করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত দুর্গাপুর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে করোনা প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সকল বিভাগ করোনা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ১১ এপ্রিল রোববার স্থানীয় সাংবাদিকদের এক সাক্ষাতে এ কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মামুনুর রহমান।
কোভিড ১৯ এর বিষয় নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় কয়েজজন কোভিড এ আক্রান্ত হওয়ার পর জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালকে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলার লক্ষে উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে ৫০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা ভাবে উন্নতমানের ১০টি বেড ও প্রয়োজনী ইনস্টুমেন্ট প্রস্তত রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্থানান্তরিত করা, টীকা দান, নমুনা সনাক্ত করণ সহ যাবতীয় কাজের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্সগন সমন্নয়ে গুর্ণায়মান একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ কাজ করতে প্রস্তত রয়েছেন ঐ টিম। এ ছাড়া টীকাদান সহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন ডাঃ মো. মামুনুর রহমান। এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার(ভার:)) ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হানসহ অন্যান্য মেডিকেল অফিসারহন উপন্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে স্যার হ্যানিম্যানের ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হোমিওপ্যাথির জনক ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পৌরশহরের বিসমিল্লাহ হোমিও সেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহঃসভাপতি ডাঃ তাপস চন্দ্র পন্ডিত এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর উদ্ভাবন এবং বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে হোমিও চিকিৎসার সাফল্য নিয়ে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, ডাঃ বিজন কিশোর রায়, ডাঃ সায়েদুর রহমান, শিক্ষানবিশ ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, ডা. আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক এইচ.এম. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একমাত্র ধ্যান ও তপস্যার মধ্য দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় রোগমুক্তির লক্ষে চিকিৎসা জগতে নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। আমরা তার কাছে চিরঋনী। হোমিও চিকিৎসার নির্দেশনা গুলো আমাদের কর্মের মাঝে বেঁচে থাকলেই স্যার বেঁচে থাকবেন। হোমিও চিকিৎসায় নানা রোগের সমাধান রয়েছে। সকলকে হোমিও সেবার নানা তথ্য উদঘাটনে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।




মেখল মাদরাসার পরিচালক আল্লামা নোমান ফয়জী আর নেই

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রামের জামিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ মেখল মাদরাসার পরিচালক আল্লামা নোমান ফয়জী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ সোমবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি আল্লামা নোমান ফয়জীর ছেলে মাওলানা জাকারিয়া ফয়জী নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল রোববার (২১ মার্চ) রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো তাকে। হাই ডায়াবেটিস ও পেশাবের রাস্তায় ইনফেকশন দেখা দিয়েছিলো তার। উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালের ডা. হায়দার আলীর পরামর্শে চিকিৎধীন ছিলেন তিনি। এরপর আজ ইন্তেকাল করলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এ উপদেষ্টা আল্লামা নোমান ফয়জী।

এদিকে দেশবাসীর কাছে আল্লামা নোমান ফয়জীর ছেলে মাওলানা জাকারিয়া ফয়জী বাবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।




কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ৯ প্রবাসী ছয় ঘণ্টা পর ফিরে এলেন

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ফের হোটেলে এসেছেন যুক্তরাজ্য ফেরত একই পরিবারের ৯ সদস্য। রোববার বেলা ২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত আটটায় ফিরে আসেন তারা।হোটেল অবস্থানরত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে গত ১৮ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল ওঠেন তারা। আগামী ২৬ মার্চ কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের হোটেল ছাড়ার কথা। তাদের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। এদিন ওই হোটেলে ৩৫ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে যান।

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর ফেরত আসা প্রবাসীরা হলেন আবদুল মালিক, রুনা আক্তার, তামিমা আক্তার, তায়্যিবা আক্তার, রুবাবা আক্তার , রাহিমা বোগম, রাদিয়া আক্তার, সায়মা বেগম ও এম তাহমিদ চৌধুরী। তারা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

হোটেল ব্রিটানিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার কাওসার খান বলেন, ১৮ মার্চ একই পরিবারের ওই নয় সদস্য হোটেলের ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। প্রতিদিন দুইবার কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের চেক করা হয়। রোববার সকালে চেক করার সময় তারা হোটেলে ছিলেন। দুপুরে ফের তাদের চেক করতে গেলে ওই পরিবারের ৯ সদস্যের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে তাদের দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা জানান একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে তারা বাড়িতে চলে গেছেন। পরে ফোন দেয়া হলে তারা এক ঘণ্টার মধ্যে আসছেন বলে জানান। পরে অসংখ্যবার যোগাযোগ করে রাত আটটার দিকে তারা হোটেলে আসেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমশিনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, রাত আটর দিকে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়া একই পরিবারের ৯ সদস্য হোটেলে ফিরে এসেছেন। কি কারণে তারা পালিয়ে গেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেন, ওই হোটেলে আমাদের একজন এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কিভাবে তারা পালিয়ে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




বেশি উপকার পেতে কিশমিশ খান

আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। এতে থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, খনিজ, আঁশ, ভিটামিন ও শর্করা যা শরীর সুস্থ রাখতে, হজম শক্তি ও লৌহের মাত্রা বাড়াতে এবং হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। খালি বা বিভিন্ন খাবারের উপাদান হিসেবে মিশিয়ে খাওয়া হয় কিশমিশ। তবে সারা-রাত ভিজিয়ে রেখে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা বেশি।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে:

কিশমিশ প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ এবং শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা ছাড়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এভাবে এটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

রক্ত স্বল্পতার সমাধান:

কিশমিশ নানান রকম শক্তিশালী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এটা প্রচুর পরিমাণে লৌহ ও ভিটামিন বি-কম্পলেক্স সমৃদ্ধ যা রক্তস্বল্পতা প্রতিকারে সাহায্য করে। এতে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণার পরিমাণ বাড়ায়।




শুধু পানি পান করেই আপনি থাকবেন সুস্থ ও তরতাজা

আপনি কি জানেন শুধুমাত্র নিয়মমাফিক পানি খেলেই আপনার অর্ধেক রোগ সমাধান হয়ে যাবে। শুধু পানি পান করেই আপনি থাকবেন সুস্থ ও তরতাজা। তবে অনেকেই জানেন না কখন পানি খাবেন আর কখন খাবেন না। চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। আমরা অনেকেই জানি, খালিপেটে একগ্লাস পানি পান করলেই বোধ হয় মিটে গেল। না, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। এখন জেনে রাখুন, শুধু খালি পেটেই নয়, ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। মানে, ব্রাশ করার আগেই খান পানি খেতে হবে। এতে করে উপকারিতাও অনেক বেশি। এটা যদি অভ্যেস করতে পারেন, তাহলে অনেক রোগ আপনার কাছে ঘেষতে পারবে না। প্রথমে একসাথে বেশি পানি খেতে না পারলে আস্তে আস্তে অভ্যেস করুন। ১-২ গ্লাস থেকে শুরু করে ৪-৫ গ্লাস পানি খাওয়া শুরু করুন। এতে শরীরের পেশি ভাল থাকবে, শরীরে নতুন কোষ তৈরি হবে। মেটাবলিজম রেটও বাড়বে শতকরা ২৪ ভাগ। আর পানি পানে আপনার রক্ত পরিষ্কার হবে। সব মিলিয়ে আপনি সারদিন ধরে তরতাজা থাকবেন। তবে রাতে যথাসম্ভব পানি খুব বেশি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে ঘুমাতে যাওয়ার পর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে।




খিলগাঁওয়ে লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তেলের ট্যাংক লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাফিউল ইসলাম (নাফিজ) নামের ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয় ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত নাফিজের ভাই শুভ জানান, মোটরসাইকেলের তেল নিতে নাফিজকে নিয়ে সাজ্জাদ খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন তেলের পাম্পে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পাম্পের সামনে একটি তেলের ট্রাংক লড়ি ঘোরানোর সময় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনই ছিটকে পড়ে যায়। সাজ্জাদ কিছুটা আঘাত পেলেও নাফিজ গুরুতর আহত হয়। দ্রুত নাফিজকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায়। নাফিজ এস এম কবীর উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে, ৭/২ দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় থাকতেন । দুই ভাইয়ের মধ্যে নাফিজ ছোট। সে বনশ্রী মডেল হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

সবার সুরক্ষার জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যানসার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও এখন সবাই আগ্রহভরে টিকা নিচ্ছে। আমরা তিন কোটি ডোজ টিকা কিনে রেখেছি।  এছাড়া ভারত ২০ লাখ ডোজ দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশও দিতে চাচ্ছে আমরা সবগুলো নেব, যাতে আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য এই টিকার ব্যবস্থা করতে পারি।

যখন রিসার্চ চলছিল তখন টিকা পেতে সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর উদ্দেশ‌্য ছিল যাতে শুরুতেই আমরা টিকা পেতে পারি।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হাত পরিস্কার রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

মেডিক্যাল গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ক্যানসার এমন একটা রোগ, আজকে এমন তার প্রার্দুভাব হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য তার যে প্রকৃত ডায়াগনোসিস করা বা সেভাবে আমাদেশের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ুর সঙ্গে এই ক্যানসার কিভাবে বিস্তার লাভ করে তার ওপর রিসার্স করা বা এটার চিকিৎসা করবার জন্য যে রিসার্স দরকার সেটা খুব কম আমাদের দেশে হয়।

বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে নার্সদের শুধু ডিপ্লোমা নার্সিং ছিল, গ্রাজ্যুয়েশন ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, মেডিক্যাল কলেজ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।  উন্নত মানের হাসপাতাল করে দিচ্ছি। ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যেন আমাদের দেশের মানুষ অন্তত এই চিকিৎসাটা পায়, তার ব্যবস্থা করেছি।

নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপেরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা প্রমুখ।