স্বৈরশাসকের পতন, সিরিয়ার নিপীড়িত জনগণকে অভিনন্দন কাবার ইমামের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ দুই যুগ শাসনের পর পতন ঘটেছে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের। উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে ইতোমধ্যে পতন ঘটেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর। দেশটির সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ভবন দখল করে নিয়েছেন সশস্ত্র যোদ্ধারা।

একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিরীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার পর সেই স্থাপনাও দখলে নিয়েছেন তারা।

এর আগে যোদ্ধারা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েন। এরপরই বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

বাশার আল আসাদের পতন, সিরিয়ার জনগণের বিজয় উল্লাসকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরীফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারী। তিনি সিরিয়াসহ পৃথিবীর সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

তার নামে পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ায় শাসন করে আসছিলেন বাশার আল আসাদ। এর আগে তার বাবা হাফিফ আল আসাদ দেশটিতে শাসন করেছেন ২৯ বছর। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার মৃত্যু হলেই বাশার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।




‘প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে’

ডিএনবি নিউজ নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে। সরকার-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানী দামেস্কে পৌঁছানোর পর সামরিক কমান্ডের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

আজ (রোববার) সিরিয়ার সামরিক কমান্ডের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেছেন। এর আগে খবর বের হয় যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বিমানে করে রাজধানী দামেস্কের বাইরে অজানা কোনো গন্তব্যে চলে গেছেন।

এদিকে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘোষণা করেছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর তারা রাজধানীর দামেস্ক দখল করেছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি বিদ্রোহী গেরিলাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর বিষয়ের সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি আমার বাড়িতে আছি এবং দেশ ত্যাগ করিনি কারণ এটি আমার দেশ।”

ভিডিও বার্তায় তিনি আরো জানান, আজ সকালেও তিনি অফিসে যাবেন। তিনি সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি না করার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

# সূত্র: পার্সটুডে




ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির: মুসলমানের নিকট ফ্ল্যাট বিক্রিতে হিন্দুদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির সৃষ্টি করল ভারত। দেশটির মুরাদাবাদে টিডিআই সোসাইটিতে এক মুসলিম চিকিৎসকের ফ্ল্যাট বিক্রি করায় বিক্ষোভে নেমেছেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় সোসাইটির কলোনি গেটে সোসাইটি সভাপতি অমিত শর্মাসহ অনেকে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, ড. আশোক বাজাজ তার বাড়ি ড. ইকরা চৌধুরী নামে এক মুসলিম চিকিৎসককে বিক্রি করেছেন। তাই তারা বিক্ষোভে নেমেছেন। এসময় সোসাইটির সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ড. আশোক বাজাজ, আপনার বাড়ি ফেরত নিন।’

এনডিটিভিকে সোসাইটির এক বাসিন্দা বলেন, এটি একটি হিন্দু সমাজ, এখানে ৪০০-এরও বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না- মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখানে বসবাস করুক।

সোসাইটির আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ভীত যে, মালিকানা পরিবর্তন হলে সমাজের গঠন পরিবর্তন হবে। মুসলিমরা এখানে বসবাস করতে শুরু করলে হিন্দুরা চলে যেতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জ কুমার সিংহ বলেন, সোসাইটির সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন।




যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে লেবানন ও ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক।

মার্কিন মধ্যস্থতায় লেবানন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। আমেরিকার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ইসরাইলি সূত্র মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওসকে জানিয়েছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

তারা বলেছেন, “আমরা মনে করি আমাদের হাতে একটি চুক্তি আছে। আমরা একেবারেই গোল লাইনে রয়েছি কিন্তু আমরা তা এখনো পাস করতে পারিনি। মঙ্গলবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি অনুমোদন করতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত যেকোনো কিছুই ভুল হতে পারে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা অ্যামোস হোসেচটিন বলেন, তিনি মনে করেন, শিগগিরই লেবাননে যুদ্ধবিরতি হবে। এছাড়া, ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।

এদিকে, লেবাননের চারজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন আজ (মঙ্গলবার) যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেবেন। তবে এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। গত বুধবার হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছিলেন, তারা মার্কিন সরকারের তৈরি করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়া পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ইসরাইল এবং নেতানিয়াহুর ওপর নির্ভর করছে। তবে হিজবুল্লাহ আলোচনার পাশাপাশি যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।

# সূত্র: পার্সটুডে




ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী মসজিদে হত্যার দায় যোগী সরকারের: অখিলেশ যাদব

ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী জামে মসজিদ সমীক্ষা নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে দায়ী করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব।

হরিহর মন্দির ভেঙে শাহী মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এ অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের করা একটি মামলার দ্বিতীয় দফায় তদন্তে গেলে গতকাল সাধারণ মুসলমানরা তদন্ত কর্মকর্তাদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ঐ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, উপনির্বাচনের অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই ওই সম্ভলের মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগেও মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তারা সমীক্ষা করেছেন। তা নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছিল। তারপরও গতকাল আবার কেন সেখানে তদন্ত দল পাঠানো হলো?

অখিলেখ যাদব এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘সম্ভলে যা ঘটছে তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই তদন্ত দল পাঠিয়েছিল। যাতে একটা গোলমাল হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির নিয়ে তীব্র সংঘাত হয়,তারপর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আর এবার সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে সংর্ষের ঘটনা ঘটল। গল্প সেই একই-মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানোর অভিযোগ।

হরিহর মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৯ সালে মসজিদ তৈরি করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। ঐ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে ১৯ নভেম্বর প্রথম দফার তদন্ত শেষে গতকাল দ্বিতীয় দফার তদন্তে সেখানে যান সরকারি কর্মকর্তারা। আর তখন মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

পুলিশ বলেছে, রোববার প্রায় তিন শধাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের মসিজদে প্রবেশে বাধা দেয় ও ইট নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ তখন কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যদিও মসজিদের ইমাম বারবার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এর পরেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী।

# পার্সটুডে




জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়, এক বন্দুকধারী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ (রোববার) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেত্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রের বরাতে পেত্রার খবরে বলা হয়, আম্মানের রাবিয়াহ এলাকায় ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে একটি টহল পুলিশ দলের ওপর একজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি চালান। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এই এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিনিময়ের ঘটনার পরপরই কঠোর নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে ওই ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে ফেলে এবং অ্যাম্বুলেসগুলোকে ছুটতে দেখা যায়। পুলিশ পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মাঝেমধ্যেই রাবিয়াহ এলাকায় বিক্ষোভ করেন জর্ডানের জনগণ। তাদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাঁদের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।

জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে জর্ডানে চলে আসেন।

#সূত্র পার্সটুডে




ড্রোন হামলার ভয়ে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম’ থেকে কাজ করছেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন হামলার ভয়ে একটি “আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম” থেকে কাজ করছেন। ইসরাইলের চ্যানেল-টুয়েলভ এই খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে অধিকৃত জেরুজালেম আল-কুদস শহরে তার অফিসের বেইজমেন্টে অবস্থিত নিরাপদ কক্ষে “নিরাপত্তা সভা” করছেন। কিছুদিন আগে তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে। এর পর থেকে নেতানিয়াহু গোপন এই নিরাপদ কক্ষটি ব্যবহার করছেন।

ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর ড্রোন আটকাতে ব্যর্থ হলে নেতানিয়াহু এই আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষ ব্যবহার করা শুরু করেন। সেদিন ইসরাইলের কথিত হোম ফ্রন্ট কমান্ডও সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়।

এর আগে, আগস্ট মাসে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরাইলের উত্তরাংশে অনুপ্রবেশ করে নেতানিয়াহুর বাসস্থানের চিত্রগ্রহণ করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিউইয়র্ক সফর থেকে নেতানিয়াহু ইসরাইলে ফিরলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালায়।

এদিকে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে বেশি সময় নির্দিষ্ট কোনো অবস্থানে থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা আশংকা করছেন, নেতানিয়াহু কোনো এক স্থানে বেশিদিন ধরে অবস্থান করলে কিংবা বার বার একইস্থানে যাতায়াত করলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেখানে হামলা চালাতে পারে।#

পার্সটুডে




ঘুমের মধ্যে ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল মানবতার শত্রু ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বর্বর ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার একটি ভবনে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের বেশিরভাগ শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর ৪০০তম দিনে রোববার গভীর রাতে ওই পাশবিক হামলা চালানো হয়।

উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার ওই ভবনে নিজেদের বাড়িঘর হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ভবনটি বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে ফেলার আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি দখলদার সেনারা। এর ফলে ভবনটিতে অবস্থানকারী কোনো মানুষ প্রাণে রক্ষা পায়নি।

আল-জাযিরা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, “ভবনটির সবাই নিহত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এটির ধ্বংসাবশেষ থেকে কেবল হতভাগ্য মানুষের টুকরা টুকরা ও থেঁতলে যাওয়া লাশ বের করা হয়েছে।”

ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, জাবালিয়ার এই হত্যাকাণ্ডে তাদের গবেষক মোহাম্মাদ আলুশের পরিবারের এক ডজনেরও বেশি সদস্য শহীদ হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব নিরপরাধ মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় শহীদ হয়েছেন।

ঘণ্টায় ঘণ্টায় গাজায় এভাবে অসহায় মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেয়ার পরিবর্তে অস্ত্র সরবরাহ করে চলমান গণহত্যায় নিজেদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

# পার্সটুডে




চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে ১৮৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শহীদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যামূলক যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৮৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল এই বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালিয়ে আসছে।

গাজার মিডিয়া অফিস গতকাল (শনিবার) শহীদ সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে সম্প্রতি শহীদ হওয়া চার সাংবাদিকের নাম রয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, তারা জোরালো ভাষায় সাংবাদিকদের হত্যার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাচ্ছে। দখলদার ইসরাইল এসব সাংবাদিককে হত্যার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশ্বব্যাপী যারা সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে কয়েকজন সাংবাদিক তাঁবুতে আশ্রয় নেয়ার পরেও দখলদার সেনারা তাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইসরাইলের এই সমস্ত অপরাধযজ্ঞের সঙ্গে মার্কিন সরকার ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।

# পার্সটুডে




ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ কেমন লোক? কী তার পরিচয়?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইয়োভ গ্যালান্টকে যুদ্ধমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ইসরাইল কাটজকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছেন।

১৯৫৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী এই ইহুদিবাদী নেতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স এবং কৃষিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পার্সটুডে জানাচ্ছে, উগ্র এই ইসরাইলি নেতা এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং গোয়েন্দামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশেষ করে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করার কারণে ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের মধ্যে উগ্রবাদী নেতা হিসেবে কাটজের পরিচিতি রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইরান, এমনকি জাতিসংঘের বিরুদ্ধেও চরম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলার রেকর্ড তার রয়েছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোর সমর্থক ইসরাইল কাটজ। তিনি বহুদিন যাবত ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল কাটজ দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রধান কাজ।

# পার্সটুডে