দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ৪৫টি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দ্বিতীয় পর্যায়ে জমি ও গৃহ পেলেন ৪৫ টি পরিবার। সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রেববার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (২য় পর্যায়) উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার।

অন্যদের মধ্যে পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলাল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী, সহকারি কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. সোহরাব হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, জনপ্রতিনিধি সহ উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

 




৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে খাদ্য পৌছে দিলেন ইউএনও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৩৩৩’ এ কল করে খাদ্যসহায়তা পেলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষদের মানবিক সহায়তা হিসেবে তাদের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

ইউএনও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী করোনার প্রভাবে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের অনলাইনে আরো আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত কর্মহীনদের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। আমাদের ’৩৩৩’ হটলাইনে যারা ফোন করেছিলেন তাদের তথ্য যাচাই-বাচাই করে ইতোমধ্যে ২শত পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। ‘‘মানুষ মানুষে জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এর চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। আজ আরো ৫০টি অসহায় পরিবাবের হাতে খাবার দিতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রমুখ। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




২৫ বছরেও মেরামত হয়নি জাগিরপাড়া ব্রীজ, এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামে প্রায় পঁচিশ বছর পূর্বে নির্মান করা ব্রীজটি নির্মানের দুই বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়লেও আজো মেরামত করা হয়নি। ধ্বসে পড়া ব্রীজটি ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এ যেন দেখার কেউ নেই।

দীর্ঘদিনের ধসে পড়া ব্রীজটি পুণনির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ সড়কটিতে আজও মাটি পড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকটাই উদাসীন বলে জানান এলাকাবাসী।আশপাশের অন্তত বিশটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তাটি।। সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

গত বছরের বন্যার তোরে ব্রীজটির দু‘পাশের মাটি সরে যাওয়ায় আরো হেলে পড়ার ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট গুলোরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন জাগিরপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই ঘরবন্দি দিন কাটে আশপাশের লোকজনের। প্রায় পচিশ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা ব্রীজটি কবে আলোর মুখ দেখবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এতে দক্ষিন জাগিরপাড়া, নাওদ্বারা, জাঙ্গালিয়াকান্দা, গাঁওকান্দিয়া, কান্দাপাড়া, ভাদুয়া, গৌরাখালী, চিতলী চড়পাড়া, মুন্সিপাড়া, নন্দেরচটি, বন্ধউষান, আটলা সহ প্রায় বিশটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মোতালেব জানান, আমি ইতোমধ্যে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিদর্শন করেছি। ব্রীজটি ভাঙতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা লেগে যায়। তাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাছে বার বার ঘুরেও এর কোন সুরাহা পাইনি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা জানান, ওই জায়গাতে নতুন করে ব্রীজ করতে গেলে যে পরিমান বরাদ্দ প্রয়োজন তা না দেয়ায় ঝুলে আছে। এ নিয়ে ইস্টিমিট করে পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলে অবশ্যই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।




৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এসব মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে- ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।




আবারো ১০ দিন বাড়িয়ে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সূত্রস্থ স্মারকসমূহের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তাবলি সংযুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ০৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ১৬ মে ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আজ মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।




লক্ষ্মীপুরে ১৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিনন্দন জানিয়ে শনিবার রাতে (৫ জুন) লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বামনী ও সদর উপজেলার হামছাদি ইউপির সীমান্তবর্তী কাজিরদিঘির পাড় বাজার ব্যবসায়ী ও গ্রামের সুশীল ব্যাক্তিগন এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রোটারিয়ান আলহ্বাজ রফিকুল হায়দার চৌধুরী, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন আরিফ, হামছাদি ইউপি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু ও ব্যবসায়ী মফিজ কোম্পানিসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন । রোটারিয়ান রফিকুল হায়দার জানান, কেন্দ্রীয় এ মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ। সমাজ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।এখানে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরঘাট, কবরস্থান, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মসজিদ ভিত্তিক। এ পুরাতন মসজিদের বেশিরভাগই স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনে পাঠকের জন্য ১টি লাইব্রেরিও সুবিধা হবে। আজ থেকে মসজিদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।।

উল্লেখ্য-রায়পুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজেরদিঘির পাড় বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি চার কোটি টাকা ব্যায়ে ধাপে ধাপে ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মিত হবে। এতে মসজিদসহ ওজুখানা, ওয়াসরুম– ঈদগাহ সহ পাঠাগার রয়েছে।




কলমাকান্দায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পারাপার- ভোগান্তি চরমে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মহিম খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হচ্ছে। এতে স্থানীয় ১০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে ঝুঁকির সঙ্গে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সেতুটি নির্মাণের সতের বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক তৈরি হচ্ছে না। ফলে বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুর ওপর দিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে পথচারীদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে মহিম খালের ওপর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়। তবে সেতুটির এক পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুটি পার হয়ে গ্রামের মানুষ উপজেলা সদর, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট বাজারে যাতায়াত করে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের জায়গায় সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে লোকজন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাস্য ঘাগ্রা বলেন, এই সেতু দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে পণ্য পরিবহন করত। সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদেও এই সাঁকো পার হয়ে হাসপাতালে যেতে কষ্ট হয়।
স্থানীয় নলছাপ্রা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক কুপোতী ঘাগ্রা প্রতিনিধিকে বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ বাবুল প্রতিনিধিকে বলেন, সংযোগ সড়ক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হবে। সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেই সেতু দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান প্রতিনিধিকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেতুর সংযোগ সড়কটি করে দেওয়া হবে। সড়ক তৈরি করে দেওয়া হলে সেতু পারাপারে মানুষের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।




করোনার কারণে মানবজাতি-অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসাথে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার (৫ জুন) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ-সংরক্ষণে সরকারের সফলতার কারণে ‘পরিবেশ কূটনীতিতে’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ-সুরক্ষায় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’ এবং ‘ভালনারেবল-২০’ এর অর্থমন্ত্রীদের জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর-পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই এক কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আমাদের জাতীয় প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পায়নের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি জলবায়ু-পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। সরকার প্রধান বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জলবায়ু-পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ-মোকাবিলায় সহিষ্ণুজাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় প্রথমবারের মতো বরাদ্দ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে গত ১২ বছরে বৈরী পরিবেশে সহনশীল বিভিন্ন ফসলের মোট ১০৯টি উন্নত/উচ্চ উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ইনটারগভারমেন্টাল সাইন্স পলিসি প্লাটফরম অন বাইওডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকো সিস্টেম সারভিসেস (আইপি বিইএস ) (Intergovernmental Seience Policy Platform on Biodiversity and Ecosystem Services (IPBES)-এর সদস্যপদ লাভ করেছি এবং সংস্থাটির প্রাধিকার অনুযায়ী বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী-সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পেয়েছি, যা আমি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমরা ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮’ এবং ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপন করেছি। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ঘোষিত বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ দশকে (২০২১-২০৩০) আমরা জীববৈচিত্র্য-সংরক্ষণের ওপর মনোনিবেশ করেছি। আমরা জাতীয় সৌরশক্তি কর্মপরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে, দলীয়ভাবে এবং সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল রক্ষাকারী ঝাউবেষ্টনী সৃষ্টি করেছিলেন। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে জানমালের সুরক্ষা দিতে বেড়িবাঁধ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিবকিল্লা নির্মাণ করেছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিনমাস সমগ্র দেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এ তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।




না ফেরার দেশে চলে গেলেন কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার শালদিঘা গ্ৰামের কৃতি সন্তান সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ও কৃষিবিদ আলহাজ্ব ওসমান গণি নিজ বাড়িতে গতরাত ১১.০৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এগ্রিকালচার কেমিস্ট্রি তে এমএসসি ডিগ্ৰি অর্জন করে পাট সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাট সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরিরত অবস্থায় দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।উনার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা। এক ছেলে এবং এক মেয়ে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি আজীবন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। উনার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




নোয়াখালীতে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ দোকান পুড়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতি

ডিএনবি নিউজ ইসলাম ডেস্ক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছয়ানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই  গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ১২টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

স্থানীয় ৫নং ছয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন রশিদ জানান, আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে ২৫টি দোকান পুড়ে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছয়ানী বাজার অনেক বড় হওয়ায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এতে বাজারের কসমেটিকস, মুদি, মনোহারি, সেলুনসহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।