দুর্গাপুরে পথ পাঠাগারের আয়োজনে মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

দুর্গাপুরে পথ পাঠাগারের আয়োজনে প্রথমবারের মতো মৌসুমী ফলের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (7 জুলাই) দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়।

এতে আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, পেঁপে, কলা,  লটকন সহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির  ফলের সমাহার ছিল। পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাশুল তালুকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তানজিরুল ইসলাম রায়হান, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল তালুকদার, দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, কবি লোকান্ত শাওন, কবি দুনিয়া মামুন সহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ । তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব ফলের সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এর  স্বাদ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে  উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত আমাদের এই ফল উৎসব। বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। এ দেশের মাটি অনেক উর্বর। এ দেশের মাটিতে কয়েকশ প্রজাতির মৌসুমী ফল উৎপাদন হয়। কিন্তু অনেক ফলের সাথেই আমাদের বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় নেই। এসব ফলের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই মূলত পথ পাঠাগারের এই আয়োজন। এদেশ ছয় ঋতুর দেশ, প্রায় সব মৌসুমেই বিভিন্ন প্রজাতীর ফল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের মতো এমন সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা দেশ বিশ্বের বুকে খুব বিরল। কেননা অন্যান্য দেশে দেখা যায়, অনেক শীত, অনেক বৃষ্টি, অথবা অনেক গরম। কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন সবুজ ও সতেজ দেশ দেখা যায় না বললেই চলে। এ দেশে মৌসুমী ফলের পাশাপাশি শীতকালে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়। এসব ফল ও সবজি কেবল সুস্বাদু নয়; বরং অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। এসব খেলে অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

সবাইকে খালি জায়গায় সুযোগ অনুযায়ী গাছ লাগানোর এবং বেশি বেশি করে দেশি ফল খাওয়ার আহ্বান জানান।




টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন কাঠমিস্ত্রী জামাল, দেশবাসীর কাছে চেয়েছেন সহায়তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের খুজিউড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী নুর জামাল এখন মৃত্যুর মুখোমুখি। সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে নানা সমস্যায়  ভোগছেন। তিনি ১ম স্ট্রোক করেন ২০১৮ সালে, তখন হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। ওইসময় টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

পরবর্তিতে চলতি বছরের জুন মাসে পুনরায় স্ট্রোক করলে হার্টে ৪টি ব্লক ধরা পরে। নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আজ মৃত্যুর প্রহর গুনছে নুর জামাল। চিকিৎসা করাতে করাতে পরিবারটি এখন সর্বশান্ত হয়ে মানবতের জীবন কাটাচ্ছে। মেধাবী তিন মেয়ে ও এক ছেলের পড়াশোনাও এখন স্থবির হয়ে আছে। টাকার জন্য মাস্টার্স শেষ বর্ষে ভর্তি করাতে পারছেনা না বড় মেয়েকে। ডাক্তার বলেছেন হার্টে রিং পড়াতে হবে। চিকিৎসার খরচে সহায়তা করতে দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন নুর জামাল এর পরিবার।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে যখন পুনরায় স্ট্রোক করেন, তখন প্রথমেই ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ডফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয় নুর জামাল কে। অসহায় নুর জামালের আর্থিক না সঙ্গতি থাকায় পুনরায় তাকে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। ডাক্তার বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাইপাস অথবা রিং পড়াতে না পাড়লে পরবর্তিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বড় মেয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। পরবর্তিতে অনার্সে ফাস্টক্লাশ পেয়েও টাকার অভাবে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারছেনা। এক মেয়ে ৯ম শ্রেনীতে রোল এক, আরেক মেয়ে ৭ম শ্রেনীতে রোল এক, ছেলে ৩য় শ্রেনীতে তার রোলও এক। মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া সত্বেও স্কুলের ক্রুটির কারণে মিলছে উপবৃত্তি। ভালো জামা-কাপড় কি তাও তারা জানে না। কোন রকেমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের সংসার।

নুর জামালের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না তার। গত ৬ বছর ধরে বুকের তীব্র ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ে এ বাড়ি-ও বাড়িতে কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে গেছে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালানোর জন্য। তীব্র ব্যাথা থাকলেও কাউকে বুঝতে দেয়নি নুর জামাল। নীরবে চোখের পানি ফেলে রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। মাঝে-মধ্যে তীব্র ব্যাথা উঠলে স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তারের সাথে কথা বলে একটু আদটু ঔষধ খেয়ে গেছে। তীব্র ব্যাথায় স্বাভাবিক চলাফেরাও করা ছিলো কষ্টকর। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪লক্ষ টাকা লাগবে বাইপাস অথবা রিং পড়াতে। নয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিভে যাবে নুর জামালের জীবন প্রদীপ।

নুর জামালের অনার্স পড়–য়া মেয়ে অশ্রুভেজা চোখে বলেন, আমার বাবা ছাড়া আমাদের সংসারে হাল ধরার মতো কেউ নেই। গত প্রায় দুই মাস ধরে হার্টের চিকিৎসা করাতে করাতে আমরা নিঃস্ব। ডাক্তার জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি বাইপাস বা হার্টে রিং না পড়ানো হয়, তাহলে বাবাকে বাঁচানো যাবে না। যার বাবা নাই একমাত্র সে জানে বাবা হারানোর ব্যাথা কি। বাবার অপারেশন করাতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

অসুস্থ্য নুর জামাল বলেন, কিভাবে যে কি হলো আমি জানি না। আমার মতো গরীব মানুষের শরীরে এতা বড় রোগ হানা দিবে বুঝতে পারিনি। শরীরের চিকিৎসা করতে গিয়ে সহায় সম্বল যা ছিলো সব বিক্রি করেছি। এখন আমি সম্পুর্ন নিরুপায়। হার্ডের সমস্যার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনাও করাতে পারছি না। আমি দেশের বৃত্তবানদের কাছে আমার চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা চাই। সহযোগীতার জন্য আমার মুঠোফোনে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। ০১৭৩৬৩৫৩৭২ (নুর জামাল)।




হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্ম, ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহায়তায় বাঁচল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাইবা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জন্মের পর থেকেই বুকের গভীরে বয়ে চলা নিঃশব্দ এক যন্ত্রণার নাম তাইবা। মাত্র দশ বছর বয়সেই হার্টে ছিদ্র নিয়ে লড়ছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। শেষ পর্যন্ত পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁর আর্থিক সহায়তায় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবনের দিশা পেল তাইবা।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হাটশিরা-শিবনগর গ্রামের মৃত ওয়াশ কুরুনির মেয়ে তাইবা। সে নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা নেই। মা মোমেনা খাতুন অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। এক বছর আগে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাইবা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার হৃদপিণ্ডে রয়েছে ছিদ্র, জন্মগত এক ত্রুটি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দেরি না করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হবে।

কিন্তু দরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে লাখ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ছিল। বহু চেষ্টা করেও কারো সহানুভূতি আর সহায়তায় কাঙ্ক্ষিত অর্থ জোটেনি। অবশেষে সহায়তা চাইতে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের দ্বারস্থ হন তাইবার মা। শুনে আর দেরি করেননি তিনি। চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন।

সোমবার ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হয় তাইবার অস্ত্রোপচার। সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেই জটিল প্রক্রিয়া। বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছে তাইবা।

এর আগে একই ধরনের জটিলতা নিয়ে জন্মানো তিন বছরের শিশু আব্দুল্লাহর চিকিৎসাও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে করিয়েছিলেন কায়সার কামাল। তাকেও সুস্থ করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের অসহায় মানুষের জন্য নিয়মিত হেল্থ ক্যাম্প করছি। সেখানে আসা শিশুরা যখন এই ধরনের জটিল রোগে ভোগে, তখন তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পারি না। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজ করছি। এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও চলবে।’

মানবিক এই উদ্যোগ নেত্রকোনার জনসাধারণের মধ্যে যেমন স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে, তেমনি কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত তাইবার পরিবার।




দুর্গাপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো যুবদল নেতা মেহেদী হাসান সাহস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের অসহায় সুলেমা খাতুনের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস।   শুক্রবার বিকেলে সুলেমা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারটিকে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন  মেহেদী হাসান সাহস৷

এ সময় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সহায়তার মাঝে ছিলো চাল, ডাল, মুরগী, মাছ,  তেল, আলু,  পেয়াজ,  বিস্কুট সহ আরো অনেক কিছু।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস বলেন, আমার নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দলীয় নেতাকর্মীদের  নির্দেশ দিয়েছে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে । এরই ধারাবাহিকতায় আমি যখন জানতে পারলাম সুলেমা খাতুন সাত সন্তান এবং অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  এজন্য আজ আমি নিজে  সুলেমা খাতুনের বাড়িতে  এসে  খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিলাম । এছাড়াও সুলেমা খাতুনের যেকেনো সমস্যায় আমি আমার সাধ্যমতো উনার পাশে থাকবো। আমার এ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।




দুর্গাপুরে অবাক কান্ড ! এক রিপোর্টে জটিল রোগ, অন্য রিপোর্টে কিছুই না

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তল পেটে অসুস্থতা অনুভব নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মধ্য বয়সী নারী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (৫০)। চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তার কঠিন রোগ। মুখোমুখি হয়েছেন কঠিন এক চ্যালেঞ্জের। গত ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাম, প্রসাব ও রক্ত পরীক্ষা করিয়ে জরায়ু পেশীর টিউমার শনাক্ত হয়। এমন খবরে হতাশায় ভেঙে পড়েন ফাতেমা ও তার পরিবার। ফাতেমা খাতুনের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে। ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী তিনি।

পরবর্তিতে তিনদিন পর ২৮ জানুয়ারি ফাতেমাকে নিয়ে ময়মনসিংহে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। সেখানে পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাম করালে সেখানকার পরীক্ষায় আসে স্বাভাবিক ফলাফল। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দুই পরিক্ষায় দুই রকম ফলাফল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এমনি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন গেইটের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেয়া ভুল রিপোর্টে অপচিকিৎসা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি তল পেটে অসুস্থতা নিয়ে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চেম্বারে গায়নী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জয়ন্তী রানী ধরের কাছে চিকিৎসা নিতে যান ফাতেমা খাতুন। সেসময় ওই চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাম, রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করতে দেন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম প্রস্তত করেন ডাঃ রকিবুল হাসান। তার দেওয়া রিপোর্টে রোগী ফাতেমার জরায়ু সৌম্য মসৃণ পেশীর টিউমার শনাক্ত হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধরের কাছে গেলে তিনি অপারেশনের মাধ্যমে রোগ মুক্তি লাভের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সেবন করার জন্য ব্যবস্থাপত্র দেন। পরে তারা জমি বন্ধক দিয়ে অন্য চিকিৎসক দেখানো জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ময়মনসিংহে আরেকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান ও দুর্গাপুরের রিপোর্টের কথা চিকিৎসকে বললে তিনি সন্দেহের বিষয়টি দূর করতে পূনরায় আলট্রাসনোগ্রাম করালে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। দুর্গাপুরের দেয়া রিপোর্টের সাথে কোন মিলই নাই ময়মনসিংহের রিপোর্টে। রোগীর শরীরে জরায়ু মুখের টিউমারের কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, দুর্গাপুরের দেয়া ভুল রিপোর্টে অপারেশন করালে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো ফাতেমা খাতুনের ।

ভুক্তভোগী রোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে আমার জরায়ু মুখে টিউমার হইছে শুনে মহা দুঃচিন্তায় পরেছিলাম। অপারেশন বহু টাকার প্রয়োজন। আমি বাড়িতে এসে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমার টিউমার হয়েছে তাই আর ওই ঔষধ খায়নি ময়মনসিংহ গিয়ে আবার ডাক্তার দেখালে আবারও আলট্রা করিয়ে নিশ্চিত হলাম টিউমার বলে কিছুই হয়নি। শুধু প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে। এরা কি ডাক্তার না কসাই ?

এদিকে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ভুলের বিষয়ে ডাঃ রকিবুল হাসান বলেন, রিপোর্ট গুলো আমার দেখতে হবে তা নাহলে কিছু বলা সম্ভব না। আমরা দুর্গাপুরের যে মেশিন গুলো দিয়ে আলট্রা করি এর চেয়েও ময়মনসিংহে দামী মেশিন পাওয়া যায় এবং উন্নত মানের মেশিন তাই আমাদের প্রায় এমন কনফিউশন হয় আমরা রোগীদেরকেও বলে থাকি উন্নতমানের মেশিনে আলট্রা করার জন্য। বিষয়টি আনকমন না স্বাভাবিক বিষয়ই বলে জানান তিনি। ডাঃ রকিবুল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এবং ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর ব্যবস্থাপত্র দেওয়া চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধর মুঠোফোনে বলেন, ডাক্তারের সব কিছু তো আপনারা জানেন না বা বুঝেনও না, আমি যেমন সাংবাদিকতার সব কিছু বুঝবো না, আমি আপনাকে যেটা বুঝাতে পারি ডাঃ রকিবুল যদি টিউমার পেয়ে থাকেও আমি এন্টিবায়োটিক ডোজ দিয়েছি তাতেও অনেক সময় টিউমার ভ্যানিশ অর্থাৎ ওটা মিশে গেছে হয়তো।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ডাঃ জয়ন্তী রানী ধর ও ডাঃ রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে বহু অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। অন্য দিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরীক্ষার মান ভালো না থাকায় ফ্যাসাদে পড়তে হয় রোগীদের। এমনকি পরীক্ষা নিরীক্ষার চার্জও বেশি নেওয়া হয়। এতে করে রোগীদের হয়রানিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় প্রতিনিয়ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ তানরিুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঘটনাটি এমনটি হলে খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমাদের হাসপাতালের না তাই এর দায় ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।




দুর্গাপুরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’ পণ্য কিনে হাসিমুখে ফিরছে ক্রেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চালু হয়েছে কৃষকের বাজার। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের কাঁচা বাজারে এই কৃষক বাজারের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

উদ্বোধনকালে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। যার কারণে নি¤œ আয়ের মানুষের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় বাজারে যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা কৃষকের বাজার চালু করেছি। এখন আমরা কৃষকদের আহবান জানাবো যেন তারা এখান থেকেই বিক্রি করেন এবং ক্রেতারা কেনেন। পাশাপাশি যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মনিটরিং করবে। আমরা পর্যায়ক্রমে এটি আরো ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা করেছি।

স্থানীয় কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য আমরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি এতেই আমরা খুশি। যারা কিনতে আসছেন তাঁরাও অনেক খুশি।

পণ্য কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুর যে দাম, তা কেনার ক্ষমতা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেকেরই সামর্থ্য নেই। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কৃষক বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে কিনতে পেরে খুবই খুশি।

উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুরুজ আলী, আব্দুল খালেক ও আবুল হাশেম বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে আমাদের বাজারে এসে আর বেশি কিছু ক্ষমতা নেই। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। আজকে উপজেলা প্রশাসন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র, শেখ সাব্বির, রেদোয়ান প্রমুখ।




দুর্গাপুরে প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে এডভোকেসী সভা

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে সচেতনতামূলক এ্যাডভোকেসী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

এ্যাডভোকেসী সভায় দুর্গাপুর ডিসি কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের এ্যানিমেটর সারেন তজুর সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শিলা রাণী দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাধারন সম্পাদক জামাল তালুকদার, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ হাসান, একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ডক্টর আব্দুর রাশিদ প্রমুখ। উক্ত সভায় ক্লাব ও নারী প্রতিবন্ধী ফোরামের প্রতিনিধিগণ আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে এক সু-চিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের একটি অংশ। সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীরাও দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারে। তাদেরকে সকল ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ কারিতাসকে ধন্যবাদ জানান।




সারাদেশে আরও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গায় রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮.২ এবং সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ সোমবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সারা দেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।




তাপদাহ: হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তীব্র গরমের কারণে অসুস্থ হওয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোতে খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য রোগে আক্রান্তদের ভর্তি না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্যালাইন ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বাচ্চা ও বয়স্করা প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তবে হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না।’




দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের গালাগালি ও দেখে নেওয়ার হুমকি চিকিৎসকের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রানী ধর নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার ( ২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী ও স্বজনের সাথে খারাপ আচরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর। এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিড়ে ফেলেন ওই ডাক্তার।

রোগীর স্বজন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে সাত মাসের অন্তসত্তা স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার জয়ন্তী রানীর কাছে যান দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার। সেসময় ডাক্তার দূর থেকে রোগী দেখার সময় রোগীর স্বজনরা কাছ থেকে রোগী দেখার কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হন ডাক্তার জয়ন্তী রানী। একপর্যায়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য হন স্বজনরা। তাৎক্ষণিক স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক তার চেম্বারে প্রবেশ করতেই রীতিমতো তিনি চিৎকার- চেঁচামেচি শুরু করেন।

এ সময় তার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক বলেও সাংবাদিকদের রীতিমতো ভয় দেখাতে শুরু করেন। তাছাড়াও তার স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি বলেও সাংবাদিকদের হুমকি দেন। শুধু তাই নই একপর্যায়ে সাংবাদিকদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর তার ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে সাংবাদিকদের সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। তিনি চেম্বারে বসেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন “যান বাল ছিঁড়েন যাইয়া আমার, দেখি কি করতে পারেন” সব সাংবাদিকদের আমার চেনা আছে। ডাক্তার জয়ন্তী রানীকে আপনারা চিনেন নি আমি তিন মাস থেকেই ময়মনসিংহ থেকে চলে গেছি। যা আর কেউ পারেনি। আপনারা আমার চেম্বারে আসার সাহস পেয়েছেন কোথায় থেকে। এখনি বের হযে যান। নইতো আমি এখনই ডিইজিকে ফোন দিচ্ছি। ”

দীর্ঘদিন আগে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে থাকলেও বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। প্রতি শুক্রবার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখেন। প্রতিজনে তিনি ভিজিট নেন হাজার টাকা। দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেনো গেল ৯ বছর ধরেই ছুটির দিনগুলোতে শুধু দুর্গাপুরে তিনি রোগী দেখেন। পাশাপাশি আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত সিজারও করেন তিনি। কারণ দুর্গাপুর তার কাছে যেন আলাদিনের চেরাগ।

স্থানীয়দের কাছে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর অন্তঃসত্তা নারীদের জন্য রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম। নিয়মিতই রোগীদের সাথে অশালীনভাবে গালমন্দ ও আচরণ যেন তার প্রতিমুহূর্তের চিত্র। অভিযোগ রয়েছে নানা সময় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছেন তিনি। সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে রোগী ও নবজাতক হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।

২০২২ সালের ১২ আগষ্ট শুক্রবার সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রাণী ধর নামে। এর পর তিনি টাকার বিনিময়ে তা মিমাংশা করেন। ওই ঘটনার নিহত প্রসূতির চম্পা আক্তার উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ফুরকান মিয়ার স্ত্রী। এছাড়াও এই রকম অভিযোগ উঠে অহরহই।

এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি জানান, ভালো কোন গাইনি চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়ে অন্তঃসত্ত¡া নারীরা তার কাছে যান। তবে তার ক্ষমতার ভয়ে রোগীর কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পান না।

এ নিয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার জয়ন্তী রাণী ধর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি উত্তেজিত হয়ে এরকম আচরণ করেছেন। এ জন্য তিনি দুঃখিত।