দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের দেয়াল লিখন কর্মসূচি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুগাপুরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর এবার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের হাতে রং-তুলি। রোববার দিনব্যপি পৌরশহরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এতে স্কুল-কলেজের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের রাস্তার সাথে মৎস্য খামারের দেয়ালে শিক্ষার্থীরা রং-তুলির মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এসব দৃশ্যে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ অন্যান্য শহীদদের ছবি আঁকানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর স্লোগানও লেখা হয়েছে দেয়ালে।

শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র বলেন, আবু সাঈদ এ প্রজন্মকে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হয়। তাকে পুলিশ যেভাবে হত্যা করেছে, আমরা সে চিত্র এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে আবু সাঈদ সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছে। তারা সুন্দর অঙ্কনের মাধ্যমে দেয়াল গুলো ফুটিয়ে তুলছে। শিক্ষার্থী বিয়াদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার থেকে দেশ স্বাধীন করেছি, এবার দেশকে সংস্কার করব। দেয়ালে লিখন কর্মসূচি চলছে যাতে আগামীর প্রজন্ম ২৪ এর যোদ্ধাদের অবদান দেখেই স্মরণ করতে পারে। শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, দেয়ালে দেয়ালে যে ভাষা ফুটে উঠেছে তা তাদের প্রতিবাদের ভাষা। যে ভাই ও বোনেরা রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করে রাখতে আমাদের এই কর্মসূচি।

শিক্ষার্থী আফসারা ও মহুয়া বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার পতন এ সময়টা শিক্ষার্থীরা যেভাবে পার করেছে সে বিষয়গুলো বিভিন্ন দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে আমরা ফুটিয়ে তুলছি। এদেশ সবার, এদেশে বৈষম্যের জায়গা নেই। সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রে বসবাস করবে এমন একটা সুন্দর দেশ আমরা গড়তে চাই।

স্থানীয় সংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর কাজ করেছে। শহরে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। এখন তারা দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করছে। এভাবে সর্বত্র সচেতনভাবে সবাই এগিয়ে আসলে দেশটা আসলেই সুন্দর হবে। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশংসনীয় কার্যক্রমে খুশি স্থানীয় লোকজন।




ছারছীনার পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ এর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধ্যাত্মিক রাহবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব ছারছীনার ইন্তেকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘মরহুম পীর সাহেব ছারছীনা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লি ছিলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ পথভোলা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন। সারাদেশে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নায়েবে নবী তৈরির কারাখানা গড়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন হযরত পীর সাহেব ছারছীনার সকল নেক কাজকে কবুল করুন। মরহুমের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদ, খোলাফা ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের মুহ্বিবীনদেরকে সবরে জামিল এখতিয়ার করার তাওফিক দিন, আমিন।

উল্লেখ্য, পীর সাহেব ছারছীনা বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ২:১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহী রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় ছারছীনা দরবার শরীফে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্তেকালের সময় মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭০ এর কাছাকাছি। এসময় তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, তিন কন্যা ও অনেক নাতি নাতনি রেখে যান।

তিনি ফুরফুরার মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর পৌত্র ফুরফুরার মরহুম পীর  আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী আল- কুরাইশী রাহিমাহুল্লাহর বড় জামাতা ছিলেন।

দেশে ছারছীনা দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসা, দারুন্নাজাত কামিল মাদরাসাসহ বহু মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, মাসজিদ ও দ্বীনি ইদারা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।




কোটা আন্দোলন : দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও নিহত ছাত্রদের বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্র সমাজের আয়োজনে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বুধবার সকালে থেকেই পৌর শহরের ব্যস্ততম বিভিন্ন সড়ক গুলো অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

সড়ক অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মেধা দিয়েই সমাজ গড়তে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবীগুলো না শুনেই, সকল শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে দিলেন। সারাদেশে কোটা সংস্কারপন্থি ৬জন নিরপরাধ ভাই মারা গেছেন, তাদের তো কোন অপরাধ ছিলো না। আমরা কোটা বিলুপ্ত চাই না, কোটা সংস্কার চাই। রাতের আঁধারে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েদের ওপর হামলা ও নিরপরাধ ছাত্রদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগ ও পুলিশবাহিনী, আমরা এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। আমরা সরকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানিরা, সেই হামলাকে হার মানিয়েছে ছাত্রলীগ ও পুলিশের এই হামলা। সরকার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসুচী মোতাবেক আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।




দুর্গাপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বরণ করে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে নানা আয়োজনে তাদের বরণ করে নেয়া হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী নেতা সায়মন তজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ তালুকদার, শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারি, ওসি (তদন্ত) মাহফুজ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শারমীন আক্তার কাকলী, গোলাম ফাহমী ভুইয়া, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুস ছালাম, নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধান, সুধী সমাজ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা বলেন, দুর্গাপুরবাসী আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি উপজেলা বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সকলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে চাই। দুর্গাপুর উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত একটি মডেল উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোদ জানান।




দুর্গাপুরে বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ! আইনের তোয়াক্কাই করছে না মালিক পক্ষ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কিংবা কোমলমতি শিশুদের সুস্বাদু খাবার হিসেবে প্রধান পছন্দ বেকারির খাদ্য পণ্য। ক্ষুধা মেটাতে বয়স্ক মানুষদেরও খাবারের তালিকায় থাকে বেকারিতে তৈরি হওয়া মুখরোচক বিভিন্ন পণ্য। তবে এসব কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারোরই। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। সরেজমিনে গেলে ভৈরব বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য তৈরির চিত্র দেখা যায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি বেকারি কারখানা রয়েছে। কনফেকশনারির দোকানও রয়েছে অসংখ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করে আসছে। কোনো প্রকার ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে মালিকদের কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে নামে-বেনামে গড়ে ওঠা বেকারি কারখানা গুলোতে আইন না মেনে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য। এই গুলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের ভেজাল পণ্য তৈরি করে এরা দেদারসে বাজারজাত করছে তাদের বিভিন্ন পণ্য। বেশিরভাগ খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ স্টিকার নেই। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ রয়েছে,শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় কেক,বিস্কুট,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টিসহ হরেকরকমের পণ্য। এসবের বেশিরভাগ প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় দোকানগুলোতে বেশিদিন রেখে বিক্রি হচ্ছে তা। আর এসব খেয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ যেন বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ।
গতকাল দুর্গাপুর পৌর শহরের ঠাকুরবাড়িকান্দা এলাকার ভৈরব বেকারীতে গেলে এই বেহাল চিত্র উঠে এসেছে। ভেতরে নোংরা পরিবেশের দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন মানের উপকরণ এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে বেকারিতে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। বেকারি পণ্য উৎপাদনের কাজের লোকজন কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে না। কারিগরদের গাঁয়ের ঘাম ঝরে পরছে খাদ্যতে,নেই কারো হাতে গø্যাভস, মেঝে সহ খাদ্য পণ্যের সাথে পড়ে রয়েছে বিড়ি সিগারেটের খোলস। বিভিন্ন খাদ্যে তৈরির সরঞ্জামে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। তবুও এভাবেই পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। তাছাড়া কারখানায় পাওয়া গেছে মানব দেহের চরম ক্ষতিকর বিষাক্ত ক্যামিকেল,ক্ষতি কারক রং,পচা ডিমসহ নানান ক্ষতিকর পন্যের পাশাপাশি উৎপাদন ও মেয়াদ বিহীন পণ্য।
হান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন,‘বেকারির তৈরি এসব খাবার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখার বাও নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। পরে বাড়িতে নেওয়ার পর মাঝেমধ্যে খাবার থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।’
জানতে চাইলে ভৈরব বেকারি মালিক স্বপন মিয়া বলেন, আজকের পর থেকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাবো। ‘আমাদের বিএসটিআই এর কাগজপত্র নাই। নিউজ করার দরকার নাই।’
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. আলী আকবর জানান  বেকারি মালিকদের একাধিকবার বলা হয়েছে,কিছুদিন আগেও পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে ভেজাল মুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তত করতে বলেছি। কিন্তু তারা কিছুই মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,ভেজাল কেমিক্যাল ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার খেলে যে কেউ আমাশয়,ডায়রিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান জানান,এসিল্যান্ড এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন,মনিটরিং করতে গিয়ে দেখেছি খুবই বাজে অবস্থা। ভেজাল পণ্য তৈরি না করা নির্দেশনা দিয়ে এসেছি এরপরও তারা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল নোমান শান্ত




নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার (১১ মে) ভোরে ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক সালাম (৪৩) ও যাত্রী পিয়াল (২৬)। আহতরা হলেন, আকিব(২৬), সাকিব (২৬) ও অমিত (২৭)। তারা প্রত্যেকেই মাইক্রোবাসের যাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যান।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াছ আহমেদ বলেন, ঘাতক বাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুলতা এলাকা থেকে আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।




দুর্গাপুরে ৩৪০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ,আটক ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ৩৪০ বস্তুায় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। জব্দ করা চিনির বর্তমান বাজারমূল্য ২০ লাখ ৩৮ হাজার ২০০ টাকা।

এ সময় বড় একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করতে পারলেও অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ-সব জব্দ করা হয়।আটকৃত ব্যক্তির নাম জুবাইদ হোসেন (১৬)। সে ট্রাকের হেল্পার ও নোয়াখালীর কামাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা চিনির একটি বড় কাভার্ড ভ্যান পৌর শহরের এম.কে.সি.এম স্কুল মোড় এলাকায় সড়কেই দাড়িয়ে রাখা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব ও পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে সেখানে অভিযানে যান। এ সময় বাংলাদেশী ৫০ কেজির বস্তুায় ভরা ভারতীয় ১৬ হাজার ৯৮৫ কেজি চিনি,একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দসহ একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সলিমউদ্দিন বাদী হয়ে আটককৃত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ আরও জানায়,ভারত থেকে চোরাই পথে এনে ওই চিনি দেশিয় কোম্পানির চিনির বস্তায় ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়।

দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ-সব ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সোমবার আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।




দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে, স্থানীয় শহীদ সন্তোষপার্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও ভাষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরবর্তিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভার:) পারভীন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কমর্রত অফিসারবৃন্দ।

আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ‘‘মুক্তিযুদ্ধকে জানি’’ শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এছাড়া বিরিমিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং এর সভাপতিত্বে অনুরুপ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে।




ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সারি সারি মরদেহ, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী পুরো এলাকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সারি সারি পড়ে আছে বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে নিহতদের মরদেহ। আপনজনদের মরদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ নিহত স্বজনের স্মৃতি মনে করে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে কোনো মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী বলেন, এখনো মর্গ থেকে কোনো মরদেহ বের করা হয়নি। নিহতের স্বজনরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের তথ্য মিলেছে।

>>কপিরাইট জাগো নিউজ>>




হাড় কাঁপানো শীতেও  ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। এনিয়ে বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকা গুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতার কারনে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন হয়েছে। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ^াস  বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।