কারখানায় বিস্ফোরণ, ১৫ শ্রমিক দগ্ধ

dnb news:
গাজীপুর মহানগরীতে এক পোশাক কারখানায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে ৯টার দিকে কাশিমপুরের জরুন এলাকার কটন বিডি নামের কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ও ৮ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- কারখানার সুপার ভাইজার সবুর (৩৫), লাইন ম্যানেজার সাহাবুল ইসলাম (৪৪), কাটিং মাস্টার আসলাম আলী (২৭), ক্লিনার ফজলুর (৬০), নিরাপত্তা প্রহরী চাঁন মিয়া (৪৫), পথচারী মো. সোহেল, ও আলমগীর (৩০)।

ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- তৌসিফ (৩২), আরিফ (২২), আবুল হোসেন (৩৫), রাকিব (৪০), রাশেদ (৩০), রফিকুল (৩২) ও বাবুল (৩৫)। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, কারখানার একটি কক্ষে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্রথমে আগুন ও পরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।




দুর্গাপুরে মে দিবস পালিত

dnbnews24.com :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা শ্রমিক লীগ, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন সহ অন্যান্য শ্রমিক অঙ্গ সংগঠনের উদ্দ্যোগে নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ালী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উওোলন শেষে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন খোকন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, উপজেলা

আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, আ‘লীগ নেতা নাজমুল সায়াদাৎ বাবুল, আবুল কাশেম, মো. মোবারক হোসেন, শ্রমিক নেতা আবু সাইদ সহ বিভিন্ন শ্রমিক শাখার নেতৃবৃন্দ।




দুর্গাপুরে ব্রিজের বেহাল অবস্থা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২৩ গ্রামের মানুষের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরস্থ বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে সেতুটি প্রায় ৯ বছর ধরে মুখ থুবরে পরে আছে। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে দু’টি ইউনিয়নের অন্তত ২৩ গ্রামের জনগনের। শুষ্ক মৌসুমে এ পথে সেতুর স্থানটি ধান ক্ষেত দিয়ে ঘুরে যাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও নারী-পুরুষ,বয়স্ক মানুষ ও রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানালেও এত দিনেও সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৩ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ে। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় সড়ক থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ঐ ধসে পড়া সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এতে দক্ষিন

জাগিরপাড়া,নাওদ্বারা,জাঙ্গালিয়াকান্দা,চরপাড়া,ভাদুয়া,মুন্সিপাড়া,হাতিমারাকান্দা,নন্দেরছটি,পূর্বনন্দেরছটি,বন্ধউসান,গৌরাখালী,কান্দাপাড়া,কৃষ্ণপুর,আটলা,নিশ্চিন্তপুর,বারইপাড়া,হারিয়াউন্দ সহ প্রায় ২৩টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা সেতুটি কবে নির্মিত হবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,দীর্ঘদিনের ধসে পড়া সেতুটি সংস্কার বা পূণঃনিম্মান না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই সেতুটি মুখ থুবরে পরে থাকায় গাঁওকান্দিয়া ও বিরিশিরি এই দুই ইউনিয়নের লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ধসে পড়া সেতু ও রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে যানবাহন ঢুকতে না পারায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ আজিজুল হক বলেন,’ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না’। কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন,এখানে সেতু না থাকায় তাঁদের মতো কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁরা কৃষিপণ্য শহরে সহজে নিয়ে যেতে পারেন না। কৃষিপণ্য গ্রামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে ভালো মূল্যও মিলছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। শিক্ষার্থী মোমেন আহাম্মেদ বলেন, ‘এ সড়কে প্রতিদিন কয়েকশত ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে বেশি অসুবিধা না হলেও বর্ষা মৌসমে এদিক দিয়ে আমরা কলেজে যেতে পারি না। অন্য সড়কে অনেক ঘুরে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। সঠিক সময়ে কলেজে যেতে হলে সময়ের অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়’। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাতেম আলী বলেন,সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি এরপরও কোন সুরাহা মেলেনি।
বিরিশিরি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন,ওই সেতুর ওপর দিয়ে শহরে যেতে মানুষ চলাচল করত। সেতু ভাঙা থাকার কারণে এলাকার লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জানিয়েছি ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন ব্রিজ সেংশন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোয়াজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,এই সেতুটি আমাদের না। সেতুটি(এলজিইডি)করেনি। তিনি আরও বলেন,ওই এলাকার সড়কটিই এলজিইডি’র আইডিভুক্ত না তাহলে সেখানে সেতু নির্মাণ কিভাবে করবে। তবে ওই সড়কটি (এলজিইডি) আইডি ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়েছি এবং উল্টে থাকা ব্রীজটির জায়গায় একটি তিন ব্যাল্ড কালভাট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।




চট্টগ্রামে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৯৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মৃদু এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দুটি দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪১ হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটে।

জোড়া এই ভূমিকম্পের পর ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এক গোলটেবিল বৈঠকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৩ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তুলে ধরে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।




দীর্ঘ চার বছর পর আজ ময়মনসিংহে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ চার বছর পর আজ (শনিবার) ময়মনসিংহ আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম মাঠে নামার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন সকল আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নেওয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেবেন। সেখানে থেকে তিনি ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসংলগ্ন জায়গায় ছবির ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ময়মনসিংহ সদরের চরসিরতায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ত্রিশাল উপজেলায় এক হাজার আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ময়মনসিংহ জেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয় উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থেকে রক্ষার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবন শহীদ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ উদ্বোধন।

এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, শেখ রেহানা হল নির্মাণ, রোজী জামাল হল নির্মাণ, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট পাঁচতলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ এসেছিলেন।




ইউক্রেন যুদ্ধ রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ ও ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।

কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি ও সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও বুধবার বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, সমস্যা সমাধানে ঢাকা আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার করা হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ অংশটি আল জাজিরাতে আগামী শনিবার (১১ মার্চ) জিএমটি ৪টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা) সম্প্রচার করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড ও পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসানচর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সাথে লড়াই করে। মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।




সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মিরপুর রোডে একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে আগুনও ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আজ রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে ঠিক কী কারণে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

এই বিস্ফোরণের কারণে ওই ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিউমার্কেট থানার ইন্সপেক্টর মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, রাজধানীর সাইন্সল্যাবে একটি ভবনে আগুন লাগার খবর আমরা পেয়েছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা জানতে পারিনি।

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং উদ্ধার অভিযান নির্বিঘ্ন করতে নিউমার্কেট থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ।




দুর্গাপুরে জাতীয় বীমা দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

“আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রহমান, বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের অফিস ইনচার্জ শিউলি আক্তার, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের অফিস ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের বি এম ফারুক আহমেদ, বি এম মিনারা আক্তার, রাখী দ্রং প্রমুখ।

ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বীমা নিজের এবং সম্পদের সুরক্ষা করে। সে জন্যই আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমরা যদি বীমা চালু করি তাহলে নিজেদের জীবন এবং সম্পদের সুরক্ষা করতে পারব। তিনি আরো বলেন, বীমা কোম্পানি গুলোর সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন। গ্রাহকের বীমার অর্থ গুলো গ্রাহকের হাতে সঠিক সময়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি উল্লেখ করেন।




দুর্গাপুরে প্রাণিসম্পদ মেলার উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পশু প্রাণি পালনে সফলতা ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) সকালে এমকেসিএম স্কুল মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওঃ আব্দুস ছালাম।

উদ্বোধন শেষে একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুস ছালাম, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি ওসমান গণি তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শিমু দাস, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শিলা দাস, সাংবাদিক কলি হাসান তালুকদার প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে বেকার যুবকগণ গাভী ও ষাড় পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যা দূর করছে। যারা বেকার এখনো কোন কাজ পায়নি, তারা গবাদিপশু-পাখি পালনে এগিয়ে আসলে আমরা সহযোগিতা করব। আপনারা পশু পাখি পালন করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। প্রাণী পালন করে দুধ, মাংস বিক্রি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার পাখি, ষাড়, গাভি, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, কবুতর প্রদর্শনে ৫০টি স্টল অংশগ্রহন করে। এ সময় ৫টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট খামারীদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।




দুর্গাপুরে বোরো মৌসুমে লোডশেডিংয়ে দিশেহারা কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। গড়ে পাঁচ ঘণ্টা করেও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না তারা। এতে বোরো আবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর।

এ উপজেলার কৃষকরা জানান, দিন-রাতে ৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। বিদ্যুৎ পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন জমিতে বসে থাকতে হচ্ছে। এভাবে চললে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না,এ নিয়ে তারা শঙ্কিত।

কৃষক আব্দুল গনি বলেন,লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের সব কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। রাতে অল্প বিদ্যুৎ থাকলেও দিনের বেলায় থাকে না বললেই চলে। যেটুকু সময় পায় কে আগে কার জমিতে পানি দিবে তা নিয়ে ঝামেলা লেগে যায়। গত চার দিনে আমার পাঁচ কাটা জমি ভেঁজাতে পারেনি।

কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন,আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এখন বিদ্যুৎ এর অভাবে সেচ দিতে পারছি না। চাষাবাদ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে কষ্টে পড়তে হবে। বেশি সময় বিদ্যুৎ পেলে আমরা এ কষ্ট থেকে রক্ষা পেতাম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। তবে বিদ্যুতের অভাবে সেচ না দিতে পেরে কৃষকেরা চিন্তিত। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখবেন বলে জানিয়েছিলেন কিন্তু স্বাভাবিক বিদ্যুৎ না পেয়ে গতকালও অনেকজন কৃষক আসছিলো আমাদের কাছে।

দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ দিলওয়ার হোসেন জানান,আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকি তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিতরন করা সম্ভব হয়না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ না পেয়েই আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ দিতে পারছি আমরা। যেটুকু আমাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় শেষ হয়ে গেলে লাইন বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বোরোর মৌসুমে রাতে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন কৃষকরা। আমরা দেওয়ার চেষ্টা করি তবে চাহিদার তুলনায় কম পাওয়ায় দিতে পারছি না। বোরো মৌসুমে অস্বিভাবিক লোড শেডিং এর বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিনিয়ত জানাচ্ছি।