


দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দাবি
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় খুলনা রেলষ্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, জনগণ আজ ভালো নেই, সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে পারছে না। কারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, গ্যাস সহ সকল নির্মাণসামগ্রী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ সরকার এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার এ ব্যপারে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয়ে।
সমাবেশে ১৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরী বাদ দিতে হবে। ৬. কারান্তরিণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। ৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। ৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। ১০. নির্বাচনে সকল দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। ১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। ১৩.রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। ১৫. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যে মহামারি-বিধ্বস্ত ভঙ্গুর বিশ্ব অর্থনীতিকে আরো ভয়াবহ চাপে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৈশ্বিক রসদ ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২০ মে) তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত খাদ্য, শক্তি ও অর্থবিষয়ক গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘এটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে’।
ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাবের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয়ের জন্য জাতিসঙ্ঘ জিসিআরজি প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই গ্রুপে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন আগে থেকেই করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ধুঁকছে বিশ্ববাসী।
তিনি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহের স্বল্পতা এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সঙ্কটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বাংলাদেশের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) এবং ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো (এসআইডি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি ফোরামকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি কাটাতে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট সহায়তার প্রয়োজন তাদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত অর্থনীতি ও বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকারসহ সহজলভ্য অর্থায়ন সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং একটি সু-সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে জি-৭, জি-২০, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে, কার্যকর খাদ্য সঞ্চয় ও বিতরণ ব্যবস্থার জন্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে আরো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, অনেক এসআইডি এবং নিম্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অনেক উদ্ভাবনী জলবায়ু কর্মের নেতৃত্ব দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যদের সুবিধার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের জ্ঞান, বোঝাপড়া এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই’।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় দৃঢ় বিশ্বাসী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বদা বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি।’
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহনশীলতার জন্য পরিচিত। করোনা মহামারী তার সর্বশেষ উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
তিনি ফোরামকে বলেন, ‘সময়মত টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা আমাদের একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিল।’
তিনি বলেন, সরকার তার রফতানি খাত এবং এসএমইকে সমর্থন করার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়েছে। ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদ্দীপনা প্যাকেজগুলো রোল আউট করা হয়েছিল।
এই পদক্ষেপগুলো দেশকে গত অর্থবছরে ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করেছে বলেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব এড়াতে কঠোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার নিয়মিতভাবে ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্য এবং নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সামাজিক-নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রসারিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কার্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে (৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য হ্রাসসহ) ভোজ্যতেল, ডাল, চিনির মতো ভোগ্যপণ্য বিক্রি করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।’ সূত্র : ইউএনবি।

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

জয়পুরহাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
জয়পুরহাটে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জয় হোসেন (২০) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বন্ধু তাহমিদ (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ মে) রাতে জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ী সড়কের বোর্ড ঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নিহত জয় নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ফাঁসিপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে ও ধামইরহাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র। আহত তাহমিদ একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র।
ওসি আলমগীর জাহান জানিয়েছেন, জয় ও তাহমিদ দুই বন্ধু জয়পুরহাট শহরে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বৃষ্টির সময় মোটরসাইকেলে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বোর্ড ঘর এলাকায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়। এ ঘটনায় আহত হন তার বন্ধু তাহমিদ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

দুর্গাপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ দোকানে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

বাংলোদেশীসহ ৮১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়া
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
৮১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃতরা একটি সবে সমুদ্র উপযোগী জাহাজে করে লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন।
শনিবার (১৪ মে) তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাটি তিউনিসিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার (৪ মাইল) দূরে ছিল।
এতে ৩৮ জন মিশরীয়, ৩২ জন বাংলাদেশি, ১০ জন সুদানী এবং একজন মরোক্কান রয়েছে। তিউনিসিয়ার সাথে লিবিয়ার সীমান্তের কাছে আবু কামাশের উপকূলীয় গ্রাম থেকে রওনা হওয়া উদ্ধারকৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে ছিল।
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী জানায়, ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে উদ্ধারকৃতদের।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে, লিবিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৪২ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে যারা জাহাজে করে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
সংবাদ সংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, এসব অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই মূলত বাংলাদেশের।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলেছে, ২০২১ সালে প্রায় ২,০০০ অভিবাসী ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে, যা আগের বছরের সংখ্যা ছিল ১,৪০১।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ১০ হাজার লিটার তেল উদ্ধার
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
মানিকগঞ্জে সিংগাইরে ধল্লা বাজারে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ১০ হাজার লিটার সয়াবিন উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতর। এই বাজারের আলতাফ স্টোরের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা বাজারের শনিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আলতাফ স্টোরে বিপুল পরিমাণ তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়। অবৈধভাবে ঈদের আগে মজুদ করা বিভিন্ন ব্যান্ডের ১,২ ও ৫ লিটারের বোতলজাত তিন হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল গুদামে পাওয়া যায়। এছাড়াও পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল খুলে ড্রামে ভরে সংরক্ষণ করা অবস্থায় প্রায় ছয় হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল পাওয়া যায়।
তিনি জানান, দুই লিটারের বোতলজাত তেলের ৩৩৪ টাকা মূল্য থাকা সত্ত্বেও ৩৮০ টাকায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত তেল উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সূত্র : ইউএনবি

এবার ঈদযাত্রায় ১৪ দিনে সড়কে নিহত ৩৭৬ জন
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে) দেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১৪ দিনে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাসযাত্রী ৩২ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, জিপ যাত্রী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৭৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ২৩টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
দেখা গেছে, ঈদ উদযাপনের সময় ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪১.৪৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৫.২২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়- অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ১৬.১৯ শতাংশ; মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১.৯৫ শতাংশ; অন্য যানবাহনের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯.০৪ শতাংশ; অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২.৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।
২০২১ সালে ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময় ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৬.৪১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সরকারের কাছে কয়েক দফা সুপারিশ জানিয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে
বাস্তবায়ন করতে হবে।

গণকমিশনের তালিকায় দেশের ১১৬ আলেম ও ওয়েজিনের নাম
ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।
বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দি আলেম।
দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।
দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।