দুর্গাপুর সরকারি কলেজে উপবৃত্তি প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ডিএবনি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির নির্ধারিত আবেদন ফরম কলেজের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তির ফরম নিয়ে কলেজ আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা ঘোরাফিরা করছে। কলেজ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ২ঘটিকা পর্যন্ত ফরম জমা দেয়া যাবে। অথচ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সকল আবেদন পোস্টিং করতে হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, এ পর্যন্ত ঐ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় ৮শত, বিজ্ঞান শাখায় ১৫০ ও বানিজ্য শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রায় ৯শত ৭১ জন ফরম জমা দিলেও এখন পর্যন্ত অনলাইনে একজনের ফরমও পোস্টিং দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরনের জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছে অফিসের লোকজন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ টাকা কোথায় যাব। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উপবৃত্তির ফরম গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে পোস্টিং দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া ছিলো। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ফরম এখনো পোস্টিং দিতে পারেননি। ফরম পোস্টিং নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপবৃত্তির বিষয়ে ফরম পূরণ করতে কারও নিকট থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পোস্টিং দেয়া যায়নি তবে তিনি আশাবাদী, অচিরেই এ সমস্যার সমাধন করতে পারবেন।




দুর্গাপুরে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঐ ইউনিয়নের পূর্ব বিলাশপুর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন নির্মিত রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫৭ মি. প্রস্থ ২ দশমিক ২৮০ মি.। এই কাজে এলজিএসপি-৩(লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঐ রাস্তাটি সম্পন্ন করার প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার মো.শফিকুল ইসলাম। বরাদ্দ অনুসারে কাজে উন্নতমানের সামগ্রি ব্যবহার করার কথা থাকলেও চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। বক্স কাটা মাটি আর নিম্ন মানের বালু মিশ্রিত করে ঐ রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। বক্স কাটার পরে বালু ফিলিং না করেই কোথাও ৬ ইঞ্চি, কোথাও ৭ইঞ্চি ফাঁকা করে ব্রিক ফ্লাট সলিং করা হয়েছে। মাটি আর বালু মিশিয়ে রাস্তার কাজ পুরোটাই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাকৈরগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর নুর মোহাম্মদ এইচবিবি’র রাস্তার কাজটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতি শফিক মেম্বার নানা অনিয়মের মধ্য তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনিয়ম খবর আপনার মাধ্যমেই জানলাম। আমরা এসব কাজ করার পর অর্থ বরাদ্দ পাই। তবে আমি ঐ প্রকল্পের কাজটি পরিদর্শন করেছি। অনেকটা কাজ পুনরায় করেছি। আর ভুল ক্রুটি তো থাকতেই পারে। এ বিষয়টি পত্রিকায় না লিখলেও তো পারো। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে গ্রামীণ হেরিং বন্ড রাস্তার কাজে অনিয়মে হতাশ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি মেম্বার আলকাছ উদ্দিন অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান মেম্বার শফিক নি¤œমানের সামগ্রি, চার লড়ি বালু, ৬/৭ ইঞ্চি দূরত্ব পরপর ইট বসিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় নব্বই ফুট রাস্তা ৭ফুট প্রস্থ করে নির্মাণ করে ফেলার পর সংশ্লিদের কাজের ইস্টিমেট চাইলে পরে ঐ নির্মিত রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে আরও ১ ফুট রাস্তা বৃদ্ধি করে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি ও স্থানীয় জনতাদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে পুণরায় কাজ নির্মাণের দাবীও জানান তারা। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ঐ এইচবিবি রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ রাস্তার বরাদ্দ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। ব্রিক ফ্লাট সলিং বসানোর কাজটি পাতলা করে হয়তো মিস্ত্রি বসিয়েছে। এ বিষয়টি আমি দেখছি তবে এ ছাড়া আর কোন অনিয়ম আছে বলে আমি মনে করিনা। উপজেলা সাব-এ্যাসিসটেন্ড প্রকৌশলী মো.সারওয়ার প্রতিবেদককে বলেন, আমি শুধু মাত্র ইস্টিমেইট করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আমি সরেজমিনে যাবো।
এলজিএসপি’র জেলা ফ্যাসিলেটর মো. মাসুদ কবির এ প্রতিবেদককে জানান, দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দের কাজটি কোটেশন আকারে ঠিকাদারের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। দশ লাখ থেকে শুরুকরে কাজ গুলি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করানো হয়, পদাধীকার বলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এ কাজটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কাজে কোন ধরণের অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রাপ্য অনুযায়ী বিল দেওয়া হবে। কতটুকু কাজ করা হয়েছে, তার মান নিয়ে উপজেলা সাব-প্রকৌশলী প্রত্যয়ন দিলেও রাস্তার কাজ দেখে বিল দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান কিছু জায়গায় সমস্যা ছিল তা পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম কিংবা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে এবং এর প্রমান মিললে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।




ফ্রান্সের একটি গ্রামের নাম মুছে দিয়েছে ফেসবুক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নীতি লঙ্ঘন এবং অশালীনতার অভিযোগে ফ্রান্সের একটি গ্রামের নামে তৈরি পেজ মুছে দিয়েছে ফেসবুক। এক ঘটনায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের ওই গ্রামের নাম ভিলে দে বিচ (Ville de Bitche)! আর তাতেই বেধেছে বিপত্তি। গ্রামটির নামকে ফেসবুকের অ্যালগরিদম ইংরেজি ভাষার গালি Bitch-এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে। মূলত ফেসবুকের ভাষায় মেয়ে কুকুর বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি সাধারণত নারী জাতিকে হেয় করে গালি দিতে ব্যবহার করা হয়।

মোজেল নদী অববাহিকায় অবস্থিত নয়নাভিরাম এই শতাব্দী প্রাচীন গ্রামের মেয়র বলেছেন, ফেসবুকের এমন পদক্ষেপ রীতিমতো অসম্মানজনক। এসময় তিনি ফেসবুকের যন্ত্রনির্ভর অ্যালগরিদমের সমালোচনা করে বলেন, যদি একান্তই নজরদারি চালাতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে মানুষ নিয়োগ দেয়া উচিত।

গত মার্চ মাসে ফেসবুকের কাছ থেকে একটি চিঠি পান বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, অশালীন শব্দ ব্যবহার এবং নীতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের পেজটি ডিঅ্যাক্টিভেট করেছে ফেসবুক।




দুর্গাপুর বালুমহাল থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে সরকারী সম্পদ মূল্যবান পাথর

ডিএনবি নিউজ:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরীর নদীর বিভিন্ন বালু মহাল থেকে স্তুপ করা সরকারি পাথর  রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে পাথরখেকো চক্ররা। রোববার গভীর রাতে এমনটাই দেখা গেছে।
জানাগেছে, সোমেশ্বরী নদীতে ৫টি বালু মহাল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪২৮সনে ১বছরের জন্য ৫টি ঘাটের শুধু বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বালুর সাথে উত্তোলিত পাথর কোন ইজারা না দেয়ায় সেগুলো সরকারি হাওলাতেই থেকে যায় প্রতি বছর। উত্তোলিত পাথর গুলো বছরের কোন একসময় উপজেলা প্রশাসন সরকারি ভাবে নিলামে বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে ৫টি বালু মহালের ৪টি মহাল চালু হলেও ১নং মহাল চালু না হওয়ায় ঐ মহাল থেকে জমাকৃত পাথরগুলো রাতের আঁধারে চুরি করে নিচ্ছে পাথর খেকো চক্র। বালু মহালের ইজারাদার একেক সময় একেক জন থাকলেও পাথর চুরির উৎসব কখনও বন্ধ হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিন্ন পন্থায় প্রায় রাতেই ৩ থেকে ৫ ট্রাক পাথর ১নং বালু মহাল থেকে চুরি হচ্ছে বলে বাজারের এক ব্যবসায়ির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। নদীতে পাথর খেকো চক্রটি বেপরোয়া হওয়ায় ঐ চক্রের কাছে নদীর পাড়ের মানুষ অসহায়। চক্রটি এতোটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরোদ্ধে নদীর পাড়ের কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সরকারি ভাবে বালুর ইজারা নিয়ে জমাকৃত বালু খনন করে নেয়ার কথা থাকলেও বাংলা ড্রেজার বসিয়ে ভুগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বালুর সাথে উঠে আসে অসংখ্য ছোট পাথর। যে যার মতো নদীরপাড়ে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বিশাল গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলেই নানা বিপদ ঘটে প্রতিবাদকারীদের। আত্রাইখালী ঘাটের ১নং বালু মহাল এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা, লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না অপরিকল্পিত বালু-পাথর উত্তোলন। এসব অভিযানে কিছু ড্রেজার আটক বা আগুন দিলেও নেপথ্যের কারিগররা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা হয়তো একদিন থাকবো না। এই বালু উত্তোলনের জের বুঝতে পারবে এলাকাবাসী বড় ভুমিকম্প হলে। ঘাট এলাকার কয়েকজন দোকানদার বলেন, পত্রিকায় নাম লিখলেই বাড়িতে এসে মারপিট করবে বালু ও পাথর লুটের চক্র। রাতভর অত্র এলাকাদিয়ে বালু-পাথরের ট্রাক আসা-যাওয়া ও হাইড্রোলিক হর্নের বাজানোতে আমরা কানে হাটকালা হওয়ার পথে। প্রতিবাদ করলে মারধর করবে। যার কারণে এখন আর কেউ প্রতিবাদ করেনা। তারা আরও বলেন, নদীর পাড়ে নাম মাত্র জমি কিনে বালু পাথর তুলে এখানে কোটিপতি হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা ছাড়া আরো বেশকিছু প্রভাবশালীরা। এতে খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রভাবশালীরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ লুটতরাজ করে আসছে প্রতিনিয়ত বলছেন এলাকার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন ইতোমধ্যে অন্যান্য মহাল গুলো চালু হলেও ১নং মহাল এখনো চালু হয়নি। পাথর চুরির বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশি প্রহরা জোরদার করে পাথর চুরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আগামীকাল থেকে কাউকে ঘরের বাইরে দেখতে চাই না: আইজিপি

ডিএনবি নিউজ:

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে নিজেকে স্যানিটাইজ করবেন। আপনার মাধ্যমে যেন আপনার প্রিয়জন করোনায় সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে আপনাদের ঘরের বাইরে দেখতে চাই না। মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটেরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে বিধি-নিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপসের উদ্বোধনের সময় আইজিপি এসব কথা বলেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, কেউ রাস্তায় জটলা পাকাবেন না, হাতিরঝিলে বা অন্য কোথায় গিয়ে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বাজার, করোনার টিকার তারিখ থাকলে কিংবা অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলে বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী চলাচলের প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।

সম্প্রতি সময়ে সাংবাদিকদের ওপরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। দু’জন সাংবাদিককে বলেছি মামলা করতে। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। থানা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা জাতীয় কোনো ইস্যু না। স্থানীয় প্রশাসন মনে করেছে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো প্রয়োজন, তাই করা হয়েছে।




রাজধানীর থানায় থানায় মেশিনগান মোতায়েন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের প্রতিটি থানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব থানায় লাইট মেশিনগান (এলএমজি) ও চায়নিজ রাইফেলের সমন্বয়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। মতিঝিল বিভাগের পাশাপাশি ওয়ারী বিভাগের থানাগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, পল্টন মডেল, রামপুরা, মুগদা ও শাজাহানপুর থানায় বালুর বস্তা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি তৈরি করা হয়েছে। এসব চৌকিতে এলএমজি ও চাইনিজ রাইফেল নিয়ে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।




দুর্গাপুরে ভারতীয় প্রসাধনী মেহেদী জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এক অভিযানে ৪৪ হাজার ৬৪০ পিস ভারতীয় প্রসাধনী মেহেদী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ ব্যাটলিয়ন) একটি দল। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯১০ টাকা হবে বলে জানা গেছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক মেজর নূরুদ্দীন মাকসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আজ (সোমাবার) ভোর পৌনে ৪টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নে সীমান্তে বারমারী বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) বিজিবির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে সীমান্তে ১১৬৩ নং পিলারের এক কি.মি. বাংলাদেশে অভ্যন্তরে মিনকি নামক স্থান হতে ৪৪ হাজার ৬৪০ পিস ভারতীয় কাবেরি মেহেদী জব্দ করতে পারে বিজিবি’র ছয় সদস্য।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে মেজর নূরুদ্দীন মাকসুদ আরও জানান, জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল নেত্রকোনা কাষ্টমস্‌ অফিসে জমা দেয়া হবে। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯১০ হবে। তবে এ অভিযানে কোন চোরাকারবারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানান তিনি।



আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনগরী ও মাও.মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল তৃতীয় জজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সকালে আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রামের তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আল্লামা আহমদ শফী রহ.কে মানসিক নির্যাতন এবং তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।




শিল্প-কারখানা লকডাউনেও খোলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

এই সময় সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।

তবে শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

লকডাউনের মধ্যে সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রোগী ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এক সপ্তাহের এই ‘কঠোর লকডাউনের’ ঘোষণা এল।

পোশাক শিল্প মালিকরা ‘লকডাউনের’ মধ্যেও কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ আরও কয়েকটি সংগঠন রোববার ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেও এ দাবি তুলে ধরে।

লকডাউনের প্রস্তুতিতে রোববার বিকালে সরকারের কয়েকটি দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে উৎপাদনমুখী কারখানা চালু রাখার বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয় বলে পরে বৈঠকে উপস্থিত একজন বিকেএমইএ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন।




১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপের পর আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

১৪ থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন ও শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এমন বিধি-নিষেধ আরোপ পরে সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালনের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গতবছরের শেষে এবং এবছরের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যেতে থাকলেও মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরপর গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিতত করা হয়।

কিন্তু বিধি-নিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ৭ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দেয়। তবে শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদেরও আন্দোলনের মধ্যে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ৮ এপ্র্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গতবছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে কঠোর লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার মধ্যে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।

সবশেষ ১০ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণে মারা যায় ৭৭ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন এবং মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৬৬১ জনের।