গাজা ইস্যুতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই ধারা যে-কোনো বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত।

গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান প্রধান জ্যাভিয়ার লোপেজ ডোমিঙ্গুয়েজের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ জারির আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই ধারায় বলা আছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন বিষয়ে যে-কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একটি মানবিক বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। সেই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ৫ বছরের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এরপর সদস্য দেশগুলোর সম্মতিতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে একই দায়িত্ব পান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ৯৯ ধারা প্রয়োগের আহ্বান জানালেন গুতেরেস।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার অপকর্মের সহযোগী বিশ্বমোড়ল আমেরিকা যখন গাজা উপত্যকার ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের এ পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের কাছে ‘চরম বিব্রতকর’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গুতেরেস এই প্রথম গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নেন নি।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর তিনি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, হামাস শুধু শুধু ৭ অক্টোবরের অভিযান চালায় নি। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা দেখেছে যে, তাদের ভূমি প্রতিনিয়ত বসতি দ্বারা দখল হয়ে যাচ্ছে ও সহিংসতায় জর্জরিত, তাদের অর্থনীতি স্তিমিত, তাদের মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। তাদের এমন দুর্দশায় রাজনৈতিক সমাধানের আশা লোপ পাওয়ার পরই তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়েছে।”#

পার্সটুডে




গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে প্রস্তুত ইয়েমেনের হুতি বাহিনী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংঠন, হুতি। সেই লক্ষ্যে নিজেদের সামরিক শাখায় নিয়োগ দিয়েছে নতুন সদস্য। গোষ্ঠিটিতে যোগ দেয়া যোদ্ধাদের নিয়ে রাজধানী সানায় হয় নজরকাড়া কুচকাওয়াজ।

নিজেদের শক্তিমত্তা আর ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল এই কুচকাওয়াজের আয়োজন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। হাতে রাইফেল আর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে যাতে অংশ নেন সংগঠনের নতুন সদস্যরা। মূলত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় গোষ্ঠীটি। তাদের সে ডাকে সাড়া দিয়ে সামরিক শাখায় যোগ দিয়েছে তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ।

গাজায় ইহুদিদের আগ্রাসনের জবাবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকয়টি সংগঠন সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের মধ্যে হুতিরা অন্যতম। ইয়েমেন থেকেই ছুড়েছে দূরপাল্লার মিসাইল, ড্রোন। লোহিত সাগর থেকে আটক করেছে তেলআবিবের মালিকানাধীন পণ্যবাহী একটি জাহাজও। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়িয়ে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা শুরু করেছে ইহুদি সেনারা। এর একদিন পরই প্যারেডের আয়োজন করে শত্রু পক্ষকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলো হুতিরা।

এ ব্যাপারে হুতির রাজনৈতিক শাখার নেতা মুহাম্মদ আলি আল হুতি বলেন, আব্দুল মালিক আল হুতির ডাকে ইয়েমেনের হাজার হাজার নাগরিক পবিত্র আল আকসা রক্ষায় ফিলিস্তিনে তাদের মুজাহিদিন ভাইদের সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই জনসমাগম তাদের সেই প্রস্তুতি এবং ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

তিনি বলেন, ইয়েমেনের ভূমিতে একদল বিশ্বস্ত সেনাবাহিনী রয়েছে। আমরা, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের কখনই পরিত্যাগ করবো না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং দখলদারদের ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে বিতারিত না করা পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাবো।

সম্প্রতি হুতিদের সামরিক শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। ইরানের সহায়তায় যোগ হয়েছে দূরপাল্লার নানা সমরাস্ত্র। এখন বাড়াচ্ছে লোকবলও।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৩ হাজার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।

আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’

বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সূত্র: আল জাজিরা




হাসপাতালের নিচে কমান্ড সেন্টার থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আশ শিফার আন্ডারগ্রাউন্ডে ইসলামী প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাসের সামরিক কমান্ড রয়েছে বলে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দাবি করছে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ওসামা হামদান।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরাইলি অভিযোগ নাকচ করেন। এ সময় তিনি প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক কিছু ফুটেজ তুলে ধরেন। এসব ফুটেজে দেখা যায়, আশ-শিফা হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অস্ত্র রাখছে। পরে তারাই আবার সেখানে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে এবং সেগুলো হামাসের অস্ত্র বলে চালিয়ে দেয়।

হামদান এসব ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, ইসরাইলি সেনারা সেখানে ত্রাণ বক্সে অস্ত্র ভরে রেখে পরে সেই অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করে হামাসকে অভিযুক্ত করছে। ইসরাইল এরইমধ্যে গাজার বহু সংখ্যক হাসপাতাল এবং স্কুলে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজার এই আশ-শিফা হাসপাতালেও তারা বোমা হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইসরাইল অভিযোগ করছে, আশ-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে।#

পার্সটুডে




গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বৈধতা নেই: ম্যাক্রন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা এবং বর্বর অপরাধযজ্ঞের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই।

প্রেসিডেন্টের ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর পশ্চিমা চাপ প্রকাশ্য হলো। এর আগে গত শুক্রবার বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শিশু হত্যার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

নতুন এক সাক্ষাৎকারের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরিষ্কার করে বলেছেন, “এইসব শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করছে ইসরাইল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বৈধতা নেই। ফলে আমরা শিগগিরই এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই।”

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ইসরাইল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে এবং ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই ধরনের বক্তব্য দিলেও ইসরাইলের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অনেকটাই পিছু হটেন। তারপরেও ম্যাক্রন নতুন করে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইলকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।




তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বরে) সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সব প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।

ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এতে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।




ইসরাইলি পদাতিক বাহিনীর ওপর হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা নিয়ে যখন হিজবুল্লাহর সাথে তেল আবিবের প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর এই হামলার খবর বের হলো। আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো সময় ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গতকালের (সোমবার) হামলা সম্পর্কে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি পদাতিক সেনাদের ওপর হামলার জন্য গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে। এতে নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনারা হতাহত হয়েছে যার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজার সম্মানিত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিচালিত রেডিওর খবরে হামলার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে দুই সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

হিজবুল্লাহ আরো দুটি বিবৃতিতে দক্ষিণ লেবানন এবং শেবা ফার্মের তিনটি ইসরাইলি অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায়ও ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।#

সূত্র: পার্সটুডে