দুর্গাপুর হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও দুর্গাপুর পৌরসভা। সোমবার দুপুরে প্রয়োজনীয় এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল কম থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। চলমান এই সংকট কাটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএ ডাঃ মামুনুর রহমানের কাছে সার্জিক্যাল মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার, অক্সিমিটার সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হাসপাতালের করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ইউএনও ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রহমান, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমূখ।




করোনা আতঙ্কে দিন কাটছে দুর্গাপুর উপজেলাবাসীদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ২টি ইউনিয়ন সহ দুর্গাপুর পৌর শহরে বসবাসকারীদের করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর ও সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। রোগীরা উপজেলা সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসার জন্য ভিড় করছেন। রোববার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

এ নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ এবং নানা ভাবে শ্রমের কাজ করতে যায়। দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে ব্যাপক করোনা আক্রান্তের রোগি থাকায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই গোপালপুর, ভবানীপুর, দাহাপাড়া, তিনআলী, লক্ষিপুর গ্রামের আদিবাসীরা কাজ করার জন্য বেরোতে হয় প্রতিনিয়ত।

সীমান্তবর্তী ভবানীপুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ আবু আলম বলেন, সীমান্তে অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকগণ বা কোন প্রকার চোরা-কারবারি আমাদের চোখ ফাকি দিয়ে আসা-যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।

দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম বলেন, দৈনিক শতাধিক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছেন জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে। আমাদের মেডিকেল অফিসারগণ ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এলাকায় নতুন করে প্রায় প্রতিদিনই করোনা পজেটিভ দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে একাবাসী। ইতোমধ্যে আমাদের দুজন স্টাফ সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও সরকারি নির্দেশনা মেনে যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, অত্র উপজেলায় নতুন করে করোনা প্রকোপ দেখা দেয়ায় আজ থেকে সচেতনতামুলক মাইকিং ও মাক্স বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে শহরের সকল দোকানপাট সন্ধ্যা ৭ঘটিকা পর্যন্ত এবং সীমান্তবতী সকল দোকান ও চলাচল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে খাদ্য পৌছে দিলেন ইউএনও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৩৩৩’ এ কল করে খাদ্যসহায়তা পেলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষদের মানবিক সহায়তা হিসেবে তাদের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

ইউএনও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী করোনার প্রভাবে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের অনলাইনে আরো আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত কর্মহীনদের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। আমাদের ’৩৩৩’ হটলাইনে যারা ফোন করেছিলেন তাদের তথ্য যাচাই-বাচাই করে ইতোমধ্যে ২শত পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। ‘‘মানুষ মানুষে জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এর চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। আজ আরো ৫০টি অসহায় পরিবাবের হাতে খাবার দিতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রমুখ। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মার্কিন দূতাবাসকর্মীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনো মৃত সেই কর্মকর্তার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একজন কর্মকর্তা মারাও গেছেন।

তিনি বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরণের ব্যবস্থাগ্রহণ করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আফগান্তিানে ভ্যাক্সিন ঘাটতির কারণে এরই মধ্যে কাবুলে ভ্যাক্সিন পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, টেস্টের পর দূতাবাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার  করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরপর ১১৪ জনকে কোয়ারেইন্টেনে রাখা হয়েছে। ডাক্তারি পরামর্শে বাকিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপতত কাবুলে কূটনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে করোনার ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহের দ্রুত গতিতে বেড়েছে, এতে দেশটির স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ পড়ছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯  হাজার মানুষ, মারা গেছেন ৩৯০০ জন।




করোনা ইস্যুতে দুর্গাপুর সীমান্তে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনার সংক্রমণ রোধে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরা-কারবারিদের আনাগোনা বন্ধে এ নজরদারী শুরু হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর নেতৃত্বে, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনুর এ আলম, সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন সহ নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়পুর, ভবানীপুর, নলুয়াপাড়া, বারমারী ও ভরতপুর সীমান্তবর্তী ৫টি ক্যাম্পের বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ সহ সকল বিজিবি সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কিত থাকলেও সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনকে।

এ নিয়ে ইউএনও রাজীব-উল-আহসান  বলেন, বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুর উপজেলাকে করোনা সংক্রমনের হাত থেকে নিরাপদ রাখতেই আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মাক্স বিতরণ সহ মাইকিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।




দুর্গাপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ধাত্রীরা পেলো বাইসাইকেল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সাতজন সিএসবিএ ধাত্রীদের মাঝে ৭টি সাইকেল বিতরণ করা হয়। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তারের উদ্দ্যেগে এডিপি বরাদ্দ থেকে এ সাইকেল গুলো বিতরন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল কর, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা একাডেমীক সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী, চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

এ সকল ধাত্রীরা বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার জিএসকে থেকে ৬ মাস ট্রেনিং নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলো। এখনো তাদের বেতন ভাতা চালু হয়নি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। ইউনিয়নের ধাত্রীদের যাতায়াতের সুবিবার্ধে আমার এই উদ্যেগ। নারীরাও এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোদ্ধা।




কানাডার কাছে ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন কাছে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ সংগ্রহের চুক্তি করে এটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখন কোভিড-১৯ নিয়ে ভারতে এক কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে তার জন্য সেখান থেকে মাত্র ১০.২ মিলিয়ন ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। ভারতে চলমান কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ চালু রাখার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজনের উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এটি বাংলাদেশের পক্ষে একটি উচ্চ অগ্রাধিকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ইস্যুতে কানাডার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অনিতা আনন্দের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, কানাডিয়ান সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাড়তি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে পারে বলে অনিতা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার হাইকমিশনারকে এ ইস্যুতে তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ কমপক্ষে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ভিত্তিতে কানাডা থেকে আনতে পারে।

তিনি আরও প্রস্তাব দেন কানাডা বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা করছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনার আশ্বাস দেন, তিনি অবিলম্বে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ সম্পর্কে কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ বিষয়ে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে।




দুর্গাপুরে ঈদে বেড়াতে এসে সড়ক দুঃর্ঘটনায় আহত ৩৯ পর্যটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে তিনদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত: ৩৯জন। এতে অটো রিক্সা, সিএনজি, মিনি পিকাপ ও মটরসাইকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার কাজে থাকা ব্যক্তিগন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লকডাউন অমান্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র এলাকায় আনন্দ করতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এর মধ্যে মটরসাইকেল আরোহী চার জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন মো. হারুন মিয়া (১৭), পলাশ মিয়া (১৭), আবদুল কাদির (১৮) ও তাজুল ইসলাম (১৭)। এ ছাড়া অন্যান্যের বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিক ও দুর্গাপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লকডাউনে কঠোর আইন না থাকায় ও সচেতনতার অভাবে এ দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে মিনি পিকাপে করে পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসা যুবকগন স্বাস্থ্যবিধি ও মাক্স পরিধান না করায় উপজেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পাশাপাশি মাক্স প্রদান করা হয়। এ নিয়ে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে এ সকল দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে আসা মাত্রই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহে প্রেরণ শেষে অন্যান্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




মহারাষ্ট্রে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠালো কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

ডিএনবি নিউজ:

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠিয়েছে কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকন হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের কাছে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো ত্রাণ সংস্থাকে দিয়ে দেয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব যখন একেবারেই কম ছিল, ওই সময় কম দামে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

তবে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ব্যাপক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে অক্সিজেনের দাম।

জানা গেছে, আগে যেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম ছিল তিন হাজার আট শ থেকে চার হাজার পাঁচ শ রুপির মধ্যে, বর্তমানে সেসবের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার রুপি। কিন্তু কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল, তারা বর্তমানে এসেও চার হাজার দুই শ থেকে চার হাজার চার শ রুপি দরে এসব বিক্রি করে দেন।