বিশ্বে প্রথম কফিমন্ত্রী হলেন পাপুয়া নিউগিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে একজন কফিমন্ত্রী পেলো প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির মানুষ। দেশের কফিশিল্পকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে একজন মন্ত্রী নিয়োগ দিলো দেশটির সরকার। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চলতে-ফিরতে, ঘুমানো, আড্ডা সবখানেই যেনো কফি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন নতুন নিয়োগ পাওয়া এই মন্ত্রী। চলতি মাসে বিতর্কিত এক নির্বাচনে জয়ী হন পাপুয়া নিউগিনির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপ্পে। গত মঙ্গলবার তিনি নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় নতুন দুটি পদ রাখা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে, কফিমন্ত্রী ও আরেকটি পাম তেলবিষয়ক মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপ্পে বলেছেন, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও কৃষিকাজ নির্দিষ্ট করার লক্ষ্য নিয়েই তিনি এ দুটি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান। কফিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক উপমন্ত্রী জো কুলি। পাম তেলবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্য ফ্রান্সিস মানেকে। বর্তমানে দেশটির কফি শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধানমন্ত্রী মারাপ্পের প্রত্যাশা, নতুন কফিমন্ত্রী নিয়োগে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে এবং রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘জো কুলি কফির জন্য বিখ্যাত ওয়াঘি ভ্যালি অঞ্চলের লোক। জো কুলির জন্য অন্য কোনো কাজ থাকবে না। সেরা কফি পান করানোই তাঁর কাজ। তাঁকে ঘুমাতে, চলতে-ফিরতে, কথা বলতে শুধু কফির বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে।’




পাকিস্তানে বন্যায় আরও ২৩ জনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের।

খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান, করাচিতে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট-বাড়িঘর। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষকে। বন্যা-ভূমিধসে প্রদেশটিতে আরও ১৪ জন মারা গেছে। নতুন করে ছয়টি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় করাচিতে পানি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
পাকিস্তানে চলমান বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। আহত আরও প্রায় দুই হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত ৫ কোটির বেশি মানুষ। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ




‘সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাবের আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমি শুধু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের উক্তিটিই করেছি। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে আসছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম ও কোনদিন কি হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি আমাদের কোনো প্রশ্ন করেননি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না বরং খুব সযত্ন সহকারে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথায় তিনি (জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট) বারবার বলেছেন।

সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি।

তাহলে বিএনপি যে বারবার অভিযোগ করে আসছিল এবার তাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলো কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।




পাকিস্তানের কেপিতে বন্যা, পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ৮ মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারি বৃষ্টিতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় দেখা দেওয়া বন্যায় ও পাঞ্জাবে পাহাড়ি ঢলে ছয় স্কুলগামী শিশুসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার এসব ঘটনার পাশাপাশি দেশটির বহু অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে ডন অনলাইন জানিয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবিরাম মুষলধারায় বৃষ্টি হতে থাকায় আপার দির ও সোয়াত জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, অন্তত ছয় শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে আর বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় আরও নয় জন আহত হয়েছে।

আপার দিরের কাসাই শাহিকোতে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ছড়ায় পাঁচ স্কুলগামী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় বাড়তে থাকা পানির তোড়ে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে দুই জোড়া ভাই-বোন ও অপর একটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

পানি নেমে যাওয়ার পর চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেলেও অপরজনের লাশ পাওয়া যায়নি, তবে সন্ধান অব্যাহত আছে।

এর আগে সামারবাগ জেলার একটি গ্রামে আরেকটি জলধারায় আরেক শিশু ডুবে মারা যায়। স্থানীয়দের চেষ্টায় সেখান থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মিনগোরাতে হড়কা বানে কয়েকশ স্কুল শিক্ষার্থী আটকা পড়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে সামরিক বাহিনীর টিম ও উদ্ধারকারী দলগুলো।

পাঞ্জাব প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, পাহাড় থেকে নেমে ঢলে ডেরা গাজি খানে একজন ও রাজনপুরে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের নিয়ে গত দুই সপ্তাহে পাঞ্জাবে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হল।

ডন জানিয়েছে, প্রদেশটিতে পাহাড়ি ঢলে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সেচ প্রকল্পের খালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা দুর্গত কয়েক হাজার মানুষ সিন্ধু নদের তীরে ও সিন্ধু মহাসড়কে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আশপাশের লোকালয়গুলো কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে।

পাকিস্তানজুড়ে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যায় জুলাই থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৩০ জনের মৃত্যু, অন্তত এক হাজার ৩৪৮ জন আহত ও কয়েক হাজার লোক গৃহহীন হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।




যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের মুসলমানদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে গত নয় মাসে পর পর চারজন মুসলমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আলবুকার্ক শহরে একের পর এক ঘটে যাওয়া মুসলমান হত্যার এ ঘটনায় গত সোমবার প্রশাসন চতুর্থ নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। পূর্বের ঘটনার সাথে এর কোনো সংযোগ থাকার বিষয়টি প্রশাসন উড়িয়ে দেয়নি।

গত সপ্তাহে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন বলছে, নিহত ব্যক্তিদের জাতীয়তা ও ধর্ম পরিচয় একই।

তদন্তকারীদের মতে, শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে পুর্বে ঘটে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিন মুসলিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কোনো যোগসূত্র রয়েছে” বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। পুলিশ আলবুকার্ক শহরবাসীর কাছে একটি গাড়ি খুঁজে দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে, যার তদন্তকারীদের মতে শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সাথে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সংযোগ রয়েছে বলে পুলিশ মনে করে।

আলবুকার্ক শহরের চারজন মুসলিমের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে আমি ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত, গত রবিবার এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, যদিও আমরা তদন্ত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছি, আমার প্রার্থনা নিহতদের পরিবারের সাথে রয়েছে, এবং আমার প্রশাসন মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। আমেরিকায় এ ধরণের ঘৃণ্য হামলার কোনো স্থান নেই।

নাঈম হুসেইনকে গত শুক্রবার রাতে হত্যা করা হয়, এবং অতর্কিত গুলিতে গত নয় মাসে আরও তিনজন মুসলিম নিহত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের মাঝে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যারা বর্ণবাদ, বৈষম্য এবং সহিংসতার সম্মুখীন হয়ে চলেছে। নিউইয়র্কের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ডেবি অ্যালমন্টাসার টুইট করেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি খুব ভয়ঙ্কর। পরবর্তী টার্গেট কে?!

২৫ বছর বয়সী নাঈম হোসাইন পাকিস্তানি ছিলেন। মুহম্মদ আফজাল হোসাইন (২৭) এবং আফতাব হুসেইন (৪১) যারা পাকিস্তানি এবং একই মসজিদের সদস্য ছিলেন, তাদের হত্যাকাণ্ডের পর তার ঘটনাটি ঘটে।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে নভেম্বর মাসে, এতে আফগানিস্তানের অধিবাসী ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহমাদি নিহত হয়। নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের ইসলামিক সেন্টারের জেনারেল সেক্রেটারি আনেলা আবাদ বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুসলমানরা একেবারে হতবাক হয়ে গেছে এবং ইসলামি কমিউনিটি সেন্টারগুলো নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

তথ্য দান করে খুনিকে গ্রেফতারে সহযোগিতা করলে উক্ত ব্যক্তির জন্য জন্য CAIR দশ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করছে।

চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে-যা একটি গাঢ়ো ধূসর বা রূপালী, চার-দরজা বিশিষ্টভক্সওযয়াগেন, পুলিশের মতে। গাড়ি শনাক্ত করে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসন গাড়ির ছবি প্রকাশ করেছে এবং গ্রেফতারে সহযোগিতা করবে এমন তথ্য দানকারীর জন্য বিশ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

নিউ মেক্সিকো রাজ্যের গভর্নর, মিশেল লুজান গ্রিশাম গত ৬ই আগস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তদন্তের জন্য অতিরিক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিহত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব এবং খুনিদের ধরার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমরা তাদের খুঁজে বের করব।

পাশাপাশি তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, আমরা এই কঠিন সময়ে আলবুকার্ক এবং নিউ মেক্সিকো রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। সূত্র: আল জাজিরা




সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সুইস ব্যাংকে রাখা অবৈধ অর্থের বিষয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে, গত বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে রাখা অবৈধ অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি।

তিনি জানান, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা হিসেবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

পরে এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এলে ওই আদেশ দেওয়া হয়।




যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে ইরান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ সংগ্রামের পাশে থাকবে তেহরান। তিনি আজ (বুধবার) ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামি জিহাদের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালার সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন।

কলিবফ আরও বলেন, ইসলামি জিহাদ হচ্ছে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠনগুলোর একটি এবং এই সংগঠন দখলদার শক্তির মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এ সময় ইসলামি জিহাদের মহাসচিব ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সর্বশেষ লড়াইয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইসলামি জিহাদের শর্তগুলো মেনে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভেতরে ও বাইরে প্রতিরোধ সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণেই সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বড় ধরণের সাফল্য এসেছে। জিয়াদ আন-নাখালা আরও বলেন, সর্বশেষ যুদ্ধে ইসলামি জিহাদ প্রমাণ করেছে তারা বড় ধরণের দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধে ইসরাইলের মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে এবং ইসরাইলকে শক্ত আঘাত করতে পারে।

গত শুক্রবার বিকেল থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এর ফলে ১৫ শিশু ও দুই নারীসহ অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এরপর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে পাল্টা জবাব দেওয়ায় ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়। সোমবার ভোর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।




বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি ‍নিউজ ডেস্ক:

আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যত্রতত্র ডিজেল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতেই হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম সমাজের সবার কাছে সহনীয় হবে না। অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতায় ডিজেলের বাজারমূল্য ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, যদি ৯৪ টাকা করে ডলার হয়। এখন ডলারের দাম তো আরও বেড়ে গেছে, সেখানে আমরা ডিজেল বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। এই বিরাট ব্যবধানের কারণে বিশাল পরিমাণ তেল অবৈধভাবে পাচার হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। বিজিবিকে বলা হয়েছে এবং সীমান্ত কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, সব দেশেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আরব আমিরাতের কথা যদি বলি সেখানে ডিজেলের এখনকার দাম ১২২ টাকা করে। আমাদের অবস্থা হয়েছে জাহাজের দাম বেড়ে গেছে, তেলের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে। কিছুটা সীমিত হলেও আরেকটু যদি বেশি কমত তাহলে আমাদের এই পর্যায়ে যেতে হতো না, আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে।

জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বার বার বলে আসছি আপনারা সাশ্রয়ী হন, তেল কম ব্যবহার করেন, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। কারণ, যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। আমি মনে করি, এখনো যানবহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।




‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনির মোহে জাপানি চিকিৎসকের ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাপানি ডা. শুতারো তাকাই একজন প্রাচীন থেরাপি বিশেষজ্ঞ। ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। জাপানের টোকিও শহরের বাসিন্দা এই ডাক্তার। ডা. শুতারো বর্তমানে পাকিস্তানের লাহোর শহরে বসবাস করেন।

জাপানি ডা. শুতারো তাকাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরেই নিজের নামও পরিবর্তন করেছেন। ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিব রা. এর নামের সাথে মিল রেখে ‘আলী’ রেখেছেন তার নাম।

ডা. শুতারো তার প্রাচীন জাপানি থেরাপি কৌশলের মাধ্যমে একজন পেশী ও জয়েন্ট বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে পাকিস্তানের লাহোরে বসবাস করছেন তিনি।

দেশটির সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ডা. শুতারো জানান, তার কাঁধে অসহ্য ব্যথা ছিল। জাপানে তার পাকিস্তানি বন্ধু মাকসুদ তাকে মকসুদের বন্ধু সৈয়দ বাবর বুখারির কথা বলেছিলেন, যিনি আল্লাহু আকবর বলে সুস্থ হয়েছিলেন।

জাপানি ডাক্তার বাবর বুখারির সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি তাকে পাঁচ মিনিটের জন্য আল্লাহু আকবার বলতে বলেছিলেন। এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরেই সাথে সাথে ব্যথা থেকে মুক্ত হোন তিনি।

ডাক্তার আলী ফোনে কথা বলার পরেই পাকিস্তানে চলে আসেন। সৈয়দ বাবর বুখারির সাথে দেখা করেন। এরপরেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
ডা. আলী এই চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ডিভাইস এর ব্যবস্থা করেছেন যার নাম দিয়েছেন CS60। ডিভাইসগুলি শরীরের অক্সাইড নির্ণয় করে। এটি পেশি ও শিরায় ঘষলে শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্লকেজ খুলে দেয়। তবে ব্যাথা নিরাময়ের আধ্যাত্মিক পদ্ধতি দেখে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি।




হজ্ব শেষে দেশে ফিরলেন ৩৯০৭০ হাজি

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরলেন মোট ৩৯ হাজার ৭০ জন হাজি।

রোববার (৩১ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে পবিত্র মদিনা আল-মুনাওয়ারায় মো. আবু তালেব মোল্লা (৫৬) নামে আরও এক বাংলাদেশি হাজি ইন্তেকাল করেছেন। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। এ নিয়ে সৌদি আরবে হজে গিয়ে সর্বমোট ২৫ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার গত ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে যান।