গাজায় হামাসের হামলায় আরও ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল কাস্সাম ব্রিগেডের হামলায় আরও পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।

কাস্সাম ব্রিগেড আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার পূর্ব খান ইউনুসে টানেলের ভেতর থেকে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। ইহুদিবাদী সেনারা সাজোয়া যান নিয়ে ঐ টানেলের প্রবেশমুখের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, এ সময়ই তাদের লক্ষ্য করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় বহু ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে। তবে দখলদার ইসরাইল সরকার জনরোষ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সেনা হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না।

অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

পার্সটুডে




গাজায় একদিনে ইসরায়েলের ৯ সেনা খতম

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ হারান তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। আইডিএফ দুই দফায় গাজায় ৯ সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। প্রথমে মঙ্গলবার সকালে তারা জানায়, চার সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

গতকাল ৯ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে গাজায় সবমিলিয়ে ১৮৭ দখলদার সেনার মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের। তারা গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর— ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। ফলে সেখানে তারা হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরেপুরি নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। উত্তরাঞ্চলে হামাসের আট হাজার যোদ্ধাকে হত্যার কথাও বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। যুদ্ধের শুরুর দিকে বোমা হামলার যে তীব্রতা ছিল— সেটি এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে রয়েছে তারা। যেখানে তীব্র হামলার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেও ইসরাইল বলছে তারা সফল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উত্তর গাজা থেকে তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, এই সেনা প্রত্যাহার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে পরাজিত করার প্রকল্পের সমাপ্তি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর সেনা কর্মকর্তারা গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা গাজায় তাদের হত্যা ও ধ্বংযজ্ঞকে বৈধতা দেয়ার জন্য পশ্চিম মিডিয়ার সহায়তায় গাজা ইস্যুতে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করে। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছে, তারা গাজায় প্রবেশ করে এই শহরটিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করেছে।  তবে তাদের এই দাবির সত্যতা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। এখন ইহুদি বিশ্লেষকরা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক বাহিনীর অক্ষমতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হামাস সম্পর্কে বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলোর দুর্বলতা বা পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই এবং গাজায় শত শত কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেল এখনো টিকে আছে।

সম্প্রতি গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় যে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী আমেরিকাসহ পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে এমনভাবে পরাজিত করেছে যে, গাজা থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা পশ্চিমা মিডিয়ার সহায়তায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে অপরাজেয় শক্তি হিসাবে প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান এবং এর আগে লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির  অভূতপূর্ব সাফল্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ইসরাইলের এসব দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে। মোটকথা, ফিলিস্তিনিদের এসব প্রতিরোধ ইসরাইলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে  এবং তাদের দুর্বলতা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।

হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনের অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃঢ় অবস্থানের কারণেও ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারাও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাফল্যের কথা স্বীকার করেছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োসি কোপারওয়াসার স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি কলঙ্কজনক ব্যর্থতা, ইসরায়েলের সব গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, তারা হামাসকে এতটাই অবমূল্যায়ন করেছিল যে তারা এটি সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মনোযোগ দেয়নি।

যাইহোক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের প্রত্যাহারের ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তির অব্যাহত সাফল্যের প্রতীক হিসাবে দেখা উচিত।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়াল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থলঅভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত তিন মাসের হামলায় ওই উপত্যকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ শিশু।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দখলদারি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে এক হাজার ১৩৯ জন। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা




গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১০৯

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ১০৯ জনে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।

সর্বশেষ গাজায় নিহত হয়েছেন এএফপির সাংবাদিক মুস্তফা থুরায়া এবং আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল দাহদোহের ছেলে হামজা ওয়ায়েল আল দাহদৌহ।

বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় যেসব ঘৃণ্য অপরাধ করছে, সেসবের মধ্যে অন্যতম হল সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো।

‘যুদ্ধের সংবাদ ও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা থামাতেই সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে,’ বলা হয়েছে সরকারি মিডিয়া দফতরের বিবৃতিতে।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনী প্রতিষ্ঠানকে সজাগ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া দফতর। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি




চিৎকার চেঁচামেচি ও বাগ-বিতণ্ডায় পণ্ড ইসরাইলি মন্ত্রিসভার বৈঠক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসন কাদের হাতে থাকবে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসলেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভার সে বৈঠক প্রচণ্ড চেঁচামেচি চিৎকার আর দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন মন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে উগ্র ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা সেনাবাহিনীর নিজস্ব ভুলগুলো তদন্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কটূক্তি করেন। যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি কয়েকজন রাজনীতিবিদসহ উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা এই তর্ক-বিতর্ক বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত করার কথা বললে এই চেচামেচি শুরু হয়। উগ্র ডানপন্থীরা বলেন, যুদ্ধ চলার মধ্যে তদন্তের এই প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত নয়।

গতকালের মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের বাগ-বিতণ্ডা ও ঝগড়ার মধ্যদিয়ে ইসরাইলের ভেতর প্রচণ্ড অনৈক্য এবং মতভেদের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

হিব্রু ভাষার কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপক চেঁচামেচি চিৎকারের পর নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। যে সমস্ত মন্ত্রী ইসরাইলের সেনাপ্রধানের সমর্থনে কথা বলেছেন নেতানিয়াহুর সমর্থকেরা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে কক্ষে বৈঠক হচ্ছিল তার বাইরে থেকেও এই চেঁচামেচি চিৎকারের শব্দ শোনা গেছে। টাইমস অব ইসরাইল বলছে, বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। টাইমস অব ইসরাইলের ভাষ্য মতে, দৃশ্যত এসব সেনা কর্মকর্তার সাথে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিবাদে তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

গভীর রাতের ওই বৈঠকের সূত্র মতে- সেনাপ্রধান হালেভি সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সমন্বয়ে সামরিক বাহিনীর ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা সৃষ্টি করেছেন পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ। তার সাথে যোগ দেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইটামার বেন জাভির, অর্থ মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং আঞ্চলিক সমন্বয় বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড আমসালেম। তারা জেনারেল হালেভির  কাছে এই তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানতে চান।

এরমধ্যে আমসালেম বলেন, “আপনি কেন এখন তদন্ত করতে চান? সামরিক বাহিনীর বহু লোক এখন যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধ বিজয়ের জন্য তাদেরকে আপনি সেখানে ব্যস্ত না রেখে কেন তদন্ত করতে চাইছেন?”

সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শাউল মোফাজকে এই তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করার বিষয়েও বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন। মিরি রেগেভ সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি শাউল মোফাজকে নিযুক্ত করেছেন। আপনি পাগল নাকি?”

ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। হালেভিকে উত্তেজিত করার জন্য মন্ত্রীদের তিরস্কার করেন ইয়োভ গ্যালান্ট।

বৈঠকে দখলদার বাহিনীর প্রধান বলেন, “সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে তদন্ত করা হবে কিনা সেটি আমার বিষয়; এ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।” তিনি দাবি করেন এই তদন্ত সামরিক বাহিনীর অতীত ভুলগুলো খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে যাতে লেবানন সীমান্তের যুদ্ধে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

এ সময় যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা তদন্ত করার বিষয়ে যদি সেনাপ্রধান কোনো নির্দেশ দেন তাহলে তা নিয়ে আপনাদের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।” এরপরই চেঁচামেচি চিৎকার শুরু হয়। এ সময় ইয়োভ গ্যালান্ট মিরি রেগেভকে উদ্দেশ করে বলেন, “মিরি, আমি আপনার জন্য কাজ করি না, আমাকে বলতে দিন। চিফ অফ স্টাফ যা চান তিনি তা করতে পারেন।”

ইসাইলের রাজনৈতিক নেতারা ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে কোনো তদন্ত করতে দিতে চান না। তারা বলছেন, হামাসকে নির্মূল করা এবং বন্দিদের মুক্ত করার পর সবকিছু হবে। কিন্তু ইসরাইলিরা মনে করছেন, এই যুদ্ধ আগামী এক বছর কিংবা তার পরেও শেষ হবে না। তারা বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত বলে মনে করছেন।

বৈঠকে এইরকম তীব্র বাকবিতণ্ডা ও চিৎকার চেঁচামেচির কারণে নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পরে আবার বৈঠকে বসা যাবে। বৈঠকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা কান-কে বলেছেন, “এটি ছিল খুবই লজ্জাজনক বৈঠক।” তারা সেনা প্রধানকে অপমান করার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।#

পার্সটুডে




আরুরির হত্যাকাণ্ড হামাস যোদ্ধাদের আরো বেশি দৃঢ়সংকল্প করবে: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপ প্রধানকে হত্যা করার ফলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের সংকল্প আরো দৃঢ় হবে। হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে।

ওই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আরুরি এবং দুই হামাস কমান্ডারসহ ছয় জনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী মানসিকতা আরো শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।

বিবৃতিতে আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস এবং গাজা-ভিত্তিক অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের বহুমুখী হামলায় ইসরাইলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার পুষিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ তেল আবিব সরকার হত্যা এবং নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তেল আবিব।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার রাতে এক ড্রোন হামলায় হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি শহীদ হন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনিসহ হামাসের সকল প্রবাসী নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে মঙ্গলবার রাতের হামলার দায়িত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল। ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করলে তার অর্থ হবে লেবাননের সার্বভৌমত্ব তথা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘনের দায়িত্ব স্বীকার করা।

তবে আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরুরিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।  আইআরজিসি আরো বলেছে,  আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের অপমানজনক পরাজয়ের ক্ষতি এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী তৎপরতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।  ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রতিরোধ ফ্রন্টের হিসাবনিকাশ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে হিজবুল্লাহর স্থানীয় কর্মকর্তা হোসাইন ইয়াজবেকও রয়েছেন বলে স্বীকার করেছে সংগঠনটি।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমার যোদ্ধারা যুদ্ধকে ভয় পায় না। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বাহিনীর হামলা বাড়ে, এমন ঘোষণা তিনি এখনই দিতে চাচ্ছেন না।

এদিকে, বৈরুতে হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল আরৌরি নিহত হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, মিত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপ-প্রধানের হত্যা জঘন্য অপরাধ, যার পরে আমরা চুপ থাকতে পারি না। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধের বিস্তৃতির কারণ হতে পারে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার (৩ জানুয়ারি) দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারুন গ্রামে ওই হামলা চালায়। গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এক দিনে এতজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হলেন।

ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ১৪৩ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বিপরীতে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় ১১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন।




ইসরাইলি গুপ্তচর এজেন্ট সন্দেহে ৩৩ জনকে আটক করলো তুর্কি পুলিশ

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার সন্দেহে অন্তত ৩৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে তুরস্কের পুলিশ। এছাড়া, মোসাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করার সন্দেহে আরো ১৩ জনকে খোঁজা হচ্ছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক রিপোর্টে জানিয়েছে, মোসাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা এসব ব্যক্তি তুরস্কে বসবাসরত বিদেশী কিছু ব্যক্তির ওপর নজরদারি এবং তাদেরকে হত্যা কিংবা অপহরণে সহায়তা করার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের হয়ে এইসব ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে।

গত মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার শিন বেথের প্রধান রন বার বলেছিলেন, তার সংস্থার কর্মকর্তারা পশ্চিম তীর, লেবানন, তুরস্ক কিংবা কাতারে অবস্থানরত হামাসের কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে তাদের হত্যা করবে। এ কাজে যদি কয়েক বছর সময় লাগে তাহলেও তারা সেই হত্যাকাণ্ডের কাজ শেষ করবে।

এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশে হামাসের কোনো কর্মকর্তাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালালে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মারাত্মক পরিণতি বরণ করতে হবে।

গতকাল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাসের পলিট ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরুরিকে ড্রোন হামলার সাহায্যে শহীদ করে দখলদার সেনারা। ওই দিনই তুরস্কে এসব গুপ্তচর এজেন্টকে আটক করলো তুর্কি পুলিশ।#

পার্সটুডে




হামাসের নিক্ষিপ্ত রকেটের মাধ্যমে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ ইসরাইলের

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরেই ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ মধ্য ও দক্ষিণঞ্চলীয় বহু শহর লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

ফলে নতুন বছরের অনুষ্ঠান পালন বাদ দিয়ে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে এসব শহরের অধিবাসীরা।

রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিব ও অ্যাশদোদসহ বহু ইসরায়েলি শহরে সাইরেনের শব্দ বাজতে শুরু করে। এর ফলে ইসরায়েলিরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে।

আল-মায়াদিন টিভি জানিয়ছে, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহর থেকেও রবিবার রাতে তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। গাজা থেকে মধ্যরাতে রকেট উৎক্ষেপণ শুরু হলে গাজাবাসী আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে এ হামলাকে স্বাগত জানায়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা তিন মাসের ভয়াবহ বোমাবর্ষণের পরও ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট উৎক্ষেপণের সক্ষমতা দেখে গাজাবাসী উল্লাস প্রকাশ করে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো গাজা থেকে তেল আবিব অভিমুখ অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাওয়ার খবর দিয়েছে। এসব গণমাধ্যম ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বলেছে, এই বাহিনী যখন দাবি করছে তাদের গত তিন মাসের অভিযানে হামাসের রকেট হামলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে তখন তেল আবিবে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট নিক্ষেপের ঘটনা এর উল্টো চিত্রই প্রমাণ করে।

এসব গণমাধ্যম বলেছে, “আমরা নিজেদেরকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকি।”

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওত আহরোনোত লিখেছে, “ইসরায়েল গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেটের মাধ্যমে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করেছে।” সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট