দুর্গাপুরে সৌদি প্রবাসী ও যুবদলের সাবেক সভাপতিকে মারধর, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌদি প্রবাসী আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যদের ওপর ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোঃ আলাল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্য ভুক্তভুগিরা।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরে আবু সুয়িান বলেন, গত শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে কুমুদগঞ্জ বাজারে, বিএনপি’র ইউনিয়ন দলীয় কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে ওই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে বিএনপি নেতা, মো. আলাল মিয়া, মো. জলিল মিয়া, মো. কাজল মিয়া সহ আরো ৬-৭ জন স্বার্থান্বেষী দলীয় নেতারা, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই আমার ডাক চিৎকারে আমার ভাই মাওঃ আবুল হোসাইন এবং ভাতিজা মনিরুজ্জামান বাবু এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে।

নেতারা, আমার আরেক ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার ও আরেক ভাতিজা হাফেজ নাঈম হোসেনকেও গুরুতর আহত করে। ওদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার দুই ভাই এবং এক ভাতিজাকে স্থানীয়রা একটি দোকান ঘরে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তিতে আমি গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় দুর্গাপুর থানায় এবং স্থানীয় সেনাক্যাম্পে বিষয়টি জানাইলে সেনা সদস্যদের সহায়তায় ওই ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, জুয়ার বোর্ড, গাঁজা, ইয়াবা এমনকি রামনগর ঋষিপাড়ায় বাংলা মদ উৎপাদনের অনুমতি প্রদান করে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ওপর এই হামলা চালানো হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর বিএনপি‘র রাজনীতি করে আজ বিএনপি‘র নেতাকর্মী দ্বারাই গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে উপজেলার দলীয় নেতাদের কাছে জানিয়েছি।

আমি আমার ওপর এই অতর্কিত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। সেইসাথে অত্র ইউনিয়নের যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা, দলীয় প্রভাব বিস্তার না করা সহ এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। এ সময় অন্যদের মধ্যে মাওঃ আবুল হোসাইন, আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান বাবু, আবু ইউসুফ, নাঈম হোসাইন, আজিম উদ্দিন, আক্কাছ মিয়া, জালাল রনি সহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।




যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে উঠে ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে ঢাকার ধামরাইয়ে নিয়ে আসার ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কালামপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সজিব (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৫) ও ফজলু (২৮)।

শনিবার (২ নভেম্বর) গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, শুক্রবার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা গত ২৫ অক্টোবরও অপর একটি বাস ডাকাতিতে জড়িত ছিলো।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অবস) মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

জসিম উদ্দিন জানান, গত ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ৪৩ যাত্রীসহ ইসলাম পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে আসে। ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীর ছদ্মবেশে সাত ডাকাত বাসটিতে ওঠেন। ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাস এলাকায় ডাকাতরা চালক হারুনের গলায় ছুরি ধরে তাদের একজন সজিব নামে একজনকে চালকের আসনে বসায়। এছাড়া সুপারভাইজারের গলায় তারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে বাসটি মির্জাপুর-কাওয়ালীপাড়া সড়কে নিয়ে যায়। ভোর ৭টার দিকে বাসটি ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকায় নিয়ে আসে। একপর্যায়ে বাসটি সেখানে একটি খাদে পড়ে যায়। এরইমধ্যে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে হেলপার কৌশলে বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাসচালক সজিবও তাদের সঙ্গী বলে জানায়। তাকেও আটক করা হয়।

এছাড়া তারা গত ২৫ অক্টোবর হওয়া বাস ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত চারটি ছুরি, লুট করা ৩,২৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার ভোরে নড়াইল-ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, তুলারামপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে তুলারামপুর এলাকার তরফদার বখতিয়ার হোসেন হান্নানের বাড়িতে তিনজন গরু চুরি করতে যায়। কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজে বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করেন। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী চোরদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দিলে তিনজন নিহত হয়। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে কথা বলে গ্রামের লোকজন জানতে পারেন- এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে।

সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।




দুর্গাপুরে ১ হাজার পিচ ইয়াবা সহ  আটক এক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাদক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ হাজার পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির প্রায় ৪০ হাজার টাকা সহ মোশারফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
আটক মোশারফ হোসেন দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া কোনাপাড়া গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মুল্য তিন লক্ষ টাকা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গোদারিয়া এলাকায় মোশারফের বাড়িতে ইয়াবার বড় চালান রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ রহমত আলী এবং দুর্গাপুর সেনাক্যাম্পের সার্জেন্ট আজিমুল এর নেতৃত্বে সোমবার সকালে এক অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে মোশারফ হোসেন এর ঘর থেকে একটি সিনথেটিক ব্যাগের ভিতর কালো স্কসটেপ মোড়ানো কমলা বর্ণের ১ হাজার পিচ ইয়াবা সহ এ কাজে সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মোশারফ হোসেন কে আটক করা হয়। এ অভিযান পরিচালনায় ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. মাহাবুব আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, সিপাহী মোঃ আজিজুল, আকরাম হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল আকন্দ, দুর্গাপুর সেনাক্যাম্পের সার্জেন্ট আজিমুল, এল.সি.পি.এল মোঃ আরিফ, সৈনিক মোঃ মোতালেব, মোঃ রিপন, মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ শাকিল, মোঃ সায়মুন, মোঃ মামুন, মোঃ রাজিব ও মোঃ তরিকুল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোঃ রহমত আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ মোশারফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকার শান্তি রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।



ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারাপারে ইচ্ছেমতো টাকা আদায়, ক্ষুব্ধ সাধারন যাত্রীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শেষ সীমানাস্থল ঘেঁষে কংস নদ। আর এই নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারি দিয়ে প্রতিদিনই জেলাশহরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয় এ উপজেলার বাসিন্দাদের। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও সমালোচনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, একবার নৌকায় উঠলেই আগের চেয়ে দুইগুণ বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। পারাপারে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট টানানো নেই ফেরিঘাটে। বাড়তি টাকার বিষয়টি প্রতিবাদ করলে মাঝির বাগবিতন্ডার রোষানলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অপরদিকে ঘাটের ইজারাদার বলেছেন, বেশি টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই নেওয়া হচ্ছে বেশি টাকা।
সূত্র জানায়, কংস নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাট পারাপারের ইজারা পরিচালনা করছেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদ। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিকে নতুন করে ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কার্যকর করা হয় পহেলা বৈশাখ থেকে। পূর্বের সময়ে নৌকায় পারাপারে সঠিকভাবে ভাড়া আদায় করলেও এ বছর পারাপারে ইজারাদার বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

জানা গেছে, প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ, কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলেজসহ বিভিন্ন কাজে এই ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে সার্বক্ষণিক যাওয়া-আসা করতে হয় দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে নৌকায় পারাপারে জনপ্রতি আগের থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে এখন ১০ টাকা,চালকসহ মোটরসাইকেল আগের থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেলসহ দুইজনের এখন ৩০ টাকা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থেকে নেয়া হয় ইচ্ছে মতো ভাড়া।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মোবারক হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আগে নৌকা ভাড়া দিতে হতো ৫ টাকা, বর্তমানে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। আগের ৫ টাকা ভাড়া সঠিক ছিল।
শামছুল আলম খান নামের  আরেক যাত্রী বলেন, আমরা দুর্গাপুরের মানুষ জেলা শহরে যোগাযোগ করতে হলে একমাত্র ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে যেতে হয়। আমরা বাড়তি টাকা দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু সবার পক্ষে তো সম্ভব না। এটা জুলুম।
শিক্ষক জুয়েল মিয়া বলেন, ইঞ্চিনচালিত নৌকায় এটুকু নদী পার হতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগে না কিন্তু জনপ্রতি ১০ টাকা আর মোটরসাইকেল ১০ টাকা মোট ২০ টাকা নিচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও দেখিনি।

মাসুদ মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, মোটরসাইকেলসহ ৩০ টাকায় এই নদী পার হয়েছি। আগে ১০ টাকায় পার হতাম। কিন্তু এখন আগের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। দুইজন লোক নিয়ে গেলে যে টাকা ভাড়া পায় তার মধ্যে থেকে ৬০ টাকা নৌকা পারাপারের দিতে হয়। খুবই খারাপ লাগে কিন্তু বলার মতো জায়গা দেখিনা।
এদিকে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাতে বললে নৌকার মাঝি জানায় বাড়িতে আছে চার্ট। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে নাম বলতে অস্বীকৃতিও জানায় নৌকার চালক।

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ লাখ টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। নৌকা পারাপারের যে ভাড়া নিচ্ছেন  এটি জেলা পরিষদের নির্ধারন করা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে কেউ অভিযোগ দিলে পরিষদ ডিসিশন নেবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খন্দকার জানান, গত বছর এবং এ বছর (চলমান) লিজ নেওয়া দুইজন আলাদা ব্যক্তি। গত বছর কোনো অভিযোগ বা আপত্তি না আসলেও এ বছর একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে আমরা ইনফর্ম (জানালে) করি যে ওনি বেশি টাকা নিচ্ছেন এরপর প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল। ওনাদের ফোন করা হলে কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও বেশি টাকা নেওয়া শুরু করে। এখন আবারও গত সপ্তাহে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমাদের ইন্জিনিয়ার সাহেব দ্রুতই সরেজমিনে তদন্ত করবেন।




আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার ( ১ সেপ্টেম্বর ) সকালে, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটটি গত ২৭ আগস্ট খারিজ চান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ঐদিন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানিতে এমন আর্জি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

এরপর আদালত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিল। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ১৯ আগস্ট এ রিট করেছিলেন।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।




জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় গত ১ আগস্ট। চারদিনের ব্যবধানে ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের। ক্ষমতার পালাবদলে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আদেশ আজ প্রত্যাহার হলো।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে।

আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে। যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে। সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল। উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।




দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সনের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে স্থানীয় শহীদ মিনারে উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পন করতে যাওয়ার সময় পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকায় মামলায় উল্লেখিত আসামীগণ শান্তিপ্রিয় মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে বিএনপি‘র উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে মোবাইল ফোন গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের রক্ষা না করে উল্টো তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। ওই সময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি‘র নেতাকমীদের উপর হামলা ও গুলি ছুড়লে, এতে বিএনপি‘র অসংখ্য নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে আবু সিদ্দিক রুক্কু‘র ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এছাড়া পুলিশ সদস্যদের অতর্কিত গুলিতে বিএনপি নেতা শিশির ও স¤্রাট গণি গুরুতর আহত হয়।
উক্ত মামলায় নেত্রকোনা -১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আ‘লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান, দুর্গাপুর থানার এসআই সুভাশিষ গাঙ্গুলী, সানোয়ার হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান সহ ৪৭ জন আ.লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২শত জনকে আসামী করা হয়।



প্রত্যাহার হচ্ছে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা আগামীকাল (মঙ্গলবার) বা যেকোনো দিন প্রত্যাহার হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় আরও দুই আইনজীবী তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, অন্যায়ভাবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দফতরে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ পর্যায়ে পদক্ষেপ নিলে পরে সমাধান করা সম্ভব। এর অংশ হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি রিকোয়েস্ট করা হয়। এই রিকোয়েস্টের অংশ হিসেবে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে।

জামায়াত আইনি পদক্ষেপ অনুসারে চলতে চায় জানিয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আমরা আইনজীবী হিসেবে সন্ত্রাস দমন আইনের ১৯ ধারা এবং ১৮ ধারায় পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, সেটি দেখা আমাদের কাজ।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীকে সেনাপ্রধানসহ রাষ্ট্রপতির দফতরে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রেও জামায়াত ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কার্যত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি স্বাভাবিক এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতোই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর তিন দিন পর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরাও জনরোষের মুখে আত্মগোপনে চলে যান।




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। রিটটি করেছে মানবাধিকার সংগঠন সারডা

সোমবার (১৯ আগস্ট) সংগঠনটির পক্ষে রিটটি করেছেন নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।

রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর এবং বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের এই বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।