গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত দেশটির গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। একইদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন রাহারিত। ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ ইসরায়েলের হামলায় ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লিঙ্কডইন পোস্টে হালা রাহারিত বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কোনো কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।

গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করা প্রথম মার্কিন কর্মকর্তার নাম জশ পল। তিনিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।




রাফাহতে হামলার আগে হামাসকে ‘শেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বৈঠকে বসে ইসরায়েলি ও মিসরের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরীয় প্রতিনিধি দলকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফাহতে হামলা চালানোর আগে হামাসকে তারা ‘শেষ সুযোগ’ দেবে। আর এই সুযোগের মধ্যে তাদের সঙ্গে হামাসের জিম্মি চুক্তি করতে হবে। নয়ত যে কোনো সময় রাফাহতে তাদের সেনারা প্রবেশ করবে।

দখলদার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিব্রু সংবাদমাধ্যম ইয়েনেতকে জানিয়েছেন, মিসরীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসকে চুক্তিতে পৌঁছাতে চাপ দিতে মিসরীয় প্রতিনিধিরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অপরদিকে তারা জানিয়েছেন রাফাহতে সেনা পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা রাফাহতে যাওয়ার আগে এটি শেষ সুযোগ। আমরা বলেছি হয় চুক্তি করতে হবে নয়ত রাফাহতে হামলা চালানো হবে।”

হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার বর্তমানে রাফাহতে রয়েছেন বলে ধারণা ইসরায়েলিদের।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে জিম্মি চুক্তির যে আলোচনা চলছিল সেখানে বলা হয়েছিল, হামাস প্রথম ধাপে ৪০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে এখন এই সংখ্যা আরও নিচে নামিয়ে আনতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস প্রথম ধাপে ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সেটি ইসরায়েলিরা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

দখলদার ইসরায়েল জিম্মি চুক্তি চাইলেও তারা গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় না। তবে হামাস জানিয়েছে যদি ইসরায়েল কোনো ধরনের জিম্মি চুক্তি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহতে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এটি আটকে রেখেছে। কারণ তারা রাফাহতে হামলা চালানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে চায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়টিও মাথায় রাখছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রাফাহতে বর্তমানে হামাসের যে চার ব্যাটালিয়ন যোদ্ধা রয়েছে সেটির চেয়ে ইসরায়েল এখন গাজা ও মিসরের সীমান্তকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ তাদের শঙ্কা মিসর সীমান্ত দিয়ে হামাসের কাছে আরও অস্ত্র আসতে পারে এবং তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিসর হয়ে যেন গাজায় কোনো অস্ত্র না আসে এই বিষয়টিকে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘নিরন্তর গভীরতর মানবিক সংকট’ নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

জ্যামাইকান সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।”

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ ‘সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জ্যামাইকা। সূত্র: আল জাজিরা, জ্যামাইকা অবজার্ভার, টিআরটি ওয়ার্ল্ড




ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২০০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ডিএনবি আন্তর্জাতিক নিউজ:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের প্রত্যাহার করার পর সে সমস্ত এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহারের সময় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং প্রায় ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

তিনি জানান, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের সময় দখলদার সেনারা বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বহু মৃতদেহ চাপা দিয়েছে। এসব নিহত ব্যক্তির বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

গাজা উপত্যকা জুড়ে দখলদার সেনারা জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে মন্তব্য করে বাসাল জানান, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার আগে তাদেরকে স্বজনদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী সোনারা। হত্যার পর গাজার বহু মানুষকে দখলদাররা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। আগাম নির্বাচন আয়োজন ও গাজায় হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে এই বিক্ষোভে হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ১৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ জানান। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইয়ালন পিকম্যান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। এই সরকার আমাদের শুধু অধঃপতনের দিকে নিচ্ছে।’

বিভিন্ন জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জনমত জরিপগুলোতে বলা হচ্ছে, এখন ইসরায়েলে নির্বাচন হলে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করা হয়। তবে এখনও ১৩৩ জন জিম্মি হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে।

অপরদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিহত হয়েছে। তবে সমস্ত জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।




জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার দাবি ইরান ও ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। একে অন্যকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দোষারোপ করেছে দেশ দুটি।

পাশাপাশি দুই দেশই তাদের চিরশত্রু হিসেবে একজন আরেকজনকে উল্লেখ করে নিরাপত্তা পরিষদকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দাবি জানিয়েছে।

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রবিবার নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই হামলার মধ্য দিয়ে মুখোশ খুলে গেছে তাদের। ইরান হল বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। এই অঞ্চল ও বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে তাদের সত্যিকার চেহারা বেরিয়ে এসেছে।”
এ সময় তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান।

আরডান নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে অনেক দেরি হওয়ার আগেই সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।

এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, “ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”

ইরাভানি বলেন, “তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনও উপায় ছিল না।”

তিনি জানান, যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক তা ইরান চায় না। তবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশ সাড়া দেবেই। সময় এসেছে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব পালন করার, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকিকে মোকাবিলা করার।পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডেকেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী মঙ্গলবার তারা এ বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বেরেল জরুরি এই বৈঠক ডাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জোসেপ বোরেল লিখেছেন, ওই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যাতে অবদান রাখতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্র: এনডিটিভি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল




উত্তেজনা চরমে; ইসরায়েলে হামলায় প্রস্তুত ইরানের শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরান হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

এদিকে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবারের মধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের একটি বড় হামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলিদের পক্ষে এমন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে।

যদি ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইরান, তাহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- এটি ইরানের মিত্র হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে গড়াতে পারে।




গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মীকে হত্যা : নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের নিহতের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সম্প্রতি গাজার দেইর আল বালাহতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ৭ জন ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়া, তিন জন ব্রিটেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন পোল্যান্ডের এবং একজন ফিলিস্তিনের নাগরিক।

ইসরায়েল প্রথমে এ ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নতি স্বীকারে বাধ্য হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায় এবং দুই জন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে।

শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সংক্রান্ত বিবৃতি জারির কয়েক ঘণ্টা পর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েলের সরকার তাদের ভুল স্বীকার করেছে। এটা ইতিবাচক, তবে কে ভুল করেছে— তা মূল ব্যাপার নয়। মূল ব্যাপারটি হলো (ইসরায়েলি বাহিনীর) রণকৌশল এবং পদ্ধতি— যে কারণে এ ধরনের ঘটনা গাজায় প্রতিদিন বার বার ঘটছে।’

‘গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী। আমরা প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আমরা জানতে চাই— কেন তাদের হত্যা করা হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ১ হাজার হামাস যোদ্ধা। তারপর সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে, পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ হাজার। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

সূত্র : রয়টার্স




ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি খামেনির

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, সাহসী ইরানি যোদ্ধারা ইসরায়েলকে শাস্তির মুখোমুখি করবেই। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক ‍উপদেষ্টাদের হত্যার অপরাধের জন্য তাদেরকে অবশ্যই অনুশোচনায় ভুগতে হবে।

খামেনি আরো বলেছেন, কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার সহকারী মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিকে দখলদার ও জঘন্য ইসরায়েলই হত্যা করেছে।

খামেনি বলেছেন, ‘আমাদের সাহসী যোদ্ধারা শয়তান রাজ্যকে শাস্তির মুখোমুখি করবেই। আমরা তাদের তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করতে বাধ্য করবো।’

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মঙ্গলবার সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তিনি।

দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় রাইসি বলেছেন, ‌‌‘এই কাপুরুষোচিত হামলার উত্তর না দিয়ে ছাড়া হবে না।’

রাইসি বলেছেন, ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে বারবার পরাজিত হয়ে এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ইহুদিবাদীরা অন্ধভাবে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের টিকে রাখার সংগ্রাম করছে তারা।’

রাইসি আরো বলেছেন, ‘দিনের পর দিন আমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্তি দেখছি। মুক্ত ও স্বাধীন দেশগুলো ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা পোষণ করছে। এই কাপুরুষোচিত হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’