ভারতে মুসলিম দিনমজুরের লাইব্রেরিতে দুষ্কৃতকারীর আগুন, ৪ হাজার কুরআন পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুরু শহরে মুসলিম এক দ্নিমজুরের চালানো লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবারের এই অগ্নিকাণ্ডে এই লাইব্রেরিতে থাকা চার হাজার কপি কুরআন, বাইবেল ও গীতাসহ মোট ১১ হাজারের বেশি বই পুড়ে গেছে বলে খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

৬২ বছর বয়সী মুসলিম দিনমজুর সৈয়দ ইসহাক দারিদ্র্যের কারণে শৈশবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহ থেকে নিজের প্রচেষ্টায় এই লাইব্রেরি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয় রাজিব নগর ও শান্তিনগর এলাকার মানুষ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়তে বা ধার করতে পারতো।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সৈয়দ ইসহাক বলেন, ‘ভোর ৪টায় লাইব্রেরির কাছাকাছি থাকা এক লোক আমাকে ভেতরে আগুন লাগার কথা জানায়। অল্প কিছু দূরে থাকা লাইব্রেরিতে যখন আমি ছুটে যাই, আমি তখন শুধু সব পুড়ে ছাই হতে দেখি।’

লাইব্রেরির ৮৫ ভাগ বই কানাড়া ভাষার হলেও ইংরেজি ও উর্দু ভাষায়ও কিছু বই সেখানে ছিলো। তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি ভগবদ গীতার বিচিত্র সংগ্রহ ছিল। এছাড়া এক হাজারের বেশি কুরআন ও বাইবেলের কপি ছিল লাইব্রেরিতে। সাথে সাথে আরো হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইয়ের সংগ্রহ ছিল যা আমি বিভিন্ন দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

যদিও সৈয়দ ইসহাক নিজের অর্থে লাইব্রেরির বই সংগ্রহ করেননি, তবে লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং কানাড়া, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার ১৭টির বেশি দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করতে তিনি তার মজুরির অর্থ থেকেই খরচ করেন।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ইসহাক উদয়গিরি পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অধীনে এজাহার নেয় এবং দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমে যাননি সৈয়দ ইসহাক। তিনি আবার লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম কিটোতে লাইব্রেরিটি গড়ার জন্য তার নামে একটি তহবিল সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে।




কলকাতায় বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দমকলের ৮ ইঞ্জিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: কলকাতার স্ট্র‌্যান্ডরোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।

জানা গেছে, এন সি দত্ত রোডে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের চারতলায় আগুন লাগে। ইতোমধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে গোটা ভবনকেই। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দমকলকে খবর দেন এবং বহুতলের ভিতরে থাকা সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন পৌঁছে।

প্রসঙ্গত, সেই সময় বহুতলের ঘরগুলোতে অল্প কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সজাগ থাকায় দ্রুত ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন সবাই। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় সবাইকে নিরাপদে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।

সূত্র: এবিপি আনন্দ, আজকাল




মিয়ানমারে বিমান হামলায় প্রাণভয়ে পালাচ্ছে মানুষ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ  সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির দখলদার জান্তা সরকার।

হামলার পর তিন হাজারের বেশি অধিবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মুতরাউ জেলার পাঁচটি এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে বিমান হামলা চালায়। গৃহহীনদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়। কারেন উইম্যান্স অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে তিন হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। রোববার থাই সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রায় তিন হাজার শরণার্থী থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন। আরও শরণার্থী আশ্রয় প্রার্থনা করেছে।

স্থানীয় ত্রাণ সংস্থা ‘ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স’ এর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ইউবাঙ্ক জানান, বিমান হামলায় আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে এখানে বিমান হামলার আওয়াজ পাইনি।

ওই হামলা রাতে করা হয়েছে। তাই বলাই যায়, রাশিয়া এবং চীনের সহযোগিতায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটা খুবই প্রাণঘাতী। শনিবারের ওই হামলায় কেএনইউ নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গ্রামের অন্তত তিনজন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।




মিয়ানমারে গুলিবর্ষণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বিশ্ববাসী। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের বার্মিজ সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশজুড়ে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ বছরের এক মেয়ে শিশুসহ কেবল মান্দালয় শহরেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেইপিদোতে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেন, ‘দেশের জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সামরিক বাহিনী। অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গ্রুপ সিআরপিএইচের মুখপাত্র ডা. সাসা এক অনলাইন ফোরামে বলেছেন, ‌‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আজ লজ্জা দিবস। তারা তিন শতাধিক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পর আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছে।’




জাতীয় দিবস উদযাপনে অপেক্ষায় আছি: মোদি

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি এ প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’

ওই বিবৃতিতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।

সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেয়া হবে।




ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তার অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি।”

গত সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে আগুন লাগে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৩০০ বসত ঘর এবং আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বসত বাড়ি ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর বিবৃতিতে প্রিয়জন হারাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১২০,০০০ এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন, অতিরিক্ত এই সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে খরচ হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিল এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।




একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫ লাখ ৮৩ হাজার

বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার এবং আক্রান্ত ১২ কোটি ৫৪ লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় (একদিন) বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ৪১০ জন এবং করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৭ জন।

ওয়ার্ল্ড ও মিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৮ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৭ লাখ ৪ হাজার ২৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪২২ জনের।

আক্রান্তে ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ এক হাজার ৮৭ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৭২৬ জনের।




বিশাল মালবাহী জাহাজ আটকে বন্ধ হয়ে গেছে সুয়েজ খাল

বিবিসি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার প্রশস্ত, দুই লাখ ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজটি উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে গিয়ে সংকীর্ণ খালটিতে আড়াআড়িভাবে আটকে যায়। এতে ওই এলাকায় মালবাহী জাহাজগুলোর জট তৈরি হয়।

‘এমভি এভার গিভেন’ নামের এই জাহাজটিকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য অনেকগুলো টাগ বোট কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এটিকে সরাতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও কাজ করছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সুয়েজ বন্দরের একটু উত্তরে ঘটনাটি ঘটে।

পানামায় রেজিস্ট্রিকৃত এভার গিভেন চীন থেকে মালবাহী কন্টেইনার নিয়ে নেদারল্যান্ডের বন্দর শহর রোটেরডামে যাচ্ছিল। প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণে জাহাজটি আটকা পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০১৮ সালে নির্মিত এই জাহাজটি তাইওয়ানের পরিবহন কোম্পানি এভারগ্রিন মেরিন পরিচালনা করে। এটি আড়াআড়িভাবে অগভীর জলে আটকা পড়ায় অন্যান্য জাহাজের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে উভয়মুখি বেশ কয়েকটি কন্টেইনারবাহী জাহাজও আটকা পড়ে আছে।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে আটকা পড়া জাহাজ এভার গিভেনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এর সরাসরি পেছনে থাকা জাহাজ মের্স্ক ডেনভারের ওপর থেকে কেউ একজন ছবিটি তুলেছে। এই ছবিতে আটকে পড়া জাহাজটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে আর এর সামনের দিকের তীরে একটি ছোট খননকারী যন্ত্র বালু পরিষ্কার করছে বলে মনে হয়েছে।

পূর্ণ জোয়ারের সময় জাহাজটিকে আড়াআড়ি অবস্থান থেকে সোজা করা না গেলে মাল নামিয়ে তা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।

সুয়েজ খাল লোহিত সাগরের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরকে যুক্ত করেছে। এই খালটির কারণেই এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ উন্মুক্ত হয়েছে। এটি এশিয়া ও আফ্রিকাকে যুক্তকারী সরু ভূখণ্ড সুয়েজের ভেতর দিয়ে গিয়েছে। ১৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলপথটিতে তিনটি প্রাকৃতিক হ্রদ আছে।




ইরানে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৪, মোট মৃত ৬১ হাজার ৯৫১

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৭৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ হাজার ৯৫১ জনে।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি আজ (মঙ্গলবার) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে আরও ৭ হাজার ২৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪৯ জন। সৌভাগ্যক্রমে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্ব এ ভাইরাসের  প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত।




নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৩৭ জন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। সোমবার দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে স্থানীয়দের বরাতে রোববার গণমাধ্যম জানায়, মৃতের সংখ্যা একশ’র কম। তবে সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়। একই সঙ্গে এ হামলাকে স্মরণকালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা বলে উল্লেখ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। খবর- রয়টার্স। সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এমন বর্বর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সম্প্রতি নাইজারের মালি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক হারে বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা। বর্তমানে নাইজারে দুটি জিহাদি গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহামেদ বাজৌমের নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই রোববার (২১শে মার্চ) বিকেলে বন্দুকধারীরা মালি সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি গ্রামে সশস্ত্র তল্লাশি শুরু করে। তারা সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি ও গুলি করে হত্যা শুরু করে।

দেশটির সামরিক বাহিনীর সৈন্যরা ওই এলাকায় পৌঁছালে বন্দুকধারীদের সঙ্গে নাইজার সেনাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে মালির তিল্লিয়ারি সীমান্তে এই হামলার ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যায়িত করেছে দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহামাদু ইসৌফু। তিনি হতাহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।