রাজধানীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষ, কলেজ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধে বাস ও লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে জুবায়ের হোসেন সিয়াম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।তবে নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।

রোববার দুপুর ২টার দিকে বেড়িবাঁদের নবাবেরবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিয়াম মিরপুর কমার্স কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে মিরপুর বেড়িবাঁধে নবাবেরবাগ এলাকায় কিরণমালা নামের একটি বাসের সঙ্গে ডাইমেনসন নামের একটি লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবায়ের হোসেন মারা যান।

বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুজনকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এ ছাড়া অন্য তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে আরও একজন মারা গেছেন।ঘটনার পরপরই বাস ও লেগুনা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, বাসটি ওভারটেক করতে গিয়ে সামনে থেকে আসা লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে একজন চালকসহ সবাই লেগুনার যাত্রী।

শাহ আলী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওই দুর্ঘটনায় তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।




দুর্গাপুরে বিষপানে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হৃদয় (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। (৩০ জুলাই) শনিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে বিষপান করে হৃদয়। পরে পরিবারের সদস্যরা হৃদয় বিষ খাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসায় রাতে কিছুটা সুস্থ হলেও (৩১জুলাই) রোববার ভোর ৪টার দিকে মৃত্যু হয়। নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার গাঁওকান্দিয়া গ্রামের মোঃ রাজ্জাক মিয়ার ছেলে এবং নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরে থাকা পোকাদমনের বিষ খেয়ে নেন হৃদয়। পরে মুর্মূষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসায় রাতে কিছুটা সুস্থ হলেও ভোরবেলায় মৃত্যু হয় তার।

নিহতের চাচা সবুজ মিয়া জানান, কাউকে না জানিয়ে ৩ মাস আগে কোর্টের মাধ্যমে এক মেয়েকে বিয়ে করে হৃদয়। বিয়ের বিষয়টি মেয়ের পরিবার সহ সকলের জানাজানি হলে ছেলে ও মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। মেয়ের পরিবার থেকে বলা হয় ছেলেকে ডিভোর্স দিতে ছেলে এটি মেনে নিতে না পেরেই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।




শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্বামীকে গুলি করলেন স্ত্রী

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর অভিযোগ তাঁর নিজের ডে-কেয়ারে থাকা শিশুদের শ্লীলতাহানি করতেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউজ উইকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম ওয়াশিংটনের বিলাসবহুল ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলের একটি কক্ষে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়ার পর ৫৭ বছর বয়সি জেমস উইমস জুনিয়রকে গুলি করেন তাঁর ৫০ বছর বয়সি স্ত্রী শান্তারি উইমস। জেমসের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

শান্তারি উইমস বাল্টিমোর কাউন্টিতে লিল কিডজ ক্যাসেল নামের একটি ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করেন। সেখানে জেমস উইমস শিশুদের শ্লীলতাহানি করতেন বলে অভিযোগ করেছেন শান্তারি। পুলিশ জানিয়েছে, জেমস উইমসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি ডে-কেয়ারে অন্তত তিনটি শিশুকে নির্যাতনসহ ১৩টি যৌন অপরাধে অভিযুক্ত। শরীরে দুটি গুলির গুরুতর আঘাত নিয়ে জেমস এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি যাতে হাসপাতাল থেকে পালাতে না পারেন, সেজন্য হাসপাতালের বাইরে প্রহরী রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জেমস উইমসের স্ত্রী শান্তারি উইমসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডেইলি বিস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের অভিযোগে শান্তারি উইমসকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ওই হোটেলের কক্ষে একটি নোটবুক খুঁজে পেয়েছে, যেটিতে বর্ণনা করা হয়েছেÑকীভাবে একজন ব্যক্তিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত গুলি করতে হয়। শিশুদের ন্যায়বিচার চাওয়ার কথাও লেখা রয়েছে নোটবুকে।




চলন্ত ট্রেনে সেলফি তুলতে গিয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে ছবি তোলায় সময় সিগন্যালে হাত আটকে রোহান (১৭) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রোহান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রায়হান হোসেনের ছেলে ও উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভোকেশনাল সেকশন) দশম শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে উথলী রেলস্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গামুখী মহানন্দ লোকাল ট্রেনে চড়ে রোহান। বিকেলে ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা পৌঁছালে সেখানে নেমে পড়ে রোহান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে খুলনাগামী গোয়ালন্দ মেইল ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে রোহান ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে সেলফি তোলার সময় একটি সিগন্যালের সাথে ধাক্কা লাগলে তিনি ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় তার মাথা ও বাম পায়ে আঘাত লাগলে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা রোহানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অথবা ঢাকা পঙ্গু হাপসাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নূরজাহান রুমি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা অজ্ঞাত এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় জানতে পারি সে ট্রেন থেকে পড়ে যেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তার বাম পায়ের পাতার বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়াও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় দুই কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রত সম্ভব রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এদিকে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিল পরিবার। পথেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর নামক স্থানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোহানের চাচা সবেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সযোগেই পরিবারের সদস্যরা রোহানের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।




জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জামালপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ফয়সাল ফাহিমের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।নিখোঁজ ফাহিম সদর উপজেলার কানিল গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র এবং নান্দিনা  উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। সে সম্প্রতি ত্রিশাল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছে। ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ফাহিমসহ পাঁচ বন্ধু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিঙি নৌকা নিয়ে ভ্রমনের সময় সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় চার বন্ধু সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় ফাহিম। ডুবুরিরাও খোজাখুজি অব্যাহত রাখেন।

আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে একটি ড্রেজার মেশিনের কাছে তার মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

 




দুর্গাপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা রেখেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ, ও কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য একমাসের সময় দেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তপক্ষ। ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের সামনে রাফিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার  খোলা রেখে চলছে কার্যক্রম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে ২২টি নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ, লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাফিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা রেখে কার্যক্রম চলছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে শাটার বন্ধ করে ১টি খোলা রেখে কার্যক্রম চালাতে থাকে। বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য লোকজন যাওয়া আসা করছে।অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাংবাদিকদের পাঠানো একব্যাক্তি রক্ত পরিক্ষা করা যাবে কি-না জানতে চাইলে তারা  জানান,করা যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব রায় বলেন, আমরা জানি সেগুলো বন্ধ আছে। আমরা বলে দিয়েছি যদি কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা পাই, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



নেত্রকোনায় মোটরসা্ইকেলের চাপায় মোয়াজ্জিনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এশার নামাজ পড়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জসিম উদ্দিন (৭০) নামের এক মুয়াজ্জিনের।

শনিবার (২৮মে) এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একটি মোটরসাইকেল চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার মদনবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

নিহতের ছেলে সারোয়ার জাহান বলেন, আমার বাবা এশার নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেল চাপা দেয়। তাৎক্ষণিক বাবাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।

মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, এ ব্যাপারে মদন থানায় কোনো অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গণ কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করুন: ববি হাজ্জাজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘বিতর্কিত এবং বিপথগামী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে গঠিত গণ কমিশন যে ভুলে ভরা এবং অসার প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ওলামায়ে কেরাম এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আজ শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত নাগরিক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ববি হাজ্জাজ।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গত দেড় দশকে আমাদের শিখিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মামলা করে কীভাবে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে রুদ্ধ করা যায়। ওলামায়ে কেরামের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা জেলায় জেলায় গণ কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করুন।’

এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের এবং আপনাদের যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথিত শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে গণ কমিশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানহানি করে তাদের পর্যদুস্ত করেন। এই সব ভ্রান্ত আদর্শের ব্যক্তিরা কখনোই ইসলামের ক্ষতি করতে পারবে না বরং মহান আল্লাহই কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামকে হেফাজত করবেন।’

তিনি বলেন, ওলামায়ে দেওবন্দ এ দেশের অতি সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের পবিত্র ভূমিতে দ্বীন ইসলাম প্রচার এবং প্রসারে তাদের খেদমত এবং সব আধিপত্যবাদ, শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশের হকপন্থী ওলামায়ে কেরামের আন্দোলন-সংগ্রাম সর্বজনবিদিত।




কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বৃটেনে নেতৃস্থানীয় আলেম উলামা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার ঈদ প্রীতি সমাবেশ গত ২২ মে রবিবার পূর্ব লন্ডনের লী মেডিসন রেস্টুরেন্ট এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের প্রবীণ আলেম মাওলানা শায়খ সাঈদ আলী, বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েশন (বি,টি,এ) ইউকের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিছবাহ উদ্দিন কামাল,টানেস রোড মসজিদের খতিব ও মাদরাসাতুল হাসানাইন সিলেট এর প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমাদ,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ,ইমাম ক্বারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, লন্ডন মহানগর শাখার সহ সভাপতি হাফিজ শহীর উদ্দিন,সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নোমান হামিদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ বুলু মিয়া,টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওলানা আশরাফ খান,ইমাম মাওলানা শরীফ আহমদ, মুহাম্মদ শিশু মিয়া আলহাজ্ব সৈয়দ আরজুর ইসলাম, আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান,মাওলানা আফসার উদ্দিন,প্রমুখ। সমাবেশ পবিত্র কোরআনে কারীম থেকে তিলাওয়াত করেন বিশিষ্ট ক্বারী মাওলানা আহমদ রবি ও হাফিজ মাওলানা আসাদ আহমদ। কবিতা পাঠ করেন কবি সৈয়দ রফিকুল হক।

ইসলাম বিদ্বেষী এই চক্রের সকল ষড়যন্ত্র কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। ইসলাম প্রিয় জনতার বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের কোন স্থান হবে না।

বক্তারা আরো বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক সহ অসংখ্য আলেম উলামাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জুলুম ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। মনে রাখতে হবে জেল জুলুম ও নির্যাতন করে হকের আওয়াজ কে বন্ধ করা যাবে না। বক্তারা অবিলম্বে নিরপরাধ সকল আলেম উলামাদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেছেন,সিলেট অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আজ বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের ঈমানী ও‌ মানবিক দায়িত্ব। বক্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ আগামী ১১ জুন শনিবার রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৭তম কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সফল করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুফতি ছালেহ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ইউকে শাখার সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদ,মাজাহিরুল উলুম লন্ডন এর প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট আলেম শায়খ মাওলানা ইমদাদুর রহমান আল মাদানী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ওয়াহিদ আহমেদ, মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওত লন্ডন এর জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, ইউ,কে বিএনপি এর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ চৌধুরী,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অন্যতম সহ সভাপতি আশিকুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাষ্টার আমির উদ্দিন আহমদ, লেখক ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মাইলেন্ড মসজিদে ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা নাজির উদ্দিন, বিশিষ্ট সংগঠক ও আইনজীবী লিয়াকত সরকার, দ্যা সানরাইজ টুডের সম্পাদক এনাম চৌধুরী,কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব নুর বক্স। অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহীনূর মিয়া,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ কে এর সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ,কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আলহাজ্ব সৈয়দ জিল্লুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক ও বার্মিংহাম শাখার সভাপতি ব্যারিষ্টার মাওলানা বদরুল হক,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ নাজিম উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক ও লন্ডন মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মিছবাহুজ্জামান হেলালী, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সালাতুর রহমান মাহবুব প্রমূখ।




বর্তমান সরকার সম্পাদকদের হুমকি দিচ্ছে: ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্তমান সরকার পত্রিকার সম্পাদকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে খুব কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের সাহসিকতাকে কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যে চারটি আইন করেছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কফিনে পেরেক দেওয়ার মতো, এটা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েকটি সমস্যার একটি। সারা বিশ্বই মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে।

আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যারা স্বাধীনভাবে লিখতে চান, মত প্রকাশ করতে চান, তারা তা করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা করতে গিয়ে তারা ধরে নিয়েছে, সবার আগে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নজরদারি এমন পর্যায়ে গেছে, কোন সাংবাদিক কখন কার সঙ্গে কথা বলছেন, দেখা করছেন, সেটাও তারা নজরদারি করছে এবং সুবিধামতো তাদের কথোপকথন প্রকাশ করে দিচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবারই সোচ্চার হওয়া উচিত, অন্যথায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী হয়ে থাকব।’

মতবিনিময় সভায় ‘মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতির প্রেক্ষিত ও বিএনপির ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।