আবারো ১০ দিন বাড়িয়ে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সূত্রস্থ স্মারকসমূহের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তাবলি সংযুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ০৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ১৬ মে ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আজ মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।




লক্ষ্মীপুরে ১৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিনন্দন জানিয়ে শনিবার রাতে (৫ জুন) লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বামনী ও সদর উপজেলার হামছাদি ইউপির সীমান্তবর্তী কাজিরদিঘির পাড় বাজার ব্যবসায়ী ও গ্রামের সুশীল ব্যাক্তিগন এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রোটারিয়ান আলহ্বাজ রফিকুল হায়দার চৌধুরী, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন আরিফ, হামছাদি ইউপি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু ও ব্যবসায়ী মফিজ কোম্পানিসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন । রোটারিয়ান রফিকুল হায়দার জানান, কেন্দ্রীয় এ মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ। সমাজ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।এখানে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরঘাট, কবরস্থান, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মসজিদ ভিত্তিক। এ পুরাতন মসজিদের বেশিরভাগই স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনে পাঠকের জন্য ১টি লাইব্রেরিও সুবিধা হবে। আজ থেকে মসজিদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।।

উল্লেখ্য-রায়পুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজেরদিঘির পাড় বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি চার কোটি টাকা ব্যায়ে ধাপে ধাপে ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মিত হবে। এতে মসজিদসহ ওজুখানা, ওয়াসরুম– ঈদগাহ সহ পাঠাগার রয়েছে।




কলমাকান্দায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পারাপার- ভোগান্তি চরমে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মহিম খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হচ্ছে। এতে স্থানীয় ১০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে ঝুঁকির সঙ্গে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সেতুটি নির্মাণের সতের বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক তৈরি হচ্ছে না। ফলে বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুর ওপর দিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে পথচারীদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে মহিম খালের ওপর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়। তবে সেতুটির এক পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুটি পার হয়ে গ্রামের মানুষ উপজেলা সদর, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট বাজারে যাতায়াত করে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের জায়গায় সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে লোকজন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাস্য ঘাগ্রা বলেন, এই সেতু দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে পণ্য পরিবহন করত। সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদেও এই সাঁকো পার হয়ে হাসপাতালে যেতে কষ্ট হয়।
স্থানীয় নলছাপ্রা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক কুপোতী ঘাগ্রা প্রতিনিধিকে বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ বাবুল প্রতিনিধিকে বলেন, সংযোগ সড়ক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হবে। সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেই সেতু দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান প্রতিনিধিকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেতুর সংযোগ সড়কটি করে দেওয়া হবে। সড়ক তৈরি করে দেওয়া হলে সেতু পারাপারে মানুষের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।




করোনার কারণে মানবজাতি-অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসাথে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার (৫ জুন) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ-সংরক্ষণে সরকারের সফলতার কারণে ‘পরিবেশ কূটনীতিতে’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ-সুরক্ষায় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’ এবং ‘ভালনারেবল-২০’ এর অর্থমন্ত্রীদের জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর-পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই এক কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আমাদের জাতীয় প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পায়নের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি জলবায়ু-পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। সরকার প্রধান বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জলবায়ু-পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ-মোকাবিলায় সহিষ্ণুজাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় প্রথমবারের মতো বরাদ্দ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে গত ১২ বছরে বৈরী পরিবেশে সহনশীল বিভিন্ন ফসলের মোট ১০৯টি উন্নত/উচ্চ উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ইনটারগভারমেন্টাল সাইন্স পলিসি প্লাটফরম অন বাইওডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকো সিস্টেম সারভিসেস (আইপি বিইএস ) (Intergovernmental Seience Policy Platform on Biodiversity and Ecosystem Services (IPBES)-এর সদস্যপদ লাভ করেছি এবং সংস্থাটির প্রাধিকার অনুযায়ী বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী-সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পেয়েছি, যা আমি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমরা ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮’ এবং ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপন করেছি। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ঘোষিত বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ দশকে (২০২১-২০৩০) আমরা জীববৈচিত্র্য-সংরক্ষণের ওপর মনোনিবেশ করেছি। আমরা জাতীয় সৌরশক্তি কর্মপরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে, দলীয়ভাবে এবং সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল রক্ষাকারী ঝাউবেষ্টনী সৃষ্টি করেছিলেন। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে জানমালের সুরক্ষা দিতে বেড়িবাঁধ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিবকিল্লা নির্মাণ করেছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিনমাস সমগ্র দেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এ তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।




না ফেরার দেশে চলে গেলেন কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার শালদিঘা গ্ৰামের কৃতি সন্তান সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ও কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গণি নিজ বাড়িতে গতরাত ১১.০৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এগ্রিকালচার কেমিস্ট্রি তে এমএসসি ডিগ্ৰি অর্জন করে পাট সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাট সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরিরত অবস্থায় দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।উনার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা। এক ছেলে এবং এক মেয়ে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি আজীবন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। উনার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




নোয়াখালীতে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ দোকান পুড়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতি

ডিএনবি নিউজ ইসলাম ডেস্ক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছয়ানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই  গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ১২টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

স্থানীয় ৫নং ছয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন রশিদ জানান, আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে ২৫টি দোকান পুড়ে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছয়ানী বাজার অনেক বড় হওয়ায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এতে বাজারের কসমেটিকস, মুদি, মনোহারি, সেলুনসহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।




কলমাকান্দায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ভারতীয় কসমেটিক আটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশে পাচারকালে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় কসমেটিক সামগ্রী আটক করেছে নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি)।

শনিবার গণমাধ্যমের কাছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ মে) আনুমানিক রাত ১০টায় উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের লেংগুড়া বিওপিতে কর্মরত সুবেদার মোঃ মনিরুল ইসলামের এর নেতৃত্বে ০৯ সদস্যের একটি টহল দল সীমান্ত পিলার ১১৭০/৬-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কালাপানি নামক স্থান হতে এ মালামাল আটক করা হয়। আটককৃত মালামালের সিজার মূল্য ধরা হয়েছে আঠারো লক্ষ একানব্বই হাজার পাচঁশত পঁচানব্বই টাকা। জব্দককৃত এসব কসমেটিক সামগ্রী নেত্রকোণা কাষ্টমস্ অফিসে জমা করা হবে।




ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি।  আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না।  যতদিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।

বুধবার সকালে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মেডিকেল ত্রাণসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  এ সময় বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী ও ৫০ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হয়।  ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হলো।

বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবার বলতে চাই— আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  আমরা চাই না, এ বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।’ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে।  সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’ ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ওই অর্থ দিয়ে মেডিকেলসামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।’




দুর্গাপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর পৌরশহরের চকলেঙ্গুরা এলাকার মো. আলমগীর মীরধা, পিতাঃ মৃত ওয়াহেদ আলী মীরধা পৈত্রিক ৪.৭৩ শতক জমি এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় লোকজন দখল করে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ নিয়ে মৃত ওয়াহেদ আলী মীরধার সাত সন্তানদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আলমগীর বলেন, ওই এলাকার বিভিন্ন খতিয়ানে মোট ৪ একর ৭৩ শতাংশ ভুমি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে জঙজ এবং ইজঝ এর মালিক হন ওয়াহেদ আলী মীরধা। এ অবস্থায় ওই এলাকার প্রভাবশালী পাপ্পু মিয়া, শিপ্লু মিয়া উভয় পিতা মৃত রুহুল আমীন চুন্নু, আহাম্মদ আলী, বাদ মিয়া, রকিবুল হাসান, বাবুল মিয়া, আব্দুল আজিজ, ইউন্নস আলী, নুর-ইসলাম, আব্বাস আলী, উজ্জল মিয়া, মজনু মিয়া সহ আমার পিতার জীবদ্দশাতেই সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে ওই প্রভাবশালী মহলটি তফসিলে বর্নিত ভুমি জোরপুর্বক বেদখল করে নেয়। এই অবস্থায় আমাদের পিতা-মাতার মৃত্যুর পর স্থানীয় ভাবে এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে বহু দেন-দরবার করেও প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করতে পারি নাই। বর্তমানে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নানা কষ্টে দিনাতিপাত করছি। ভুমি দস্যুরা ভুমি উদ্ধারে আমাদের তৎপরতা দেখে নানাভাবে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছে । আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার পিতার নামীয় ভুমি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে মোঃ রফিকুল ইসলাম, এম এ মান্নান তোতা ও হেলেনা আক্তার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।




টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সোমবার (২৪ মে) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন। নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিধিনিষেধের সময় বৃদ্ধি করা হলেও, সরকারের সব বিধিনিষেধ মেনে সোমবার থেকে ২৮ জোড়া ট্রেন চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না। সে সঙ্গে অনলাইনে অর্ধেকের বেশি টিকেট বিক্রি হবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সকল স্টেশনে নির্দেশনা দেয়া আছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে। এছাড়া এখন যাত্রী কম। যাত্রী বাড়লে, পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে  ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৪ মে) ভোর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সরকার ঘোষিত অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, সোমবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে প্রথমেই ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলাকা, পারাবত, মহানগর প্রভাতী, কর্ণফুলী ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস।

এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরই মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে চার জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনা করা হয়।