গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে: আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হাটহাজারী থেকে গত রাত গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া ও নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে আটক হওয়া হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদিসহ সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আমীরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ১২ এপ্রিল (সোমবার) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একজন বড় আলেম ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিলো। অনতিবিলম্বে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ শরীরে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। দক্ষ আলেম মুফতী ও খানকার পীর,মারকাজুল কুরআন মাদরাসার মোহতামীম মুফতি ইলিয়াস হামিদিসহ আটককৃত হেফাজতের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেফতার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।

আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, কিছুদিন আগে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের শহীদ করেছে। রক্তাক্ত করেছে। এরপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের নিকট খবর এসেছে, গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস চায় না। হেফাজত ইসলাম শান্তি চায়। হেফাজতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপ্রিয় সংগঠন। তবে নেতাকর্মীদের উপর এভাবে জুলুম চলতে থাকলে আমরা নিশ্চুপ ঘরে বসে থাকবো না।




ভারতে মুসলিম দিনমজুরের লাইব্রেরিতে দুষ্কৃতকারীর আগুন, ৪ হাজার কুরআন পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুরু শহরে মুসলিম এক দ্নিমজুরের চালানো লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবারের এই অগ্নিকাণ্ডে এই লাইব্রেরিতে থাকা চার হাজার কপি কুরআন, বাইবেল ও গীতাসহ মোট ১১ হাজারের বেশি বই পুড়ে গেছে বলে খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

৬২ বছর বয়সী মুসলিম দিনমজুর সৈয়দ ইসহাক দারিদ্র্যের কারণে শৈশবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহ থেকে নিজের প্রচেষ্টায় এই লাইব্রেরি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয় রাজিব নগর ও শান্তিনগর এলাকার মানুষ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়তে বা ধার করতে পারতো।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সৈয়দ ইসহাক বলেন, ‘ভোর ৪টায় লাইব্রেরির কাছাকাছি থাকা এক লোক আমাকে ভেতরে আগুন লাগার কথা জানায়। অল্প কিছু দূরে থাকা লাইব্রেরিতে যখন আমি ছুটে যাই, আমি তখন শুধু সব পুড়ে ছাই হতে দেখি।’

লাইব্রেরির ৮৫ ভাগ বই কানাড়া ভাষার হলেও ইংরেজি ও উর্দু ভাষায়ও কিছু বই সেখানে ছিলো। তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি ভগবদ গীতার বিচিত্র সংগ্রহ ছিল। এছাড়া এক হাজারের বেশি কুরআন ও বাইবেলের কপি ছিল লাইব্রেরিতে। সাথে সাথে আরো হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইয়ের সংগ্রহ ছিল যা আমি বিভিন্ন দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

যদিও সৈয়দ ইসহাক নিজের অর্থে লাইব্রেরির বই সংগ্রহ করেননি, তবে লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং কানাড়া, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার ১৭টির বেশি দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করতে তিনি তার মজুরির অর্থ থেকেই খরচ করেন।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ইসহাক উদয়গিরি পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অধীনে এজাহার নেয় এবং দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমে যাননি সৈয়দ ইসহাক। তিনি আবার লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম কিটোতে লাইব্রেরিটি গড়ার জন্য তার নামে একটি তহবিল সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে।




দেশে এক মাসেই ৩৫২ নারী-শিশুকে নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার ৭০ শিশু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছরের মার্চ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১০৯টি এর মধ্যে ৭০ জনই শিশু। এছাড়াও ৩৫২ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুর মধ্যে ১৯৯ জন নারী ও ১৫৩ জন কন্যাশিশু রয়েছে। ১০ এপ্রিল দেশের ১৩টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু মার্চ মাসেই ৬২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার পাঁচ শিশু। ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছে একটি শিশুকে। এছাড়াও ১০ শিশুসহ ১৭ জনকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে আরও ১৭ জন শিশু এবং ১০ শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।

এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন দু’জন নারী। উত্ত্যক্তের শিকার তিনজন ও অপহরণ ৬ জন। বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১২ শিশুসহ ৪৯ জন। এছাড়াও ১১ জনকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০ জন। এদের মধ্যে ৯ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭ শিশুসহ ৩৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৮ শিশুসহ ১৫ জন। ১২ শিশুসহ ৪৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৫টি। এছাড়াও সাইবার অপরাধের শিকার ৪ শিশুসহ ৭ জন নারী।




মাওলানা রফিকুল ইসলামকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণাকে গাজীপুর জেলা করাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে র‍্যাব-পুলিশের কড়া প্রহরায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) র‍্যাব বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা করে।

পরে ঢাকায় তার নামে আরও একটি মামলা করা হয়। এর আগের দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব।




মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা কারাগারে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণাকে হাজির করা হয়। পরে বিচারক শরিফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠান।

বুধবার সকালে নেত্রকোণার গ্রামের বাড়ি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে র‌্যাব। পরে রাতে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-১ এর নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকার, দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান নিয়ে আপত্তিকর মনগড়া বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।




দুর্গাপুরে কোম্পানির ঔষধ না লিখায় ডাক্তারকে মারধর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে এক কোম্পানির ঔষধ না লিখায় বিক্র‍য় প্রতিনিধির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মেডিকেল অফিসার। চিকিৎসক মেহেদি হাসান প্রতিদিনের ডিউটির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন।

এসময় এই ঘটনাটি ঘটে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রোগীদের সেবা প্রদান কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে এ ঘটনায় পুলিশ রিলায়েন্স ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহফুজ মোরলকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) তানজিরুল ইসলাম রায়হান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এমন রিলায়েন্স নামক কোম্পানির নাম আমরা শুনিনি। ওই কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ মাহফুজ তার একটা ছোট খাট ডায়াগনস্টিক সেন্টারও রয়েছে। সে হাসপাতালে এসে জোর জবরদস্তি চালায়।

এমনিতেই করোনা সংকটে আছি। চিকিৎসক সংকট। তার উপর এমন আচরণ আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে। তার কোম্পানির ঔষধ না লিখায় সে এসে হাসপাতালের ভিতরে মারধর করেছে। এভাবে আমরা চিকিৎসা দিবো কি করে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এসে তাকে ধরেও নিয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তাও চাই। তা না হলে রোগীদের সেবা দেয়া আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে।

অভিযুক্ত মাহফুজ মড়ল জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগে মিথ্যা । আমাকে ফাঁসানোর জন্য এবং সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে । আমি হাসপাতালে শুধু ডাক্তারের সাথে কথা বিনিময় করতে গিয়েছিলাম । এখানে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি ।

দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ নুরে আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা ইতিমধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করি । তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ।




লকডাউনের বিরুদ্ধে মিছিল-অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় লকডাউন বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা নিউমার্কেট সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সেখানে মিছিল সমাবেশ চলছে। রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরের পর নিউমার্কেটের সামনে থেকে ব্যবসায়ীরা মিছিল বের করে। এ সময় তারা দাবি জানান, অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা কোনো লকডাউন চাই না। এটাই আমাদের এক দফা দাবি। এর আগে শনিবার (৩ এপ্রিল) রোজা ও ঈদ সামনে রেখে লকডাউনের এক সপ্তাহ ৪ ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা রাখার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

দোকান মালিক সমিতি জানায়, সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের নির্দেশনার আলোকেই মার্কেট তদারকি করছেন তারা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে এখনো উদাসীন। প্রসঙ্গত, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ছয়টা থেকে থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২ টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ব্যতিত সব বন্ধ থাকবে। লকডাউনের মধ্যে আওতামুক্ত থাকবে যে বিষয়গুলো-

১. পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদান, বিদেশগামী/বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস-জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলকন্দর, নদীকদর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

৩. সকল সরকারি/আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফনকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৫. খাবারের দোকান ও হোটেল (কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ) করা যাবে। কোন অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোন ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।
৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখা হবে।




লকডাউনে মাদরাসা খোলা রাখার দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নীলফামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে মাওলানা মিজানুর রহমান নামে এক অধ্যক্ষের দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউ ওয়াপদা এলাকার আল ফালাহ নুরানি ইসলামিয়া একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) মফিজুর রহমান।

এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক ব্যবহারে নিশ্চিতকরণে ইউএনও এলিনা আকতারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দুর্গাপুরে দুংসাহসিক চুরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক দুংসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে কেনো এক সময়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজারে অবস্থিত পৌর মেয়র আলা উদ্দিনের স্বর্না ব্রিকস অফিস কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করে শুক্রবার রাতে কর্মকর্তাগন অফিসে তালা লাগিয়ে বাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে অফিস স্টাফ জয়দেব চত্রুবর্তী অফিসের তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় উপরে ঘরের টিন খুলা এবং অফিসের আলমারী ড্রয়ার খুলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রের ম্যানেজার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন ইট বিক্রির টাকা সহ অনুৃমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ছিলো ড্রয়ার ও আলমারিতে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী, থানা তদন্ত ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান।

[৬] এ বিষয়ে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন , এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।