ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি।  আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না।  যতদিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।

বুধবার সকালে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মেডিকেল ত্রাণসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  এ সময় বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী ও ৫০ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হয়।  ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হলো।

বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবার বলতে চাই— আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  আমরা চাই না, এ বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।’ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে।  সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’ ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ওই অর্থ দিয়ে মেডিকেলসামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।’




দুর্গাপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর পৌরশহরের চকলেঙ্গুরা এলাকার মো. আলমগীর মীরধা, পিতাঃ মৃত ওয়াহেদ আলী মীরধা পৈত্রিক ৪.৭৩ শতক জমি এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় লোকজন দখল করে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ নিয়ে মৃত ওয়াহেদ আলী মীরধার সাত সন্তানদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আলমগীর বলেন, ওই এলাকার বিভিন্ন খতিয়ানে মোট ৪ একর ৭৩ শতাংশ ভুমি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে জঙজ এবং ইজঝ এর মালিক হন ওয়াহেদ আলী মীরধা। এ অবস্থায় ওই এলাকার প্রভাবশালী পাপ্পু মিয়া, শিপ্লু মিয়া উভয় পিতা মৃত রুহুল আমীন চুন্নু, আহাম্মদ আলী, বাদ মিয়া, রকিবুল হাসান, বাবুল মিয়া, আব্দুল আজিজ, ইউন্নস আলী, নুর-ইসলাম, আব্বাস আলী, উজ্জল মিয়া, মজনু মিয়া সহ আমার পিতার জীবদ্দশাতেই সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে ওই প্রভাবশালী মহলটি তফসিলে বর্নিত ভুমি জোরপুর্বক বেদখল করে নেয়। এই অবস্থায় আমাদের পিতা-মাতার মৃত্যুর পর স্থানীয় ভাবে এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে বহু দেন-দরবার করেও প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করতে পারি নাই। বর্তমানে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নানা কষ্টে দিনাতিপাত করছি। ভুমি দস্যুরা ভুমি উদ্ধারে আমাদের তৎপরতা দেখে নানাভাবে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছে । আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার পিতার নামীয় ভুমি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে মোঃ রফিকুল ইসলাম, এম এ মান্নান তোতা ও হেলেনা আক্তার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।




টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সোমবার (২৪ মে) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন। নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিধিনিষেধের সময় বৃদ্ধি করা হলেও, সরকারের সব বিধিনিষেধ মেনে সোমবার থেকে ২৮ জোড়া ট্রেন চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না। সে সঙ্গে অনলাইনে অর্ধেকের বেশি টিকেট বিক্রি হবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সকল স্টেশনে নির্দেশনা দেয়া আছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে। এছাড়া এখন যাত্রী কম। যাত্রী বাড়লে, পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে  ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৪ মে) ভোর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সরকার ঘোষিত অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, সোমবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে প্রথমেই ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলাকা, পারাবত, মহানগর প্রভাতী, কর্ণফুলী ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস।

এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরই মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে চার জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনা করা হয়।




দুর্গাপুরে বিভিন্ন হাট বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক।

দুর্গাপুর উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে একদিকে যেমন পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার উঠে গেছে, তেমনি পলিথিনের অবাধ ব্যবহারে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারিভাবে পলিথিন নিষিদ্ধের আইন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে এর ব্যবহার।

এ নিয়ে শনিবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে আসা পলিথিন গুলো সহজে ব্যবহার যোগ্য হওয়ায় দুর্গাপুর বাজারের এক শ্রেনীর অসৎ পাইকারী পলিথিন ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ পৌরশহরের বিভিন্ন দোকান গুলোতে সরবরাহ করছে। বিগত সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পলিথিন নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও বতর্মানে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ওইসব অসাধু ব্যবসায়িরা। পৌরশহর ও আশপাশের হাটবাজারগুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ স্বচ্ছ ও পাতলা পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণ সহ ব্যবহার বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে।




বাড়ি ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, ঢুকছে ত্রাণের চালান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে।

চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরায়েলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।




অচিরেই হচ্ছে দুগার্পুরে বাইপাস সড়ক নির্মাণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের প্রধান সমস্যা ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ ও বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর সোমেশ্বরী নদীর এক ও দুই নং ঘাট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী স্থান ও পৌরশহরের ভিতর দিয়ে ভেজা বালু পরিবহনের ব্যবস্থা নেয়ার ফলে শহরের প্রায় সকল রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি ছিলো বাইপাস রাস্তা নির্মান। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাধারণ জনগণের খভাগান্তি ও রাস্তার বেহাল অবস্থার চিত্র তোলে ধরে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ দাবীর প্রেক্ষিতে বালু পরিবহনে স্থায়ী ব্যবস্থায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন, পাউবো নেত্রকোনা‘র নিবার্হী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, স্থানীয় সরকার প্রেকৌশল অধিদপ্তরের নিবার্হী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু, উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা, পৌর প্রকৌশলী নওশাদ আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৭১

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, রোববারের বোমা বর্ষণে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে দুইটি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিকে গাজার হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বোমা হামলার পর ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। আল-আকসা টেলিভিশন জানায়, ওই হামলার জবাবে সকালেই তেল আবিব ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। বাকিরা গাজার বাসিন্দা।

এছাড়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় ২ শিশুসহ ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।




দুর্গাপুরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুরে জোড়পূর্বক জমির ধান কাটার অভিযোগের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বুধবার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ও তার সন্তান আশরাফ হোসেন শাহীন যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এরই প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমারা মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর জমিতে জোরপুর্বক ধান কেটে নিয়েছি মর্মে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কোনটাই সত্য নয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ১৩.০১.১৯৯৫ইং সনে এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৭.০৮ একর জমির মুল্যবাবদ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা মোঃ জলিল তালুকদার নিয়েছে বলে প্রমানিত হয়। এর পর থেকেই বৈধভাবে ওই জমিতে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। মোঃ জলিল তালুকদার অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলেরা ও তার স্ত্রী আমাদের কাছে জমি বিক্রির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওই জমি দাবী করেন। শাহীন গংরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমাদের ভুমি দস্যু আখ্যায়িত করায় সমাজে আমাদের মান-সম্মানের হানি ঘটেছে। আমি অত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও হেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. সুরুজ আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহান, ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য মো. রফিক, এলাবাসীর পক্ষে মো. রাসেল মিয়া, ফয়জুর রহমান বাবুল, উজ্জল মিয়া, শাহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।




ধানের ভিতরে চাউল নেই, কৃষকের সর্বনাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুরে বাঙালি, গারো আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রায় আড়াই লাখ জনগোষ্ঠীর এই উপজেলায় খাদ্য চাহিদা বেশিরভাগই উৎপাদিত হয় স্থানীয় ভাবেই। এ ছাড়া উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এখানকার কৃষকরা।
বছরে রুপা আমন ও বোরো মৌসুমের ধানের চাষাবাদ করেই সারাবছর চলেন কৃষকেরা। তবে এ বছর আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ গরম হাওয়া ও ব্লাস্ট ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষকের জমির ধান। কোথাও কোথাও অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয়েছে। উপজেলা চন্ডিগড়, বিরিশিরি, কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া, গাঁওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, সদর ইউনিয়ন সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে একই অবস্থা।
ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলোতে অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয় ধান পেকে থাকলেও শ্রমিকের টাকায় চিন্তাই অনেক কৃষকই পারছেন না ধান। অনেক কৃষকই আবার নিজের জমির ধান নিজে কোনরকমে কাটছে। তবে বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। এবছর দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মাঝে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও বাকি ১০ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাই ৯৮০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর মাঝে ৪২০ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা বেশি। তাছাড়া ধানের হিসেবে ২ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন ধান আবাদ হবে। কৃষকরা বলছে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো প্রায় ২ হাজার হেক্টর চেয়েও বেশি। ধানের বিভিন্ন জাতের মাঝে এবারে দুর্যোগের ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৬ এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জাতের জমিগুলোতে গরম হওয়ার প্রভাব ও ব্লাস্টের প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ৫ কাঠা জমি থেকে আগে যেখানে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান অবাক হতো এখন থেকে কৃষকরা পাচ্ছেন ১০ থেকে ৮ মণ ধান। সরকারিভাবে পুরো উপজেলায় ধান কাটার জন্য দুটি হারভেস্টার মেশিন দেয়া হলো তাও পর্যাপ্ত নয় বলে বলছেন কৃষকরা। সমতলের কৃষি ভূমির ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিন বেশ কার্যকরী তাই সরকারিভাবে হাইকমিশনের সংখ্যায় উপজেলায় আরো বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
এদিকে গত বছর করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অসহায় ও দরিদ্র কৃষকদের ধানক্ষেতে বাড়ি পৌঁছে দাও এ বছর চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। হাতে গোনা দুই একটি সংগঠন ছাড়া কাউকেই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে না।
চন্ডিগড় গ্রামের কৃষক মেরাজ জানান, ৫ কাঠা জমিতে বি ২৮ জাতের ধানের আবাদ করছি। যে জমিতে আগে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাইতাম এখন ঐ জমি থেকে মাত্র ৭/৮ মণ ধান পাইছি। এখন আমরা বাজারে বিক্রি করবো কি আর নিজেদের খাবার জন্য রাখবো কি। তাছাড়া বাজারে যদি ধানের ন্যায্যদাম পাই তাহলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা পূরণ হবে।
কুল্লাগড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব জানান, আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০ কাঠা জমির ধান করছি। কিন্তু গরম হাওয়া আর ব্লাস্ট এর কারণে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে ধান থাকলেও কাটল কোন লাভ নাই কারণ ধানের মাঝে কোন চাল নাই সব নষ্ট হয়ে গেছে। কিভাবে এই ঋণ পরিশোধ করুম এই চিন্তায় ঘুম আসেনা।
এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করেছি। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সরকারি সহায়তা পেলেই কৃষকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।




মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে টিনসেড পাকা ঘর। ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন আরো ৩৫ পরিবার। শনিবার দুপুরে ওইসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত শেষে এ কথা জানান ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার কে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কাকৈরগড়া, চন্ডিগড় ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো আরো ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ঘর গুলো। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই সে ধরনের পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সাথেই থাকছে টয়লেট। ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারিক করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও ওই কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং সরকারি নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসার গন।

সরকারি ঘরপ্রাপ্ত গৃহহীন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার কোন ঘর বাড়ী নাই, বউ এক বাড়িত কাম করতো, আর আমি দোহান ঘর নাইলে ইস্কুল ঘরের বারিন্দাদ ঘুমাইতাম, টেউনু সাইবের কাছে গেছলাম, হেইলা আমার নাম লেকছইন, শেখ হাসিনা আমারে একটা পাক্কি করা ঘর দিছইন, আমি জীবনেও ভাবজিনা এমত একটা ঘর হাইবাম, এহন আর বারিন্দাত থাহন লাগত না, আমি শেখ হাসিনার লাগিন দুই আত তুইল্লা দোয়া হরবাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ের কাজ শেষে ২৫টি পরিবার তাদের ঘরে বসবাস করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ের ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঘর নির্মান কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। ঘর নির্মান কাজে কোন প্রকার ক্রুটি বা মালামাল সরবরাহে কোন গলদ থাকলে তা গ্রহন করা হচ্ছে না। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তালিকাভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।