দুর্গাপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ধাত্রীরা পেলো বাইসাইকেল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সাতজন সিএসবিএ ধাত্রীদের মাঝে ৭টি সাইকেল বিতরণ করা হয়। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তারের উদ্দ্যেগে এডিপি বরাদ্দ থেকে এ সাইকেল গুলো বিতরন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল কর, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা একাডেমীক সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী, চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

এ সকল ধাত্রীরা বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার জিএসকে থেকে ৬ মাস ট্রেনিং নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলো। এখনো তাদের বেতন ভাতা চালু হয়নি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। ইউনিয়নের ধাত্রীদের যাতায়াতের সুবিবার্ধে আমার এই উদ্যেগ। নারীরাও এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোদ্ধা।




কানাডার কাছে ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন কাছে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ সংগ্রহের চুক্তি করে এটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখন কোভিড-১৯ নিয়ে ভারতে এক কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে তার জন্য সেখান থেকে মাত্র ১০.২ মিলিয়ন ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। ভারতে চলমান কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ চালু রাখার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজনের উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এটি বাংলাদেশের পক্ষে একটি উচ্চ অগ্রাধিকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ইস্যুতে কানাডার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অনিতা আনন্দের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, কানাডিয়ান সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাড়তি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে পারে বলে অনিতা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার হাইকমিশনারকে এ ইস্যুতে তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ কমপক্ষে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ভিত্তিতে কানাডা থেকে আনতে পারে।

তিনি আরও প্রস্তাব দেন কানাডা বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা করছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনার আশ্বাস দেন, তিনি অবিলম্বে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ সম্পর্কে কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ বিষয়ে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে।




দুর্গাপুরে ঈদে বেড়াতে এসে সড়ক দুঃর্ঘটনায় আহত ৩৯ পর্যটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে তিনদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত: ৩৯জন। এতে অটো রিক্সা, সিএনজি, মিনি পিকাপ ও মটরসাইকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার কাজে থাকা ব্যক্তিগন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লকডাউন অমান্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র এলাকায় আনন্দ করতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এর মধ্যে মটরসাইকেল আরোহী চার জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন মো. হারুন মিয়া (১৭), পলাশ মিয়া (১৭), আবদুল কাদির (১৮) ও তাজুল ইসলাম (১৭)। এ ছাড়া অন্যান্যের বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিক ও দুর্গাপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লকডাউনে কঠোর আইন না থাকায় ও সচেতনতার অভাবে এ দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে মিনি পিকাপে করে পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসা যুবকগন স্বাস্থ্যবিধি ও মাক্স পরিধান না করায় উপজেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পাশাপাশি মাক্স প্রদান করা হয়। এ নিয়ে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে এ সকল দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে আসা মাত্রই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহে প্রেরণ শেষে অন্যান্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




মহারাষ্ট্রে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠালো কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

ডিএনবি নিউজ:

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠিয়েছে কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকন হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের কাছে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো ত্রাণ সংস্থাকে দিয়ে দেয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব যখন একেবারেই কম ছিল, ওই সময় কম দামে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

তবে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ব্যাপক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে অক্সিজেনের দাম।

জানা গেছে, আগে যেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম ছিল তিন হাজার আট শ থেকে চার হাজার পাঁচ শ রুপির মধ্যে, বর্তমানে সেসবের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার রুপি। কিন্তু কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল, তারা বর্তমানে এসেও চার হাজার দুই শ থেকে চার হাজার চার শ রুপি দরে এসব বিক্রি করে দেন।




মসজিদকে আইসোলেশন সেন্টারে বানিয়ে নজির স্থাপন করলো গুজরাটের মুসলমানরা

ডিএনবি ডিএনবি:

ভারতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মুসলমানরা। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি শহরের বড় মসজিদকে রূপান্তর করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে। বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ ট্রাস্টি বোর্ডের। সেখানে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সব ধর্মের মানুষ।

করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসাব্যবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।

ভারতের গুজরাটের পুন এলাকার এ মসজিদের ট্রাস্টি ইরাফান শেখ বলেন, আমরা মসজিদকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছি। এ মুহূর্তে ৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। সেই জায়গা রয়েছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।




বাংলাদেশে আবারো করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৮৩ জনের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তে বা মৃত্যুতে প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮২২ জনে।

এই সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। আর এখন পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার ( ১১ এপ্রিল) দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮ জন। আর এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮১৯ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।




রমজানে জুমা ও তারাবির বিষয়ে নির্দেশনা দিবে ধর্ম মন্ত্রণালয়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন পবিত্র রমজানে জুমা ও তারাবি নামাজের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে যে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

এর আগে, সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ পরিস্থিতিতে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজসহ আসন্ন রমজানে তারাবি নামাজ আদায়ে বিশেষ সতর্কতা ও নির্দেশনা জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েতের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে ও পরে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার সভা ও সমাবেশ করা যাবে না। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ আদায় করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা করতে হবে।

পরবর্তীতে বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২৯ মার্চ তারিখের প্রজ্ঞাপন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৪ এপ্রিলের নির্দেশনা মোতাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৫ এপ্রিল জারি করা সব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়।

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই নির্দেশনায়।




করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত দুর্গাপুর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে করোনা প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সকল বিভাগ করোনা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ১১ এপ্রিল রোববার স্থানীয় সাংবাদিকদের এক সাক্ষাতে এ কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মামুনুর রহমান।
কোভিড ১৯ এর বিষয় নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় কয়েজজন কোভিড এ আক্রান্ত হওয়ার পর জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালকে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলার লক্ষে উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে ৫০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা ভাবে উন্নতমানের ১০টি বেড ও প্রয়োজনী ইনস্টুমেন্ট প্রস্তত রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্থানান্তরিত করা, টীকা দান, নমুনা সনাক্ত করণ সহ যাবতীয় কাজের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্সগন সমন্নয়ে গুর্ণায়মান একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ কাজ করতে প্রস্তত রয়েছেন ঐ টিম। এ ছাড়া টীকাদান সহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন ডাঃ মো. মামুনুর রহমান। এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার(ভার:)) ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হানসহ অন্যান্য মেডিকেল অফিসারহন উপন্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে স্যার হ্যানিম্যানের ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হোমিওপ্যাথির জনক ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পৌরশহরের বিসমিল্লাহ হোমিও সেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহঃসভাপতি ডাঃ তাপস চন্দ্র পন্ডিত এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর উদ্ভাবন এবং বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে হোমিও চিকিৎসার সাফল্য নিয়ে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, ডাঃ বিজন কিশোর রায়, ডাঃ সায়েদুর রহমান, শিক্ষানবিশ ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, ডা. আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক এইচ.এম. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একমাত্র ধ্যান ও তপস্যার মধ্য দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় রোগমুক্তির লক্ষে চিকিৎসা জগতে নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। আমরা তার কাছে চিরঋনী। হোমিও চিকিৎসার নির্দেশনা গুলো আমাদের কর্মের মাঝে বেঁচে থাকলেই স্যার বেঁচে থাকবেন। হোমিও চিকিৎসায় নানা রোগের সমাধান রয়েছে। সকলকে হোমিও সেবার নানা তথ্য উদঘাটনে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।