এটা মাদরাসা নয় বলে করোনা ওয়ার রুম থেকে মুসলিমকর্মীদের বের করে দিলেন বিজেপি এমপি তেজস্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক বেঙ্গালুরুর বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য একটি কভিড ওয়ার রুম থেকে মুসলিমদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো মাদরাসা বা হজ ভবন নয় যে এখানে মুসলিমদের নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের এনবি নিউজের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর BBMP covid war Room এ মোট ২০৫ জন কর্মীর মধ্যে মাত্রই ১৭ জন মুসলিম ছিল। তাদেরকে বিতাড়িত করে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির আইটি সেল ব্যবহার করে তাদেরকে হত্যাকারী, সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি ভুয়া অপমানজনক তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন এ এমপি।

কর্মীদের কেন সরানো হলো সে ব্যাপারে BBMP কমিশনার কোনো জবাব দেননি। তবে এই এমপি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম কর্মীদের তাদের মুসলিম পরিচয়ের কারণে যথাশিগ্রই অপসারণ করতে।

এমনকি কারা তাদেরকে নিয়োগ করেছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই কভিড ওয়ার রুম গঠন করে সরকার।




পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটেই বিপুল বিজয় মমতার

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুসলিম ভোটার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতার দল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর মূলত তাদের ভোটের মমতা এই ঐতিহাসিক বিজয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম ভোটই মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার আসনগুলোর মধ্যে ৬৩টি আসনে মুসলিমরা প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থদের মৃত্যুর কারণে দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ৬১টি আসনের মধ্যে মমতার তৃণমূল পেয়েছে ৫৮টি আসন, বিজেপি দুটি, সংযুক্ত মোর্চা একটি। মুসলিম মিরর পত্রিকায় এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর বেশির ভাগই চারটি জেলায়- মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগানা। মুর্শিদাবাদে রয়েছে ১৬টি আসন। বাকি তিনটি জেলার প্রত্যেকটিতে আছে ৯টি করে আসন। মজার ব্যাপার হলো, মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ ৬১টি আসনের মধ্যে যে ৫৮টি তৃণমূল জিতেছে, তার মধ্যে ৩০টিতে তারা জয় পেয়েছে ৪০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ভোটে। আবার মালদার সুজাপুরের এস কে জিয়াউদ্দিন, ফারাক্কার মনিরুল ইসলাম, ভাঙ্গাবনগোলার ইদ্রিস আলীর মতো প্রার্থীরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। এ দুটির একটি হলো উত্তর দিনাজপুর, অপরটি হলো মুর্শিদাবাদে। আর সংযুক্ত মোর্চার সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট জিতেছে একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুসলিমদের ভোটের ওপর ভর করেই বাম ফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করে পশ্চিমবঙ্গ। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম বিক্ষোভের জের ধরে মুসলিমরা বাম ফ্রন্ট ত্যাগ করে তৃণমূলে ভোট দিতে থাকে। অন্যদিকে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই থেকেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই ভোটাররাই হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের পর পর তিনবার সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। তবে যে যে কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম, সেখানে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, চমকপ্রদভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্রগুলো নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৪টিতে সংখ্যালঘু ভোটার ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। ওই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির ওই ৭৪টি আসনের মধ্যে ৬৯টি দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। অবশ্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে ধস নেমেছে হাতশিবিরের। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে ওই জেলার একাধিক কেন্দ্র দখল নিজের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।

রাজ্যের মোট ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। ওই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। আবার ওই রকম ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যের সার্বিক ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি— এই দুই শক্তিধরের লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় পক্ষের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই ধারা বজায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহারসহ কয়েকটি জেলার এমন আসনগুলিতে এই ৫৭টি কেন্দ্রগুলোতে।




জয়লাভ করে মমতার পদত্যাগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তাই নিয়ম মেনে এ পদ থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তিনি।

মমতার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবাংলার গভর্নর জগদীপ ধনখড়। এ সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানকে শুভেচ্ছাও জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরমেধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দিলে সেটি গ্রহণের পর মমতাকেই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মমতাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেন ধনখড়। বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। তারপর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বিধানসভা নির্বাচনের নবনির্বাচিত বিধায়করা। বরাবরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হতে চলেছেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী কারা হবেন, তা ঠিক করেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী নিজেই।

গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।




মমতার মন্ত্রিসভায় কে হবেন অর্থমন্ত্রী, আলোচনায় মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

বিধানসভা ভোটে নজরকাড়া সাফল্যের পর তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন বেশ কয়েক জন পুরোনো মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে চলছে জল্পনা। গতবার অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। এবছর তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে নির্বাচণে অংশ নেননি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। দুই, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। তিন, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। চার, সাবেক গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে করনা হতে পারে অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর আলোচনায়ও এগিয়ে আছেন তিনি। কারণ টানা তিনবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত মমতার খুব কাছের পরীক্ষিত নেতা মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ধারণা করা হচ্ছে এবার অর্থমন্ত্রী করা হতে পারে তাকেই। এর আগে তিনি গণশিক্ষা মন্ত্রী ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের মঙ্গলকোট বিধানসভা আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন। ভারতে দেওবন্দী আলেমদের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতিও তিনি।

বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারী এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তারপরও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দপ্তরও সামলেছেন।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




পশ্চিমবঙ্গে মমতার মহাজয়

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রোববার বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯০ আসন। আর ৯৫টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ১৯০টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯৫টি আসনে।

এদিন, সকাল থেকে এখনও আট দফার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।

বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি থাকলেও দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।




ফ্রান্সের একটি গ্রামের নাম মুছে দিয়েছে ফেসবুক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নীতি লঙ্ঘন এবং অশালীনতার অভিযোগে ফ্রান্সের একটি গ্রামের নামে তৈরি পেজ মুছে দিয়েছে ফেসবুক। এক ঘটনায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের ওই গ্রামের নাম ভিলে দে বিচ (Ville de Bitche)! আর তাতেই বেধেছে বিপত্তি। গ্রামটির নামকে ফেসবুকের অ্যালগরিদম ইংরেজি ভাষার গালি Bitch-এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে। মূলত ফেসবুকের ভাষায় মেয়ে কুকুর বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি সাধারণত নারী জাতিকে হেয় করে গালি দিতে ব্যবহার করা হয়।

মোজেল নদী অববাহিকায় অবস্থিত নয়নাভিরাম এই শতাব্দী প্রাচীন গ্রামের মেয়র বলেছেন, ফেসবুকের এমন পদক্ষেপ রীতিমতো অসম্মানজনক। এসময় তিনি ফেসবুকের যন্ত্রনির্ভর অ্যালগরিদমের সমালোচনা করে বলেন, যদি একান্তই নজরদারি চালাতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে মানুষ নিয়োগ দেয়া উচিত।

গত মার্চ মাসে ফেসবুকের কাছ থেকে একটি চিঠি পান বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, অশালীন শব্দ ব্যবহার এবং নীতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের পেজটি ডিঅ্যাক্টিভেট করেছে ফেসবুক।




মহারাষ্ট্রে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠালো কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

ডিএনবি নিউজ:

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠিয়েছে কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকন হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের কাছে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো ত্রাণ সংস্থাকে দিয়ে দেয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব যখন একেবারেই কম ছিল, ওই সময় কম দামে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

তবে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ব্যাপক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে অক্সিজেনের দাম।

জানা গেছে, আগে যেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম ছিল তিন হাজার আট শ থেকে চার হাজার পাঁচ শ রুপির মধ্যে, বর্তমানে সেসবের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার রুপি। কিন্তু কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল, তারা বর্তমানে এসেও চার হাজার দুই শ থেকে চার হাজার চার শ রুপি দরে এসব বিক্রি করে দেন।




মসজিদকে আইসোলেশন সেন্টারে বানিয়ে নজির স্থাপন করলো গুজরাটের মুসলমানরা

ডিএনবি ডিএনবি:

ভারতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মুসলমানরা। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি শহরের বড় মসজিদকে রূপান্তর করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে। বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ ট্রাস্টি বোর্ডের। সেখানে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সব ধর্মের মানুষ।

করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসাব্যবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।

ভারতের গুজরাটের পুন এলাকার এ মসজিদের ট্রাস্টি ইরাফান শেখ বলেন, আমরা মসজিদকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছি। এ মুহূর্তে ৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। সেই জায়গা রয়েছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।




মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির কারণে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান।

দুই পবিত্র মসজিদের সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান শাইখ আব্দুর রহমান আল-সুদাইস জানিয়েছেন, এবারের রমজানে দুই পবিত্র মসজিদে তারাবি নামাজের রাকাত সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১০ রাকাত আদায় করা হবে। এছাড়া মসজিদুল হারামে এবার ইতিকাফ ও ইফতারের আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রেসিডেন্সি এবং ওমরাহ পালনকারীদের সেবায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থা যেসব পূর্বসতর্কতা ও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। করোনাকালে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও ১০ রাকাত তারাবিহ দুই মসজিদের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জীবাণুমুক্তকরণে নিয়োজিত কর্মীদের উপস্থিতিতে আদায় হবে। সূত্র: সৌদি গেজেট।