কাবা শরীফের ইমামের ওপর হামলা চেষ্টা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মসজিদুল হারামে জুমার নামাজের খুতবা দেয়ার সময় খতিবের ওপর হামলা চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তাকে আটক করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার মসজিদুল হারামে জুমার নামাজের খুতবা দিচ্ছেন ইমাম। এসময় সামনে থেকে এক ব্যক্তি লাঠি নিয়ে ইমামের মেহরাবের দিকে তেড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে শক্তহাতে প্রতিহত করেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ওই হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কী কারণে এবং কী উদ্দেশ্যে হামলার চেষ্টা চালানো হয়, সে বিষয়েও কোনো তথ্য দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর মক্কা পুলিশ টুইটবার্তায় জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।




বাড়ি ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, ঢুকছে ত্রাণের চালান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে।

চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরায়েলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।




মাহমুদ আব্বাসকে সৌদি বাদশাহর ফোন, জানালেন ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ১১ দিন বিমান হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার রাত ২টায় ইসরাইল ও হামাস দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে যায়।

একইদিন (শুক্রবার) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সৌদি বাদশাহ।

মাহমুদ আব্বাসকে সালমান বিন আব্দুল আজিজ আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরব দখলদার ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান অব্যাহত রাখবে। আমরা জেরুসালেমে মুসলিমদের ওপর হামলা ও উচ্ছেদ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনের জনগণের সুরক্ষা ও শান্তি কামনা করে।

জবাবে সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।  বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সৌদি আরব বিশ্ব সম্প্রদায়, মুসলিম বিশ্ব ও আরব সংগঠনগুলোকে একত্রিত করতে কাজ করেছে। এজন্য ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আমি সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।




কানাডার কাছে ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন কাছে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ সংগ্রহের চুক্তি করে এটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখন কোভিড-১৯ নিয়ে ভারতে এক কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে তার জন্য সেখান থেকে মাত্র ১০.২ মিলিয়ন ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। ভারতে চলমান কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ চালু রাখার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজনের উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এটি বাংলাদেশের পক্ষে একটি উচ্চ অগ্রাধিকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ইস্যুতে কানাডার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অনিতা আনন্দের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, কানাডিয়ান সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাড়তি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে পারে বলে অনিতা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার হাইকমিশনারকে এ ইস্যুতে তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ কমপক্ষে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ভিত্তিতে কানাডা থেকে আনতে পারে।

তিনি আরও প্রস্তাব দেন কানাডা বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা করছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনার আশ্বাস দেন, তিনি অবিলম্বে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ সম্পর্কে কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ বিষয়ে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৭১

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, রোববারের বোমা বর্ষণে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে দুইটি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিকে গাজার হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বোমা হামলার পর ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। আল-আকসা টেলিভিশন জানায়, ওই হামলার জবাবে সকালেই তেল আবিব ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। বাকিরা গাজার বাসিন্দা।

এছাড়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় ২ শিশুসহ ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।




ঈদের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত বেড়ে ৬৯

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তবে আরব দেশগুলোতে যখন ঈদের আনন্দ, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি।

বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের। আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।




এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটেই বিপুল বিজয় মমতার

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুসলিম ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতার দল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর মূলত তাদের ভোটের মমতা এই ঐতিহাসিক বিজয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম ভোটই মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার আসনগুলোর মধ্যে ৬৩টি আসনে মুসলিমরা প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থদের মৃত্যুর কারণে দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ৬১টি আসনের মধ্যে মমতার তৃণমূল পেয়েছে ৫৮টি আসন, বিজেপি দুটি, সংযুক্ত মোর্চা একটি। মুসলিম মিরর পত্রিকায় এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর বেশির ভাগই চারটি জেলায়- মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগানা। মুর্শিদাবাদে রয়েছে ১৬টি আসন। বাকি তিনটি জেলার প্রত্যেকটিতে আছে ৯টি করে আসন। মজার ব্যাপার হলো, মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ ৬১টি আসনের মধ্যে যে ৫৮টি তৃণমূল জিতেছে, তার মধ্যে ৩০টিতে তারা জয় পেয়েছে ৪০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ভোটে। আবার মালদার সুজাপুরের এস কে জিয়াউদ্দিন, ফারাক্কার মনিরুল ইসলাম, ভাঙ্গাবনগোলার ইদ্রিস আলীর মতো প্রার্থীরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। এ দুটির একটি হলো উত্তর দিনাজপুর, অপরটি হলো মুর্শিদাবাদে। আর সংযুক্ত মোর্চার সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জিতেছে একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের ভোটের ওপর ভর করেই বাম ফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করে পশ্চিমবঙ্গ। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম বিক্ষোভের জের ধরে মুসলিমরা বাম ফ্রন্ট ত্যাগ করে তৃণমূলে ভোট দিতে থাকে। অন্যদিকে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই থেকেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই ভোটাররাই হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের পর পর তিনবার সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। তবে যে যে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম, সেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্রগুলো নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৪টিতে সংখ্যালঘু ভোটার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। ওই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির ওই ৭৪টি আসনের মধ্যে ৬৯টি দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে ধস নেমেছে হাতশিবিরের। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে ওই জেলার একাধিক কেন্দ্র দখল নিজের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।

রাজ্যের মোট ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। ওই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। আবার ওই রকম ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যের সার্বিক ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি— এই দুই শক্তিধরের লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় পক্ষের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই ধারা বজায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহারসহ কয়েকটি জেলার এমন আসনগুলিতে এই ৫৭টি কেন্দ্রগুলোতে।




জয়লাভ করে মমতার পদত্যাগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তাই নিয়ম মেনে এ পদ থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তিনি।

মমতার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবাংলার গভর্নর জগদীপ ধনখড়। এ সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানকে শুভেচ্ছাও জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরমেধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দিলে সেটি গ্রহণের পর মমতাকেই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মমতাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেন ধনখড়। বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। তারপর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বিধানসভা নির্বাচনের নবনির্বাচিত বিধায়করা। বরাবরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হতে চলেছেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী কারা হবেন, তা ঠিক করেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী নিজেই।

গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।




মমতার মন্ত্রিসভায় কে হবেন অর্থমন্ত্রী, আলোচনায় মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

বিধানসভা ভোটে নজরকাড়া সাফল্যের পর তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন বেশ কয়েক জন পুরোনো মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে চলছে জল্পনা। গতবার অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। এবছর তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে নির্বাচণে অংশ নেননি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। দুই, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। তিন, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। চার, সাবেক গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে করনা হতে পারে অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর আলোচনায়ও এগিয়ে আছেন তিনি। কারণ টানা তিনবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত মমতার খুব কাছের পরীক্ষিত নেতা মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ধারণা করা হচ্ছে এবার অর্থমন্ত্রী করা হতে পারে তাকেই। এর আগে তিনি গণশিক্ষা মন্ত্রী ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের মঙ্গলকোট বিধানসভা আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন। ভারতে দেওবন্দী আলেমদের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতিও তিনি।

বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারী এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তারপরও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দপ্তরও সামলেছেন।