দুর্গাপুরে দুইদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু

ডেস্করিপোর্ট:

‘‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’’ এ প্রতিপাদ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নানা আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুইদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সর্বস্তরের অংশগ্রহনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ে আলোচনা করেন, ডাঃ তানজিরুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ওসি শাহনুর এ আলম, প্রমূখ। দুইদিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের ২৯টি স্টল স্থান পেয়েছে।

 




জাতীয় দিবস উদযাপনে অপেক্ষায় আছি: মোদি

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি এ প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’

ওই বিবৃতিতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।

সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেয়া হবে।




দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসীরা বর্ডার হাট চান

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সীমান্তবর্তী হাট চান পাহাড়ি আদিবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম, ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপ-শহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো বর্ডার হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে।

এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, মাছ, মুরগী, বুট, কাঁচা সুপারি, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, লবন, কসমেটিক ও জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী নারীরা।

আদিবাসী নারী প্রেমলা হাজং বলেন, ‘মলা তো গুরিব মানুষ, উন্য বিবুসা কুরিবো ট্যাংকা কুবায় পায়’ (আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য অন্য ব্যবসা করতে টাকা কোথায় পাবো) মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানিরা সুযোগ বুঝে আমাদের মালগুলো বাকিতে রাখতে চায়।

আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেচাকেনা শেষে কোন দিন ৫০০, কোন দিন ৪০০ টাকা লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার।

মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এ ব্যবসা করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে টুকরি প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টাকা দিতে হতো, এখন ওদের চোক ফাঁকি দিয়েই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে, তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় দেই না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, বর্ডার হাট ও এই এলাকা দিয়ে এলসি খোলাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে দু‘দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জেনেছি।

আশাকরি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হবে। এতে সীমান্তবর্তী খেটে খাওয়া আদিবাসী শ্রমিদের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।




ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তার অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি।”

গত সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে আগুন লাগে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৩০০ বসত ঘর এবং আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বসত বাড়ি ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর বিবৃতিতে প্রিয়জন হারাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১২০,০০০ এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন, অতিরিক্ত এই সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে খরচ হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিল এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।




বিশাল মালবাহী জাহাজ আটকে বন্ধ হয়ে গেছে সুয়েজ খাল

বিবিসি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার প্রশস্ত, দুই লাখ ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজটি উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে গিয়ে সংকীর্ণ খালটিতে আড়াআড়িভাবে আটকে যায়। এতে ওই এলাকায় মালবাহী জাহাজগুলোর জট তৈরি হয়।

‘এমভি এভার গিভেন’ নামের এই জাহাজটিকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য অনেকগুলো টাগ বোট কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এটিকে সরাতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও কাজ করছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সুয়েজ বন্দরের একটু উত্তরে ঘটনাটি ঘটে।

পানামায় রেজিস্ট্রিকৃত এভার গিভেন চীন থেকে মালবাহী কন্টেইনার নিয়ে নেদারল্যান্ডের বন্দর শহর রোটেরডামে যাচ্ছিল। প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণে জাহাজটি আটকা পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০১৮ সালে নির্মিত এই জাহাজটি তাইওয়ানের পরিবহন কোম্পানি এভারগ্রিন মেরিন পরিচালনা করে। এটি আড়াআড়িভাবে অগভীর জলে আটকা পড়ায় অন্যান্য জাহাজের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে উভয়মুখি বেশ কয়েকটি কন্টেইনারবাহী জাহাজও আটকা পড়ে আছে।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে আটকা পড়া জাহাজ এভার গিভেনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এর সরাসরি পেছনে থাকা জাহাজ মের্স্ক ডেনভারের ওপর থেকে কেউ একজন ছবিটি তুলেছে। এই ছবিতে আটকে পড়া জাহাজটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে আর এর সামনের দিকের তীরে একটি ছোট খননকারী যন্ত্র বালু পরিষ্কার করছে বলে মনে হয়েছে।

পূর্ণ জোয়ারের সময় জাহাজটিকে আড়াআড়ি অবস্থান থেকে সোজা করা না গেলে মাল নামিয়ে তা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।

সুয়েজ খাল লোহিত সাগরের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরকে যুক্ত করেছে। এই খালটির কারণেই এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ উন্মুক্ত হয়েছে। এটি এশিয়া ও আফ্রিকাকে যুক্তকারী সরু ভূখণ্ড সুয়েজের ভেতর দিয়ে গিয়েছে। ১৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলপথটিতে তিনটি প্রাকৃতিক হ্রদ আছে।




দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নেপাল এয়ারের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
নেপালের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

সফরসূচী অনুযায়ী বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। উভয় রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তিতে ‘অপারেশনাল লাইজেশন অব রহনপুর-সিঙ্ঘাবাদ রেলওয়ে ট্রানজিট’ চুক্তির বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হতে পারে। এতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর-ভারতের মালদহের সিঙ্ঘাবাদ সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন নেপালের বিরাটনগর পর্যন্ত যাবে। করিডোর হিসেবে  ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে নেপাল।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় নেপালকে ৬টি পোর্ট অব কল দেয়া হয়। এগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর, বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, বিরল ও চিলাহাটি। এসব পোর্ট অব কলে নেপালের যানবাহন পণ্য পরিবহন করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাবান্ধা ছাড়া আর কোনো বন্দর দিয়ে নেপালে নিয়মিত পণ্য আসা-যাওয়া করে না।

আজ রাতেই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করছেন।

আগামীকাল (২৩ মার্চ) নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। দুপুরের পর ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে




রমজানে মাছ-মাংসের দাম বাড়ানো যাবে না

আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মূল্য কোনোভাবেই অস্বাভাবিক করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ চেইন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘মূল্য বৃদ্ধি করা তো যাবেই না বরং যতটা সম্ভব সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে সরবরাহ চেইনকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদফতর

ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেবে। অধিদফতরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের জন্য জেলা পর্যায়ে ১০টি করে ভ্যান দেয়া হবে। মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহায়তায় এসব ভ্যানের মাধ্যমে খামারিরা উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। যাতে জনগণের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে যায়, বাজারে মূল্য বেড়ে গেলেও এর বিকল্প ব্যবস্থা আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় ধর্মীয় উৎসবে পণ্যের দাম কমে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার পথ চাইলেই খোঁজা সম্ভব। প্রয়োজনে এসময় ব্যবসায়ে লাভের পরিমাণ কম করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় দ্রব্যমূল্যে ছাড় দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানকে ক্রেতাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করাও সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ বুলবুল, আম্ফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিতে হচ্ছে। করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে

হচ্ছে। এজন্য সরকার কোথাও অতিরিক্ত কর ধার্য করেনি। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে, কোনোভাবেই দেশের মানুষ কষ্ট না পায়।’এ সময় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম মূল্য নির্ধারণের জন্য সুপারশপের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

সভায় অংশগ্রহণ করেন-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশের ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সুপারশপ ‘স্বপ্ন’, বেঙ্গল মিট, যাত্রাবাড়ী মাছ ব্যবসায়ী সমিতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।




কলমাকান্দার দ্বীপক বিসিএস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দার কৃতি সন্তান কৃষিবিদ দ্বীপক কুমার পাল বিসিএস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন ২৮তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ফরেষ্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে বার্ষিক সভায় সদস্যদের ভোটে সভাপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি কলমাকান্দা সদরের চানপুর রোড এলাকার ডা. দীনেশ কুমার পালের ছেলে। কৃষিবিদ দ্বীপক বর্তমানে ঢাকার খামারবাড়ি উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে লেবু জাতীয় ফসলের স¤প্রসারণ, ব্যাবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন।




বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় মায়ের পা ভাঙল ছেলেরা

বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলায় মজিদা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে এমন অভিযোগ করেন পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের দশাল গ্রামের মা মজিদা খাতুন। তিনি ওই এলাকার দিনমজুর সাহেব আলীর স্ত্রী।

এ বিষয়ে মজিদা খাতুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজ শেষে মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এমন সময় তার ছেলে মঞ্জুল মিয়া (৪৩) ও হালিম মিয়া (২৫) তার মায়ের বসতবাড়ি তাদের দুজনের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এর একপর্যায়ে বাবার গায়ে আঘাত করে।

মা মজিদা এরই প্রতিবাদ করতে গেলে ঘরের বারান্দার সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে বাম পা ভেঙে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে দড়ি দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে মেরে ফেলবে বলে জানায় ছেলেরা।

এ সময় বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহতাবস্থায় মজিদাকে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ নিয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মনির হোসেন মানিক বলেন, ছেলেরা এক টুকরো জমির জন্য বাবা-মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে— এটি সত্যিই দুঃখজনক; আমি এর শাস্তি দাবি করছি।

মারধরের বিষয় নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ-আলম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সত্যিই অমানবিক, এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি সেতু

উপজেলার জুঙ্গুরদি বাসস্ট্যান্ড ও নগরকান্দা সদরের মধ্যবর্তী কুমার নদে শনিবার সকাল ৭টার দিকে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে নগরকান্দা থানার ওসি সেলিম রেজা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধাওয়াপাড়া থেকে জুঙ্গুরদিমুখী বালিবোঝাই দশ চাকার ট্রাকটি বেইলি ব্রিজে উঠে। এরপর বিজ্রের অপর প্রান্তে যাওয়ার আগেই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়।ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে ছোট যান কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যাচ্ছে।

নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আনিস জানান, ৫ টন ওজন বহনের সক্ষমতা নিয়ে ৮০’র দশকের শেষের দিকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি অনেক আগেই জরাজীর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসী সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি ফরিদপুরের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ বেইলি ব্রিজের কিছু স্লিপার মেরামত করে। পরে ৫ টন ওজনের স্থলে সাত টন ওজন বহনের অনুমতি সম্বলিত একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয়।”

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রো বলেন, বর্তমানে স্থানীয় পথচারীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে নগরকান্দা যাতায়াতে নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। বিষয়টি ফরিদপুরের সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত ১০ চাকার বালিবাহী ট্রাকটি প্রায় ৩০ হতে ৩৫ টন ওজনের ছিল।ফলে অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে বেইলি ব্রিজটি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন।

ওসি বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি ১০ চাকার। ধাওয়াপাড়া হতে বালি নিয়ে আসা ট্রাকটি নির্ধারিত ওজনেরও কয়েকগুন বেশি ওজনের ছিল। ট্রাকের চালককে আটক করা যায়নি। এছাড়া মালিকের সন্ধানও মেলেনি।”