খুলনায় স্কুলছাত্রের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজের ১৪নং রোডে একটি মাঠে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে মাথা, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।

নিহত শুভ হাওলাদার নগরীর আনিস বিশ্বাস আদর্শ স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১৪ নম্বর রোডের একটি খোলা মাঠের কোনায় রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার মাথা, গলা, হাতসহ একাধিক স্থানে ইটের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হত্যার সময় দুর্বৃত্তদের সাথে শিশুটির ধস্তাধস্তির আলামত পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে রক্তমাখা একটি ইট উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলটি নির্জন হওয়ায় হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে শিশুকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশের ধারণা।

নিহতের বাবা ভাঙ্গারী বিক্রেতা ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, শুভ তাদের একমাত্র সন্তান। সকালে ছেলেকে নাস্তা খাইয়ে ভ্যান নিয়ে তিনি বাইরে বের হন। মাও ঘরের বাইরে যায়। নিজ সন্তানের হত্যার খবরে বারবার মুচ্ছা যাচ্ছিলেন বাবা-মা। ১১ বছরের শিশুর এমন নৃশংস হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়না তদন্তের জন্য লাশ খুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ।

তবে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমতাজুল হক।




বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় নিউজরুমে সাংবাদিকের আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞ এক সাংবাদিক।

বেতন বকেয়া থাকায় হতাশায় গত রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অফিসের নিউজরুমেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সংবাদে বলা হয়, বেতনের অভাবে আত্মহত্যা করা ওই ভারতীয় সাংবাদিকের নাম টি কুমার। ৫৬ বছর বয়সী এই গণমাধ্যম কর্মী ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় (ইউএনআই) ফটো জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অফিসের নিউজরুমে টি কুমার আত্মহত্যা করেন। এর পরদিন সোমবার অন্য সহকর্মীরা তার মরদেহটি উদ্ধার করেন।

এ দিকে টি কুমারের মৃত্যুতে ভারতের সাংবাদিকতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে মাসের পর মাস বেতন ও বকেয়া অর্থ না পাওয়া এবং সাংবাদিকদের যে বৃহত্তর আর্থিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়, বর্তমানে সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইয়ের কর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গত ৬০ মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠান তাদেরকে কোনো ধরনের বেতন পরিশোধ করেনি। বিবৃতির মাধ্যমে বার্তা সংস্থাটির কর্মীরা জানিয়েছেন, নিয়মিত বেতন না পাওয়ার কারণে টি কুমার তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলেন।

অবশ্য ইউএনআইয়ের এডিটর-ইন-চিফ অজয় কুমার কাউল বেতন না পেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে ‘পুলিশের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিৎ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেছেন, আমরা যতটা জেনেছি, আত্মহত্যার আগে টি কুমার কোনো সুইসাইড নোট রেখে যাননি। (কোনো সমস্যা থাকলে) আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কারণ হিসেবে সেখানে তিনি আর্থিক চাপ বা বেতন বকেয়ার মতো কিছু উল্লেখ করে যেতেন।

তার দাবি, সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে বেতন বাকি থাকার কথা বেশ কয়েকটি মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছ। কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এটি কি আত্মহত্যা না-কি অন্য কিছু? আমরা চাই পুলিশ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখুক।

অজয় কুমারের ভাষায়, অতি দুঃখজনক ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটল সেটির যথাযথ কারণ ও প্রেক্ষাপট আমরাও জানতে চাই।

টি কুমারের মৃত্যুর বিষয়টি গত সোমবার সকালে টুইটারে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্ব বিশ্বনাথ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও অগ্রগামী বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে খুব অল্প বয়সে যোগ দিয়েছিলেন টি কুমার। পরবর্তী সময়ে নিজের জ্ঞান ও কর্ম দক্ষতার কল্যাণে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ডিভিশনের ব্যুরো প্রধান হয়ে যান।

মূলত এরপরই বার্তা সংস্থাটির কর্মীদের বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে আনেন বিশ্বনাথ। তার দাবি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইউএনআই গত ৬০ মাস যাবৎ কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। ইউএনআইয়ের সকল কর্মীরা কিস্তির মাধ্যমে নিজেদের মাসিক বেতন পাচ্ছেন। যদিও সেই কিস্তিও নিয়মিত পরিশোধ করা হয় না।

তার অভিযোগ, কর্মীদের মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে ইউএনআই। বেতন না দেওয়া এবং মানসিক চাপের কারণে একজন চমৎকার সাংবাদিক ও খুবই ভালো একজন মানুষ আত্মহত্যা করলেন।

বিশ্ব বিশ্বনাথ বলেছেন, টি কুমার অন্য কোথাও না, চেন্নাইতে অবস্থিত ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার তামিলনাড়ু অফিসের সেন্ট্রাল হলে আত্মহত্যা করেছেন। তার পুরো জীবনটা যে ইউএনআই ধ্বংস করেছে এটি তিনি অনুভব করেছিলেন এবং এখানে আত্মহত্যা করা সেটিরই ইঙ্গিত।




রায়পুরে অটোরিকশার ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অটোরিকশার ধাক্কায় মো. শাকিল (২০) নামে এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন পলাশ (১৮) নামে তার এক ভাতিজা।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাসাবাড়ি-হায়দরগঞ্জ সড়কের চরআবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের হোসেন মেম্বারের স্টেশান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শাকিল ওই ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের দিনমজুর শফিক উদ্দিনের ছেলে।

তিনি রায়পুর শহরে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী।
ঘাতক অটোরিকশাচালক মো. হাসিব (৩০) একই এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে।

ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের মা সাবিহা বেগম জানান, প্রতিদিনের মত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাকিল ও তার ভাতিজা পলাশ রায়পুর শহরে ফার্নিচার দোকান থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলো।

পথে বাসাবাড়িবাজার ও হায়দরগঞ্জ সড়কের উদমারা গ্রামের হোসেন মেম্বার স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতির একটি অটোরিকশা তাদের বাইসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শাকিল ও পলাশ গুরুতর আহত হয়। শাকিলের মাথা ও কানে গুরুতর জখম হয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পলাশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলী পাটোয়ারী বলেন, ঘটনাস্থলে হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। অটোরিকশা ও নিহতের বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।




দুর্গাপুরে আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের পরিচিতি সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন দুর্গাপুর-কলমাকান্দা থানা সমন্বয় কমিটির পরিচিতি সভা ও আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এ সময় আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল ওয়াদুদ রতন এর সঞ্চালনায় ও আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল আহসান, দুর্গাপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জ্বল সরকার,দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার, সিনিয়র সাংবাদিক মোহন মিয়া,সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুলসহ, আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের  সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা অব্যাহত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি চেষ্টা করবো যাতে খুব জলদি এটার ব্যবস্থা নিতে পারি।’

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য আদালত র‌্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছে। র‌্যাব এটা নিয়ে কাজ করছে, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই ঘটনাটা কী ঘটেছিল, কে কে দায়ী ছিল এগুলো আমরা বের করতে পারবো। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকাতেই হয়েছিল। আমিও দৌড়ে গিয়েছিলাম। আমিও মনে করি এটা যথেষ্ট দেরি হয়েছে। এটা আমি চেষ্টা করবো যাতে খুব জলদি এটার ব্যবস্থা নিতে পারি।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে সাড়ে ৮৭ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এত সময়ে মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি।




ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৫ কর্মী অপহৃত

 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইয়েমেনে জাতিসংঘের পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইয়েমেনে দায়িত্বরত জাতিসংঘের মুখপাত্র রাসেল গিকি একথা জানান। তবে কারা এসব কর্মীকে অপহরণ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

রাসেল জানান, অপহৃত কর্মীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে ইয়েমেনের স্থানীয় কৃর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে ।২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ও রাজধানী সিনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেন সরকারকে সহযোগিতা করতে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। দুই পক্ষের লড়াইয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে আরো কয়েক লাখ মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।




বাগেরহাটে অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাগেরহাটের শরণখোলায় অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে চালকসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. মামুন, চালকের সহকারী মিলন ও শিমুল। তিনজনেরই দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে।

ঘটনার পর দগ্ধদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মামুন বলেন, রায়েন্দা বাজারের ফেরিঘাট এলাকায় নুরুল ইসলাম মীর নামে এক শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাই। বাড়ির সামনে পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, অগ্নিদগ্ধ তিনজন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিন জনেরই দুই হাত পুড়ে গেছে। একজনের মাথায় সামান্য ক্ষত হয়েছে। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মারা গেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসিরদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিএসএমএমইউ-তে মর্গ না থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ কায়সারের ছোটভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উনি প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো লাশ বুঝে পাইনি। লাশ বুঝে পেলে উনাকে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সৈয়দ কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করেন তিনি।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারকে সাতটি অভিযোগে প্রাণদণ্ড দেয়। এর মধ্যে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড; অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার চারটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং আরও তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মুসলিম লীগের সাবেক এই নেতা একসময় বিএনপি করলেও পরে এরশাদের (প্রয়াত) জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি।
গত ২০১৩ সালের ১৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর একই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হলেও ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার দিন তাকে কারাগারের কনডেম সেলে পাঠানো হয়।

এম আর




রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ফের শিক্ষার্থী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর পলাশী মোড়ে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় মো. ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন পার্টটাইম কাজের পাশাপাশি মাস্টার্সে পড়তেন।

নিহতের ভাগিনা মুরাদ বলেন, আমার মামা বাইসাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় খাবার সরবরাহ করেন। পলাশী এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, নিহতের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায়। বর্তমানে হাজারীবাগের জিগাতলা এলাকায় থাকতেন। তার বাবা মৃত আবুল কেরামত। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পলাশী মোড়ে বেপরোয়া গতির কাভার্ডভ্যানটি পেছন থেকে বাইসাইকেল আরোহী ইয়াসিনকে ধাক্কা দেয়। এতে বাইসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কাওছার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, চালক মানিককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে কাভার্ডভ্যানটি।

এম আর



মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে আটক ৫১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫১ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটকসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।আটকের সময় তাদের হেফাজত হতে ২৬৬৭ পিস ইয়াবা, ১২৭ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৪১ কেজি ১৩৯ গ্রাম গাঁজা ও ৫. ২৫০ লিটার দেশিমদ উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৩ টি মামলা রুজু হয়েছে।