১৩ জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

টানা ভারীবর্ষণ এবং ভারত থেকে আসা পানিতে দেশের ১৩টি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ৪ জেলায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ৯ নদীর পানি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত সব মিলিয়ে এখন দেশের ১৩টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব জেলা হলো ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি ও সিলেট।

জানা গেছে, এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর মানুষ। জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে। কোথাও বুকপানি, কোথাও গলাপানি আর কোথাও কোথাও একতলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। অন্যান্য উপজেলার চিত্রও প্রায় একই।

নোয়াখালীর আটটি উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে গেছে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের একাধিক এলাকা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জে ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। লক্ষ্মীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শ’ মাছের ঘের, আউশ ধান ও আমনের বীজতলা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীর বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন এই তিন উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ।

কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া, পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ। রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিম বোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনায় ৭১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনায় ৮৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ১১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলায় ১০ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরাল, ভোলা খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া নদী ৩ সেন্টিমিটার ও বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণসহ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেনা সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘দেশের বন্যাকবলিত ১০ জেলায় প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টেলিযোগাযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে বন্যায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

চার জেলায় ৮ মৃত্যু

চলমান বন্যায় কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী (৪৫), কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪) এবং লাকসামে পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ ছাড়া ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে একজন মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।




গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে, গুলশান-বনানীতে লোডশেডিং দিন: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ বিত্তশালীদের এলাকায় লোডশেডিং দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বলে দিয়েছি, আমার গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এখন এয়ারকন্ডিশন গাড়ি-বাড়িতে, লিফট ইত্যাদি আরাম-আয়েশটা আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং ওইসব বিত্তশালীদের এলাকায় দিতে হবে। এ ব্যবস্থাটাই করব আমরা।




ট্রেনে ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে প্রবেশের দ্বার খুলছে বাংলাদেশিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট চুক্তির মধ্যে দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে দেশের রেলওয়ে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত নিজেদের ভূখণ্ডে যেতে পারবে। তেমনি বাংলাদেশিরাও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যেতে পারবে নেপাল-ভুটানে।

প্রস্তাবিত চুক্তিতে ১২টি রুটের কথা বলা হয়েছে, যেসব রুট ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাত রাজ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) ধোঁয়াশা দূর করেছেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুজনে জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে ভারতীয় রেলপথ দিয়ে নেপাল-ভুটান প্রবেশের দ্বার।

নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। কিন্তু ভারতের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে না পারায় সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণে নতুন করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

ভারত-বাংলাদেশ রেল করিডোর নিয়ে নতুন চুক্তি
চলতি মাসের ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩টি ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার এক নম্বর রয়েছে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, ভারতীয় রেল করিডোর নিয়ে নয়া চুক্তি।

এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন।

এছাড়া এই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের কলকাতা থেকে ‘সেভেন সিস্টার্স’-খ্যাত সাত রাজ্যের ১২টি রুটে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সুবিধা।

এ বিষয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে ভারতীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় মোট এক হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি সেকশন থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। আর নেপালে ২০২ কিলোমিটার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকবে ২১২ কিলোমিটার পথ।

পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে ভারতকে রেলপথ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়াদিল্লির পরিকল্পনা সহজ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট ৮৬১ কিলোমিটার, নেপালে ২০২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জরিপ চালানো হবে।

ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালেও পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

প্রস্তাব অনুসারে, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য অনুমোদিত রুট বিরাটনগর–নিউ মাল জং সেকশনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে৷ আর গালগালিয়া-ভদ্রপুর-কাজলী বাজার সেকশনে সাড়ে ১২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।




দেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা ‘হাকিমপুরী জর্দা’র হাজী কাউছ মিয়া মারা গেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা, প্রবীণ ব্যবসায়ী ও দানশীল হিসাবে খ্যাত হাকিমপুরী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক, চাঁদপুরের সন্তান হাজী মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে হাজী মো. কাউছ  মিয়ার  বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ জোহর  আরমানিটোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে পারিবারিক সূত্র।

কাউছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা কাউছ বিউটি ও ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, তাদের আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে দেশে আনা হয়েছিলো। এরপর পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন।

তারা বলেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি, আল্লাহ তাকে যেনো জান্নাতবাসী করেন।

হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে এবং সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা চালু করেন। হাকিমপুরীর জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। তিনি ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন।




ফিলিস্তিনি শিশুদের ১০ লাখ ডলার অনুদান দুই মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ। সম্পর্কে তারা দুই বোন। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব তারা। ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছে এই দুই বোন। এ জন্য ক্যারিয়ারে তাদেরকে পড়তে হয়েছে নানান বিপত্তিতে। এ ছাড়া তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়ে গেছে ইসরায়েল।

কিন্তু কোনো হুমকি-ধামকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১০ লাখ ডলারের অনুদান পাঠিয়েছেন এই সহদোর মডেল।

দ্য হলিউড রিপোর্টের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য দুই বোন এই অনুদান পাঠিয়েছেন। যা পাঠানো হবে চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।

দাতব্য ওই সংস্থাগুলো হলো হিল প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড (পিসিআরএফ), ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এবং ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিওএ)। সামগ্রিকভাবে এই সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুত পরিবারের সহায়তায় খাদ্য, চিকিৎসা কার্যক্রমের মতো মানবিক কর্মকাণ্ডে কাজ করে।

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে দ্যুতি ছড়ান তিনি। তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি। আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’

উল্লেখ্য, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদের সন্তান তারা। জিজি-বেলার বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। এদিকেমডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।




কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন: ইসলামী ঐক্যজোটে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোট।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরিব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্যবিমোচন প্রক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়াশিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির মৌসুমে কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের দর কষাকষি করার তেমন সুযোগ থাকে না। তারা যেটুকু মূল্য পান, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেন।

এই জিম্মি দশা থেকে কওমি মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বছর যদি ঈদুল আজহার আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তির অন্যতম এ শিল্প ধ্বংস হবে।




মাটি খুঁড়লেই স্বর্ণ পাওয়ার খবরে ছুটছেন মানুষ, ১৪৪ ধারা জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে স্থানীয়রাসহ আশেপাশের লোকজন দলে দলে আসছেন। স্বর্ণ পাবার আশায় স্থানীয়রা লোকজন ঝগড়া, কলহ দ্বন্দে লিপ্ত হচ্ছেন। তাতে যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও ভাটার আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আদেশ জারি করেন। এ সময় ভাটায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় জনসাধারণের অবগতির জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় বেশ কিছুদিন ধরেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আরবিবি ইট ভাটায় মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করছিলেন হাজার হাজার মানুষ।




প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল : পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাতের দিকে মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) – খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সেই সঙ্গে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪( নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেতদেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।




হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হজ যাত্রীদের সবাই যাতে পবিত্র হজ পালন করতে পারেন সেজন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার সকালে গণভবনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন, সৌদি আরবের উচিত হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো যাতে, তারা পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, যে সব হজ যাত্রী এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পান নি তাদের ভিসা প্রদানের উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

ফিলিস্তিন ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য আরেকটি চালান প্রস্তুত করছে এবং ইতোমধ্যে তার দেশ দুইবার সহায়তা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনের সাথে রয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ছিলেন।




দুর্গাপুরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি কৃষকের পাকা ধান ঝরে পড়লো

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় হঠাৎ ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর সদর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এই শিলাবৃষ্টি প্রায় ১০ মিনিট সময় স্থায়ী ছিল বলে জানা গেছে। এ মৌসুমে এমন শিলাবৃষ্টি পড়তে কখনো দেখেননি বলে জানান স্থানীয় কৃষকগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশিরভাগ জমির ধান কাটার উপযুক্ত হয়ে গেছে তবে শ্রমিক বা ধান কাটার মেশিন সংকটে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। গত রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ধানের শিষ থেকে বেশিরভাগই ধান ঝরে গেছে। জমির পাকা ধানগুলো ঘরে তোলার আগেই শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে এমন ক্ষতি যেনো কৃষকদের মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাছাড়া এই শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমি ফল ও গাছেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

কুড়ালিয়া গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি ১৭ কাটা জমি লাগিয়েছিলাম কিন্তু ভাইরাসের জন্য ৭ কাটা কেটে ফেলি। সেই ৭ কাটায় ১০ মণ ধান পেয়েছি মাত্র। বাকি ১০ কাটা জমির পাকা ধান গতরাতে শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে। কয়েকদিন ধরেই কাটার জন্য চেষ্টা করছিলাম কিন্তু মেশিন পাচ্ছিলাম না।

এ নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত ৪৫% জমির ধান কর্তন হয়েছে। তবে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে অফিসের লোকজন মাঠে আছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।