সিলেটে আবারও বন্যা, সুরমা উপচে পানি ঢুকছে নগরেও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেট জেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।জেলার অন্তত ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সুরমা নদীর তীর উপচে আবারও পানি ঢুকছে সিলেট নগরীতে। নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে।

নগরীর শাহজালাল উপশহর, তেররতন, ছড়ারপাড়, কালিঘাট, তালতলা, জামতলা, শেখঘাটসহ ৮-১০টি এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মূল সড়ক, অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। ফলে আর্থিক ক্ষতি ও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ড সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নগরীর কিছু এলাকা ছাড়াও জেলার ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেক সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে। ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষ কিছুদিন আগের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও বন্যার ক্ষতি ও দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

অনেকের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আরও বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় যেসব স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে




দুর্গাপুরে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে টানা দুই দিনে অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভবানীপুর বটতলা সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের পিলার ধ্বসে যাওয়ার মাত্র দুই ফুট বাকি আছে। যে কোন সময় ধ্বসে যেতে পারে। তা ছাড়া আতঙ্কে রয়েছে কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া ও সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে, সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো ও বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ সময় নদীতে থাকা বালু উত্তোলনকারী কিছু ড্রেজার ভেসে গেছে, উজান থেকে পানি নামতে থাকলে অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, মাছের ঘের, ফসলের মাঠ সহ সবজি বাগান গুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। নদীর পাড় ভাঙ্গা অব্যাহত থাকায়, কুল্লাগড়া, কামারখালী, ইসলামপুর, বিজয়পুর, ভবনীপুর, দাহাপাড়া, বন্ধউষান এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। অপরদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি। রিকশা ও ঠেলাগাড়ী চালানো সহ খেটে খাওয়া মানুষদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে একেবারেই। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী মাইকেল প্রদীপ বাউল বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ধরনটাই এই রকম। তবে নদীতে যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যদি রাতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে এলাকা প্লাবিত হয়ে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, সোমেশ্বরী নদীর পানির বিপদ সীমার স্কেল হচ্ছে ১২.৬৫। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১.৩৩ অব্যাহত রয়েছে। রাতে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী পানি বাড়তে থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে সকল কে সাবধান করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকায় বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন প্রকার খাদ্য সমস্যা দেখা দিলে, তা মোকাবেলার জন্য প্রস্তত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।




দুর্গাপুর পৌরশহরে রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯টি প্রকল্পের মধ্যদিয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি এবং প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র আলা উদ্দিন আলাল। সোমবার দুপুরে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম কামরুল হাসার জনি, কাউন্সিলর আল আমিন মিয়া, ঠিকাদার দেবল চক্রবর্ত্তী, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল মড়ল, হারাধন সরকার, মো. হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম বেগ, ব্যবসায়ী আবিদুর রহমান শাওন, পৌর প্রকৌশলী উত্তম দাস, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

উন্নয়ন কাজ নিয়ে মেয়র আলা উদ্দিন বলেন, যে এলাকার রাস্তাঘাট যত উন্নত-ওই এলাকা দেশের মানুষের কাছে তত পরিচিত। আমি সকলকে সাথে নিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করতে চাই। পৌর এলাকার উন্নয়ন কাজ চলছে, সামনে আরোও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ সকল কাজ বাস্তবায়নে শহরে চলাচলে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমি দুঃখিত। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।




সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি বায়তুল্লাহর মুসাফিরের ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মো. জাহাঙ্গীর কবির (৫৯) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

১১ জুন মক্কা আল-মুকাররমায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। তার পাসপোর্ট নম্বরঃ A01012228 । গত ৫ জুন থেকে সর্বমোট ৭,৫৭৩ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। সৌদি পৌঁছানোর পর এই প্রথম কোন বাংলাদেশি ইন্তেকাল করলেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত মৌসুমী হজ অফিসার মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সৌদিতে হজযাত্রী নিতে ১২ জুন পর্যন্ত ১৯টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১১টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইনাসের ৩টি ফ্লাইট হজযাত্রী নিয়ে গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই (৯ জিলহজ) সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪,০০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩,৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭,৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশে থেকে এবার হজে যেতে ১২৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। বিমান ৬৫টি, সাউদিয়া ৫১টি, ফ্লাইনাস ১২টি ফ্লাইটে হজ যাত্রী নিয়ে যাবে। ঢাকা থেকে শেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে ৪ জুলাই।




বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। আগামী ৩ জুলাই বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ দায়িত্বে আসছেন তিনি।

শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী ৪ জুলাই তাকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবির ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। সে হিসাবে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন।

ফজলে কবিরের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হয় ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তার আগেই মে মাসে তার দায়িত্বের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থ সচিবের দায়িত্ব নেয়ার আগে অর্থ বিভাগে ১৮ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এ ছাড়া দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনে কুয়ালালামপুরে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) হিসেবেও কাজ করেছেন।




রোববার থেকে শুরু হজের প্রথম ফ্লাইট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামীকাল রোববার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনরসের বিজি-৩০০১ দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য প্রথম ফ্লাইট পরিচালিত হবে। প্রথম যাত্রায় সকাল ৯টায় সৌদি আরব যাচ্ছেন ৪১৫ জন হজযাত্রী।

শনিবার (৪ জুন) সরকারি হজযাত্রীর প্রথম ফ্লাইটের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষে রোববার সকালে বিমানের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের উপস্থিতিতে দোয়ার মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিদায় দেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সৌদি আরবের কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এ ছাড়া হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ আগস্ট।



একনেকে ৭১৩ কোটি টাকার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) শতভাগ রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি সিস্টেম লস লাঘব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ৭১২.৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত নয়টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন, বাকীগুলো সংশোধিত প্রকল্প।

একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ ও সচিবগণ অংশ গ্রহণ করেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আজ আনুমানিক ২ হাজার ৬৬৫ দশমিক ২১ কোটি টাকার মোট নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, এই প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রচেষ্টা জোরদার হলে, সিস্টেম লস উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পারে।

এমএ মান্নান বলেন, যাদের বিদ্যুৎ বিল বড় ধরনের বকেয়া রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান। সরকারি-বেসরকারি যেই হোক না কেন, বিদ্যুৎ বিল যে বা যেই প্রতিষ্ঠান বকেয়া রাখবে-তাদের বিরুদ্ধেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটি নোটিশ প্রদানের পরও যদি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে তবে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এমএ মান্নান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধাপে ধাপে দেশের সবগুলো স্থল-বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে নৌ-মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ২৪টি স্থল-বন্দর রয়েছে। সবগুলো স্থল-বন্দরে আধুনিক সরঞ্জামাদি ও পদ্ধতি স্থাপন করা হবে, যাতে সরকার আরও ভাল সেবা প্রদান করতে পারে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে- নতুন রাস্তা নির্মাণের পরিবর্তে বিদ্যমান সড়কগুলোর সংস্কার ও সেগুলো উন্নয়ন করা। প্রধানমন্ত্রী কোন অবকাঠামো নির্মাণের আগে পরিবেশ, নদী, খাল ও বনাঞ্চল সংরক্ষণের দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব তহবিলে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন, সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর কাছ থেকে তিনি পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন বলেই আওয়ামী লীগ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি বিরাট অবকাঠামো নির্মাণ করতে পেরেছে।

আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন শুরু হতে যাওয়া দেশের ষষ্ঠ আদম শুমারী (পপুলেশন ও হাউজিং সেন্সাস) সফল করার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী দেশবাসীর সহায়তা কামনা করেন। -বাসস।




দুই বছরেরও বেশি সময় পর সশরীরের একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

দুই বছরেরও বেশি সময় পর সশরীরের একনেক বৈঠকে হাজির হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হয়ে একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে আর সশরীরে একনেক বৈঠকে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী। এতদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিতেন তিনি। কিন্তু আজকের বৈঠকে সশরীরেই উপস্থিত হচ্ছেন তিনি।

একনেক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

আজকের একনেক বৈঠকে অনুমোদনের জন্য আটটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা।




দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সমাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান হিসেবে ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে  উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব ভেড়া বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব -উল -আহসান’র সভাপতিত্বে ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শিমু দাস, আওয়ামীলীগ নেতা বিপ্লব মজুমদার, ডাঃ জেরিন সহ প্রকল্পের উপকারভোগী ও প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময় সুফলভোগি ৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ২টি করে মোট ৮০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অণগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীদের মাঝে সর্বমোট ২০০টি ভেড়া বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব- উল- আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান হিসেবে  অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে প্রতিটি পরিবারকে ২টি করে সর্বমোট ২০০টি পরিবারকে ভেড়া দেওয়া হবে। এছাড়াও যারা ভেড়া পেয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ভেড়া পালনের জন্য ঘর তৈরির উপকরণ দানাদার খাবারসহ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। তবে সুফলভোগীরা বিনামূল্যে প্রাপ্ত এসব ভেড়া ৩ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না।



দুর্গাপুরে টানা বৃষ্টিতে ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন তারা। এর ফলে ধান শুকাতে না পেরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছেন চাষিরা। উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ভেজা ধান নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। দিনের বেশির ভাগ সময় বৃষ্টি হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন ধান নিয়ে । অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্ন এলাকার প্রায় প্লাবিত হতে চলছে। মানুষের ধান শুকানোর মাটে পানি,ক্ষেত থেকে ধান কেটে আনতে পারলেও অনেকেই শুকাতে না পেরে ধান কেটে বাড়িতে এনে কেউ কেউ স্তুপ করে রেখেছেন। বৃষ্টির কারণে মাড়াই করে নিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ মাড়াই করে নিতে পারলেও সেই ধান শুকাতে পারছেন না। ধান পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে ঘরের ভেতরে সিলিং ফ্যানের বাতাসে ধান শুকাচ্ছেন। অপরদিকে যেসব জমির ধান এখনও কাটা হয়নি সেসব ক্ষেতের ধান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে এছাড়াও বাড়িতে স্তুপ করে রাখা ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে ধান নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে চাষিদের।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ধান নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে ধান শুকাতে না ফেরে অনেক ধান নষ্ট হতে চলছে এছাড়াও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের প্রায় এলাকার মাঠ-ক্ষেতে পানিতে পুরপুরি ভরপুর। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে  নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন অঞ্চল গুলোতে খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব এলাকার মানুষ। অনেকেই ভেজা ধান শুকাতে পারছেন না। ফলে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
উপজেলার গাওকান্দিয়া  গ্রামের কৃষক মাওলানা মনজুরুল হক বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ধান শোকাতে পারতেছি না, সারাদিনই বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি যেনো থামছেই না, আমার প্রায় একশ মণ ধান নষ্ট হতে চলছে, অনেক ধান পঁচে গিয়েছে গরুকে খাওতে হয়েছে, কষ্টের ফসল এইভাবেই নষ্ট হয়ে গেলো, আগেভাগে কেটে বাড়িতে তুলতে পারলেও শুকাতে পারিনি,এখন আবার পাহাড়ি ঢলে বাড়িতে পানি উঠতে বসেছে বাকিসব ধান গুলোর কি হবে আল্লাহ  জানে, শুধু আমার না এলাকার অনেকেরই এমন দূর্দশা।
অপর এক কৃষক বলেন, আমরা ধান নিয়ে এমন বিপাকে পড়েছি। কোথাও শুকানোর মতো জায়গা পাচ্ছি না। মাড়াই করে রোদ না থাকায় ধানগুলো শুকাতে পারছি না। যার ফলে আমাদের গ্রামের সকল কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে ঘরে তুলা ভেজা ধান শুকাতে পারেনি কৃষকরা ,আগেভাগে ধান কেটে ফেলতে পারলেও বৃষ্টির জন্য ভেজা ধান শুকাতে না পেরে নষ্ট হচ্ছে। প্রতিনিয়তই আমরা কৃষকদের অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।