খুলছে পোশাক কারখানা, কাজে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

স্বাস্থ্য অধিদফতর চলমান বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করলেও খুলে দেয়া হয়েছে দেশের পোশাক কারখানাগুলো। রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ শ্রমিক। তবে বড় বড় কারখানায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও কোথাও কোথাও তা ঢিলেঢালা দেখা গেছে। সব তৈরি পোশাক কারখানায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

সকালে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় এ কে এম রহমতুল্লাহ গার্মেন্টস, আর টেক্স ফ্যাশন, জান কম্পোজিট ইউনিট লিমিটেড (ইউনিট-২), ড্রেস ফাই নেটওয়ার্ক, ইনজেক্ট ফ্যাশনসহ বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, ৮টার আগেই দলে দলে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এদের বেশিরভাগই নারী শ্রমিক। আবার কেউ কেউ নতুন কাজের জন্য ভিড় করছেন। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে অনেক কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ঢাকাতেই ছিলেন বলে জানান।




দুর্গাপুরে এনজিওদের উদ্দ্যেগে মাক্স বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে করোনা সংক্রমন আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাক্স বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ মাক্স বিতরণ করা হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস ও উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের উদ্দ্যেগে এ মাক্স বিতরণ কালে উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শামীম কবীর, কারিতাস এর উপজেলা সমন্বয়কারী ছবি ম্রং সেরা এর উপজেলা সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য এনজিও কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।




ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে চামড়া, খাদ্য ও ওষুধ খাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সোমবার এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মহামারীর অতি বিস্তারে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও শুরু কঠোর লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখার দাবি জানানো হলেও সোমবারের প্রজ্ঞাপনে তিন ধরনের শিল্প কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।

>> খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

>> কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনে এতদিন শিল্প কারখানা চালু থাকলেও সাময়িক শিথিলতার পর ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে যে লকডাউন আসছে, তাতে শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার।

 




দুর্গাপুরে প্রভাবশালীদের ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন অব্যাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের কেরণখলা এলাকার সোমশশ্বরী নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে উত্তোলন বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।

এ নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ওই এলাকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই স্বপন মিয়া স্থানীয় ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সোমেশ^রী নদী থেকে ইজারা ছাড়াই বাংলা ড্রেজার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের কৃষকের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কেরণখলা বেরিবাঁধটি ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এতে বাঁধা দিলে ওই প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মহলটি মারমুখী হয়ে উঠেন তাদের ওপর। ওই এলাকার চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই স্বপন মিয়া, সেকুল মিয়া, কাশেম মেম্বার, হাবিল উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন মিলে ৩টি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিশালাকার স্তূপ তৈরী করে চলে বিক্রির মহোৎসব।

ওই অবাধ বালু বাণিজ্যের প্রায় দুইশত গজ দক্ষিণে স্থানীয় আব্দুল আজিজ, মিলন মিয়া, ছিদ্দিক, সালাম ও সেলিম মিলে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখে। এর কিছুদুর অগ্রসর হলেই দেখা মেলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে আরো দু‘তিন জন পার্টনার নিয়ে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালু উত্তোলন আপাততঃ বন্ধ রাখলেও পানি নেমে গেলেই পুনরায় শুরু বালু খেকোদের যুদ্ধ। চন্ডিগড় বাজার থেকে কেরনখলা যাওয়ার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মিত কার্পেটিং সড়কটি ভারী যানবাহন দিয়ে বালু আনা নেয়ার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল এর সাথে কথা বলার জন্য বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অবৈধভাবে বালু নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, সরকারি ইজারা ছাড়া সরকারি যে কোন ভুমি থেকে বালু উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে এমন কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 




দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ‘‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’’ এর মাক্স বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের সচেতনতামূলক প্রচারণা ও মাক্স বিতরণ কার্যক্রম কে আরো গতিশীল করতে উপজেলা প্রশাসন, দরিদ্র শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের মাক্স বিতরণ করেছেন আমেরিকায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’’। রোববার দুপুরে প্রশাসনের পক্ষে মাক্স গ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব-উল-আহসান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট‘র উপজেলা সমন্বয়কারী মো. মাহবুবুল আলম, উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শামীম কবীর, কারিতাস এর উপজেলা সমন্বয়কারী ছবি ¤্রং প্রমুখ।




ভারতে টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশও পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশকেও টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ (রোববার) সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশে চুক্তির টিকা সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, “টিকা সরবরাহের অবস্থা কী- সেটি জানার জন্যই ভারত যাচ্ছি। যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে, তাহলেই এটি সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “করোনার কারণে যেহেতু সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, তাই ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে যেসব বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন, যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আবেদন করলেই তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।”

তিনি বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এটি ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে, ভারতেরও রফতানি বেড়েছে। এটি সবার জন্যই ভালো। হাইকমিশনারকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।




দেশে পৌঁছেছে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা

প্রথমে শনিবার রাত পৌনে বারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ এবং পরে রাত তিনটায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুটি ফ্লাইটে ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সব মিলিয়ে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫১ লাখ ডোজ টিকা এল।”

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন। গত ৩ জুলাই রাতে সিনোফার্মের টিকার ১০ লাখ এবং পরদিন সকালে আরও ১০ লাখ ডোজ আসে।

ওই চালান আসার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এগুলো ‘কেনা টিকার অংশ’। তবে ১৪ জুলাই সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওই ২০ লাখ ডোজও চীন উপহার হিসেবে দিয়েছে।

“আগে চুক্তি হয়েছিল ১৫ মিলিয়নের। এর মধ্যে ২ মিলিয়ন যেগুলো দিয়েছে সেগুলো উপহার হিসাবে দিয়েছে। এখন যেহেতু দুই মিলিয়ন উপহার দিয়েছে, তাই আরও দুই মিলিয়ন যোগ করে আবার ১৫ মিলিয়ন দিচ্ছে। সেটা হবে আগের মূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্য,” বলেছিলেন তিনি। চুক্তি হওয়ার আগেও দুদফায় উপহার হিসেবে চীন থেকে একই টিকার ১১ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা কেনার পর সিনোফার্ম হল দ্বিতীয় কোম্পানি, যাদের কাছ থেকে কোভিড টিকা কিনছে বাংলাদেশ।




দুর্গাপুরে ৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা রিকসাচালক তারা মিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চলমান লকডাউনে কর্মহীন ৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত রিক্সাচালক তারা মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে এই সহায়তা সামগ্রী বিতরন করা হয়। সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল ডাল, আলু, তেল পেঁয়াজ ও লবন।

খাদ্য বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক রাজেশ গৌড়, পথ পাঠাগার সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার প্রমুখ। তারা মিয়া দীর্ঘ ৭ বছর যাবত তার রিক্সা চালানোর উপার্জিত টাকা থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন সহ অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।




দুর্গাপুরে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ এর (চাল) এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় জিআর (খাদ্যশস্য) বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮১জন এবং জিআর- ১ হাজার ব্যাক্তির মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে পৌরসভা চত্ত¡রে বুধবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাল বিতরণ কার্যক্রম‘র উদ্বোধন করেন, মেয়র মোঃ আলা উদ্দিন আলাল। অন্যদের মধ্যে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, প্যানেল মেয়র মোঃ মশিউর রহমান বাদল, সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, স্থানীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, পৌর কাউন্সিলরগণ সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




লকডাউন: নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩২০০ কোটি টাকা

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় গতবারের মত এবারও লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হচ্ছে সরকারকে।

এপ্রিলে এক দফা লকডাউন চলার পর গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবারও আগের মত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

সংক্রমণ এড়াতে এই বিধিনিষেধের মধ্যে যানবাহন এবং জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, যাদের প্রতিনিদের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তাছাড়া মহামারী শুরুর পর গত ষোল মাসের মধ্যে অর্ধেক সময় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।

১. নিম্ন আয়ের ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষ এই প্যাকেজের আওতায় নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। সেজন্য বরাদ্দ থাকছে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। উপকারভোগীদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন।

২. শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ২৫ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আওতায় দেওয়া হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা। সেজন্য এ প্যাকেজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

৩. জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু আছে, তা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

8. গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য সুদের হার আগের মতই ৪ শতাংশ হবে।

৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

#এসআই