জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর ভিসা রেস্ট্রিকশন আরোপ করল ইসরাইল

 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদার সরকার জাতিসংঘ কর্মীদের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। তেল আবিব বলেছে, জাতিসংঘের কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী গাজার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।

দখলদার সরকারের মুখপাত্র এইলন লেভি গতকাল (মঙ্গলবার) এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। তিনি তার ভাষায় বলেন, গাজায় বর্তমান সংঘাতের সময় জাতিসংঘের কর্মীরা ইসরাইলের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এবং হামাসের দোষ আড়াল করছেন। এই অভিযোগ এনে তিনি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিন্দা করেন।

দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা ভিসার অনুরোধ করলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদিত হবে না বরং ভিসার বিষয়ে খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।

ইসরাইলের মুখপাত্র এইলন লেভি বলেন, জাতিসংঘের যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী হামাসের সাথে প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে কাজ করবে তাদের সাথে ইসরাইল কাজ করা বন্ধ করে দেবে। ইসরাইল তার মিত্রদের প্রতিও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।#

পার্সটুডে




নাইজেরিয়ায় হামলায় ১৬ জন নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ প্লাটোতে এক হামলার ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। রবিবার নাইজেরীয় সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্লাটোতে প্রায়ই পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় মুশু গ্রামে। এ বিষয়ে নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর মন্তব্য চাওয়া হলে তাত্ক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দেয়নি। নাইজেরিয়ার ‘মধ্য বলয়’ নামে পরিচিত অঞ্চলটির অন্যতম রাজ্য প্লাটো। অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। তারা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী। এখানে গত কয়েক বছর ধরে চলা জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে এখানে কৃষকদের সঙ্গে পশুপালকদের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। এই সংঘর্ষের ঘটনাগুলোকে অনেক সময়ই মুসলিম পশুপালক ও প্রধানত খ্রিষ্টান কৃষকদের মধ্যে সংঘটিত জাতি-ধর্মীয় সংঘাত বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষির সম্প্রসারণ এসব সংঘাতের অন্যতম মূল কারণ।




ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এক পরিবারের ৭৬ জন নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় একটি যৌথ পরিবারের ৭৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা এপি শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার গাজা সিটিতে ভয়াবহ বিমান হামলায় মুগারাবি নামে ওই পরিবারের সদস্যরা নিহত হন। এই পরিবারের ১৬ জন প্রধান কর্তা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, শুক্রবারের এ হামলাটি এই যুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী হামলা ছিল।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসাম আল-মুগারাবি নামে এক ব্যক্তি। তিনি জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার সাবেক কর্মী ছিলেন। ইসরায়েলিদের হামলায় তার স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানও প্রাণ হারিয়েছেন।

ইসাম আল-মুগারাবির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার প্রধান আচিম স্টেইনার।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ইসাম ও তার পরিবারের মৃত্যু আমাদের গভীর শোকাহত করেছে। গাজায় জাতিসংঘ ও বেসামরিক মানুষ কোনো লক্ষ্য হতে পারে না। এই যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।’

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বরতা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় ছোট্ট এ উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।




যুদ্ধবিরতির সংলাপে যোগ দিতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় প্রসঙ্গে আলোচনা করতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।

স্থানীয় সময় আজ বুধবার তার কায়রোতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কায়রোতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল এ সংলাপে অংশ নেবে এবং সেই দলটির নেতৃত্ব দেবেন ইসমাইল হানিয়া। এছাড়া মিশরের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গেও দেখা করবেন হানিয়া।
এবারের বৈঠকে অবরুদ্ধ গাজাবাসীকে মুক্ত করা, ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার অবসান এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।

এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেই চুক্তির মাধ্যমে ৮০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করেছিল ওই স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে সোমবার ইউরোপে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নির্বাহী ডেভিড বার্নিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক বিল বার্নর্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। ওই দিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৬৬৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। সূত্র: বিবিসি




তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, নারী–শিশুসহ নিহত ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। এ সময় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। চারজনের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে ট্রেন খিলক্ষেতে আসলে যাত্রীরা আগুন দেখতে পান। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁওয়ে থামান।

পুলিশ বলেছে, আগুন নেভানো ও লাশগুলো উদ্ধারের পর ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।




দুর্গাপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, অভিযুক্ত ভাই মজিবুর আটক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমান কে আটক করা হয়। সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বড় ভাইয়ের নাম নুরুল আমিন। আর অভিযুক্ত ছোট ভাই হলেন মজিবুর রহমান। তারা দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে বড় ভাই নুরুল আমিনের বুকে দেশীয় অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে আঘাত করে ছোট ভাই মজিবুর রহমান। এতে বুকে গুরুতর জখম হয় নুরুল আমিনের। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই থানা পুলিশ তৎপর হয়ে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইদিন অর্থাৎ গতকাল রবিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তবে সে অসুস্থ হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘাতক মজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামী করে মোট চার জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া।
নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া জানান,গত দুই বছর ধরে চাচাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে দেন দরবার হলেও কোনো সুরাহা আসেনি।
তিনি আরো বলেন, “গতকাল সকালে আমি ক্ষেতের আইল বাঁধতে ছিলাম তখন আব্বা আইলের উপর দাঁড়িয়ে রইছিল। এইসময় আব্বার ছোট ভাই মজিবুর ডেগার দিয়ে আব্বার বুকে ফার মারে। আমি আমার আব্বার খুনের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সাদেকুজ্জামান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মজিবুরকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে আটক করা হয়েছে। তবে সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতকে অবহিত করে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এ মামলার বাকি আসামীদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আল নোমান শান্ত




যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, ইসরায়েলকে যে শর্ত দিলো হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো— ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স




‘ভুল করে’ তিন জিম্মিকে হত্যা করলো ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় অভিযান চালানোর সময় ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে জিম্মি থাকা ওই তিনজনকে দূর থেকে হুমকি ভেবে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, এই ঘটনা ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে’ তদন্ত করা হবে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, শুজাইয়া এলাকায় যুদ্ধের সময় সেনারা ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ফলস্বরূপ, সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায় এবং তারা নিহত হন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘটনাটি অবিলম্বে পর্যালোচনা শুরু করে… এই ঘটনা থেকে তাৎক্ষণিক শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রের সব সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনজন হয় তাদের অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছিল অথবা তাদের ফেলে যাওয়া হয়েছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি




৭২ ঘন্টায় নিহত হয়েছে ইসরাইলের ৩৬ জন সেনা; বহু সামরিক যান ধ্বংস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ঘোষণা করেছে, ৭২ ঘন্টায় তাদের হাতে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্তত ৩৬ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা “সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে” অনেক ইসরাইলি সামরিক যান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের বীর যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইসরাইলের ৩৬ সেনা নিশ্চিতভাবে মারা গেছে। এছাড়া আরো কয়েক ডজন সেনা নিহত অথবা আহত হয়েছে।”

তিনি জানান, গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের সময় এসব দখলদার সেনা নিহত হয়। আবু উবায়দা জানান, কসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা কয়েকটি হেডকোয়ার্টার, ফিল্ড কমান্ড রুম এবং বেশ কিছু সেনা জমায়েতে মর্টারের গোলা এবং স্বল্প পাল্লার রকেট দিয়ে হামলা চালায়।

এছাড়া, অধিকৃত অঞ্চলে ঢুকে আল-কাসাম যোদ্ধারা ইহুদিবাদীদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে বহু রকেট ছুঁড়েছে। আবু উবাইদা বলেন, হামাস স্নাইপারদের গুলিতেও বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়। ইসরাইল গতকাল নিশ্চিত করেছে যে, এ পর্যন্ত তাদের ১১৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘ওয়েবসাইট হ্যাক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এর হোমপেজে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানের নাগরিক পরিচয় দিয়ে হ্যাকাররা বুধবার সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটে হামলা চালায় এবং তাদের বার্তা ‘অ্যানোনিমাস জো’ দিয়ে রেখে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদপত্র দ্য জেরুজালেম পোস্টের বরাত দিয়ে বার্তায় বলা হয়, ‘এটি আপনাদের নোংরা কর্মকাণ্ড, বর্বরতা এবং গাজায় আমাদের দুর্বল জনগণকে হত্যার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘এটি কেবল শুরু এবং এখান থেকে আমরা আপনাদের বলছি আমরা আমাদের ভূমি ফিলিস্তিনের নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত মুক্তি করব।’ ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের স্বার্থের প্রতি পুনরায় সমর্থনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটবে।

এতে আরও লেখা হয়, জর্ডান শুরু করে গাজা ও ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে আছে। আমরা আন্তরিকভাবে এবং বাস্তবিকভাবে আপনার সাথে আছি এবং আপনার আদর্শই আমাদের আদর্শ।