ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়াল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থলঅভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত তিন মাসের হামলায় ওই উপত্যকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ শিশু।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দখলদারি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে এক হাজার ১৩৯ জন। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা




গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১০৯

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ১০৯ জনে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।

সর্বশেষ গাজায় নিহত হয়েছেন এএফপির সাংবাদিক মুস্তফা থুরায়া এবং আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল দাহদোহের ছেলে হামজা ওয়ায়েল আল দাহদৌহ।

বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় যেসব ঘৃণ্য অপরাধ করছে, সেসবের মধ্যে অন্যতম হল সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো।

‘যুদ্ধের সংবাদ ও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা থামাতেই সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে,’ বলা হয়েছে সরকারি মিডিয়া দফতরের বিবৃতিতে।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনী প্রতিষ্ঠানকে সজাগ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া দফতর। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি




চিৎকার চেঁচামেচি ও বাগ-বিতণ্ডায় পণ্ড ইসরাইলি মন্ত্রিসভার বৈঠক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসন কাদের হাতে থাকবে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসলেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভার সে বৈঠক প্রচণ্ড চেঁচামেচি চিৎকার আর দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন মন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে উগ্র ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা সেনাবাহিনীর নিজস্ব ভুলগুলো তদন্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কটূক্তি করেন। যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি কয়েকজন রাজনীতিবিদসহ উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা এই তর্ক-বিতর্ক বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত করার কথা বললে এই চেচামেচি শুরু হয়। উগ্র ডানপন্থীরা বলেন, যুদ্ধ চলার মধ্যে তদন্তের এই প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত নয়।

গতকালের মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের বাগ-বিতণ্ডা ও ঝগড়ার মধ্যদিয়ে ইসরাইলের ভেতর প্রচণ্ড অনৈক্য এবং মতভেদের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

হিব্রু ভাষার কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপক চেঁচামেচি চিৎকারের পর নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। যে সমস্ত মন্ত্রী ইসরাইলের সেনাপ্রধানের সমর্থনে কথা বলেছেন নেতানিয়াহুর সমর্থকেরা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে কক্ষে বৈঠক হচ্ছিল তার বাইরে থেকেও এই চেঁচামেচি চিৎকারের শব্দ শোনা গেছে। টাইমস অব ইসরাইল বলছে, বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। টাইমস অব ইসরাইলের ভাষ্য মতে, দৃশ্যত এসব সেনা কর্মকর্তার সাথে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিবাদে তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

গভীর রাতের ওই বৈঠকের সূত্র মতে- সেনাপ্রধান হালেভি সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সমন্বয়ে সামরিক বাহিনীর ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা সৃষ্টি করেছেন পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ। তার সাথে যোগ দেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইটামার বেন জাভির, অর্থ মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং আঞ্চলিক সমন্বয় বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড আমসালেম। তারা জেনারেল হালেভির  কাছে এই তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানতে চান।

এরমধ্যে আমসালেম বলেন, “আপনি কেন এখন তদন্ত করতে চান? সামরিক বাহিনীর বহু লোক এখন যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধ বিজয়ের জন্য তাদেরকে আপনি সেখানে ব্যস্ত না রেখে কেন তদন্ত করতে চাইছেন?”

সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শাউল মোফাজকে এই তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করার বিষয়েও বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন। মিরি রেগেভ সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি শাউল মোফাজকে নিযুক্ত করেছেন। আপনি পাগল নাকি?”

ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। হালেভিকে উত্তেজিত করার জন্য মন্ত্রীদের তিরস্কার করেন ইয়োভ গ্যালান্ট।

বৈঠকে দখলদার বাহিনীর প্রধান বলেন, “সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে তদন্ত করা হবে কিনা সেটি আমার বিষয়; এ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।” তিনি দাবি করেন এই তদন্ত সামরিক বাহিনীর অতীত ভুলগুলো খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে যাতে লেবানন সীমান্তের যুদ্ধে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

এ সময় যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা তদন্ত করার বিষয়ে যদি সেনাপ্রধান কোনো নির্দেশ দেন তাহলে তা নিয়ে আপনাদের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।” এরপরই চেঁচামেচি চিৎকার শুরু হয়। এ সময় ইয়োভ গ্যালান্ট মিরি রেগেভকে উদ্দেশ করে বলেন, “মিরি, আমি আপনার জন্য কাজ করি না, আমাকে বলতে দিন। চিফ অফ স্টাফ যা চান তিনি তা করতে পারেন।”

ইসাইলের রাজনৈতিক নেতারা ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে কোনো তদন্ত করতে দিতে চান না। তারা বলছেন, হামাসকে নির্মূল করা এবং বন্দিদের মুক্ত করার পর সবকিছু হবে। কিন্তু ইসরাইলিরা মনে করছেন, এই যুদ্ধ আগামী এক বছর কিংবা তার পরেও শেষ হবে না। তারা বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত বলে মনে করছেন।

বৈঠকে এইরকম তীব্র বাকবিতণ্ডা ও চিৎকার চেঁচামেচির কারণে নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পরে আবার বৈঠকে বসা যাবে। বৈঠকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা কান-কে বলেছেন, “এটি ছিল খুবই লজ্জাজনক বৈঠক।” তারা সেনা প্রধানকে অপমান করার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।#

পার্সটুডে




আরুরির হত্যাকাণ্ড হামাস যোদ্ধাদের আরো বেশি দৃঢ়সংকল্প করবে: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপ প্রধানকে হত্যা করার ফলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের সংকল্প আরো দৃঢ় হবে। হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে।

ওই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আরুরি এবং দুই হামাস কমান্ডারসহ ছয় জনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী মানসিকতা আরো শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।

বিবৃতিতে আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস এবং গাজা-ভিত্তিক অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের বহুমুখী হামলায় ইসরাইলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার পুষিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ তেল আবিব সরকার হত্যা এবং নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তেল আবিব।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার রাতে এক ড্রোন হামলায় হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি শহীদ হন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনিসহ হামাসের সকল প্রবাসী নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে মঙ্গলবার রাতের হামলার দায়িত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল। ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করলে তার অর্থ হবে লেবাননের সার্বভৌমত্ব তথা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘনের দায়িত্ব স্বীকার করা।

তবে আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরুরিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।  আইআরজিসি আরো বলেছে,  আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের অপমানজনক পরাজয়ের ক্ষতি এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী তৎপরতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।  ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রতিরোধ ফ্রন্টের হিসাবনিকাশ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে হিজবুল্লাহর স্থানীয় কর্মকর্তা হোসাইন ইয়াজবেকও রয়েছেন বলে স্বীকার করেছে সংগঠনটি।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমার যোদ্ধারা যুদ্ধকে ভয় পায় না। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বাহিনীর হামলা বাড়ে, এমন ঘোষণা তিনি এখনই দিতে চাচ্ছেন না।

এদিকে, বৈরুতে হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল আরৌরি নিহত হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, মিত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপ-প্রধানের হত্যা জঘন্য অপরাধ, যার পরে আমরা চুপ থাকতে পারি না। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধের বিস্তৃতির কারণ হতে পারে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার (৩ জানুয়ারি) দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারুন গ্রামে ওই হামলা চালায়। গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এক দিনে এতজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হলেন।

ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ১৪৩ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বিপরীতে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় ১১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন।




মার্কিন টাস্কফোর্সে ডেনমার্ক যোগ দেয়ার পর ড্যানিশ জাহাজে হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ড্যানিশ শিপিং কোম্পানি মায়ের্স্ক লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু করার পরপরই এটির একটি কন্টেইনার জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। আজ (রোববার) ভূমি থেকে সাগরে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেনের হুদায়দা বন্দর থেকে ৫৫ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে জাহাজটিতে সরাসরি আঘাত হানে। ১০ দিন আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন কথিত টাস্ক ফোর্স লোহিত সাগরে টহল দিতে শুরু করার পর এই প্রথম কোনো বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হলো।

ওই সাগরে মোতায়েন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি’র কমান্ডার দাবি করেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানার পর আরো দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজটিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজ গুলি করে বিধ্বস্ত করেছে।

ইয়েমেনের একটি বন্দর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে। গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত লোহিত সাগরের বাব আল-মান্দাব পয়েন্টে প্রায় দুই ডজন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এসব জাহাজ হয় ইসরাইলি মালিকানাধীন অথবা ইসরাইলের জন্য পণ্য বহন করছিল।

আজকের হামলায় মায়ের্স্কের কন্টেইনার জাহাজটির ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনী সেন্টকম। এটি দাবি করেছে, জাহাজটি তার নির্ধারিত রুটে পথচলা অব্যাহত রেখেছে। ড্যানিশ মালিকাধীন ও সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটি সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য বহন করে ইসরাইলের হাইফা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

ডেনমার্ক ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর হামলা রুখতে লোহিত সাগরে টহলরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সে যোগ দেয়ার একদিন পর ড্যানিশ জাহাজে হামলা হলো। গতকাল (শনিবার) ডেনমার্ক ওই টাস্কফোর্সে যোগ দিয়েছিল। ড্যানিশ কোম্পানি মায়ের্স্কসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল কোম্পানি চলতি মাসের গোড়ার দিকে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল সাময়িক স্থগিত রেখেছিল।  কিন্তু গতকাল থেকে এটি আবার জাহাজ চালাতে শুরু করে।

গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, হুথি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছে- ইসরাইল অভিমুখী যে-কোনো দেশের জাহাজ আটক করবে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। এই ঘোষণার পর আমেরিকা লোহিত সাগরে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে।  ওই টাস্ক ফোর্স প্রত্যাখান করে ইয়েমেন বলেছে, দেশটির স্বার্থে কোনো ধরনের আঘাত এলে সরাসরি মার্কিন রণতরীতে হামলা করা হবে।#

পার্সটুডে




আবারো কংগ্রেসকে এড়িয়ে ইসরাইলকে অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আরো অস্ত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অস্ত্র সরবরাহের আগে মার্কিন কংগ্রেসে পর্যালোচনার নিয়ম থাকলেও তা মানছে না বাইডেন প্রশাসন।

চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে একবার মার্কিন সরকার কংগ্রেসকে উপেক্ষা করেই ট্যাংকের ১৪ হাজার গোলা দিয়েছে ইসরাইলকে। তবে এ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য নেই কারণ আমেরিকার ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকান- দুই দলই ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থন ও মদদ দিয়ে থাকে। এমনকি মার্কিন নির্বাচনে ইহৃদিবাদী লবি আইপ্যাকের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে এবং তাদেরকে উপেক্ষা করে কোনো দলের ক্ষমতা নিশ্চিত করা কঠিন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গতকাল দ্রুতগতিতে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দেন। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে যখন ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি নারী ও শিশু, তখন আমেরিকা নগ্নভাবে ইসরাইলকে অস্ত্র এবং অন্য সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে চলেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, দ্রুত ইসরাইলকে ট্যাংকের ১৫৫ মিলিমিটারের গোলা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন কংগ্রেসকে উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গাজায় বেসামরিক লোকজন হত্যা করার বিষয়ে বার বার আমেরিকা ইসরাইলকে সতর্ক করছে বলে দাবি করে আসছে অথচ সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা মোটেই কমেনি। তারপরও মার্কিন সরকার ইসরাইলকে কামানের গোলা এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে আমেরিকার দ্বিমুখী চরিত্র নতুন করে পরিষ্কার হয়েছে।#

পার্সটুডে




গাজায় আবাসিক ভবনে হামলা: নিহত ২০

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

উত্তর গাজায় কুয়েত হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাফাহ আবু ইউসুফ আল নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস উপহাস ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৩২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ৬০৩ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১১৩৯ জন ইসরায়েলি।

আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী মিশর গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে
ফের মধ্যপ্রাচ্যে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার এই আগমনকে সামনে রেখে প্রস্তাব দিয়েছে মিশর।

এর আগে লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের বেশ কিছু জায়গায় রকেট ও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর ইসরায়েলে লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা




সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়- এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।’




গাজায় নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ১৬৭

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের আরও তিন সৈন্য নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে।

এ নিয়ে ইসরায়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করা স্থল অভিযানে নিহত সেনার সংখ্যা ১৬৭ জনে দাঁড়াল।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের দাবি, এই সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি।

আইডিএফ জানিয়েছে, সর্বশেষ নিহত তিন সেনা হল- আসাফ পিনহাস তুবুল (২২), নেরিয়া জিস্ক (২৪) এবং মেজর ডিভির ডেভিড ফিমা (৩২)।।

এছাড়াও আরও কয়েকজন অফিসার ও সৈন্য গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল