সারাদেশে আরও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গায় রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮.২ এবং সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ সোমবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সারা দেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।




তাপদাহ: হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তীব্র গরমের কারণে অসুস্থ হওয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোতে খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য রোগে আক্রান্তদের ভর্তি না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্যালাইন ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বাচ্চা ও বয়স্করা প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তবে হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না।’




দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের গালাগালি ও দেখে নেওয়ার হুমকি চিকিৎসকের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রানী ধর নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার ( ২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী ও স্বজনের সাথে খারাপ আচরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর। এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিড়ে ফেলেন ওই ডাক্তার।

রোগীর স্বজন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে সাত মাসের অন্তসত্তা স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার জয়ন্তী রানীর কাছে যান দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার। সেসময় ডাক্তার দূর থেকে রোগী দেখার সময় রোগীর স্বজনরা কাছ থেকে রোগী দেখার কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হন ডাক্তার জয়ন্তী রানী। একপর্যায়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য হন স্বজনরা। তাৎক্ষণিক স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক তার চেম্বারে প্রবেশ করতেই রীতিমতো তিনি চিৎকার- চেঁচামেচি শুরু করেন।

এ সময় তার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক বলেও সাংবাদিকদের রীতিমতো ভয় দেখাতে শুরু করেন। তাছাড়াও তার স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি বলেও সাংবাদিকদের হুমকি দেন। শুধু তাই নই একপর্যায়ে সাংবাদিকদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর তার ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে সাংবাদিকদের সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। তিনি চেম্বারে বসেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন “যান বাল ছিঁড়েন যাইয়া আমার, দেখি কি করতে পারেন” সব সাংবাদিকদের আমার চেনা আছে। ডাক্তার জয়ন্তী রানীকে আপনারা চিনেন নি আমি তিন মাস থেকেই ময়মনসিংহ থেকে চলে গেছি। যা আর কেউ পারেনি। আপনারা আমার চেম্বারে আসার সাহস পেয়েছেন কোথায় থেকে। এখনি বের হযে যান। নইতো আমি এখনই ডিইজিকে ফোন দিচ্ছি। ”

দীর্ঘদিন আগে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে থাকলেও বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। প্রতি শুক্রবার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখেন। প্রতিজনে তিনি ভিজিট নেন হাজার টাকা। দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেনো গেল ৯ বছর ধরেই ছুটির দিনগুলোতে শুধু দুর্গাপুরে তিনি রোগী দেখেন। পাশাপাশি আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত সিজারও করেন তিনি। কারণ দুর্গাপুর তার কাছে যেন আলাদিনের চেরাগ।

স্থানীয়দের কাছে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর অন্তঃসত্তা নারীদের জন্য রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম। নিয়মিতই রোগীদের সাথে অশালীনভাবে গালমন্দ ও আচরণ যেন তার প্রতিমুহূর্তের চিত্র। অভিযোগ রয়েছে নানা সময় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছেন তিনি। সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে রোগী ও নবজাতক হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।

২০২২ সালের ১২ আগষ্ট শুক্রবার সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রাণী ধর নামে। এর পর তিনি টাকার বিনিময়ে তা মিমাংশা করেন। ওই ঘটনার নিহত প্রসূতির চম্পা আক্তার উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ফুরকান মিয়ার স্ত্রী। এছাড়াও এই রকম অভিযোগ উঠে অহরহই।

এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি জানান, ভালো কোন গাইনি চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়ে অন্তঃসত্ত¡া নারীরা তার কাছে যান। তবে তার ক্ষমতার ভয়ে রোগীর কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পান না।

এ নিয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার জয়ন্তী রাণী ধর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি উত্তেজিত হয়ে এরকম আচরণ করেছেন। এ জন্য তিনি দুঃখিত।




ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ২০২৬ সাল থেকে……

দেশের ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। কারণ ওই সময় উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। এজন্য এখনই সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ। যার বাজার মূল্য প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সমিতির নেতারা বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দামের বিষয়ে ওষুধ শিল্প সমিতি জানায়, ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি, তবে বেশ কিছু ওষুধের দামে সমন্বয় করা হয়েছে।

ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির জানান, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ২০২৬ সাল থেকে দেশের ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে- এ বিষয়টি তার কাছে অজানা ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে ওষুধের দাম সহজলভ্য করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।




আমি তুমার লাগি দোয়া করবাম মায়া,আল্লাহ যাতে তুমারে জানে-মালে ভালা রাহে”

আল নোমান শান্ত

“আমি তুমার লাগি দোয়া করবাম মায়া,আল্লাহ যাতে তুমারে জানে-মালে হগলবায় ভালা রাহে” এইভাবেই কান্না বিজড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলছিলেন অসহায় বৃদ্ধা মোছাঃ হালিশজান বেগম (৭০)।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মেলাডহর গ্রামের বাসিন্দা হালিশজান বেগমের মানবেতর জীবনযাপন ও অসহায়ত্তের কথা শুনে বিনামূল্য চিকিৎসা ও নিজ টাকায় ঔষধ কিনে দেওয়াসহ সকল চিকিৎসা ভার নেন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাকসুদা আক্তার রিমি। তাই এই খুশিতে টল টল চোখের পানি মাখা মুখে চিকিৎসক রিমির মাথায় হাত রেখে উপরের কথা গুলো বলছিলেন হালিশজান বেগম।
গতকাল বুধবার সন্ধায় ডাঃ মাকসুদা আক্তার রিমির ব্যক্তিগত চেম্বারে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। জানতে চাইলে হালিশজান বেগম বলেন, দীর্ঘ সময় যাবত ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। তবে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই কষ্ট করেই বেঁচে থাকতে হচ্ছে। তবে এবার এলাকাবাসীর সাহায্যে ডাঃ রিমির কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে কষ্টে জীবনযাপনের কথা শুনে সব চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ডাঃ রিমি।
হালিশজান বেগম জানান,স্বামী মারা গেছেন প্রায় ৪০ বছর আগে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে ছিল তার ছোট্ট সংসার। প্রায় ১০ বছর আগে প্রতিপক্ষের হাতে মারা যায় বড় ছেলে। ছোট ছেলে হয়ে পড়ে অসুস্থ। এরপর থেকেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। আপনজন বলতে কেউ নেই। বলতে গেলে আছে শুধু এলাকাবাসী। বর্তমানে অন্যের বাড়িতে থাকেন। আশপাশের মানুষের দেওয়া খাবারেই কোনোরকম বেঁচে আছেন। তবে এখন বয়সের সঙ্গে শরীরেও বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ। যেখানে তিনবেলা খাবার মেলেনা সেখানে চিকিৎসা পাওয়া ছিল শুধুই স্বপ্ন।
অসহায় ও হতদরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে ভিজিট কম রাখেন কখনও আবার একেবারেই রাখেন না এমন চিকিৎসকও আছেন। যাদেরকে বলা হয় মানবিক ডাক্তার। অনেকে তাদের গরিবের ডাক্তারও বলে থাকেন। এমনই একজন এক প্রচারবিমুখ গরিবের ডাক্তার নেত্রকোনার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাকসুদা আক্তার রিমি। তার ব্যক্তিগত চেম্বারে সামর্থ্যবানদের জন্য ৩০০ টাকা ভিজিট নির্ধারণ করা আছে। যদিও তার এখানে বেশির ভাগ রোগীই নিম্ন আয়ের। তাই ওই ফি কেবল সামর্থ্যবানদের জন্যই নির্ধারণ। প্রতিদিন আসা সামর্থ্যবান রোগীদের থেকে ভিজিট নিলেও প্রায়ই হতদরিদ্র রোগীদের ভিজিট ছাড়াই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন রিমি। এমনকি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষদের জন্য প্রতি বৃহস্পতিবারে বিনা পারিশ্রমিকে বিনামূল্যে ফ্রি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তিনি।
ডাঃ মাকসুদা আক্তার রিমি বলেন,হালিশজান বেগম আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে ওনার অসহায় জীবনযাপনে কথাগুলো শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে ওনি খুবই কষ্টে আছেন। আপনজন বলতে কেউ নেই। তাই আমি ওনার সব ঔষধ কেনাসহ সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন,আমি দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার অফিস টাইম শেষ করে যতটুকু সময় পাই আমার চেম্বারে রোগী দেখে থাকি। আর এর মাঝে সপ্তাহের প্রত্যেক বৃহস্পতিবার আমি ভিজিট ছাড়াই রোগী দেখি।
ডাঃ মাকসুদা আক্তার রিমি ২০১৮ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ৩৯ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখে সুনামগঞ্জ জেলার হাসান ফাতেমাপুর ইউনিয়ন সাব সেন্টারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। সেখানে সাফল্যের সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিয়ে পরবর্তীতে ২০২২ সালের মে মাসের ২৮ তারিখে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
ডাঃ রিমি মনে করেন,অর্থ উপার্জন করাই সফলতা নয়, বরং একজন অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে পারলেই আসল সার্থকতা।




লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যুতে ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিপক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা আছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৮ হাজার ও ক্লিনিক ৯ হাজার। এর বাইরে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখনও নিবন্ধিত হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের এডিজি ডা. আহমেদুল কবীর।




মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

dnb news

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ৫টি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চস্তরের বৈঠকে ভাষণদানকালে এ আহ্বান জানান।

ক্ষেত্রগুলো হলো-

১. শিশু, মা ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ও জলবায়ু স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা।

২. সবার জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্ত চালিত, ডাটানির্ভর স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা বিনিময় করা।

৩. আমাদের উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বীমা স্কিম বিকাশে সহায়তা করা।

৪. দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপসহ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

৫. জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবার সুযোগ নিশ্চিতকরণে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিক্যাল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে; কারণ বাংলাদেশ প্রতি এক লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যুহার ২৮-এ নেমে এসেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সর্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি ও পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতিগতভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’

জলবায়ু সংকট এড়াতে সৎ হতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারির বিষয়ে সৎ থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান : ত্বরান্বিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন ও আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।’

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএনজেতে স্বাক্ষর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ দুর্গাপুরে

dnb news :

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। কেবল ঢাকা থেকে আসা নই এখন ¯’ানীয়ভাবেও আক্রান্ত হ”েছন মানুষ। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ফলে রোগটির ভয়াবহতা ঝুঁকির দিকে এগো”েছ।

উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়,গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জন। তার মধ্যে ১৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সু¯’ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন। এরই মধ্যে শিশুসহ ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের বহি বিভাগের ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি বাসায় চিকিৎসা নি”েছন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালটিতে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনো কোনো রোগী মারা যায়নি।

এদিকে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই প্রায় ৮০ জনের উপরে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নি”েছন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ ওয়ার্ডেই আলাদা বেডে মশারি টানিয়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার বালিচান্দা গ্রাম থেকে আসা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত পারভীন আক্তার (৩০)। তার মা সালেহা বেগম জানান,গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। ¯’ানীয়ভাবে ঔষধে না কমলে হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানতে পরেন পারভীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আসা কিশোর মোশারফ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। এরপর গত শনিবার হাসপাতালে এসে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ডেঙ্গু আক্রান্ত জানতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ সজীব রায় কালের কন্ঠকে বলেন,৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা ওয়ার্ড খোলার জায়গা নেই। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে আলাদা বেডে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার প্রদানের। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন,সারাদেশেই এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অবশ্যই সচেতনতার বিকল্প নেই। নিজ নিজ উদ্যেগে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরি”ছন্ন থাকার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে সচেতন করা হ”েছ বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান কালের কন্ঠকে বলেন,ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইতিমধ্যে মিটিং করা হয়েছে। এডিস মশা প্রতিরোধে পৌরমেয়রসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের স্ব-স্ব এলাকা পরিস্কার-পরিছন্ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মশা নিধক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করা হ”েছ বলেও জানান তিনি।

আল নোমান শান্ত
০১ আগষ্ট ২০২৩




ঢাকার দুই সিটির ১১ এলাকা ‘রেডজোন’ ঘোষণা

dnb news :

রাজধানীতে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

যে ১১টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি এলাকা রয়েছে। এগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেই নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এর মতে, ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনও জরুরি অবস্থা জারি করার মতো হয়নি।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনও শুরু হয়নি। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ফ্লুয়েড ম্যানেজমেন্ট। সঠিক সময়ে এটা না হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।