায় নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। নতুন এক জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জনমত জরিপের এই ফলাফল গতকাল (শুক্রবার) ইসরাইলের চ্যানেল টুয়েলভ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেয়া লোকজনের শতকরা ৭২ ভাগ মানুষ বলেছে- প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। এরমধ্যে ৪৪ ভাগ বলেছে নেতানিয়াহুর দ্রুত ক্ষমতা ছাড়া উচিত; আর শতকরা ২৮ ভাগ বলেছে- গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নেতানিয়াহর পদত্যাগ করা উচিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে অভিযান চালানোর পর বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে নিয়ে যায় হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ওইদিন থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হলেও প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ, যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে।

৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতাকে ইসরাইলের গণমাধ্যম ভয়াবহ গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলা মোকাবেলার ব্যর্থতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। তবে নেতানিয়াহু এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন তদন্তের সময় নয় বরং যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর এটি করা যাবে।

ইসরাইলের ভেতরের এবং বাইরের বহু বিশ্লেষক বলছেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখা ও বিচার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি চাইছেন না; এ ব্যাপো কোনো তদন্তও করতে দিচ্ছেন না।#

পার্সটুডে




গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আরো এক কমান্ডো নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাজধানী গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো এক সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনার নাম সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস তাল লাহাত এবং তার বয়স ২১ বছর।

নিহত এই সেনা ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ম্যাগলান কমান্ডো ইউনিটে কর্মরত ছিল এবং মঙ্গলবার বিকেলে গাজার স্নাইপারদের গুলিতে সে নিহত হয়।

এদিকে, গতকাল গাজা সিটিতে যুদ্ধের সময় আলেকযানদ্রোনি ব্রিগেডের দুই রিজার্ভ সেনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই সেনা বোমার বিস্ফোরণে আহত হয়।

অন্যদিকে, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর সংস্থা শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউনিটের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস-সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে যে অভিযান চালিয়েছিল তা মোকাবেলায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান পদত্যাগ করে। ইসরাইলের হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম গতকাল এ খবর দিয়েছে। হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য শিনবেতের এই কর্মকর্তা ইসরাইলিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে।#

পার্সটুডে




ইসরাইলের দুটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালালো ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা।

ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ আজ (বুধবার) সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের হাইফা বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। আজ সকালেই এই হামলা চালানো হয় বলে পিএমইউ উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাজেরা এলাকার অরোত রাবিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনারা নারী ও শিশুদের ওপর যে আগ্রাসন ও গণহত্যা চালাচ্ছে তার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা করেছে পিএমইউ।
গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক অবস্থানেও হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের যে হুমকি দিয়েছে তার জবাবে ইরাকি যোদ্ধারা বলেছে, এ ধরনের আগ্রাসন চালালে তারা হিজবুল্লাহর পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।#
পার্সটুডে




ইসরায়েলি মেজরকে হত্যা করল হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় এক ইসরায়েলি মেজর নিহত হয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, নিহত এই কর্মকর্তার নাম মেজর জালা ইব্রাহিম। ২৫ বছর বয়সী এই মেজর সাজুর ড্রুজ শহর থেকে আসা কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১ তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে নেমে নিহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যা ৩২৬ জনে দাঁড়াল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।




গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় শহীদ আরও ৪০ ফিলিস্তিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৭ হাজার ৮৩০ জনে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি। খবর আনাদোলুর ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৪০ জন নিহত এবং আরও ২২৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।




চীন সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লাদাখে চীন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি)পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁরা নিহত হন।

ভারত সরকার বলছে,  লাদাখের লেহের দৌলত বেগ অল্ডি এলাকায় রাত ১টার দিকে সেনা মহড়ার সময় একটি নদী পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ সেনা মারা যান। তাঁরা একটি ট্যাঙ্কের ভেতর ছিলেন।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনারা প্রশিক্ষণে ছিলেন। তাঁরা বোধি নদী অতিক্রম করছিল। এসময় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের ট্যাঙ্ক ডুবে যায়।

এ ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




আমেরিকাকে তুলোধুনো করলেন ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে, সম্পূর্ণ ও নিঃস্বার্থভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা জরুরি।

আমির সাঈদ ইরাভানি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিবর্তে মার্কিন সেনারা আল-নুসরার মতো জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে। এর পাশাপাশি মার্কিন সেনারা সিরিয়ার জনগণের তেল এবং অন্যান্য সম্পদ লুট করছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি এসব কথা বলেন। মধ্যপ্রাচ্য ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল আলোচনা হয়।

ইরানের প্রতিনিধি বলেন, “সিরিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় সিরিয়ার সাধারণ জনগণের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।”

সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব লংঘন করে ইহুদিবাদী ইসরাইল মাঝেমধ্যেই যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তার কঠোর নিন্দা জানান ইরানের প্রতিনিধি। এছাড়া, গোলান মালভূমিতে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে তারও কঠোর নিন্দা জানান আমির সাঈদ ইরাভানি।#

পার্সটুডে