রংপুরে বাসা থেকে আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রংপুরে বাসা থেকে মোস্তাকিম ইসলাম (৩২) নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে মুলাটোল এলাকার ব্যাংক কলোনির নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Google news
মোস্তাকিম বদরগঞ্জ উপজেলার ট্যাক্সের হাট এলাকার খাদেমুল ইসলামের ছেলে। তিনি ৮ বছর ধরে রংপুর জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ জানান, মোস্তাকিম ইসলামের গ্রামের বাড়ি বদরগঞ্জের ট্যাক্সের হাট এলাকায়। সেখানে বাবা ও এক ভাই থাকেন। গত ৪ দিন আগে মোস্তাকিমের স্ত্রী রিমু আক্তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যান।

মোস্তাকিমের ছোট ভাই সোহান জানান, শুক্রবার তার বড় ভাইকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় বিছানার ওপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার লাশ ঝুলন্ত নয়, পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।




৪০ হাজার টাকা নিয়ে শিশুকে দিলেন দত্তক, এক মাস পর থানায় অভিযোগ করে ফেরত!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাত মাস বয়সের শিশু সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন বাবা-মা। বিনিময়ে নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এক মাস পার হতেই সেই সন্তানকে ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এমনি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কেট্টা গ্রামে । দত্তক দেওয়া দম্পতির দাবী সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন তারা টাকার বিষয়েও জানতেন না, তাদের ব্যাগে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ষড়যন্ত্র করে।

জানা গেছে ,দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কেট্টা গ্রামের রকিবুল হাসান রাব্বি ও সসলিমা আক্তার দম্পতির এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অভাবের তাড়নায় সেই সন্তানকে লালন পালন করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে সেই শিশু সন্তান কে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরবর্তীতে একই উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও মালেকা খাতুন নিঃসন্তান দম্পতি চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে দত্তক নেন। কিন্তু ১ মাস ৭ দিন পার হতেই গতকাল বুধবার (০৬ নভেম্বর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রকিবুল হাসান রাব্বি ও সসলিমা আক্তার দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে দত্তক দেওয়া প্রথম বাবা-মায়ের কাছেই শিশুটিকে ফেরত দেয় পুলিশ।

নিজের বাচ্চাকে ফেরত পেয়ে রকিবুল হাসান রাব্বি বলেন, ভুল করেছি এখন বাচ্চা পাইছি। ৪০ হাজার না, ৩৫ হাজার টাকা ব্যাগে ঢুুকিয়ে দিছিলো ,ফেরত চাইলে তো দিতেই হবে।
দত্তক নেওয়া নিঃসন্তান আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর ধরে আমার বাচ্চা নাই তাই একটা ছেলে বাচ্চা দত্তক নিছিলাম এবং তাদের ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু গতকাল পুলিশ গিয়ে বাচ্চাসহ আমাকে থানায় নিয়ে আসে এবং বাচ্চা তাদের দিয়ে দেয়। আমার টাকাও ফেরত দেয়নি । আমার স্ত্রী অসুস্থ এখন তাকেই বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

নিঃসন্তান দম্পতির স্বজন আব্দুল আজিজ বলেন, পুলিশ বাচ্চা তাদের দিতে বলেছে আমরা দিয়ে দিছি। আমাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তারা ফেরত দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ভাতিজা আমিনুল ইসলাম ও বউ মালেকা খাতনের বিয়ের পর একটি বাচ্চা হয় কিন্তু আড়াই বছর বয়সে পানিতে ডুবে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে আর বাচ্চা হয়নি প্রায় ১৪ বছর। এমন অবস্থায় মালেকা বাচ্চার জন্য কান্নাকাটি করে। অবশেষে একটা বাচ্চা লালান পালন করতে পারে না তাই পালক (দত্তক) দিবে খোঁজ পাওয়া গেলে পরে চারজনে সাক্ষী ও জন্মদাতা বাচ্চার বাবা-মায়ের স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষরে বাচ্চা নিয়ে আসি।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বাবা-মা ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের বাচ্চাকে একজনকে দত্তক দিয়েছিল কিন্তু এখন বাচ্চা ছাড়া থাকতে পারে না আবার যারাও নিয়েছে তারাও বাচ্চাকে দেখতে দেয়না, যেনো দেখতে না পারে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখতো । পরে গতকাল রাতে কান্নাকাটি করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ পাঠিয়ে বাচ্চাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে আজকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনেই আসল বাবা-মায়ের কাছে বাচ্চাটিকে দেওয়া হয়েছে। টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ওরা নিজেরা নিজেরা আত্মীয় হয়।




পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

dnb news desk :

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (ফাইল ফটো)

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অবশ্যই পুনঃতদন্ত হবে। তবে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে কিনা- তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারা দেশে বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নজরদারি বজায় রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিজিবিকে তাদের আইন ও ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সে জন্য সাধারণ জনগণ বিজিবির কর্মকাণ্ডে খুশি।

আজ সকাল ৯টায় পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।




পুত্রসহ সাবেক সচিব আটক, কোটি টাকাসহ ১১ আইফোন জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার বাসা থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে নয় লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশী মুদ্রা, ১১টি আইফোন ও ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। রবিবার রাতে যৌথবাহিনী উত্তরায় সাবেক সচিবের বাসায় অভিযান চালায়।

সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার ডিইউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে থানায় গ্রেফতার আছেন। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে।

২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর নেন আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।




দুর্গাপুরে সৌদি প্রবাসী ও যুবদলের সাবেক সভাপতিকে মারধর, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌদি প্রবাসী আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যদের ওপর ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোঃ আলাল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্য ভুক্তভুগিরা।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরে আবু সুয়িান বলেন, গত শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে কুমুদগঞ্জ বাজারে, বিএনপি’র ইউনিয়ন দলীয় কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে ওই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে বিএনপি নেতা, মো. আলাল মিয়া, মো. জলিল মিয়া, মো. কাজল মিয়া সহ আরো ৬-৭ জন স্বার্থান্বেষী দলীয় নেতারা, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই আমার ডাক চিৎকারে আমার ভাই মাওঃ আবুল হোসাইন এবং ভাতিজা মনিরুজ্জামান বাবু এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে।

নেতারা, আমার আরেক ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার ও আরেক ভাতিজা হাফেজ নাঈম হোসেনকেও গুরুতর আহত করে। ওদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার দুই ভাই এবং এক ভাতিজাকে স্থানীয়রা একটি দোকান ঘরে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তিতে আমি গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় দুর্গাপুর থানায় এবং স্থানীয় সেনাক্যাম্পে বিষয়টি জানাইলে সেনা সদস্যদের সহায়তায় ওই ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, জুয়ার বোর্ড, গাঁজা, ইয়াবা এমনকি রামনগর ঋষিপাড়ায় বাংলা মদ উৎপাদনের অনুমতি প্রদান করে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ওপর এই হামলা চালানো হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর বিএনপি‘র রাজনীতি করে আজ বিএনপি‘র নেতাকর্মী দ্বারাই গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে উপজেলার দলীয় নেতাদের কাছে জানিয়েছি।

আমি আমার ওপর এই অতর্কিত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। সেইসাথে অত্র ইউনিয়নের যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা, দলীয় প্রভাব বিস্তার না করা সহ এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। এ সময় অন্যদের মধ্যে মাওঃ আবুল হোসাইন, আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান বাবু, আবু ইউসুফ, নাঈম হোসাইন, আজিম উদ্দিন, আক্কাছ মিয়া, জালাল রনি সহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।




যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে উঠে ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে ঢাকার ধামরাইয়ে নিয়ে আসার ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কালামপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সজিব (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৫) ও ফজলু (২৮)।

শনিবার (২ নভেম্বর) গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, শুক্রবার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা গত ২৫ অক্টোবরও অপর একটি বাস ডাকাতিতে জড়িত ছিলো।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অবস) মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

জসিম উদ্দিন জানান, গত ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ৪৩ যাত্রীসহ ইসলাম পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে আসে। ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীর ছদ্মবেশে সাত ডাকাত বাসটিতে ওঠেন। ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাস এলাকায় ডাকাতরা চালক হারুনের গলায় ছুরি ধরে তাদের একজন সজিব নামে একজনকে চালকের আসনে বসায়। এছাড়া সুপারভাইজারের গলায় তারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে বাসটি মির্জাপুর-কাওয়ালীপাড়া সড়কে নিয়ে যায়। ভোর ৭টার দিকে বাসটি ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকায় নিয়ে আসে। একপর্যায়ে বাসটি সেখানে একটি খাদে পড়ে যায়। এরইমধ্যে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে হেলপার কৌশলে বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাসচালক সজিবও তাদের সঙ্গী বলে জানায়। তাকেও আটক করা হয়।

এছাড়া তারা গত ২৫ অক্টোবর হওয়া বাস ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত চারটি ছুরি, লুট করা ৩,২৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার ভোরে নড়াইল-ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, তুলারামপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে তুলারামপুর এলাকার তরফদার বখতিয়ার হোসেন হান্নানের বাড়িতে তিনজন গরু চুরি করতে যায়। কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজে বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করেন। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী চোরদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দিলে তিনজন নিহত হয়। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে কথা বলে গ্রামের লোকজন জানতে পারেন- এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে।

সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।




দুর্গাপুরে ১ হাজার পিচ ইয়াবা সহ  আটক এক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাদক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ হাজার পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির প্রায় ৪০ হাজার টাকা সহ মোশারফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
আটক মোশারফ হোসেন দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া কোনাপাড়া গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মুল্য তিন লক্ষ টাকা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গোদারিয়া এলাকায় মোশারফের বাড়িতে ইয়াবার বড় চালান রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ রহমত আলী এবং দুর্গাপুর সেনাক্যাম্পের সার্জেন্ট আজিমুল এর নেতৃত্বে সোমবার সকালে এক অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে মোশারফ হোসেন এর ঘর থেকে একটি সিনথেটিক ব্যাগের ভিতর কালো স্কসটেপ মোড়ানো কমলা বর্ণের ১ হাজার পিচ ইয়াবা সহ এ কাজে সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মোশারফ হোসেন কে আটক করা হয়। এ অভিযান পরিচালনায় ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. মাহাবুব আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, সিপাহী মোঃ আজিজুল, আকরাম হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল আকন্দ, দুর্গাপুর সেনাক্যাম্পের সার্জেন্ট আজিমুল, এল.সি.পি.এল মোঃ আরিফ, সৈনিক মোঃ মোতালেব, মোঃ রিপন, মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ শাকিল, মোঃ সায়মুন, মোঃ মামুন, মোঃ রাজিব ও মোঃ তরিকুল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোঃ রহমত আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ মোশারফ হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকার শান্তি রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।



ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারাপারে ইচ্ছেমতো টাকা আদায়, ক্ষুব্ধ সাধারন যাত্রীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শেষ সীমানাস্থল ঘেঁষে কংস নদ। আর এই নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারি দিয়ে প্রতিদিনই জেলাশহরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয় এ উপজেলার বাসিন্দাদের। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও সমালোচনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, একবার নৌকায় উঠলেই আগের চেয়ে দুইগুণ বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। পারাপারে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট টানানো নেই ফেরিঘাটে। বাড়তি টাকার বিষয়টি প্রতিবাদ করলে মাঝির বাগবিতন্ডার রোষানলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অপরদিকে ঘাটের ইজারাদার বলেছেন, বেশি টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই নেওয়া হচ্ছে বেশি টাকা।
সূত্র জানায়, কংস নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাট পারাপারের ইজারা পরিচালনা করছেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদ। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিকে নতুন করে ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কার্যকর করা হয় পহেলা বৈশাখ থেকে। পূর্বের সময়ে নৌকায় পারাপারে সঠিকভাবে ভাড়া আদায় করলেও এ বছর পারাপারে ইজারাদার বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

জানা গেছে, প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ, কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলেজসহ বিভিন্ন কাজে এই ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে সার্বক্ষণিক যাওয়া-আসা করতে হয় দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে নৌকায় পারাপারে জনপ্রতি আগের থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে এখন ১০ টাকা,চালকসহ মোটরসাইকেল আগের থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেলসহ দুইজনের এখন ৩০ টাকা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থেকে নেয়া হয় ইচ্ছে মতো ভাড়া।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মোবারক হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আগে নৌকা ভাড়া দিতে হতো ৫ টাকা, বর্তমানে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। আগের ৫ টাকা ভাড়া সঠিক ছিল।
শামছুল আলম খান নামের  আরেক যাত্রী বলেন, আমরা দুর্গাপুরের মানুষ জেলা শহরে যোগাযোগ করতে হলে একমাত্র ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে যেতে হয়। আমরা বাড়তি টাকা দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু সবার পক্ষে তো সম্ভব না। এটা জুলুম।
শিক্ষক জুয়েল মিয়া বলেন, ইঞ্চিনচালিত নৌকায় এটুকু নদী পার হতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগে না কিন্তু জনপ্রতি ১০ টাকা আর মোটরসাইকেল ১০ টাকা মোট ২০ টাকা নিচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও দেখিনি।

মাসুদ মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, মোটরসাইকেলসহ ৩০ টাকায় এই নদী পার হয়েছি। আগে ১০ টাকায় পার হতাম। কিন্তু এখন আগের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। দুইজন লোক নিয়ে গেলে যে টাকা ভাড়া পায় তার মধ্যে থেকে ৬০ টাকা নৌকা পারাপারের দিতে হয়। খুবই খারাপ লাগে কিন্তু বলার মতো জায়গা দেখিনা।
এদিকে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাতে বললে নৌকার মাঝি জানায় বাড়িতে আছে চার্ট। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে নাম বলতে অস্বীকৃতিও জানায় নৌকার চালক।

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ লাখ টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। নৌকা পারাপারের যে ভাড়া নিচ্ছেন  এটি জেলা পরিষদের নির্ধারন করা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে কেউ অভিযোগ দিলে পরিষদ ডিসিশন নেবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খন্দকার জানান, গত বছর এবং এ বছর (চলমান) লিজ নেওয়া দুইজন আলাদা ব্যক্তি। গত বছর কোনো অভিযোগ বা আপত্তি না আসলেও এ বছর একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে আমরা ইনফর্ম (জানালে) করি যে ওনি বেশি টাকা নিচ্ছেন এরপর প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল। ওনাদের ফোন করা হলে কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও বেশি টাকা নেওয়া শুরু করে। এখন আবারও গত সপ্তাহে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমাদের ইন্জিনিয়ার সাহেব দ্রুতই সরেজমিনে তদন্ত করবেন।




আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার ( ১ সেপ্টেম্বর ) সকালে, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটটি গত ২৭ আগস্ট খারিজ চান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ঐদিন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানিতে এমন আর্জি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

এরপর আদালত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিল। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ১৯ আগস্ট এ রিট করেছিলেন।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।