তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, নারী–শিশুসহ নিহত ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। এ সময় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। চারজনের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে ট্রেন খিলক্ষেতে আসলে যাত্রীরা আগুন দেখতে পান। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁওয়ে থামান।

পুলিশ বলেছে, আগুন নেভানো ও লাশগুলো উদ্ধারের পর ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।




দুর্গাপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, অভিযুক্ত ভাই মজিবুর আটক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমান কে আটক করা হয়। সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বড় ভাইয়ের নাম নুরুল আমিন। আর অভিযুক্ত ছোট ভাই হলেন মজিবুর রহমান। তারা দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে বড় ভাই নুরুল আমিনের বুকে দেশীয় অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে আঘাত করে ছোট ভাই মজিবুর রহমান। এতে বুকে গুরুতর জখম হয় নুরুল আমিনের। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই থানা পুলিশ তৎপর হয়ে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইদিন অর্থাৎ গতকাল রবিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তবে সে অসুস্থ হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘাতক মজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামী করে মোট চার জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া।
নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া জানান,গত দুই বছর ধরে চাচাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে দেন দরবার হলেও কোনো সুরাহা আসেনি।
তিনি আরো বলেন, “গতকাল সকালে আমি ক্ষেতের আইল বাঁধতে ছিলাম তখন আব্বা আইলের উপর দাঁড়িয়ে রইছিল। এইসময় আব্বার ছোট ভাই মজিবুর ডেগার দিয়ে আব্বার বুকে ফার মারে। আমি আমার আব্বার খুনের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সাদেকুজ্জামান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মজিবুরকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে আটক করা হয়েছে। তবে সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতকে অবহিত করে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এ মামলার বাকি আসামীদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আল নোমান শান্ত




যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, ইসরায়েলকে যে শর্ত দিলো হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো— ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স




‘ভুল করে’ তিন জিম্মিকে হত্যা করলো ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় অভিযান চালানোর সময় ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে জিম্মি থাকা ওই তিনজনকে দূর থেকে হুমকি ভেবে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, এই ঘটনা ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে’ তদন্ত করা হবে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, শুজাইয়া এলাকায় যুদ্ধের সময় সেনারা ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ফলস্বরূপ, সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায় এবং তারা নিহত হন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘটনাটি অবিলম্বে পর্যালোচনা শুরু করে… এই ঘটনা থেকে তাৎক্ষণিক শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রের সব সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনজন হয় তাদের অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছিল অথবা তাদের ফেলে যাওয়া হয়েছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি




৭২ ঘন্টায় নিহত হয়েছে ইসরাইলের ৩৬ জন সেনা; বহু সামরিক যান ধ্বংস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ঘোষণা করেছে, ৭২ ঘন্টায় তাদের হাতে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্তত ৩৬ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা “সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে” অনেক ইসরাইলি সামরিক যান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের বীর যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইসরাইলের ৩৬ সেনা নিশ্চিতভাবে মারা গেছে। এছাড়া আরো কয়েক ডজন সেনা নিহত অথবা আহত হয়েছে।”

তিনি জানান, গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের সময় এসব দখলদার সেনা নিহত হয়। আবু উবায়দা জানান, কসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা কয়েকটি হেডকোয়ার্টার, ফিল্ড কমান্ড রুম এবং বেশ কিছু সেনা জমায়েতে মর্টারের গোলা এবং স্বল্প পাল্লার রকেট দিয়ে হামলা চালায়।

এছাড়া, অধিকৃত অঞ্চলে ঢুকে আল-কাসাম যোদ্ধারা ইহুদিবাদীদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে বহু রকেট ছুঁড়েছে। আবু উবাইদা বলেন, হামাস স্নাইপারদের গুলিতেও বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়। ইসরাইল গতকাল নিশ্চিত করেছে যে, এ পর্যন্ত তাদের ১১৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘ওয়েবসাইট হ্যাক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এর হোমপেজে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানের নাগরিক পরিচয় দিয়ে হ্যাকাররা বুধবার সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটে হামলা চালায় এবং তাদের বার্তা ‘অ্যানোনিমাস জো’ দিয়ে রেখে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদপত্র দ্য জেরুজালেম পোস্টের বরাত দিয়ে বার্তায় বলা হয়, ‘এটি আপনাদের নোংরা কর্মকাণ্ড, বর্বরতা এবং গাজায় আমাদের দুর্বল জনগণকে হত্যার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘এটি কেবল শুরু এবং এখান থেকে আমরা আপনাদের বলছি আমরা আমাদের ভূমি ফিলিস্তিনের নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত মুক্তি করব।’ ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের স্বার্থের প্রতি পুনরায় সমর্থনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটবে।

এতে আরও লেখা হয়, জর্ডান শুরু করে গাজা ও ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে আছে। আমরা আন্তরিকভাবে এবং বাস্তবিকভাবে আপনার সাথে আছি এবং আপনার আদর্শই আমাদের আদর্শ।




মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করা যাবে না: শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ হত্যা করে কেউ সরকার উৎখাত করতে পারবে না।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গণভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না, তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কিনা। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না।’

গাজীপুরে রেললাইন কাটা, ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ! রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তার মানে হচ্ছে, রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা।’

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিচ্ছু নেই। এদের শাস্তি একদিন পেতেই হবে। জনগণকে বলবো, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।’

‌ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের কাছে যাব, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোনো চেষ্টা আমাদের নেই।’




পাকিস্তানে থানায় আত্মঘাতী হামলা, নিহত ২৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান শহরের একটি থানায় বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক ঢুকে পড়ে। তারপর বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর অন্য বন্দুকধারীরা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই হয়।

উদ্ধারকারী দলের সদস্য আয়াজ মেহমুদ বলেছেন, প্রচুর সেনা ও পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা সংকটজনক।

ডন জানিয়েছে, ২৩জন সেনা জওয়ান মারা গেচেন। ৩০ জন আহত হয়েছেন। কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আলোয়ারউল হক কাকার বলেছেন, এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া যাবে না।

এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানদের প্রভাব রয়েছে। তাদের গোষ্ঠীর নাম তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি। এই নতুন গোষ্ঠী টিটিপি-রই শাখা বলে মনে করা হচ্ছে।

সেনা-সহ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এই অ়ঞ্চলে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তারা ওই থানাতেই ছিলেন।

জানুয়ারিতে পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় ১০১ জন মারা গেছিলেন।

সুত্র: ডয়চে ভেলেে




গাজায় হতাহত ৬৬ হাজার, ৪৫ শতাংশই শিশু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শিশু। এছাড়া গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামলায় ৩৬ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার পরিস্থিতি মারাত্মক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন। খবর আল জাজিরার

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘গাজার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সব বর্ণনার বাইরে। আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থনে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো অমানবিক।’

আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে এবং হাজার হাজার আহত হচ্ছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেক শিশু।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা যেসব এলাকাকে নিরাপদ বলে দাবি করছে সেগুলোকেই বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এটি এখনও গাজা উপত্যকা জুড়ে ঘটছে – কোনও নিরাপদ জায়গা নেই।

গাজার কর্মকর্তা জানান, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকারদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা যেসব বাড়িতে বাচ্চারা থাকে সেগুলোকে টার্গেট করছে। হতাহতদের প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু। এটা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।’

মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ১৩৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহের আল-আকসা হাসপাতালে ৭১টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১৬০ জন আহত ব্যক্তিকেও আনা হয়।

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ৬২ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই হাসপাতালএখনও দক্ষিণ গাজায় পরিচালিত প্রধান চিকিৎসা সুবিধাগুলোর একটি। এছাড়াও ৯৯ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে আনা হয়।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, মাঝারি ক্ষুধায় পতিত হয়েছে গাজার ৫২ শতাংশ এলাকার মানুষ। সেখানকার ৯১ শতাংশ পরিবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ সারাদিনই কোনো খাবার না খেয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্র আদনা আবু হাসনা জানিয়েছেন, গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি আজ চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম- এর মধ্যে একটি খান ইউনিসের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্রে, সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে রাফাহ এবং খান ইউনিস এবং উত্তরাঞ্চলে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ রয়েছে।’

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার মধ্যে তাদেরকে আরও ১০৬ মিলিয়ন ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি উভয় ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিষয়টি আবারও বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে যে, গত সপ্তাহে তারা উত্তর গাজা এবং গাজা শহরের স্কুলগুলোতে বা তার আশেপাশে কমপক্ষে ১৩টি হামলা রেকর্ড করেছে। এছাড়াও হাসপাতালে বা কাছাকাছি অন্তত ১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, এই স্কুলগুলো হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেইট লাহিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে এবং বয়স্ক পুরুষ, ছেলে এবং একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ কয়েকশ পুরুষ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি বন্দীদের চোখ বেঁধে এবং উলঙ্গ করে রাখে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে বস্ত্রহীন অবস্থায় তাদেরকে ট্রাকে করে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে গাজায় স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্যের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৯ জন হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধের সময় আরও চার সেনা নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, ৩১ অক্টোবর গাজায় বড় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৯ সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি শেষের পর থেকে অন্তত ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।




গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি সম্মেলনের ডাক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধাবসান চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন।

শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে নিজ কার্যালয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী মাহমুদ আব্বাস।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আমি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। আমার প্রস্তাব-একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করে বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক।’
‘তবে সবার আগে প্রয়োজন গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতির অবসান ঘটানো। কারণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত দু’মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং গাজার যুদ্ধের আঁচ ব্যাপকভাবে টের পাচ্ছেন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও। পশ্চিম তীরের শহরে শহরে ইহুদি বসতকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।’

‘আমি মনে করি, একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন কেবল গাজার যুদ্ধাবসান কিংবা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব দূর করতেও সহায়ক হবে।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ২০০৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত ও পরে হামাসের বৈরীতার শিকার হয়েছে পিএ। কিন্তু উপত্যকার সরকারি প্রশাসনিক ও পরিষেবা কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য এখনও প্রতি মাসে ১৪ কোটি ডলার গাজায় পাঠাচ্ছে পিএ। এমনকি গাজার মন্ত্রিসভায় পিএর তিনজন সদস্যও রয়েছেন।

‘গাজা আর এখন আগের মতো নেই। সেখানাকার স্কুল, হাসপাতাল, অবকাঠামো, ভবন, পথঘাট, মসজিদ-সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই যুদ্ধ শেষে গাজাকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং সে সময় আমাদের বিপুল পরিমাণ সহায়তার প্রয়োজন হবে।’

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জেরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র : রয়টার্স।