করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




মহারাষ্ট্রে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠালো কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

ডিএনবি নিউজ:

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠিয়েছে কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকন হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের কাছে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো ত্রাণ সংস্থাকে দিয়ে দেয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব যখন একেবারেই কম ছিল, ওই সময় কম দামে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

তবে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ব্যাপক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে অক্সিজেনের দাম।

জানা গেছে, আগে যেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম ছিল তিন হাজার আট শ থেকে চার হাজার পাঁচ শ রুপির মধ্যে, বর্তমানে সেসবের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার রুপি। কিন্তু কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল, তারা বর্তমানে এসেও চার হাজার দুই শ থেকে চার হাজার চার শ রুপি দরে এসব বিক্রি করে দেন।




মসজিদকে আইসোলেশন সেন্টারে বানিয়ে নজির স্থাপন করলো গুজরাটের মুসলমানরা

ডিএনবি ডিএনবি:

ভারতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মুসলমানরা। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি শহরের বড় মসজিদকে রূপান্তর করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে। বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ ট্রাস্টি বোর্ডের। সেখানে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সব ধর্মের মানুষ।

করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসাব্যবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।

ভারতের গুজরাটের পুন এলাকার এ মসজিদের ট্রাস্টি ইরাফান শেখ বলেন, আমরা মসজিদকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছি। এ মুহূর্তে ৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। সেই জায়গা রয়েছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।




বাংলাদেশে আবারো করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৮৩ জনের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তে বা মৃত্যুতে প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮২২ জনে।

এই সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। আর এখন পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার ( ১১ এপ্রিল) দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮ জন। আর এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮১৯ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।




রমজানে জুমা ও তারাবির বিষয়ে নির্দেশনা দিবে ধর্ম মন্ত্রণালয়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন পবিত্র রমজানে জুমা ও তারাবি নামাজের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে যে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

এর আগে, সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ পরিস্থিতিতে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজসহ আসন্ন রমজানে তারাবি নামাজ আদায়ে বিশেষ সতর্কতা ও নির্দেশনা জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েতের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে ও পরে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার সভা ও সমাবেশ করা যাবে না। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ আদায় করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা করতে হবে।

পরবর্তীতে বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২৯ মার্চ তারিখের প্রজ্ঞাপন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৪ এপ্রিলের নির্দেশনা মোতাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৫ এপ্রিল জারি করা সব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়।

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই নির্দেশনায়।




করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত দুর্গাপুর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে করোনা প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সকল বিভাগ করোনা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ১১ এপ্রিল রোববার স্থানীয় সাংবাদিকদের এক সাক্ষাতে এ কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মামুনুর রহমান।
কোভিড ১৯ এর বিষয় নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় কয়েজজন কোভিড এ আক্রান্ত হওয়ার পর জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালকে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলার লক্ষে উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে ৫০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা ভাবে উন্নতমানের ১০টি বেড ও প্রয়োজনী ইনস্টুমেন্ট প্রস্তত রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্থানান্তরিত করা, টীকা দান, নমুনা সনাক্ত করণ সহ যাবতীয় কাজের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্সগন সমন্নয়ে গুর্ণায়মান একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ কাজ করতে প্রস্তত রয়েছেন ঐ টিম। এ ছাড়া টীকাদান সহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন ডাঃ মো. মামুনুর রহমান। এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার(ভার:)) ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হানসহ অন্যান্য মেডিকেল অফিসারহন উপন্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে স্যার হ্যানিম্যানের ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হোমিওপ্যাথির জনক ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পৌরশহরের বিসমিল্লাহ হোমিও সেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহঃসভাপতি ডাঃ তাপস চন্দ্র পন্ডিত এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর উদ্ভাবন এবং বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে হোমিও চিকিৎসার সাফল্য নিয়ে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, ডাঃ বিজন কিশোর রায়, ডাঃ সায়েদুর রহমান, শিক্ষানবিশ ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, ডা. আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক এইচ.এম. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একমাত্র ধ্যান ও তপস্যার মধ্য দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় রোগমুক্তির লক্ষে চিকিৎসা জগতে নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। আমরা তার কাছে চিরঋনী। হোমিও চিকিৎসার নির্দেশনা গুলো আমাদের কর্মের মাঝে বেঁচে থাকলেই স্যার বেঁচে থাকবেন। হোমিও চিকিৎসায় নানা রোগের সমাধান রয়েছে। সকলকে হোমিও সেবার নানা তথ্য উদঘাটনে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।




মেখল মাদরাসার পরিচালক আল্লামা নোমান ফয়জী আর নেই

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রামের জামিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ মেখল মাদরাসার পরিচালক আল্লামা নোমান ফয়জী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ সোমবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি আল্লামা নোমান ফয়জীর ছেলে মাওলানা জাকারিয়া ফয়জী নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল রোববার (২১ মার্চ) রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো তাকে। হাই ডায়াবেটিস ও পেশাবের রাস্তায় ইনফেকশন দেখা দিয়েছিলো তার। উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালের ডা. হায়দার আলীর পরামর্শে চিকিৎধীন ছিলেন তিনি। এরপর আজ ইন্তেকাল করলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এ উপদেষ্টা আল্লামা নোমান ফয়জী।

এদিকে দেশবাসীর কাছে আল্লামা নোমান ফয়জীর ছেলে মাওলানা জাকারিয়া ফয়জী বাবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।




কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ৯ প্রবাসী ছয় ঘণ্টা পর ফিরে এলেন

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ফের হোটেলে এসেছেন যুক্তরাজ্য ফেরত একই পরিবারের ৯ সদস্য। রোববার বেলা ২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত আটটায় ফিরে আসেন তারা।হোটেল অবস্থানরত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে গত ১৮ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল ওঠেন তারা। আগামী ২৬ মার্চ কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের হোটেল ছাড়ার কথা। তাদের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। এদিন ওই হোটেলে ৩৫ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে যান।

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর ফেরত আসা প্রবাসীরা হলেন আবদুল মালিক, রুনা আক্তার, তামিমা আক্তার, তায়্যিবা আক্তার, রুবাবা আক্তার , রাহিমা বোগম, রাদিয়া আক্তার, সায়মা বেগম ও এম তাহমিদ চৌধুরী। তারা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

হোটেল ব্রিটানিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার কাওসার খান বলেন, ১৮ মার্চ একই পরিবারের ওই নয় সদস্য হোটেলের ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। প্রতিদিন দুইবার কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের চেক করা হয়। রোববার সকালে চেক করার সময় তারা হোটেলে ছিলেন। দুপুরে ফের তাদের চেক করতে গেলে ওই পরিবারের ৯ সদস্যের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে তাদের দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা জানান একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে তারা বাড়িতে চলে গেছেন। পরে ফোন দেয়া হলে তারা এক ঘণ্টার মধ্যে আসছেন বলে জানান। পরে অসংখ্যবার যোগাযোগ করে রাত আটটার দিকে তারা হোটেলে আসেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমশিনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, রাত আটর দিকে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়া একই পরিবারের ৯ সদস্য হোটেলে ফিরে এসেছেন। কি কারণে তারা পালিয়ে গেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেন, ওই হোটেলে আমাদের একজন এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কিভাবে তারা পালিয়ে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




বেশি উপকার পেতে কিশমিশ খান

আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। এতে থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, খনিজ, আঁশ, ভিটামিন ও শর্করা যা শরীর সুস্থ রাখতে, হজম শক্তি ও লৌহের মাত্রা বাড়াতে এবং হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। খালি বা বিভিন্ন খাবারের উপাদান হিসেবে মিশিয়ে খাওয়া হয় কিশমিশ। তবে সারা-রাত ভিজিয়ে রেখে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা বেশি।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে:

কিশমিশ প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ এবং শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা ছাড়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এভাবে এটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

রক্ত স্বল্পতার সমাধান:

কিশমিশ নানান রকম শক্তিশালী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এটা প্রচুর পরিমাণে লৌহ ও ভিটামিন বি-কম্পলেক্স সমৃদ্ধ যা রক্তস্বল্পতা প্রতিকারে সাহায্য করে। এতে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণার পরিমাণ বাড়ায়।