পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ।বৈঠকটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম ইস্যুতে তাদের নীতি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

তবে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের আজকের বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ১১ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন পিটার হাস।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৩ হাজার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।

আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’

বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সূত্র: আল জাজিরা




সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতিগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনকে গণহত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Google news
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এ অংশ নিয়ে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। ভারত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ১২৫টি দেশের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শীর্ষ সম্মেলনের থিম, ‘সবার সাথে সকলের প্রবৃদ্ধির জন্য সকলের বিশ্বাসের সঙ্গে’ সবচেয়ে সময়োপযোগী কারণ, আমাদের বিশ্ব আজ যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা হল ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’।

তিনি আরও বলেন, ‘যেমনটা আছে আমাদের বিশ্বের অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়মূলক হুমকি।’

এছাড়াও, শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান দুর্ভোগ হিসেবে এখন নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে বিশ্বকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ‘প্রত্যেকের প্রবৃদ্ধি’ অর্জনের জন্য ‘প্রত্যেকের বিশ্বাস’ শক্তিশালী করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক, অমানবিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

‘এখন সময় আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংঘাতের অবসান দাবি করার,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ‘দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৩’ আহ্বান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘জি-২০ প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে ক্রমাগত গ্লোবাল সাউথের আওয়াজ তুলে ধরার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন: ‘এটাই সময় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে বৃহত্তর বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের জন্য এক সুরে কথা বলতে হবে। আমাদেরকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে ‘পাঁচটি সি’ এর পথপ্রদর্শক নীতি নিয়ে। যেগুলো হচ্ছে: সমাবর্তন, সহযোগিতা, যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি।’

শেখ হাসিনা তার ভাষণে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘাতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানান।

মোদি আরও বলেন, ভারত ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘তবে, আমরা প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের ঝুঁকিতে থাকি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রত্যেকের বিশ্বাস’ এর ওপর ভিত্তি করে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব তৈরি করতে গ্লোবাল সাউথের জন্য আরও জায়গা এবং বলার অনুমতি দিয়ে এগুলোকে সমাধান করা দরকার।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন: ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনের বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো গ্লোবাল সাউথের সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সাউথ ও বিশ্বের উন্নতির জন্য পাঁচটি সুপারিশ করেছেন। সুপারিশগুলো হলো:
প্রথম: শান্তির প্রচারের প্রবল সমর্থক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক।

গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বজায় রাখতে হবে।

দ্বিতীয়: নারী, বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক হিসেবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রাণবন্ত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী নারী নেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে নারীর ক্ষমতায়ন একটি উজ্জ্বল এবং আরও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত প্রয়োজন।

তৃতীয়: বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক।

গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বর্ধিত অর্থায়ন এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি স্থানান্তর অপরিহার্য।

চতুর্থত, প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের উচিত সকলের জন্য উন্নত জীবন প্রদানের জন্য এবং আয়োজক ও স্বদেশ উভয় দেশেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিবাসনকে প্রবাহিত করা।

পঞ্চম, স্বল্পোন্নত দেশগুলো কভিড-১৯ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাতের ফলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

পরিশেষে, আমি বিশ্ব মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সাউথ-সাউথ এবং ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। আমি উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং স্টেকহোল্ডারদের উদারভাবে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথকে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।




হাসপাতালের নিচে কমান্ড সেন্টার থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আশ শিফার আন্ডারগ্রাউন্ডে ইসলামী প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাসের সামরিক কমান্ড রয়েছে বলে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দাবি করছে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ওসামা হামদান।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরাইলি অভিযোগ নাকচ করেন। এ সময় তিনি প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক কিছু ফুটেজ তুলে ধরেন। এসব ফুটেজে দেখা যায়, আশ-শিফা হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অস্ত্র রাখছে। পরে তারাই আবার সেখানে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে এবং সেগুলো হামাসের অস্ত্র বলে চালিয়ে দেয়।

হামদান এসব ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, ইসরাইলি সেনারা সেখানে ত্রাণ বক্সে অস্ত্র ভরে রেখে পরে সেই অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করে হামাসকে অভিযুক্ত করছে। ইসরাইল এরইমধ্যে গাজার বহু সংখ্যক হাসপাতাল এবং স্কুলে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজার এই আশ-শিফা হাসপাতালেও তারা বোমা হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইসরাইল অভিযোগ করছে, আশ-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে।#

পার্সটুডে




গাজ্জার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণের প্রথম চালান রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজ্জার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠানো মানবিক সহায়তার চালানটি মিশরের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রামি এল নাজেরের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল ৩২ কার্টন শুকনো খাদ্যসামগ্রী। গত ২২ অক্টোবর মানবিক সহায়তার চালানটি ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিশরীয় সরকারের অনুমতি এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর থেকে চালানটি সংগ্রহ করে দূতাবাসে আনা হয়।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় মানবিক সহায়তা (ওষুধ সামগ্রী) কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যা দূতাবাসের সব ধরনের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়াসে নিয়োজিত আছে। খুব শিগগিরই সহায়তা সামগ্রী গাজ্জায় পাঠানো হবে।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানবিক সহায়তার চাপের কারণে কায়রো বিমানবন্দরে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সব দেশ ও সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিসর থেকে রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট। ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে মিশর সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনসাফ




গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বৈধতা নেই: ম্যাক্রন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা এবং বর্বর অপরাধযজ্ঞের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই।

প্রেসিডেন্টের ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর পশ্চিমা চাপ প্রকাশ্য হলো। এর আগে গত শুক্রবার বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শিশু হত্যার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

নতুন এক সাক্ষাৎকারের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরিষ্কার করে বলেছেন, “এইসব শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করছে ইসরাইল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বৈধতা নেই। ফলে আমরা শিগগিরই এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই।”

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ইসরাইল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে এবং ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই ধরনের বক্তব্য দিলেও ইসরাইলের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অনেকটাই পিছু হটেন। তারপরেও ম্যাক্রন নতুন করে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইলকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




ইসরাইলি পদাতিক বাহিনীর ওপর হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা নিয়ে যখন হিজবুল্লাহর সাথে তেল আবিবের প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর এই হামলার খবর বের হলো। আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো সময় ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গতকালের (সোমবার) হামলা সম্পর্কে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি পদাতিক সেনাদের ওপর হামলার জন্য গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে। এতে নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনারা হতাহত হয়েছে যার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজার সম্মানিত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিচালিত রেডিওর খবরে হামলার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে দুই সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

হিজবুল্লাহ আরো দুটি বিবৃতিতে দক্ষিণ লেবানন এবং শেবা ফার্মের তিনটি ইসরাইলি অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায়ও ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।#

সূত্র: পার্সটুডে




ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, ইসরাইল তাদের গোলাম বানাতে চায়: মাওলানা আরশাদ মাদানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একদিনের সম্মেলনে জমিয়তের জাতীয় সভাপতি মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানি ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত জমিয়তের ওই সম্মেলনে এর পাশাপাশি মাওলানা মাদানি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল ও কলেজ খোলার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার দেওবন্দের মাদানি মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুলে আয়োজিত একদিনের সম্মেলনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১৭টি জেলার দেড় হাজারেরও বেশি জমিয়ত কর্মকর্তা শামিল হয়েছিলেন। এতে মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, ‘যেভাবে ভারতের স্বাধীনতার জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, ঠিক একইভাবে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ফিলিস্তনিরা তাদের দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে আত্মত্যাগ করছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আরব দেশগুলোতে পৌঁছালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

মাওলানা মাদানি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে দেশে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, অন্যদিকে ইসরাইল তাদের ক্রীতদাস বানাতে চায়। তিনি বলেন, কোনো দেশের স্বাধীনতা দুধ পান করে নয়, আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়। ইসরাইলের বর্বর কর্মকাণ্ডে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এমনকী নিষ্পাপ শিশুদেরও রক্ত ঝরানো হচ্ছে, কিন্তু কেউ সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না এবং সত্য হল ফিলিস্তিন স্বাধীন হবেই।

এর আগে মাওলানা মাদানি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে ইসরাইল একটি দখলদার এবং তারা ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে জোর করে দখল করেছে, যার মুক্তির জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়, তারা সন্ত্রাসী নয়।’

জমিয়তের সম্মেলনে সোমবার মাওলানা আরশাদ মাদানি দেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের টার্গেট করে বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান দিচ্ছেন তাদের ভাবতে হবে এতে দেশ সমৃদ্ধ হবে না বরং ধ্বংস হবে। তাই সকলের উচিত দেশকে এ পথে চলা থেকে বিরত রাখা। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ছোট গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগলে এমনকি হত্যাও করা হয়।

মাওলানা মাদানির অভিযোগ- দেশে মুসলিম মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে হিন্দু ধর্মে এক বর্ণের বিয়ে অন্য বর্ণের সঙ্গে হতে পারে না। তাহলে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে কেন? তাই মুসলমানদের উচিত তাদের মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।

এ প্রসঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘জমিয়তের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যে কথা বলেছেন, সেটা বরাবরই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। যখন থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এই মর্মে যে প্রস্তাব পাস করেছে যে ফিলিস্তিন হল ফিলিস্তিনবাসীদের। সেখান থেকে তাদেরকে উৎখাত করা, তাদেরকে শরণার্থী বানিয়ে দেওয়া, এটা চরম অন্যায়। ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনবাসীদেরই, তাদের সেখানে নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকবে। এবং সেই লড়াই তারা করছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ওই বিষয়ে সমর্থন আছে এবং থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়, মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যেটা বলেছেন, এটা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই এই একই কথা বলছে। কেবলমাত্র ইসরাইল এবং তার সমর্থক দেশগুলো এই মর্মে ভেটো দিচ্ছে। যার ফলে এত রক্ত ঝরছে। এত অন্যায় হচ্ছে, এত অবিচার হচ্ছে। জননিধন, মানবতার নিধন সারা পৃথিবী দেখছে। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে সোচ্চারও হচ্ছে। সরব প্রতিবাদ সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সরব প্রতিবাদ করেছে। আমরা রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে দু’দফায় প্রতিবাদ মিছিল করেছি। এর সমাধান দ্রুত হওয়া দরকার, যদি এর সমাধান না হয় তাহলে জটিলতা আরও বাড়বে, সারা পৃথিবী তাতে অস্থির ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম।#

সূত্র: পার্সটুডে