যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজডেস্ক :

যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম এবং অন্য কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে সেখানকার ক্ষুব্ধ জনগণ। হামাসের দেয়া শর্ত মেনে নিয়ে গাজা থেকে বন্দী আত্মীয়স্বজনকে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তারা।

ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তারা বলেছে, বন্দীদেরকে নেতানিয়াহু সরকার ত্যাগ করেছে এবং এজন্য তারা কাতার ও মিশরের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়নি। অথচ হামাস ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরুদ্ধ করার পর অন্তত দুই দফায় পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ড্রাম বাজিয়ে, সিংগা ফুকিয়ে এবং মশাল জেলে পুলিশকে উপেক্ষা করে। এ সময় তাদের হাতে নেতানিয়াহুর রক্তমাখা মুখমণ্ডল সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়ার সময় হয়েছে, এখন যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেই হবে। গাজায় হামাসের হাতে প্রায় ১৬০ জন বন্দী রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রবেশপথও অবরুদ্ধ করে। তারা রাফাহ শহরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লোকজন আটকের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি তবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

গতকাল হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিয়েছে কিন্তু ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনেকটা একগুঁয়েমির বশে সে চুক্তি গ্রহণ করতে রাজি হননি।#

পার্সটুডে




ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পক্ষে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ রাজ্যে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ও মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ মে থেকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এই বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘‘আমাদের শিক্ষার্থীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এসব ছোট্ট পরিসরে, স্কুল-ভিত্তিক স্নাতক সমাপনী উদযাপন অনুষ্ঠান তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ।’’

‘‘শিক্ষার্থীরা করতালি আর পরিবারের গর্বের মুহূর্তের মধ্য দিয়ে মঞ্চ পেরিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। একই সঙ্গে স্কুলে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তাদের কাছ থেকে বক্তৃতা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ফলে আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোতে ও সেগুলো নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সুচারুভাবে পরিচালনার ওপর মনোযোগ দেবো।’’

মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটনে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলের দখল নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কন্যাশিশু হিন্দের নামে হলটির নামকরণ করেছে। ১৮ এপ্রিল কলেজ কর্তৃপক্ষ মর্নিংসাইড এলাকায় কলাম্বিয়ার আরেকটি ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠিয়ে আরও শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করায়।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক পুলিশকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় (ইউএসসি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিকে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশকে ডাকে।

সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার পরদিন কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ ইউএসসির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দেয়। তবে ওই ক্যাম্পাস থেকে কোনও বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

রোববার এক বিবৃতিতে ইউএসসির প্রেসিডেন্ট ক্যারোল ফল্ট বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা এবং স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই দিন পুলিশের উপস্থিতিতে বোস্টনের ফেনওয়ে পার্ক এলাকায় নর্দার্নইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি




গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিমারা স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সউদী আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের ‘ফ্র্যাংকলি স্পিকিং’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম এই অভিযোগ করেন।

গত সপ্তাহে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে আনোয়ার ইব্রাহিম আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপস্থাপিকা ক্যাটি জ্যানসেনের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বর্বর বলে আখ্যা দেন এবং নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা করেন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বর্বরতাকে আরও উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরায়েলকে) গণহত্যা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের কিছু দেশগুলোর এই বিষয়ে স্পষ্ট ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁরা শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে ক্রমাগত অস্বীকার করে যাচ্ছে।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি না যে—এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এ ধরনের অমানবিক, বর্বর কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিতে পারি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’

এ সময় তিনি গাজা ইস্যুতে আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও ইরানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আরব দেশগুলো, তুরস্ক, ইরান এবং সেই সব দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করি যারা তাদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে এবং আমি মনে করি আমরা মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের বাইরের অন্যান্য অনেক দেশেও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটি (গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন) দীর্ঘায়িত করতে চাই না। কারণ, এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার অনুপস্থিতিতে ধর্মান্ধ চরমপন্থি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডকেই উৎসাহিত করবে।’




গাজা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যামূলক যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত ইহুদিবাদী পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাস কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ছাড়াই হামাস মিশরের রাজধানী কায়রোয় পণবন্দি মুক্তির ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে যাচ্ছে বলে যখন ইসরাইলি গণমাধ্যগুলোতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল তখন এ হুঁশিয়ারি দিল হামাস।

হামাসের সিনিয়র নেতা হিসাম বাদরান কাতারের নিউজ চ্যানেল আল-জাযিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।  তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য হামাস একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তবে সে চুক্তি যেকোনো মূল্যে হবে না।

হিসাম বাদরান বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার উগ্র মন্ত্রিসভা কাল্পনিক কিছু অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। নেতানিয়াহু নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে পণবন্দিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

মিশরের একাধিক সূত্র শনিবার জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও ইসরাইলি পণবন্দি মুক্তির আলোচনায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এবারের কায়রো বৈঠক থেকে ভিন্নরকম ফল বেরিয়ে আসতে পারে।

এর আগে মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় একাধিকবার বৈঠক হলেও ইসরাইল ও হামাস কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। হামাস বলেছে, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে গাজা থেকে সকল দখলদার সেনাকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, গাজায় অবাধ ত্রাণতৎপরতা জোরদার এবং উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না।#

পার্সটুডে




যুক্তরাষ্ট্রে বহিস্কার হওয়ার শিক্ষার্থীদের যে সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়েমেনি যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন নতুন করে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠীটি আবারও আলোচনা এসেছে। খবর রয়টার্সের

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ বিক্ষোভে দমাতে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের কথা জানিয়েছে। আর বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতিদের দ্বারা পরিচালিত সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করছে আমরা তাদের বরণ করে নিতে চাই। আমরা যে কোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছে সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সানা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্নের জোর দাবি জানিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত দেশটির গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। একইদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন রাহারিত। ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ ইসরায়েলের হামলায় ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লিঙ্কডইন পোস্টে হালা রাহারিত বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কোনো কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।

গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করা প্রথম মার্কিন কর্মকর্তার নাম জশ পল। তিনিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।




রাফাহতে হামলার আগে হামাসকে ‘শেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বৈঠকে বসে ইসরায়েলি ও মিসরের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরীয় প্রতিনিধি দলকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফাহতে হামলা চালানোর আগে হামাসকে তারা ‘শেষ সুযোগ’ দেবে। আর এই সুযোগের মধ্যে তাদের সঙ্গে হামাসের জিম্মি চুক্তি করতে হবে। নয়ত যে কোনো সময় রাফাহতে তাদের সেনারা প্রবেশ করবে।

দখলদার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিব্রু সংবাদমাধ্যম ইয়েনেতকে জানিয়েছেন, মিসরীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসকে চুক্তিতে পৌঁছাতে চাপ দিতে মিসরীয় প্রতিনিধিরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অপরদিকে তারা জানিয়েছেন রাফাহতে সেনা পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা রাফাহতে যাওয়ার আগে এটি শেষ সুযোগ। আমরা বলেছি হয় চুক্তি করতে হবে নয়ত রাফাহতে হামলা চালানো হবে।”

হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার বর্তমানে রাফাহতে রয়েছেন বলে ধারণা ইসরায়েলিদের।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে জিম্মি চুক্তির যে আলোচনা চলছিল সেখানে বলা হয়েছিল, হামাস প্রথম ধাপে ৪০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে এখন এই সংখ্যা আরও নিচে নামিয়ে আনতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস প্রথম ধাপে ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সেটি ইসরায়েলিরা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

দখলদার ইসরায়েল জিম্মি চুক্তি চাইলেও তারা গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় না। তবে হামাস জানিয়েছে যদি ইসরায়েল কোনো ধরনের জিম্মি চুক্তি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহতে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এটি আটকে রেখেছে। কারণ তারা রাফাহতে হামলা চালানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে চায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়টিও মাথায় রাখছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রাফাহতে বর্তমানে হামাসের যে চার ব্যাটালিয়ন যোদ্ধা রয়েছে সেটির চেয়ে ইসরায়েল এখন গাজা ও মিসরের সীমান্তকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ তাদের শঙ্কা মিসর সীমান্ত দিয়ে হামাসের কাছে আরও অস্ত্র আসতে পারে এবং তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিসর হয়ে যেন গাজায় কোনো অস্ত্র না আসে এই বিষয়টিকে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘নিরন্তর গভীরতর মানবিক সংকট’ নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

জ্যামাইকান সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।”

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ ‘সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জ্যামাইকা। সূত্র: আল জাজিরা, জ্যামাইকা অবজার্ভার, টিআরটি ওয়ার্ল্ড




ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২০০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ডিএনবি আন্তর্জাতিক নিউজ:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের প্রত্যাহার করার পর সে সমস্ত এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহারের সময় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং প্রায় ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

তিনি জানান, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের সময় দখলদার সেনারা বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বহু মৃতদেহ চাপা দিয়েছে। এসব নিহত ব্যক্তির বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

গাজা উপত্যকা জুড়ে দখলদার সেনারা জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে মন্তব্য করে বাসাল জানান, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার আগে তাদেরকে স্বজনদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী সোনারা। হত্যার পর গাজার বহু মানুষকে দখলদাররা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।#

পার্সটুডে