মাল্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্স ও ব্রিটেনও একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে

স্পেন সহ বেশ কয়েকটি দেশের অনুসরণ করে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে দেশটি আগামী মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বলেছেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে গত ৪৫ বছরের জাতীয় বিতর্কের অবসান ঘটাবে। পার্সটুডে জানিয়েছে, মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “দিন দিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া এই মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না।”

রবিবার এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, যেখানে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

অ্যাবেলা জর্ডানের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি চিকিৎসার জন্য মাল্টায় আনা ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথেও দেখা করেন।

২০ জুন একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে এই পদক্ষেপ দেয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড গত বছর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, অন্যদিকে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও ঘোষণা করেছে যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি ভাবছে।# সূত্র: পার্সটুডে




ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। পণবন্দীদের উদ্ধার ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে মাইক্রোসফট দাবি করেছে, তাদের অ্যাজিওর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজায় সরাসরি হামলা বা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

শনিবার (১৭ মে) মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মাইক্রোসফটের করপোরেট ওয়েবসাইটে একটি স্বাক্ষরবিহীন ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এটিই সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি যে গাজা যুদ্ধে তারা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।

এ স্বীকারোক্তির প্রায় তিন মাস আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসরকারি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০ গুণ বাড়িয়েছে এবং এতে মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য অনুবাদ, বিশ্লেষণ ও যাচাই করার কাজে অ্যাজিওর ব্যবহার করা হত। এসব তথ্য পরবর্তীতে ইসরাইলের নিজস্ব এআই-চালিত টার্গেটিং সিস্টেমের সাথে মিলিয়ে দেখা হত।

এ অংশীদারিত্ব ইসরাইল, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের এআই প্রযুক্তি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তৈরি করে এবং এতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কর্মীদের উদ্বেগ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সামনে আসায় তারা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে এবং একটি বাইরের সংস্থাকে অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তবে তারা ওই সংস্থার নাম বা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

মাইক্রোসফটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সফ্টওয়্যার, পেশাদার পরিষেবা, অ্যাজিওর ক্লাউড স্টোরেজ ও এআই পরিষেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাষা অনুবাদ। তারা ইসরাইলি সরকারের সাথে কাজ করেছে যাতে তারা তাদের জাতীয় সাইবারস্পেসকে বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে, হামাসের হাতে আটক আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টায় ‘বাণিজ্যিক চুক্তির সীমার বাইরে’ কিছু প্রযুক্তি ও ‘জরুরি সহায়তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

তবে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি, তাদের প্রযুক্তি ইসরাইলি সেনাবাহিনী কিভাবে ব্যবহার করেছে এবং মাইক্রোসফট কিংবা তাদের নিযুক্ত বাইরের তদন্তকারী সংস্থা আদৌ ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা।




গ্রেফতারের ভয়ে ভ্যাটিকান সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ভ্যাটিকানে নতুন পোপের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামীকাল (রোববার) ভ্যাটিকানে পোপ লিও চতুর্দশ-এর অভিষেক তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছেআন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে তিনি এই সফর বাতিল করেছেন।

গত কয়েকদিনে নেতানিয়াহুর দপ্তর ইতালি ও ভ্যাটিকানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলযাতে তারা নিশ্চিত হতে পারে যেতার বিরুদ্ধে জারি হওয়া আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে না। তবে যেসব উত্তর তারা পেয়েছেনতাতে পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নিযে কারণে শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আইসিসি নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

আইসিসির আদেশে বলা হয়ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।

আদালত আরও বলেছেদুইজনের প্রত্যেকের অন্যদের সাথে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসাবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যানিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।”#

সূত্র: পার্সটুডে




হিউম্যান রাইটস ওয়াচ: তেল আবিব জীবন ধ্বংস করতে চাইছে; সানচেজ: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে যে গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরাইলি সরকারের লক্ষ্য হল এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ধ্বংস করা।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের অপরাধ এক বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই অপরাধের সর্বশেষ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে খান ইউনিসের পূর্বে ইউরোপীয় হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ইসরাইল ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে যার ফলে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত ও নিখোঁজ হন। পার্সটুডে অনুসারে ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে ইসরাইল গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কারণে জীবন ধ্বংস হচ্ছে এবং এই এলাকার বাসিন্দাদের শেষ আশ্রয়স্থলও ধ্বংস হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলার পরপরই ইউরোপীয় হাসপাতালে বোমা হামলা এবং এটি বন্ধ করে দেয়ার অর্থ হচ্ছে একটি নীরব মৃত্যুর পথ তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে মূলত গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে অশুভ পরিকল্পনা চলছে । বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর সেনাবাহিনী উদ্ধার কর্মীদের লক্ষ্য করে রাস্তায় হামলা চালানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা (ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে সকল দেশকে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কানাডা: গাজার ক্ষুধাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

এই প্রসঙ্গে, কানাডার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকার গাজার ক্ষুধাকে “রাজনৈতিক হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

স্পেন: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও বুধবার বলেছেন যে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা একটি গণহত্যাকারী শাসনব্যবস্থা এবং আমাদের এই ধরনের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক না রাখার অধিকার রয়েছে। সানচেজের বক্তব্যের পর, শাসকগোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিকৃত অঞ্চলে নিযুক্ত স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত আনা সালোমনকে তলব করেছে।

আমস্টারডামের মেয়র: ইউরোপকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে

আমস্টারডামের মেয়র ফেমকে হালসেমা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস, অনাহার এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার জন্য ডাচ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন: “ইউরোপকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে।” মানবাধিকার সংকট মোকাবেলায় দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে হালসেমা বলেন,  “গাজার জনগণের ভাগ্য ডাচ রাজধানীর অনেক বাসিন্দাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।” তিনি আরো বলেন,  “গাজায় গণহত্যামূলক সহিংসতা নিয়ে কথা বলা অযৌক্তিক নয় এবং এখন রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করার সময়।”

ইতালি: গাজায় ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একই সাথে গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক এবং অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জার্মানি: গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজ বুধবার গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য একটি মানবিক কর্তব্য।

পার্সটুডে




‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়নি, স্থগিত রাখা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়নি, এটি কেবল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (১২ মে) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মোদি।

মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানের জানা উচিত, হামলা এখনও শেষ হয়নি। সন্ত্রাসবাদী স্থাপনার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই এগুলো কেবল স্থগিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ এই মানদণ্ডে পরিমাপ করব যে পাকিস্তান ভবিষ্যতে কী ধরনের মনোভাব গ্রহণ করবে। যদি পাকিস্তান পিছু হটে বা বিভ্রান্ত করে, আমি আবারও বলছি, আমরা কেবল আমাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ স্থগিত করেছি।’

২২ মিনিটের ভাষণে নরেন্দ্র  মোদি ভারতের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যে পাকিস্তানের কল্পনার বাইরে ছিল তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত তার নির্ভুল হামলার মাধ্যমে কেবল পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামোই ভেঙে দেয়নি, বরং তাদের মনোবলও ভেঙে দিয়েছে।’

ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিকে (সেনা সদর দফতর) আরেকটি সতর্কবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি অভিযান নয়, বরং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভারতের নীতিতে একটি মতবাদগত পরিবর্তন।’

মোদি আরও বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর নতুন স্বাভাবিক (নিউ নরমাল) ঘটনা। যেখানেই সন্ত্রাসী ঘাঁটি রয়েছে সেখানেই ভারত আক্রমণ করবে এবং আমাদের দেশে আক্রমণ করা হলে তার জবাব জোরালোভাবে দেবে।’

পাকিস্তানের ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’-এর বিরুদ্ধে তিনি বলেন, এটি ভারতকে দমাতে পারবে না। ভারত কোনো পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী আস্তানাগুলোতে সুনির্দিষ্ট এবং চূড়ান্তভাবে আঘাত করবে।

তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন যে ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক সরকার এবং সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য করবে না।’

পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনার পর চারদিনের পালটাপালটি সংঘর্ষ হয় ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে।  এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর দু’দিন পর সোমবার (১২ মে) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মোদি।




যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অবশেষে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সাময়িক ইতি ঘটল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশই। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ভারত ঘোষণা করেছে যে, স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১০ মে) বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরনের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।
দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই ডিজিএমও আবার ১২ তারিখ সোমবার দুপুর ১২টার সময়ে কথা বলবেন বলে বিক্রম মিশ্রি।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাক দার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপস করেনি।

এর কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া একটি বার্তায় জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিও নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইসাক দার বলেন, যুদ্ধ কোনো কিছুর জন্যই সমাধান নয়। আজ বিকাল সাড়ে চারটা থেকে (পাকিস্তানের সময়) যু্দ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।




ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের; দ্য হিন্দু বলছে দাবিটি অসত্য

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় তাদের পাল্টা হামলায় যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণে ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের কথা বলা হচ্ছে। পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার পাল্টা জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার।

পাকিস্তান এই পাল্টা হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’। আরবি শব্দ বুনইয়ান–উন–মারসুস –এর অর্থ হলো ‘সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও অভেদ‍্য প্রাচীর’।

ভারত অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছে।

পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি।

অবশ্য ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক দ্য হিন্দু লিখেছে, পাকিস্তানের এই দাবি মিথ্যা।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই পাকিস্তান নানা সাফল্যের দাবি করছে। তারা সে রাতে পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। যদিও এসব খবরকে সত্যতা স্বীকার করেনি ভারত। তবে কয়েকটি সূত্র ফ্রান্সের কাছে থেকে কেনা রাফাল বিমান ভূপাতিত করার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




বেড়েই চলছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী গত তিন দিনে অন্তত ১৬টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নজরদারি ও হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, ভারত ১২টি ভিন্ন ভিন্ন শহরে নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলে তৈরি IAI Harop নামক ড্রোন, যা মূলত ‘কামিকাজে ড্রোন’ হিসেবে পরিচিত এবং আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

লাহোরের ওয়ালটন এলাকায় পাকিস্তানের চতুর্থ বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলায় চারজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি এলাকায় ড্রোন হামলায় একজন কৃষক নিহত হয়েছেন।

সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও সিয়ালকোটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাহোরের ওয়ালটন ও বারকি রোড এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা ভারতীয় ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা ১২টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছি এবং তাদের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছি। একটি ড্রোন লাহোরে আমাদের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।”

সামরিক উত্তেজনার এই আবহে কূটনৈতিক অঙ্গনেও তৎপরতা দেখা গেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘আইন আল-নিসর’-এর বরাতে জানা গেছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর হঠাৎ করে নয়াদিল্লি সফর করেছেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই মুখোমুখি অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।




হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

পাকিস্তানের আলোচিত আলেম মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, আজাদ কাশ্মিরে বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, তার নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মাসুদ আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’ মাসুদ আজহার বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মাও নিহত হয়েছেন।

মাওলানা মাসুদ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

মাওরানা মাসউদ আজহার জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তানিদের কাছে মুজাহিদ হিসেবে পরিচিত হলেও ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে। ২০১৮ সালের ১ মে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক মাসউদ আজহারকে আন্তর্জাতিক মুজাহিদ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।




শাপলার গণহত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত: আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০১৩ সালের ৫ মে রাতের আঁধারে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন এর জন্য তার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার দায়ের করা উচিত বলে মনে করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ এখানে এসেছি। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো গণহত্যার জন্য এখনো কোনো মামলা হয়নি শেখ হাসিনার নামে। কেন আপনারা মামলা করেননি তা আমি জানি না। যারা শাপলায় গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মামলা করা  উচিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমরা মুসলমান। উম্মতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকতে হবে। গাজার শহীদ এবং কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর যুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।

নারী কমিশন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ইউনূস সরকারের কাছে আমার একটি প্রশ্ন, আপনারা অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন। এই অপ্রয়োজনীয় ইস্যুর জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে কি নারী সংস্কার কমিশন গঠন করার জন্য? না, ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আপনাদেরকে বলতে চাই, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না ।অপ্রয়োজনীয় যত কমিশন গঠন করেছেন সব বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ অযথা কাজে নষ্ট করবেন না।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের বিরুদ্ধে। আপনারা নারীনীতি নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের বৃহত্তর লড়াই নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না ।