কিশোরগঞ্জে মাদক কারবারি আটক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে ৪শ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. বিপুল মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক মো. বিপুল মিয়া হোসেনপুর উপজেলার রানাগাঁও গ্রামের মো. আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

কমান্ডার এম শোভন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, একটি মাদক কারবারি চক্র মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করছে।

এই সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে হোসেনপুর উপজেলার নিমখালী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ এই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  বিপুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




৩ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ

পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট ও বেড় জালসহ ১০ মণ জাটকা জব্দ করেছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাবনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদী থেকে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডলের নির্দেশক্রমে এসব অবৈধ জাল কলাপাড়া হেলিপ্যাড মাঠে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসব জালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জ‌্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুন্নবী, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এস আই মাহমুদ হোসেন মোল্লা ও এএস আই কামরুল ইসলাম।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাহমুদ হোসেন মোল্লা জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে এসব মাছ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।




অমানবিক নির্যাতন: ভিডিও ভাইরালের পর অপহৃত যুবক উদ্ধার

পটুয়াখালীর মহিপুরে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। অপহৃত যুবক রায়হানকে (২২) ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলার লতাচাপলী স্লুইজগেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সকালে একটি ডিঙ্গি নৌকা ফাতরার বনে বালু আনতে যায়। এসময় বালুবাহী নৌকা দেখে রায়হান তাদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা রায়হানকে উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উদ্ধারের সময় রায়হানের হাত বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছেন নৌকার শ্রমিকরা।

ওসি আরও জানান, এ সংক্রান্ত এক মামলা করার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান উদ্ধার হলেন। মামলার ৯ আসামির মধ্যে দুইজনকে মদ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন‌্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ‌্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন যুবক রায়হান। পরে শুক্রবার সকালে রায়হানকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।




সুগন্ধা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠির নলছিটি থেকে রাসেদুল হক (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত সারে ৯টায় উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন নামক এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার।

রাসেদুল হক নরসিংদী জেলার রায়াপুরা উপজেলার মৃত. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বরিশাল ডিপোতে স্টোর কিপার পদে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি আবদুল হালিম তালুকদার জানায়, বিকেলে নদীর চরে অচেনা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে  রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।  রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি (তদন্ত) আরও জানান, মোবাইল ফোনের সিম চালু করে নিহত রাশেদুল হকের পরিচয় পাওয়া যায়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। গত  ২৪ জানুয়ারি নিখোঁজ হন রাশেদুল। বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এব্যাপারে নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

 




জাতিসংঘের কার্যক্রমে অধিক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান

বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত সমর্থনের কথা পূনর্ব্যক্ত করে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এই কার্যক্রম ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্যও অনুরোধ জানান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রিক্স ও অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সঙ্গে বৈঠককালে সেনাবাহিনী প্রধান এ আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণের পেশাগত জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ল্যাক্রিক্স। উল্লেখ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে।

এদিকে অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সাথে সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার বিকেলে। বৈঠককালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে তালিকাভূক্ত করার জন্য অতুল খারেকে ধন্যবাদ জানান সেনা প্রধান। শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বশীল ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান অতুল খারে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সফলতার সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহণে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌ, বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিবিধ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টের সঙ্গেও বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান।

একই দিনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সঙ্গেও সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে স্থায়ী প্রতিনিধি সেনাপ্রধানকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিকভাবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে ধন্যবাদ জানান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

এ সকল বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল জুবায়ের সালেহীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ছাদেকুজ্জামান।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান গত ২৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।