আলজাজিরা সাংবাদিকের পরিবারের ১৯ সদস্যকে হত্যা করল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই এক হামলাতেই পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রকৌশলী।

নিহতদের মধ্যে ওই আল জাজিরা কর্মীর বাবা ও দুই বোনও রয়েছেন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাবা এবং দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আল জাজিরা। এতে আমাদের নিবেদিত এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ক্ষমার অযোগ্য ইসরায়েলি এই হামলায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’

গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আতেফ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখনও নিহতের মোট সংখ্যা জানাতে পারেনি কারণ এটি এখনও নিহতদের সংখ্যা গণনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর (গাজা) উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরের একটি বিশাল এলাকাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে আছেন।’

এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট সিএনএনকে বলেছেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। আমরা এটি অনুসন্ধান করছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে আমরা আরও তথ্য নিয়ে হাজির হবো।’

জাবালিয়ায় হামলার পর ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের হামলার জেরে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের নিচে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতেও দেখা যায়।

কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরা আরবির গাজা সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় এই হামলা হলো এবং আল জাজিরা কর্মীর পরিবারে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু, ২ হাজারের বেশি নারী এবং প্রায় পাঁচশো বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো।

তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।




যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে বাইডেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল ‍ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এই সফর এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

মার্কিন কর্মকর্তরা দেশের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য বিদেশ সফর নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া বার্তা বলতে পারেন না। এ জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই দেশটির পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেলআবিব সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এবার এই যুদ্ধের মধ্যেই যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেলআবিব সফর করেন তাহলে তা হবে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের আরেক শক্ত বার্তা। তবে বাইডেনের এই সফর ভালোভাবে না-ও নিতে পারে ইরান ও অন্যান্য আরব দেশগুলো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উসকানি হিসেবে দেখতে পারে।

এনএ/

এ ছাড়া এমন একসময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফরের তথ্য সামনে আসছে যখন ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজায় বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এ হামলার জন্য গাজা সীমান্তে বহু সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল।




গাজার হাসপাতাল খালি করার ঘোষণা : ইসরাইল নতুন অপরাধ করেছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলা থেকে কিছুই বাদ যাচ্ছে না। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, এমনকি গণমাধ্যমের কার্যালয়তেও হামলা চালাচ্ছে।

এখন আবার নতুন করে দখলদার সেনাবাহিনীর ঘোষণা দিয়েছে- উত্তর গাজা উপত্যকার আল আওদা সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ খালি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের স্ট্রিপ ছেড়ে না যাওয়ার এবং তাদের প্রধান ভূমি ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছে।

পরিবর্তে, হামাস বলেছে দখলদার সেনাবাহিনীর হাসপাতালগুলি খালি করার ঘোষণা আরেকটি নতুন অপরাধ। হাসপাতাল মৌলিক ও জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্তর্ভূক্ত এটি। এসেবা রোধ করা চরম অপরাধের শামিল।

ইসরায়েলকে হাসপাতালগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার অপরাধমূলক পরিকল্পনা থেকে বন্ধ করতে হামাস আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ জাতিসঙ্গকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহব্বান জানিয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা।




বাংলাদেশের হাফেজদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত

dnb news :

বাংলাদেশে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা যথেষ্ট অগ্রগামী মন্তব্য করে এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। এ বিষয়ে সৌদি সরকারের সবধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস কর্তৃক আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের প্রশংসা করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতেও সবসময় ভালো অবস্থান করছে। গত বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সালেহ আহমাদ তাকরীম তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতাতেও বাংলাদেশের দুইজন ক্ষুদে হাফেজ পুরস্কার পেয়েছে। বাংলাদেশে কুরআনকেন্দ্রিক পড়াশোনার অবস্থান অনেক ভালো। এ দেশে প্রচুর হাফেজ, কারি ও আলেম রয়েছেন যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাধারণত পাওয়া যায় না।

পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে সৌদি সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বলেন, সৌদি সরকার সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের প্রচার প্রসারে বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় গত বছর শুধু বাংলাদেশেই ১০ লাখ কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া হিফজ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে সৌদি-বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সৌদি আরবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, যা বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশিদেরও সৌদি আরবে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা সাদওয়াদ সায়াদ, প্রতিযোগিতার বিচারক হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ আব্দুল হক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান, সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিসের গণসংযোগ কর্মকর্তা ড. এমদাদুল হক খান, মাসউদুর রহমান, আবদুস সোবহান আজহারী প্রমুখ।

জানা যায়, রাজকীয় সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাসি অফিস আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা গত দুমাস ধরে চলে আসছে। প্রথমে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকায় চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে ১৫ পারা ও ৩০ পারা বিভাগে ৫ জন করে মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সৌদি রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও সম্মানী হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ১৫ পারা ও ৩০ পারা দুই গ্রুপে মোট ১০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে তানযিমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার মো. শুয়াইব হাসান প্রথম, মৌলভীবাজারের মারকাজু তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার আবদুল্লাহ তাইয়্যিব দ্বিতীয় ও সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া ফরিদাবাদের আবদুর রহমান জামী তৃতীয় হয়েছে।

এছাড়া উত্তর যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার হুযায়ফা চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার আনাস মাহফুজ পঞ্চম হয়েছে।

৩০ পারা গ্রুপে রাজধানীর দক্ষিণখানের আন নূর মাদরাসার আবদুল্লাহ বিন নূর প্রথম, মিরপুরের মারকাযুত তানজিল মাদ্রাসার আনাস প্রধান দ্বিতীয় ও মারকাজু ফয়জিল কুরআনের শাহরিয়ার শাহরিয়ার তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া একই মাদ্রাসার নুমান চতুর্থ ও নেত্রকোনার জামালুল কুরআন মাদ্রাসার মুস্তাকিম বিল্লাহ পঞ্চম হয়েছে।




দেশ আমাদের এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: মুফতি ফয়জুল করিম

dnb news:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে সিনিয়র আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কীভাবে হবে? এখানে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার জনগণের ভোট ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যেকোনোভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ওলামা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন। দেশে এখন কোথাও কোনও জবাবদিহিতা নেই, ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগসহ জাতীয় সরকার গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ কাউকে মানছে না। বিদেশিদের কাছে যেয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। বিদেশিরা আজ বলছে আমাদের সেন্টমার্টিন দাও, কাল বলবে আমাদের পুরো দেশটাই দিয়ে দাও। তাই একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও মুফতি ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মোসতাক আহমেদ, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল করিম রাতে নিউমার্কেট সংলগ্ন টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকা জিকিরে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন।




মসজিদে নববীর খতিব শায়খ আহমদ আল হুজাইফির পদত্যাগ

dnb news:

সৌদি আরবের মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন শায়খ আহমদ আল হুজাইফি। নিয়োগের মাত্র সাত মাসের মাথায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। হারামাইন পরিষদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে জানানো হয়, শায়খ আহমদ আল হুজাইফি তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট শায়খ সুদাইস তার পদত্যাগ গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা এবং দোয়া করেছেন। তবে তার পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। রীতি অনুযায়ী হারামাইন পরিষদও এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

শায়খ আহমদ আল হুজাইফিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সম্মতিক্রমে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর মসজিদে নববির খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে থেকেই তিনি মসজিদে নববির ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি মসজিদে নববির প্রবীণ ইমাম ও খতিব শায়খ আলী বিন আবদুর রহমান আল হুজাইফির সন্তান।

জানা যায়, ১৪৩৮ হিজরি থেকে শায়খ আহমদ বিন আলি মসজিদে নববিতে তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪৪১ হিজরিতে তিনি মসজিদে নববির ইমাম হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। পাশাপাশি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মদিনা ও তাইবা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন।

এ বছরের শুরুতে মসজিদে হারামের জনপ্রিয় ইমাম শায়খ ড. সাউদ বিন ইবরাহিম আল শুরাইম পদত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ তিন দশক মসজিদে হারামে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এক বছরে জনপ্রিয় দুই ইমামের পদত্যাগে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।




এবার ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দিলো সুইডেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন পোড়ানো এবং তার জেরে মুসলিম বিশ্বে সৃষ্ট ক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক ব্যক্তিকে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত এবং খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুইডেনের পুলিশ।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, এক ব্যক্তি এই দিন রাজধানী স্টকহোম পুলিশ বরাবর তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে তিনি বলেন, গতমাসে স্টকহোম কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় তিনি এবং তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার তিনি এবং তার বন্ধুরা ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে তাওরাত ও বাইবেল পোড়াতে চান।

স্টকহোম পুলিশ এই আবেদন অনুমোদন করেছে। তবে শর্ত দিয়েছে— এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আবেদনকারী তার সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন সঙ্গীকে রাখতে পারবেন।

গত ২৯ জুন স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এক প্রতিবাদ মিছিলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এই কাজ যিনি করেছিলেন, তিনি শরণার্থী হিসেবে সুইডেনে গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তুরস্ক, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশসহ মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। মুসলিম বিশ্বের উদ্যোগে গত ১২ জুলাই এ বিষয়ক একটি প্রতিবাদ প্রস্তাব (রেজোল্যুশন) পাস করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। পরিষদের ৪৭টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ২৮টি সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোটও দিয়েছে। তবে এই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ উন্নত দেশের মতো সুইডেনের সংবিধানে জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল হয়েছে সুইডেনে এবং দেশটির রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে চেয়ে স্টকহোম পুলিশ বরাবর ইমেইল করেছিল এপি। জবাবে পাল্টা ইমেইলে স্টকহোম পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছি এবং বলেছি— কোনো প্রকার সহিংসতা করা যাবে না।’

এদিকে স্টকহোম পুলিশকে এই অনুমোদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিতে সুইডেনের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ। এক বিবৃতিতে হেরজগ বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। এখন আমাদের ধর্মগ্রন্থ তোরাহ পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়ার তথ্য জানতে পেরে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’




সুইডেনে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

dnb news :

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, সুইডেনে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অবমাননার মধ্য দিয়ে বিশ্বের দুই শত কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এই জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সুইডেনে আল-কুরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিশ্ব মুসলিম কোনভাবেই বরদাশত করবে না।

গত ঈদুল আযহার দিন সুইডেনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কঠোর নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবী জানান।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক
সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সহ- বায়তুলমাল সম্পাদক মো: জিল্লুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ
খন্দকার, হাজী নূর হোসেন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক আবদুল করিম, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূইয়া, কাজী আরিফুর রহমান, মো: আবুল কালাম, আমীর আলী হাওলাদার, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সেলিম হোসাইন, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।

সমাবেশের পর পূর্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।




‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর কাবা চত্বর, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

dnb news :

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…’ ধ্বনিতে মুখর কাবা চত্বর। বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়। ২০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ (রোববার) থেকে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

এ দিন ভোরে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। আর শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে। এ বছর বিশ্বের ১৬০ দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করছেন।

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৮ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। সৌদিতে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। আর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ২৯ জুন।

এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া।

তিনি বলেন, রোববার থেকে বিশ্বের লাখো মুসলিমের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হবে মক্কা। এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন। হজ পালনে আল্লাহর অতিথিদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন হজে যান। তাদের মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩২১ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৭ জন। এছাড়া শনিবার সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৮৫৭ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানায়, গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় হজে প্রথম ফ্লাইট। চলতি বছর হজযাত্রীদের বহন করে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বহন করে ৬১ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রী। বাকি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ার।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২২ জুন তাদের হজ ফ্লাইট শেষ করেছে। শুক্রবার (২৩ জুন) সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়, চলতি বছর ১৬০টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৫১ হজযাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছে দিয়েছে বিমান। ২ জুন থেকে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। যা ৩ জুলাই সকাল ৬টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, এ বছর বিমানের প্রি-হজের শেষ ফ্লাইট বিজি-৩৩৫ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৬২ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিমানের প্রি-হজ কার্যক্রম।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করা যায়নি। সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।

এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে গেছেন ২ হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ ও বেসরকারিভাবে থাকবেন ২ হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই হিসাবে ৪ হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।




সৌদি পৌঁছেছেন ৭৯ হাজার ৪৪ জন হজযাত্রী, ১৭ জনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এ বছর সৌদি আরবে ৭৯ হাজার ৪৪ জন হজযাত্রী পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৩৮৬ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৬৯ হাজার ৬৫৮ জন। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৪টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও তিন জন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১৪ জন, মদিনায় ৩ জন। সবশেষ ১৩ জুন মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মাকফুরা খাতুন (৬১)।

হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২১ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ২২ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২ জুলাই আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।