দেশে পৌঁছেছে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা

প্রথমে শনিবার রাত পৌনে বারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ এবং পরে রাত তিনটায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুটি ফ্লাইটে ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সব মিলিয়ে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫১ লাখ ডোজ টিকা এল।”

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন। গত ৩ জুলাই রাতে সিনোফার্মের টিকার ১০ লাখ এবং পরদিন সকালে আরও ১০ লাখ ডোজ আসে।

ওই চালান আসার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এগুলো ‘কেনা টিকার অংশ’। তবে ১৪ জুলাই সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওই ২০ লাখ ডোজও চীন উপহার হিসেবে দিয়েছে।

“আগে চুক্তি হয়েছিল ১৫ মিলিয়নের। এর মধ্যে ২ মিলিয়ন যেগুলো দিয়েছে সেগুলো উপহার হিসাবে দিয়েছে। এখন যেহেতু দুই মিলিয়ন উপহার দিয়েছে, তাই আরও দুই মিলিয়ন যোগ করে আবার ১৫ মিলিয়ন দিচ্ছে। সেটা হবে আগের মূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্য,” বলেছিলেন তিনি। চুক্তি হওয়ার আগেও দুদফায় উপহার হিসেবে চীন থেকে একই টিকার ১১ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা কেনার পর সিনোফার্ম হল দ্বিতীয় কোম্পানি, যাদের কাছ থেকে কোভিড টিকা কিনছে বাংলাদেশ।




দুর্গাপুরে ৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা রিকসাচালক তারা মিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চলমান লকডাউনে কর্মহীন ৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত রিক্সাচালক তারা মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে এই সহায়তা সামগ্রী বিতরন করা হয়। সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল ডাল, আলু, তেল পেঁয়াজ ও লবন।

খাদ্য বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক রাজেশ গৌড়, পথ পাঠাগার সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার প্রমুখ। তারা মিয়া দীর্ঘ ৭ বছর যাবত তার রিক্সা চালানোর উপার্জিত টাকা থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন সহ অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।




দুর্গাপুরে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ এর (চাল) এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় জিআর (খাদ্যশস্য) বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮১জন এবং জিআর- ১ হাজার ব্যাক্তির মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে পৌরসভা চত্ত¡রে বুধবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাল বিতরণ কার্যক্রম‘র উদ্বোধন করেন, মেয়র মোঃ আলা উদ্দিন আলাল। অন্যদের মধ্যে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, প্যানেল মেয়র মোঃ মশিউর রহমান বাদল, সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, স্থানীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, পৌর কাউন্সিলরগণ সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




লকডাউন: নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩২০০ কোটি টাকা

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় গতবারের মত এবারও লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হচ্ছে সরকারকে।

এপ্রিলে এক দফা লকডাউন চলার পর গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবারও আগের মত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

সংক্রমণ এড়াতে এই বিধিনিষেধের মধ্যে যানবাহন এবং জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, যাদের প্রতিনিদের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তাছাড়া মহামারী শুরুর পর গত ষোল মাসের মধ্যে অর্ধেক সময় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।

১. নিম্ন আয়ের ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষ এই প্যাকেজের আওতায় নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। সেজন্য বরাদ্দ থাকছে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। উপকারভোগীদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন।

২. শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ২৫ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আওতায় দেওয়া হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা। সেজন্য এ প্যাকেজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

৩. জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু আছে, তা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

8. গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য সুদের হার আগের মতই ৪ শতাংশ হবে।

৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

#এসআই




দুর্গাপুরে এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবার উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘‘এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশন’’ এর উদ্যেগে করোনা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান।

এই সংগঠনকে নিজ অর্থায়নে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেন জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক। এছাড়া সিলিন্ডার কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন রিক্সাচালক মোঃ তারা মিয়া, সংগঠনের সেচ্ছাসেবকদের করোনা কালীন সময়ে মাঠে কাজ করার জন্য ১০টি পিপিই প্রদান করেন তামিম টেলিকমের স্বত্বাধীকারী মো তাকদির হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, একাডেমিক সুপারমভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক একে এম ইয়াহিয়া, বিকাশ চন্দ্র সাহা,,তাকদির হোসাইন, পথ পাঠাগার‘র সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার প্রমুখ।




দুর্গাপুরে তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে করোনা প্রেক্ষাপটে কর্মহীন হয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাক্স বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




১৫ জুলাই থেকে ‌২৩ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সব’ চালু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করল সরকার। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল থাকছে। তবে এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সময়ে গণপরিবহন চালু থাকবে। দূরপাল্লার গণপরিবহণ, ট্রেন, নেৌপরিবহন চালু থাকবে। মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এর অর্থ দাঁড়াল, এই সময়ে সবকিছুই চলতে পারবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আজকের আদেশে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

তাতে এখনকার বিধিনিষেধের মতোই সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ সব যানবাহন বন্ধ এবং শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। আর এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্প কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে কলকারখানা খোলা রয়েছে।

গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় সরকার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রা বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এ জন্য তখন দূরপাল্লার পথে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, হাজার হাজার মানুষ কড়াকড়ি উপেক্ষা করে বাড়ির অভিমুখে রওনা হন। তাতে পথেঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফেরিঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে খরচও বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পযর্ন্ত ৮ দিন লকডাউন শিথিল থাকছে।




দুর্গাপুর হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও দুর্গাপুর পৌরসভা। সোমবার দুপুরে প্রয়োজনীয় এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল কম থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। চলমান এই সংকট কাটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএ ডাঃ মামুনুর রহমানের কাছে সার্জিক্যাল মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার, অক্সিমিটার সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হাসপাতালের করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ইউএনও ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রহমান, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমূখ।




করোনা আতঙ্কে দিন কাটছে দুর্গাপুর উপজেলাবাসীদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ২টি ইউনিয়ন সহ দুর্গাপুর পৌর শহরে বসবাসকারীদের করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর ও সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। রোগীরা উপজেলা সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসার জন্য ভিড় করছেন। রোববার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

এ নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ এবং নানা ভাবে শ্রমের কাজ করতে যায়। দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে ব্যাপক করোনা আক্রান্তের রোগি থাকায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই গোপালপুর, ভবানীপুর, দাহাপাড়া, তিনআলী, লক্ষিপুর গ্রামের আদিবাসীরা কাজ করার জন্য বেরোতে হয় প্রতিনিয়ত।

সীমান্তবর্তী ভবানীপুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ আবু আলম বলেন, সীমান্তে অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকগণ বা কোন প্রকার চোরা-কারবারি আমাদের চোখ ফাকি দিয়ে আসা-যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।

দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম বলেন, দৈনিক শতাধিক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছেন জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে। আমাদের মেডিকেল অফিসারগণ ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এলাকায় নতুন করে প্রায় প্রতিদিনই করোনা পজেটিভ দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে একাবাসী। ইতোমধ্যে আমাদের দুজন স্টাফ সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও সরকারি নির্দেশনা মেনে যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, অত্র উপজেলায় নতুন করে করোনা প্রকোপ দেখা দেয়ায় আজ থেকে সচেতনতামুলক মাইকিং ও মাক্স বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে শহরের সকল দোকানপাট সন্ধ্যা ৭ঘটিকা পর্যন্ত এবং সীমান্তবতী সকল দোকান ও চলাচল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে খাদ্য পৌছে দিলেন ইউএনও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৩৩৩’ এ কল করে খাদ্যসহায়তা পেলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষদের মানবিক সহায়তা হিসেবে তাদের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

ইউএনও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী করোনার প্রভাবে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের অনলাইনে আরো আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত কর্মহীনদের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। আমাদের ’৩৩৩’ হটলাইনে যারা ফোন করেছিলেন তাদের তথ্য যাচাই-বাচাই করে ইতোমধ্যে ২শত পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। ‘‘মানুষ মানুষে জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এর চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। আজ আরো ৫০টি অসহায় পরিবাবের হাতে খাবার দিতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রমুখ। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।