দুর্গাপুরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে, দুর্গাপুরে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ সর্বস্তরের  তৌহিদী জনতা। ‎

সোমবার (০৭ এপ্রিল) বাদ যোহর দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক আলোচনা সভা শেষে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ সমাবেশ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাপনী বক্তব্য ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

‎এসময় বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাবিবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমিন সিরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওলী উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দুর্গাপুর শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুবদল দুর্গাপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ আব্দুল কাদির, ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মুফতি আবু ওয়াক্কাস, মুফতি জামাল উদ্দিন খান কারিমী, মাওলানা মন্জুরুল হক, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতি শাব্বির আহমদ, মুফতি এনায়েত উল্লাহ খান প্রমুখ। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব সম্রাট গণি সহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা যুগ্ন-আহবায়ক রাতুল খান রুদ্র সহ বিভিন্ন ইসলামী দল গুলোর নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসুচীর সমাপ্তি ঘটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাওলানা আব্দুর রব।

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে শত শত নারী, পুরুষ, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করছে। আমরা মুসলমান হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমরা এই হত্যাকান্ডের  ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । দুর্গাপুরে সকল ইসরায়েলি পন্যের বয়কট করার ঘোষনা দিচ্ছি।

‎আমেরিকা সহ যারা মানববতার কথা বলছে, তারাই ইসরাইলে অস্ত্র ও বোমা সরবরাহ করে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই, আমেরিকা সহ যারা ইসরাইলকে সমর্থন করছে তাদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ফিলিস্তিনিদের উপর যে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবে বিচার করতে হবে। বিশে^র সকল ইসরাইলি দুতাবাসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহবান জানানো হয়।




দুর্গাপুরে অতিরিক্ত আদায়কৃত ভাড়া, যাত্রীদের ফেরত দিলেন ইউএনও

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটানো শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তবে তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি বাস পরিবহনে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ‘‘যেখানেই অনিয়ম-সেখানেই অভিযান’’ এ লক্ষ সামনে রেখে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড় ও বিরিশিরি এলাকার বাস কাউন্টার গুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা সকলকে ফেরত দেওয়া হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর থেকে ঢাকায় চলাচলকারী পরিবহন গুলো টিকিটের গায়ে মুল্য না লিখে ফাঁকা রেখে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। অভিযানে মা মনি এন্টারপ্রাইজ, সাথী পরিবহন, সেন্ট মার্টিন পরিবহন সহ বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের যাতে কোন প্রকার হয়রানি না করা হয় সেজন্য কাউন্টারগুলোকে প্রাথমিক সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতায় ছিলেন।

ভাড়া ফেরত পাওয়া যাত্রী আব্বাস উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে ও পরে সমসময়ই জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করে। আমি ঢাকায় যাচ্ছিলাম বাস ভাড়া ৬৫০ করে দুইটি টিকিট ১৩০০ টাকায় নিয়েছি। এখন ইউএনও স্যারের মাধ্যমে অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছি। এমন অভিযান সব সময় চললে যাত্রীদের জন্য ভালো হতো। দুর্গাপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার নির্ধারিত ভাড়া ৪৫০/- টাকা।

ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যেখানেই অনিয়ম-সেখানেই অভিযান’’ এ লক্ষ সামনে রেখে, ঈদ পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে স্টেশন গুলোতে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেন ভাড়া বেশি না নেওয়া হয় সে জন্য মনিটরিং শুরু করছি। সেই সাথে যাত্রীদের সাথে কথা বলছি, যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে তাদের টাকাটা ফেরত দেওয়া ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেইসাথে সতর্ক করা হচ্ছে এরপরও যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শরীয়তপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। শনিবার সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ও জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে আজ শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে পুরনায় সংঘর্ষ হয়।

এদিকে, দুপক্ষের সংঘর্ষ এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি নিয়ে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, কুদ্দুসের সমর্থক ও জলিল সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলতেছে। এর জের ধরে বিলাসপুর এলাকায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।




দুর্গাপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক : 

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাবার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত বাবা (৫৫) উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা গা ডাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলায় ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার স্বামী (মেয়ের বাবা) দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ দিনের পরে একই রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিতো অভিযুক্ত পিতা। প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি ধর্ষণের স্বীকার হওয়া মেয়ে। তবে ঘটনার প্রায় এক মাস যেতেই মেয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গর্ভবতী মেয়েদের মতো বারবার বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর ফারিহা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সকলের অজান্তে গর্ভপাত ঘটান মেয়েকে।

স্বজনরা জানান, মেয়ে গর্ভপাতের পর একটু সুস্থ্য হওয়ার পর আবারও ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায় তার বাবা। পরবর্তিতে ওই মেয়ে বিষয়টি তার বড় বোনকে জানালে সে পরিবারের অন্যদের বলে দিলে ধর্ষণের বিষয়টি এরপরই জানাজানি হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে রাতে ঘুমাতো কিন্তু রাতে আমার ঘুম ভাঙলে আমি তাকে বিছানায় পেতাম না। এখন কয়েকদিন হইছে এ ঘটনা আমার বড় মেয়ের কাছ থেকে শুনছি। আমি এইসব নিয়ে কথা বলতেও পারি না আমাকেসহ ভুক্তভুগি মেয়েকে চোরের মতো মারধর করে। এই ঘটনার সাথে আমার সতিনও জড়িত আছে। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি সত্যিই হৃদয় বিদারক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




দুর্গাপুরে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সুমন মিয়া (১৮) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমন ওই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় সুমনকে একা বাসায় রেখে তার বাবা রফিক মিয়া ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য বের হয়। ক্ষেতে পানি দেওয়া শেষে বাসায় ফিরে দেখেন তাঁর ছেলের নিথর দেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে সে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে

দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ।




গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই গণমাধ্যম কর্মী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় পৃথক ইসরায়েলি হামলায় দুই গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন আলজাজিরার সাংবাদিক। প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিনিধিদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সোমবার উত্তর গাজায় আলজাজিরার সাংবাদিক হোসাম শাবাত নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বেইত লাহিয়ার পূর্ব অংশে তার গাড়ি লক্ষ্যবস্তু করে আঘাত হানে ইসরায়েলি সেনারা।

মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার আরেক সাংবাদিক তারেক আবু আযজুম বলেন, ২৩ বছর বয়সী শাবাত এর আগেও আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গাজায় সংবাদ প্রতিবেদন চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন। তিনি কোনোভাবে ফিল্ড থেকে সরতে রাজি হননি। ফলে আহতাবস্থাতেই সংবাদ সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

আবু আযজুম বলেন, কোনো পূর্ব সতর্কীকরণ ছাড়াই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

ইসরায়েলি হামলায় আলজাজিরারসহ ২ সাংবাদিক নিহত
এবার আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ফিলিস্তিন
এর আগে একই দিন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় প্যালেস্টাইন টুডে-তে কর্মরত সাংবাদিক মোহাম্মদ মনসুরও নিহত হয়েছেন।

আবু আযজুম বলেন, মনসুর তার বাড়িতে স্ত্রী এবং ছেলের সাথে ছিলেন। সেখানে হামলা করে তাকে হত্যা করা হয়। এ আক্রমণটিও কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই করা হয়েছিল।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই দুই সাংবাদিকের হত্যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারত্ব কর্তৃক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাতে প্রেস অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠীগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজার মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সাংবাদিক হত্যায় প্রধান দায়ী। সেইসাথে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোও এই জঘন্য অপরাধের দায় এড়াতে পারে না। তারাও সাংবাদিক হত্যায় সম্পূর্ণরূপে দায়ী।

কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শাবাত ও মনসুর হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কি না তা নিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সিপিজের প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বলেছেন, একজন সাংবাদিক, একজন বেসামরিক নাগরিককে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ। সংস্থাটি এমন বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করছে। সে হিসেবে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিককে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি যুদ্ধাপরাধের সমান হবে। সাংবাদিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের কখনই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।




দুর্গাপুরে আ‘লীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ হাওলাদার গ্রেপ্তার

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. ইলিয়াছ হাওলাদার (৬০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে পৌর শহরের ডাকুমারা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি দুর্গাপুর থানায় দায়ের করা মামলার আসামি বলে জানায় পুলিশ। পরবির্ততে শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, রাজনৈতিক মামলায় ইলিয়াছ হাওলাদার কে তার বাসা থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাজায় গণহত্যা ও দেশে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ

ডিএরনিব নিউজ ডেস্ক :

সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদ। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে প্রেসক্লাব মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলপুর্ব আলোচনা সভায়, ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি জহির রায়হানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, উপজেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি শামসুল আলম খান, উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কবিরুল ইসলাম, রমজান আলী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়ন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে অনেকেই কথা বলে, কিন্তু যখনই ফিলিস্তিনের উপর হামলা হয়, তখন সবাই নিশ্চুপ থাকে। যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে হবে। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়।




দুর্গাপুরে এক রাতেই তিন ট্রান্সফরমার চুরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক রাতে একটি রাইস মিলের তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

এই ট্রান্সফরমারগুলো চুরি হওয়ার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন রাইস মিল ব্যবসায়ী নাইম আহমেদ। নাইম আহমেদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে রাইচ মিল বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। এরপর দিন শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, প্রায়ই ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসের ১৫ মার্চ উপজেলার কালিকাপুর এলাকা থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এরপর ১৯ মার্চ শ্রীপুর এলাকা থেকে আরেকটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবারও জাগিরপাড়া এলাকা থেকে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ নিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ মাসের আজ পর্যন্ত এই ১৫ মাসে উপজেলায় ৪১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের দুর্গাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম হাফিজুর রহমান বলেন, এ নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




দুর্গাপুরে এক ব্যবসায়িকে ছুড়িকাঘাত, প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিপিনগঞ্জ বাজারের শওকত টেলিকমের স্বত্তাধীকারি মোবাইল ব্যাংকিং ও মুদিমাল ব্যবসায়ি শওকত মিয়া (৩২) কে ছুড়িকাঘাত করেছে ছিনাতাইকারীরা। বুধবার রাত ৯.২০ মিনিটের দিকে সাদামাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শওকত মিয়া জগৎকুড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য তাইজ উদ্দিনের ছেলে।

ব্যাবসায়ি শওকত মিয়া জানায়, প্রতিদিনের মতো তারাবি নামাজ শেষে দোকান বন্ধ করে সাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় সাদামাটি এলাকায় পৌছলে মুখবাঁধা অবস্থায় দুইজন ছিনতাইকারি ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সাথে থাকা দোকানের টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর ১৭টি মোবাইল ফোন নেয়ার জন্য চেস্টা চালায়। ধস্তাদস্তির এক পর্যায়ে বাম হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় এবং সাথে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল গুলো ছিনিয়ে নেয়। আমার ডাকা চিৎকারে আশাপাশের লোকজন ছুটে এলে রাস্তায় ওপর কয়েকটি মোবাইল ফোন ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ছিনতাইকারীদের মুখে মুখোশ থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি। ব্যাগে দোকানের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ছিলো। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ফোনে থাকা টাকা গুলো নিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মতো হবে।

শওকত মিয়ার মামা বাবুল মিয়া বলেন, শওকতের ডাক চিৎকারে আমরা বেরিয়ে আসলেও কাউকে ধরতে পারিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় শওকত কে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ওই এলাকায় প্রায়ই এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। জনগনের নিরাপত্তায় ওই এলাকায় অস্থায়ী পুলিশক্যাম্প স্থাপন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।