অর্ধেক যাত্রীতে চলবে বাস ট্রেন লঞ্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সর্বপ্রকারের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে টিকা সনদ নিতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

এতে বলা হয়, দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে।



সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: দীপু মনি

Dnb News ডেস্ক:

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পক্ষেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।‘

আজ শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড় বছরে শিক্ষাখাতে যে ঘাটতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সশরীরে ক্লাস করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যেভাবে চলছে, তাতে শিক্ষাখাতের সমস্যাটাই বেশি হবে। সন্তানদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রত্যেকেই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

তিনি বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা: সমাবেশের চেষ্টা বিএনপির, ঢুকতে পারেননি রুমিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশের চেষ্টা করছে বিএনপি।

এদিকে সমাবেশে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়েছে বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে। বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারসংলগ্ন এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর শহরের উপকণ্ঠে বটতলী বাজার এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিলেও মাঠে নামেনি ছাত্রলীগ। এর আগে আরও কয়েকটি জেলায় ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলো পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা দিলে বিএনপির সমাবেশে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জের উজানবাড়ি এলাকায় আটকে দেওয়া হয় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে।

আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিএনপির ওই নেত্রীকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন।




আগামীকাল পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন: মাঠে নামছে পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পঞ্চম ধাপের ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। সোমবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে।

ভোটগ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। এছাড়া আচরণবিধি দেখভাল করতে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধাপের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও দলটির বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় সহিংসতার শঙ্কাও রয়েছে। যদিও ৪৮ জন চেয়ারম্যানসহ ১৯৩ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত পদের সদস্য ৩৩ জন এবং সাধারণ সদস্য ১১২ জন। বাকি পদগুলোতে ভোট হবে।

জানা গেছে, এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৭ হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২১ জন।

এ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫২ জন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ১০৯ জন বিনা ভোটে জয়ী হন।




গজারি বনের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা গজারি বনের ভেতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর আনুমানিক বয়স (৪) বছর।

আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকার একটি গজারি বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

ওই নিহত নারীর নাম রাশিদা সে পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামের পূর্ব এলাকার শহিদুল্লার স্ত্রী।

শ্রীপুর থানার (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পেটালেন স্বাস্থ্যকর্মী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে আহসান আলম নামে এক সংবাদকর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মী। আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করেন। পরে সাংবাদিক আহসান আলমকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় রাসেল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাগরের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২ জানুয়ারি) ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় রাসেলের সাথে আস্থা প্রকল্পের আয়া বৃষ্টির অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ’ শিরোনামে ‘পশ্চিমাঞ্চল’ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরে চা পান করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় রাসেল তার এবং বৃষ্টির অনৈতিক বিষয় সংবাদপত্রে প্রকাশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে আহসান আলম সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। পরে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।

সাংবাদিক আহসান আলম বলেন, সকালে ওয়ার্ডবয় রাসেল আমাকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে জনসম্মক্ষে বেধড়ক মারধর করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ আকরাম বলেন, আয়া বৃষ্টির জন্য ওই ওয়ার্ডবয় ও তার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়েছিল। এ কারণে আয়া বৃষ্টিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভেতরে ঘটনাটি হওয়ায় আসলেই দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অতিলম্বে আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওয়ায় আনার জোর দাবি করছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, এ ঘটনায় সকালে সংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।




বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তিন সন্তানের জননীকে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

২০১০ সালে বিয়ে হয় নরসিংদীর রায়পুরার রুনা আক্তারের। সাড়ে ৩ বছর আগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঋণ করে শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরব যায় স্বামী আবুল কালাম মিয়া। ঋণের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা পরিবারকেও টাকা দেওয়া বন্ধ করেন কালাম। শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা পরিশোধ করতে বলেন স্ত্রীকে। এ নিয়ে মনোমালিন্য ও নির্যাতন শুরু হয় রুনার ওপর। নারী নির্যাতনের মামলা করেন রুনা। ক্ষুব্ধ হয়ে গত চার মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় কালাম।

বাধ্য হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরতে হয় রুনাকে। কাজ শুরু করেন সবজি ক্ষেতে। এরই মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর রায়পুরার চর মরজালের একটি ধানক্ষেত থেকে রুনা আক্তারের (২৮) চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর ও সন্দেহ ছিল শ্বশুরবাড়ির ওপর। তবে তদন্তে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন তথ্য।

সৌদি প্রবাসী স্বামীর ডিভোর্স লেটারের পর নতুন করে বিয়ের প্রলোভন দেখায় দূর সম্পর্কের মামা আব্দুর রাজ্জাক। তিনি খোরশেদ নামে মিয়া নামে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন। এজন্য তিনি নিয়েছিলেন ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু রুনা শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় রুনাকে।

ওই ঘটনায় জড়িত আব্দুর রাজ্জাক ও খোরশেদ মিয়াকে গ্রেফতারের পর আজ রবিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত রুনা আক্তার সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী ও একই গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। নিহত রুনা আক্তার ও কালাম মিয়ার সংসারে ৩ সন্তান রয়েছে।

জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পায়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ধানক্ষেতে রুনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে।

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হত্যার ঘটনাটি কেন ও কীভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারো সাথে পূর্ব কোনো বিরোধ ছিল কি-না ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস হতে সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়।

পরবর্তীতে এলআইসির একাধিক চৌকস টিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ধিগ্ধ আসামি খোরশেদ মিয়াকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও আব্দুর রাজ্জাক খানকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মুক্তা ধর বলেন, গ্রামের বিভিন্ন এনজিও সমিতি হতে সাড়ে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সাড়ে ৩ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরব যায় স্বামী আবুল কালাম মিয়া। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ আসে স্ত্রী রুনার ওপর। রুনা স্বামীকে জানালে যৌতুক বাবদ বাপের বাড়ি হতে টাকা পরিশোধ করতে বলে। কিন্তু রুনার পরিবারের সচ্ছলতা ছিল না। রুনা টাকা পরিশোধে অপারগতা জানালে সংসারের খরচার টাকাও দেওয়া বন্ধ করে কালাম। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মনোমালিন্য ও নির্যাতনের শিকার হয় রুনা। নারী নির্যাতনের মামলা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে গত চার মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় কালাম।

বাধ্য হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরতে হয় রুনাকে। কাজ শুরু করেন সবজি ক্ষেতে। এরই মধ্যে নতুন করে বিবাহের জন্য প্ররোচনা দিতে থাকে দূর সম্পর্কের মামা পল্ট্রি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর চার সন্তানের জনক বৃদ্ধ খোরশেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ ঠিক করেন। এজন্য ৯০ হাজার টাকা খরচাও আদায় করেন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়েতে অমত জানায় রুনা। এ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও খোরশেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধানক্ষেতে গিয়ে হাত পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ও চোখ উপড়ে ফেলে।

মুক্তা ধর বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় আরও দুজন জড়িত। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার দুজনকে আজই নরসিংদী আদালতে সোপর্দ করা হবে।




আসক ফাউন্ডেশন দুর্গাপুর-কলমাকান্দা শাখার সভাপতি-রফিক, সম্পাদক-রতন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (আসক) দুর্গাপুর-কলমাকান্দা উপজেলা শাখা অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রিয় অফিস।

গত ২০ ডিসেম্বর আসক নির্বাহী পরিচালক নাজমুন নাহার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ৪জন উপদেষ্টাসহ এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক (সাংবাদিক) কে সভাপতি, আব্দুল ওয়াদুদ রতন’কে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৪ সদস্য বিশিস্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই কমিটি এলাকার মানবাদিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করবেন এবং তাদেরকে আইনি সহায়তা দিবেন।




টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল অর্ধশতাধিক ঘর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট চুড়ি ফ্যাক্টরি এলাকায় ভয়াবহ আগুনে অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গভীর রাতে হঠাৎ একটি বাড়ি থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে ৫২টি ঘর পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাও জানা যায়নি।