দুর্গাপুরে গাছ পড়ে ব্যপক ক্ষতি, প্রাণে বাঁচলো পরিবার

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরে ঝড়ে গাছ পড়ে বসত ঘর ভেঙ্গে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবারের। এর মধ্যে পৌরবিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকারের বাড়ি-ঘর দুমরে মুচরে যায়। এ ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিনপাড়া ও আশপাশের এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। ওই ঝড়ে বাড়ির পাশে থাকা বিশাল আম গাছ পড়ে যায় বিদ্যুৎ সরকারের বসত ঘরের ওপর। এতে ঘরের আসবাবপত্র বিনষ্ট সহ ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে বাড়ির আশ-পাশের বোরো ফসলের। ঘরটি দুমরে মুচরে গেলেও ছেলে-মেয়ে সহ প্রাণে বেঁচে যায় বিদ্যুৎ সরকারের পরিবার। এছাড়া ওই এলাকার বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে যায়।

বিদ্যুৎ সরকার বলেন, রবিবার রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। পরে বসত ঘরের পাশে থাকা গাছ পড়ে যায় আমার বসত ঘরের ওপর। এতে দুমরে মুচরে যায় পুরো ঘর ও আসবাবপত্র। শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় খেতের ফসল। ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেলেও প্রানে বেঁচে গেছে আমার পুরো পরিবার।




দুর্গাপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো যুবদল নেতা মেহেদী হাসান সাহস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের অসহায় সুলেমা খাতুনের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস।   শুক্রবার বিকেলে সুলেমা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারটিকে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন  মেহেদী হাসান সাহস৷

এ সময় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সহায়তার মাঝে ছিলো চাল, ডাল, মুরগী, মাছ,  তেল, আলু,  পেয়াজ,  বিস্কুট সহ আরো অনেক কিছু।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস বলেন, আমার নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দলীয় নেতাকর্মীদের  নির্দেশ দিয়েছে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে । এরই ধারাবাহিকতায় আমি যখন জানতে পারলাম সুলেমা খাতুন সাত সন্তান এবং অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  এজন্য আজ আমি নিজে  সুলেমা খাতুনের বাড়িতে  এসে  খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিলাম । এছাড়াও সুলেমা খাতুনের যেকেনো সমস্যায় আমি আমার সাধ্যমতো উনার পাশে থাকবো। আমার এ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।




দুর্গাপুরে অগ্নিকান্ডে বসত ঘর পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অগ্নিকান্ডে একটি বসত ঘরের আসবাবপত্র সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের ভূলিগাঁও গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সোহাগ হাসান বাপ্পির বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সোহাগ হাসান ঘরের ভিতর মোমবাতি জ্বালিয়ে পাশের বাসায় খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান তাঁর ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নেভানো সম্ভব হয়নি। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকান্ডে হতাহতের কেনে ঘটনা ঘটেনি।

সোহাগ হাসান বাপ্পি বলেন, ঘরের ভিতর মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে একজন বলতে থাকে আমার ঘরে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে ডাকচিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র সহ কেনো কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমার সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাপ্পি।

দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন লিডার মঞ্জুল ফরাজী জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘরের ভিতর আগুন জ্বলছে। সে অবস্থায় আমরা কাজ শুরু করি। গাড়িতে থাকা পানি শেষ হলে পুনরায় অন্য জায়গায় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। মোমবাতির আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।




চীন ছাড়া বিভিন্ন দেশের জন্য আরোপিত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করছেন। তবে চীনের উপর আরোপিত শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে। চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।’

এ পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একই সঙ্গে এ সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, যেসব দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, সেসব দেশ পুরস্কৃত হবে। ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের আওতায় থাকবে মেক্সিকো ও কানাডাও।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাকে বাণিজ্যযুদ্ধ বলব না। অবশ্য চীন এটা উসকে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই স্থগিতাদেশ আলোচনার জন্য আমাদের সময় দেবে। আরও দেশ যোগাযোগ করবে বলে আশা করছি।’

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার রাত ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট মেনশন করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘৯০ দিনের শুল্ক স্থগিত করতে আমরা যে অনুরোধ করেছিলাম, তাতে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার বাণিজ্য এজেন্ডার সমর্থনে আপনার প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখব আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ করে গত সোমবার ট্রাম্পকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশে শুল্ক-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেন। এ ছাড়া গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর, চিকিৎসাসামগ্রীর মতো বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানোর কথা জানান তিনি।

চীনের ওপর শুল্ক বেড়ে ১২৫%

অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হলেও চীনের পণ্যের ওপর আরও ২১ শতাংশ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই জানা যায়, চীনের পাল্টা শুল্কে খেপে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে উন্নীত করেছিলেন।

ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার থেকে চীনের ধার্য করা এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ককে নিপীড়নমূলক আখ্যা দিয়ে তারা এ শুল্ক আরোপ করে।

চীনের এ সিদ্ধান্তে আরও চটেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বুধবার অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত এবং এ সময়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হলেও চীনকে এ সুযোগ দেওয়া হয়নি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন। কারণ, আপনি যখন যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করবেন, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাল্টা আরও কঠিন আঘাত করতে যাবেন।’

পাল্টাপাল্টি শুল্কে অস্থির বিশ্ব

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই শুল্কের একাংশ সেদিন থেকেই কার্যকর হয়ে গেছে। বাকি অংশ বুধবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ পুরোদমে শুরু হয়ে যায়।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পক্ষে ভোট দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নও। অবশ্য ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার ফলে এ সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতে হতেই বড় ধরনের পতন হয়। এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




দোয়ারাবাজারে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কথিত বিএনপি নেতা ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার ফুলমিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এ নিয়ে একাধিক সালিশ করেও কোনা প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।

এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে পঞ্চায়েত নামা করেও তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা যায়নি। ফুলমিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মৃত ছায়েদ মিয়ার পুত্র।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলমিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আসছে। তার এসব প্রতারণায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষসহ এলাকার আলেম ওলামারাও।
একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেছেন, ফুলমিয়া এক সময় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো। গত ৫ আগস্টের পর রাতারাতি যুবদল নেতা বনে যাওয়ার দাবি করে সে। শুরু হয় তার দৌড়ঝাঁপ।  স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পোস্টার ব্যানার দিয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চকবাজারে অস্থায়ী অফিসও গড়ে তুলে। এক সময় নিজেকে ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি দাবিসহ কখনও ঠিকাদার ও কখনও ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভ্ন্নি ব্যবসায়ী ও ইটভাটা থেকে লাখ লাখ টাকার ইট ও নির্মাণ সামগ্রী বাকীতে ক্রয় করে এবং পরবর্তীতে ওইসব টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফুলমিয়ার এমন অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলার একই ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মাওলানা মোস্তফা কামাল। সরকার পতনের পরপরই ২০২৪ সালের ৭ই আগস্ট মাওলানা মোস্তফা কামালের কাছ থেকে ৯০ হাজার ইট ক্রয় করেন যুবদল নেতা দাবি করা ফুলমিয়া। বাকীতে নেওয়া ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ইটের ম্যল্য থেকে এক টাকাও পরিশোধ করেনি। টাকা চাইতে গেলেই নানা প্রতারণার আশ্রয় নেয় এবং নানাভাবে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখায়।
এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকে বসলে টাকা পরিশোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় সে। পরবর্তীতে পাওনাদাররা টাকা চাইতে গেলে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় গত ০৭ জানুয়ারি এলাকার ২৮জন মুরুব্বি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তি একটি একটি পঞ্চায়েতনামাও প্রদান করে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় একই ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের নুর বানু নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী গ্রামের ইটভাটার মালিক মাহবুবুর রহমানের ৭ লাখ টাকা এবং এরুয়াখাই গ্রামের মফিজ মিয়ার ১ লাখ টাকাসহ উপজেলার অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ১০/২০ হাজার করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে লুপাট করারও অভিযোগ রয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, ফুলমিয়ার খুটির জোড় কোথায়।
উপজেলার বেঠাখাই সোনাপুর গ্রামে স্থাপিত ‘এফবিএম ব্রিকস ফিল্ডে’র ম্যানেজার শীতল কান্তি রায় জানান, ফুলমিয়ার কাছে ইটের ৭ লাখ ১৪ হাজার ৩ শ’ টাকা পাওনা আমাদের। সে দলের নাম ভাঙিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এরকম আরও অনেক মানুষের লাখ লাখ টাকা সে আত্মসাৎ করে আসছে।
স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ফুল মিয়া বিএনপি বা যুবদলের কোন পদধারী নেতা নয়। তার সাথে বিএনপির আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এসব প্রতারণা করছে।
জানতে চাইলে ফুল মিয়া লেনদেনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাওলানা মোস্তফা কামাল আমার কাছে ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পাওনা ছিল, আমি তা দিয়ে দিয়েছি। এখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।



চীনে ইরানি তেলের রপ্তানিতে রেকর্ড; এপ্রিল মাসের জন্য ইরানি তেলের মূল্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীনা বন্দরে ইরানি তেল পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, কিন্তু এই পদক্ষেপ এখনও কোনও ফল দেয়নি। পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, এসএন্ডপি নামক একটি প্রতিষ্ঠান শনিবার জানিয়েছে মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন ১.৯১ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে।

এছাড়া, কেপলার এই তথ্য প্রকাশ করেছে যে, চীনা বন্দরগুলোতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ট্যাঙ্কারগুলো থেকে তেল খালাস অব্যাহত রেখেছে এবং মার্চ মাসে আমদানি করা আট মিলিয়ন টন তেল ১০টি অনুমোদিত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে চীনে প্রবেশ করেছে। এসব তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে কয়েকটি আগে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বহন করত।

এপ্রিল মাসে ইরানি তেলের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়মূল্য ঘোষণা

২০২৫ সালের চতুর্থ মাসে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি ইরানি অপরিশোধিত তেলের বিভিন্ন ধরণের বিক্রয়মূল্য ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে “ইরানি হালকা অপরিশোধিত তেল” নর্থ সি ব্রেন্ট তেলের চেয়ে পৌনে দুই ডলার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া, এই মাসে এই বাজারগুলোতে “ইরানি ভারী অপরিশোধিত তেল” বিক্রি হচ্ছে পাঁচ সেন্ট কমে।

ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদনের মাত্রা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

শনিবার ওপেক প্লাসের জয়েন্ট মনিটরিং কমিটির ৫৯তম ভিডিও কনফারেন্সে ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ বলেছেন, “বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য অনিশ্চয়তার মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব, সরবরাহ চেইনে পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা।” তিন জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং সর্বসম্মত উৎপাদন স্তর মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।#

সূত্র: পার্সটুডে




১২ ঘণ্টায় ২ কোটি টাকা টোল আদায় পদ্মা সেতুতে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আসছে ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখী হচ্ছে মানুষ। এবারের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে গত ১২ ঘণ্টায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়। এ সময় ওই সেতু দিয়ে ১৮ হাজার ১২৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ১২ হাজার ৯৫৩টি ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ হাজার ১৭৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। একই সময়ে ৩ হাজার ৮৬৬টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে গত বছর ঈদের পর সর্বোচ্চ টোল আয়ের রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয় এবং সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

আবু সাঈদ বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় পঞ্চম সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় আজ শনিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম।

তিনি আরও বলেন, টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর পাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে শনিবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ওই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়েও ছুটছে অনেকে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ এপ্রিল এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে বছর ১৪ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা।




একনেকে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

রবিবার প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, আজকের সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প’; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর কালুরঘাট এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্প, ‘Strengthening Institutions for Climate Change Adapted Water Resource Management in Dhaka’ প্রকল্প, এবং ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ভিন্নয়ন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দাতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধন)’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সারাদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্য গুদাম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত সংস্কার’ প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত রেকর্ড রুমসমূহ সংস্কার ও মেরামত’ প্রকল্প; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রুভেন বুল তৈরি’ প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

এ ছাড়া, ৩টি প্রকল্পের প্রস্তাব (১) কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণ (১ম সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি, (২) চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (পতেঙ্গা হতে সাগরিকা) (৪র্থ সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি, (৩) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) ৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সভায় পাস করা হয়।

সভায় ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প সর্ম্পকে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো:

১. বানৌজা শের-ই-বাংলা পটুয়াখালী স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
২. নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
৩. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, নর্দমা, ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
৪. ইসিবি চত্বর হতে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
৬. বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিদ্যমান গামা সোর্স শক্তিশালীকরণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
৭. ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী-বিসিএসআইআর (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
৮. সিলেট টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন-(২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
৯. কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ (কম্পোনেন্ট-সি) (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
১০. বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় লামাবাজার রক্ষাকল্পে মাতামুহুরী নদীতে প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প।
১১. কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
১২. চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
১৩. Feasibility Study on Livestock service Transformation (LST) প্রকল্প।

অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ; পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.); শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।




সম্প্রীতির মেলবন্ধনে সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা’র ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

ঢাকায় বসবাসকারী নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার নাগরিকদের সংগঠন ‘সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি’ ঢাকা’র ইফতার মাহফিল ও দুর্গাপুর উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে শনিবার (২২ মার্চ) এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকায় বসবাসকারী দুর্গাপুরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন। রাজনীতি যার যার,দুর্গাপুর সবার – ভাবনাকে সামনে রেখে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এতে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক কমরেড ডা.দিবালোক সিংহ। উন্নয়ন ভাবনা,মতবিনিময় ও সম্প্রীতির এই মিলনমেলার আলোচনা পর্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ সম্মানিত অতিথি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,এই ইফতার আয়োজনে এসে সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য এক আনন্দের উপলক্ষ।

ঈদের যেমন আনন্দ তেমনি ঈদের আগে আরেকটি আনন্দ হচ্ছে এই মিলনমেলা। প্রকৃত অর্থে দুর্গাপুর একটি অনন্য সাধারণ উপজেলা। কৃষ্টি-সংস্কৃতি-শিক্ষা-পরিবেশ- মানুষের কর্ম-পাহাড়-সমতল- নদী সবকিছু মিলে দুর্গাপুর একটি অনন্য সাধারণ উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। সেই উপজেলাকে আমরা প্রত্যেকেই আমাদের মায়ের সাথে তুলনা করে গড়ে তুলতে হবে। অপার সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে দুর্গাপুর। প্রত্যেকের স্বপ্নকে আলিঙ্গণ করে আগামীর দুর্গাপুর গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে ডা. দিবালোক সিংহ বলেন,আমাদের প্রাণের দুর্গাপুরকে সকল নাগরিক সম্মিলিতভাবে চমৎকার কর্মসৃজনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।




জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আহতদের স্বচ্ছলতায় ফেরাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের প্রস্তাবে যাকে যেখানে সম্ভব, সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’

অর্থপাচার

অর্থ পাচারকে বিগত সরকারের সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে।

মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মানি লন্ডারিং। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার কথা আমি বলেছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের পাঁচ মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী ধরনের উন্নতি করেছেন, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা মিলিয়ে দেখেন, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে। রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর অনেকে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ থেকে ৬ আগস্ট কোনো সরকার ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না। তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।’#

পার্সটুডে