রমজানে আল-আকসায় নামাজ আদায়ে বাধা দেবে না ইস’রায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ে দেবে না দলখদার ইসরায়েল। সেখানে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগের বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসায় আসতেন, এ বছরও তাতে কোনও ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ণ করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রমজানে আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশের বিপক্ষে ছিল। এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেন গিভির বলেছিলেন, যেখানে আমাদের নারী ও শিশুরা গাজায় জিম্মি হয়ে রয়েছে, সেখানে টেম্পল মাউন্টে হামাস তা উদযাপন করবে তা আমরা হতে দিতে পারি না।

তার এই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এটি কেবল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়াই নয়, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তার সঙ্গেও ব্যাপারটি সম্পর্কিত। পশ্চিম তীরে বা বৃহত্তর অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজান একটি পবিত্র মাস। বিগত বছরগুলোর মতে এ বছরও এই মাসের পবিত্রতা অক্ষুণ্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইসরায়েল।

সূত্র: আল জাজিরা,




ফিলিস্তিনে লাইভ গণহত্যা করা হচ্ছে …

পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে ‘হামাসকে সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার, যে কারণে ফিলিস্তিনিরা আক্রমণ চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নীরব। ফিলিস্তিনে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, গাজার চলমান গণহত্যা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নিধন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজা ভূখণ্ডে তারা খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ছয় মাস ধরে একদিকে চলছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার মহোৎসব, অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের অভাব যা বাকিদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সবশেষ হিসাব মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৮ সালে প্রথমবারের বারের মতো ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। কারণ ইহুদি জনগোষ্ঠির ঘরবাড়ির বানানোর জায়গা দিতে হবে।

সে সময়ের যুদ্ধে নতুন করে ৪১ হাজার ৩শ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েল এবং পিএলও বা ফিলিস্তিনের পক্ষে নিহত হয় হাজার মানুষ। এরপর প্রথম দফায় নিহত হয় হাজারো ফিলিস্তিনি এবং বেশ কিছু ইসরাইলি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যা এখনো চলছে। যুদ্ধে প্রথমদিকে হামাস বা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। বেশ কিছু ইসরাইলি লোকজন হামাসের হাতে বন্দি হয়। পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে হামাসকে আক্রমণকারী বা সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে এত মিছিল হচ্ছে কিন্তু সেটা যুক্তরাষ্ট্র কানেই তুলছে না। আজকে যদি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াতো তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যেতো। পৃথিবীতে কিছু আছে রাষ্ট্র, কিছু আছে টেরিটরি। সেই হিসেবে ফিলিস্তিন কোনো রাষ্ট্র নয়। ফিলিস্তিন হচ্ছে একটা টেরিটরি। আর ইসরাইল হচ্ছে একটা রাষ্ট্র। এই ইসরাইল রাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা বাইডেনের অবস্থান দেখেই বোঝা যায়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্বে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে, যেটা হচ্ছে ফিলিস্তিনে।

ইহুদিরা কিন্তু কখনো মুসলিমদের থেকে মার খায়নি, তবুও তাদের সংঘাত চলছে। ইহুদিরা মার খেয়েছে ইউরোপে, খ্রিষ্টানদের দ্বারা। ইসরায়েলকে বলা হয় আমেরিকার ৫১তম রাষ্ট্র, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন না থাকলে ইসরাইল কখনো এত শক্তিশালী হতো না।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ও সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ।




উত্তর গাজায় ৬ শিশুর মৃত্যু, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান ও আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

জাতিসংঘের হিউম্যানেটারিয়ান এজেন্সি জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি।

মূলত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।




রমজানে আল আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেবে ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের এ আহ্বানকে নেতানিয়াহু অনুমোদন দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধগোষ্ঠী হামাস এক বিবৃতিতে রোজার মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেছে, ‘এই ঘোষণা পবিত্র মসজিদে প্রবেশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।

’ হামাস এ বিষয়ে রবিবার জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের কট্টরপন্থী আচরণ ইহুদিবাদী অপরাধ এবং ধর্মীয় যুদ্ধের প্রতিফলন।’ তারা আরো জোর দিয়ে বলেছে, এই পরিকল্পনার অর্থ, রমজানে ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদে আক্রমণ আরো বাড়াবে।

ইসরায়েলের চ্যানেল-১৩ এর আগে জানিয়েছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ হবে, তাই নেতানিয়াহু রমজানের সময় আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন করেছেন।

মাসে শুধু সীমিতসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আল-আকসা এলাকাকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে মনে করেন ইহুদিরা। এলাকাটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘রমজানের সময় আল-আকসা মসজিদে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে, তবে এটি কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

’ বেন-গভির এর আগে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে রমজানের সময় ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এদিকে ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসায় প্রবেশ সীমিত করছে। বিশেষ করে গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রবেশ সীমিত করেছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি




পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানে ইমরান খানের পিটিআইসহ কয়েকট দলের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণজমায়েত বা সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণ জমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।

এর আগে, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দেয় দলটি।

পিটিআইয়ের দাবি, তারা একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু এরপরও তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারানো হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

এতে দেখা গেছে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৬টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি। এ ছাড়া করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) জয় পেয়েছে ১৭টি আসনে।




বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজের গৌরবময় অর্জন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলজেরিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশি হাফেজ বশির আহমাদ। সে শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী। এই প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে এই হাফেজ বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছিল।

মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী জানান, আলজেরিয়ার আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ মেধাবী হাফেজ বশির আহমাদ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এর আগেও সে ২০২১ সালের পিএইচপি কোরআনের আলোর দেশ সেরা হাফেজ হয়।

তিনি জানান, হাফেজ বশির আহমাদ খুবই মেধাবী। সে গৌরবের সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করছে। মাত্র ৫ মাসে হিফজ সমাপ্ত করা এই বিশ্ময়কর বালক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানে আরেকটি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবেন। ইনশাআল্লাহ। ইরানেও যেন বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাই।

তিনি আরো জানান, এর আগেও আমাদের শিক্ষার্থী হাফেজ মহিউদ্দীন আলজেরিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিভাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।

জানা যায়, হাফেজ বশির আহমাদ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুর রশিদ ও বুশরা চৌধুরীর ঘরে জন্মগ্রহণ করে মেধাবী এই হাফেজে কুরআন।




হামাসের সাথে চুক্তির দাবিতে তেল আবিবে আবোর বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেসব বন্দী রয়েছে তাদের অনতিবিলম্বে মুক্ত করার জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার দাবিতে গতকাল (শনিবার) আবারো তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গাজা থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে এ ধরনের বিক্ষোভ মিছিল এখন নিয়মিত কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

গতকালের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজকরা বলেছেন, বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তির বিকল্প নেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এসব বন্দির ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। তদন্ত এবং নতুন নির্বাচন এড়ানোর জন্য নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি করতে চান না বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন।

গতকালের সমাবেশ থেকে যে ভাষায় বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা আগের যেকোনো সমাবেশের বক্তব্য থেকে অনেকটা ভিন্ন এবং কঠোর। এর আগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজকরা এতটা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাজা ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

গতকালের সমাবেশে বক্তারা অনেকেই বলেছেন, হামাসের সাথে চুক্তির মাধ্যমে দ্রুত বন্দিদের ফিরিয়ে আনার মধ্যদিয়েই কেবল ইসরাইলের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে আসবে। সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সাবেক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোনেন ম্যানেলিস। তিনি সরাসরি বলেন, ইসরাইলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি তার চরম আস্থার ঘাটতি রয়েছে।#

পার্সটুডে




চীনে ভূমিধসে ৪৪ জন চাপা পড়েছে

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে ৪৪ জন চাপা পড়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জেনসিয়ং কাউন্টিতে সোমবারের ভূমিধসে ১৮টি বাড়ির ৪৪ জন চাপা পড়েছে। এ কারনে জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকা থেকে দু’শোরও বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অন্তত ২০০ উদ্ধারকর্মী ৩৩টি অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ট্রাক, ১০টি লোডার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর জন্য।

সিসিটিভি আরো বলেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ দু’শোরও বেশি উদ্ধারকর্মী সেখানে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, চীনের প্রত্যন্ত এলাকা ইউনানে ভূমিধস একটি সাধারণ ঘটনা। যেখানে হিমালয়ের বিপরীতে খাড়া পর্বত শ্রেণী রয়েছে।




কাস্‌সাম ব্রিগেডের হামলায় গাজায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্‌সাম ব্রিগেডের রকেট হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে, গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গোলা বর্ষণে ৮ শিশুসহ ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের আল-কুয়েত হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম তীরের তুলকারাম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের একজন ছিলেন মুহাম্মাদ ফয়সাল দাউস নামের এক ফিলিস্তিনি যুবক ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল গাজায় ইসরায়েলি হামলার ১০৪ তম দিন। গত সাত অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার।

সূত্র : পার্সটুডে।




নেদারল্যান্ডসে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা, মুসলিম যুবকের দুঃসাহসিক বাধা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী দল পেগিডা’র নেতা, ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টাকালে কয়েকজন মুসলিম যুবক তাতে বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি গেলডারল্যান্ডার জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গেলডারল্যান্ডের রাজধানী আর্নহেমে শহরের জান্সপ্লেইন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করেন এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড। পুলিশি নিরাপত্তাকে ভেদ করে এক মুসলিম এডউইন ওয়াগেনসভেল্ডের মুখে লাথি মারে। পরে আবার কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করলে আবারও মুসলিম যুবকরা তেড়ে আসতে থাকে। এসময় ভয়ে এডউইন কাপুরুষের মতো দৌড়ে পুলিশের গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় শহরের মুসলিম অধিবাসীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্নহেম শহরের মুসলিম মেয়র আহমেদ মারকুচও।

ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন ছিঁড়ে ফেলে তা পদদলিত করে। এছাড়া, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের দূতাবাসের সামনে একাধিকবার কুরআন ছিঁড়ে ফেলে।#

পার্সটুডে